11-01-2022, 09:37 PM
দ্বিতীয় পর্ব
১ - নবজাগরণ
আমি চোখ খুললাম।
প্রথম অনুভূতি হল বিরক্তি। আমি এত শক্ত বিছানায় তো শুই না।
আর আলো জ্বেলে রেখেছে কে? তাও শখ করে কমলা রঙের একটা আলো জ্বেলেছে… যত্তসব!
নাঃ, উঠতেই হবে। উঠে বসলাম চট করে। এতক্ষণ ঘুমিয়েও শরীরে কোন জড়তা নেই।
কয়েকটা জিনিস পর পর নজরে পড়ল। এক - আমি কোন বিছানায় নেই, বরং শক্ত ঠাণ্ডা মেঝেতে বসে আছি। দুই - ঘরে কোন কমলা আলো জ্বলছে না, জ্বলছে টিউবলাইট, আর আমি কমলা টিউব কখনো দেখিনি। তিন - এটা আদৌ ঘুমোবার জায়গা?
উঠে দাঁড়ালাম। কী ঘটেছিল?
কিচ্ছু মনে আসছে না।
নিজের দিকে নজর গেল। সাদার ওপর গ্রে স্ট্রাইপ দেওয়া শার্ট আর চকোলেট রঙের ফুলপ্যান্ট। আমি এরকম পোশাক পরি? এই আমার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট? এই আমি, যে কিনা…
এই আমি…
আমি…?
আমি কে???
ওহ ফাক! শিট!!
এটাই কী অ্যামনেশিয়া? আমার?!
না, না, না না না না না না। অ্যামনেশিয়া কেন হতে যাবে আমার। জাস্ট একটু মাথাটা গুলিয়ে গিয়েছে এই যা। আর কিছু না। একটু বাদেই ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু একটু বাদে ঠিক হল না কিছুই। বরঞ্চ আমার মনে একটা ধারণাই বার বার হতে লাগল সবকিছুর ব্যাপারে। আমার চেনা এ সব কিছুই - এই শার্ট-প্যান্ট, এই ঘড়ি, এই… জায়গাটা - কিন্তু এর কোন কিছুই আমার নয়। যেন কোন এক হোটেলে এসে, গতবারে যে রুমে ছিলাম সেটাই আবার বুক করেছি।
কিন্তু কার হোটেল, কে বুক করেছে (অথবা, করেছি)? আমার নাম কী?
একটা আইডিয়া মাথায় এল। চট করে মানিব্যাগটা টেনে বার করলাম। এখানে-ওখানে ঘেঁটেও জিনিসটা পাচ্ছিলাম না, কিন্তু হঠাত আঙ্গুলগুলো চলে গেল একটা ফ্ল্যাপের নীচে। বেরিয়ে এল একটা আইডেনটিটি কার্ড। ছবি দেওয়া।
আমার ছবি - অন্তত, আমার মত দেখতে একটা লোক, কিন্তু কেমন যেন মরা মাছের মত মুখের ভাব। দূর দূর, এ আমি হতেই পারি না!
দরজা খুলে বেরিয়ে (বেরোতেই মনে পড়ল, ওটা ছিল ‘ডেন’, এটা হল ‘ল্যাব’) বাথরুমে চলে এলাম। বেসিনের ওপর চওড়া দেওয়ালজোড়া আয়না। সামনে গিয়ে মুখের পাশে কার্ডটা ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি।
একটা দীর্ঘশ্বাস। নাহ, এ লোকটা আমিই বটে।
আর নামটা? কার্ডেই লেখা আছে।
আমার নাম… ডক্টর দীপাঞ্জন গুপ্ত…? দূর শালা! ন্যাকাচোদা আমার! এই নাম নিয়ে লোকটা জীবন এনজয় করত কী ভাবে?
করত না, কে যেন বলল আমার ভিতর থেকে।
১ - নবজাগরণ
আমি চোখ খুললাম।
প্রথম অনুভূতি হল বিরক্তি। আমি এত শক্ত বিছানায় তো শুই না।
আর আলো জ্বেলে রেখেছে কে? তাও শখ করে কমলা রঙের একটা আলো জ্বেলেছে… যত্তসব!
নাঃ, উঠতেই হবে। উঠে বসলাম চট করে। এতক্ষণ ঘুমিয়েও শরীরে কোন জড়তা নেই।
কয়েকটা জিনিস পর পর নজরে পড়ল। এক - আমি কোন বিছানায় নেই, বরং শক্ত ঠাণ্ডা মেঝেতে বসে আছি। দুই - ঘরে কোন কমলা আলো জ্বলছে না, জ্বলছে টিউবলাইট, আর আমি কমলা টিউব কখনো দেখিনি। তিন - এটা আদৌ ঘুমোবার জায়গা?
উঠে দাঁড়ালাম। কী ঘটেছিল?
কিচ্ছু মনে আসছে না।
নিজের দিকে নজর গেল। সাদার ওপর গ্রে স্ট্রাইপ দেওয়া শার্ট আর চকোলেট রঙের ফুলপ্যান্ট। আমি এরকম পোশাক পরি? এই আমার ফ্যাশন স্টেটমেন্ট? এই আমি, যে কিনা…
এই আমি…
আমি…?
আমি কে???
ওহ ফাক