18-01-2022, 10:26 PM
বিসি মনে মনে ভাবে "ভালোই হলো ! মমতা দি লেখা পড়া জানে , পুলিশ আদালত এসব থেকে বেঁচে যদি নিজের জীবন বাঁচাতে পারে । একবার দূরে চলে গেলে এক সময় এসব জিনিস চাপা পড়ে যায় । এখনকার দিনে পুলিশ আবার ঠিক খুঁজে বার করে । আসামে পুলিশ পৌঁছতে পারবে না ! বিসিও ভাবে সে কোথাও দূরে চলে যাক । কিন্তু দুজনে এক সাথে স্টেশন এর দিকে গেলে সহজে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যাবে । এতো ক্ষনে হুল্লা শ্যামল পুলিশ কে বলে খবর করে দিয়েছে মনে হয় । "
পিছনের পাঁচিল টপকে ছোট একটা রাস্তা ধরে কোনো বড়ো রাস্তায় পার্কের সামনে দাঁড়ায় সে । পার্কের গেট বন্ধ । কিন্তু পার্কের পাঁচিল কিছু আহামরি উঁচু নয় । প্যান্টের গ্যাটে লুকোনো টাকা বার করে গুনে আন্দাজ করার চেষ্টা করে পার্কের অন্ধকার আলোয় লুকিয়ে । তা হাজার 10 তো হবেই ! খানিকটা ভেবে নিচের দিকে তাকিয়ে একটা প্লাষ্টিক পায় । তাতে পাকিয়ে জড়িয়ে রাখে টাকা গুলো গিট্ দিয়ে ! দিদির জন্য নতুন জীবন পেয়েছে সে । এ জীবন নষ্ট হতে দেবে না । দূর্গা বাড়িতে ফিরবে না আমৃত্যু । এদিক ওদিক দেখে একটা মোটা বড়ো খিড়শ গাছ চোখে পড়লো বিসির । গাছের চারদিক দেখে একটু উঁচুতে একটা ফোকর খুঁজে পায় সে । কোনো রকমের শরীর ঘষ্টে গাছে বেয়ে ফোকরের মধ্যে ফেলে দেয় সেই বান্ডিলটা জড়ানো প্লাস্টিক সমেত । ভাগ্যে হলে টাকা টা এসে কোনো দিন নিয়ে যাবে ।
দূরে অনেক পুলিশের গাড়ির সাইরেন শুনতে পায় বিসি ! আনমনা হয়ে নিজেই এগিয়ে চলে সাইরেন লক্ষ্য করে রাস্তা ধরে । অনেক আলোর রোশনাই -এ গাড়ি ভর্তি চারি দিকে পুলিশের মধ্যে সম্বিৎ ফিরে পায় যখন হাতে তার হাতকড়া পড়ে গিয়েছে ।এক মহিলা ঠেলে তাকে ভ্যানে তুললো । দূর থেকে পার্কের আলোয় লেখা টা পড়তে পারলো বিসি "নেতাজি নগর শিশু উদ্যান !"
দু দিনের পুলিশি হেফাজত খুব সহজ কথা নয় । তার পর পুলিশ কোর্টে তুলবে বিসি কে ! তার পর রিমান্ড নেবে ! বাইরের জগতের সাথে সম্পর্ক সে হারিয়ে ফেলেছে অনেক আগে । তাই নিজেকে নিয়ে আর ভাবতে ভালো লাগে না । ইজ্জত খুইয়ে নারীরা অনেক সাহসী হয়ে পরে ! ভয় লাগে না ক্ষুধার্ত সমাজের নেকড়ে গুলো কে ! আমাদের দেশে মেয়েদের জন্য আলাদা গারদ হয় না । চালতা বাগানের পুলিশ ফাঁড়ি তে বন্ধ ঘরে জায়গা হয় তার । কোমরে দড়ি পড়ানো আছে ! বাইরে কি হচ্ছে কোনো জ্ঞান নেই তার ! ঘরের কোন প্রস্রাবের জন্য একটা নালা , আর সেখান থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে । ঘরের মেঝেতে দু একটা কম্বল বেছানো নোংরা , মাছি উড়ছে চারি দিকে ।
সাজিয়ে নেয় মনে মনে কি বলতে হবে , আর কেন বলতে হবে । অনেক বেশি সাহস দিয়ে গেছে মমতা তাকে । মনে প্রাণে চায় মমতা ধরা না পড়ুক । হুল্লা শ্যামল নিশ্চয়ই পুলিশে খবর দিয়েছিলো । নাহলে পালিয়েও যেতে পারতো সে । পালিয়েই বা যাবে কোথায়? কি খাবে সে ? তার চেয়ে জেল ই ভালো । শুধু বুঝতে পারে থানার বাইরে খুব হয় হট্ট গোল । শহরে বন্ধ ডেকেছে রিয়াজের রাজনৈতিক সহকর্মী রা । তারাই যারা রিয়াজের আসল রূপ চেনে না ।
পিছনের পাঁচিল টপকে ছোট একটা রাস্তা ধরে কোনো বড়ো রাস্তায় পার্কের সামনে দাঁড়ায় সে । পার্কের গেট বন্ধ । কিন্তু পার্কের পাঁচিল কিছু আহামরি উঁচু নয় । প্যান্টের গ্যাটে লুকোনো টাকা বার করে গুনে আন্দাজ করার চেষ্টা করে পার্কের অন্ধকার আলোয় লুকিয়ে । তা হাজার 10 তো হবেই ! খানিকটা ভেবে নিচের দিকে তাকিয়ে একটা প্লাষ্টিক পায় । তাতে পাকিয়ে জড়িয়ে রাখে টাকা গুলো গিট্ দিয়ে ! দিদির জন্য নতুন জীবন পেয়েছে সে । এ জীবন নষ্ট হতে দেবে না । দূর্গা বাড়িতে ফিরবে না আমৃত্যু । এদিক ওদিক দেখে একটা মোটা বড়ো খিড়শ গাছ চোখে পড়লো বিসির । গাছের চারদিক দেখে একটু উঁচুতে একটা ফোকর খুঁজে পায় সে । কোনো রকমের শরীর ঘষ্টে গাছে বেয়ে ফোকরের মধ্যে ফেলে দেয় সেই বান্ডিলটা জড়ানো প্লাস্টিক সমেত । ভাগ্যে হলে টাকা টা এসে কোনো দিন নিয়ে যাবে ।
দূরে অনেক পুলিশের গাড়ির সাইরেন শুনতে পায় বিসি ! আনমনা হয়ে নিজেই এগিয়ে চলে সাইরেন লক্ষ্য করে রাস্তা ধরে । অনেক আলোর রোশনাই -এ গাড়ি ভর্তি চারি দিকে পুলিশের মধ্যে সম্বিৎ ফিরে পায় যখন হাতে তার হাতকড়া পড়ে গিয়েছে ।এক মহিলা ঠেলে তাকে ভ্যানে তুললো । দূর থেকে পার্কের আলোয় লেখা টা পড়তে পারলো বিসি "নেতাজি নগর শিশু উদ্যান !"
দু দিনের পুলিশি হেফাজত খুব সহজ কথা নয় । তার পর পুলিশ কোর্টে তুলবে বিসি কে ! তার পর রিমান্ড নেবে ! বাইরের জগতের সাথে সম্পর্ক সে হারিয়ে ফেলেছে অনেক আগে । তাই নিজেকে নিয়ে আর ভাবতে ভালো লাগে না । ইজ্জত খুইয়ে নারীরা অনেক সাহসী হয়ে পরে ! ভয় লাগে না ক্ষুধার্ত সমাজের নেকড়ে গুলো কে ! আমাদের দেশে মেয়েদের জন্য আলাদা গারদ হয় না । চালতা বাগানের পুলিশ ফাঁড়ি তে বন্ধ ঘরে জায়গা হয় তার । কোমরে দড়ি পড়ানো আছে ! বাইরে কি হচ্ছে কোনো জ্ঞান নেই তার ! ঘরের কোন প্রস্রাবের জন্য একটা নালা , আর সেখান থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে । ঘরের মেঝেতে দু একটা কম্বল বেছানো নোংরা , মাছি উড়ছে চারি দিকে ।
সাজিয়ে নেয় মনে মনে কি বলতে হবে , আর কেন বলতে হবে । অনেক বেশি সাহস দিয়ে গেছে মমতা তাকে । মনে প্রাণে চায় মমতা ধরা না পড়ুক । হুল্লা শ্যামল নিশ্চয়ই পুলিশে খবর দিয়েছিলো । নাহলে পালিয়েও যেতে পারতো সে । পালিয়েই বা যাবে কোথায়? কি খাবে সে ? তার চেয়ে জেল ই ভালো । শুধু বুঝতে পারে থানার বাইরে খুব হয় হট্ট গোল । শহরে বন্ধ ডেকেছে রিয়াজের রাজনৈতিক সহকর্মী রা । তারাই যারা রিয়াজের আসল রূপ চেনে না ।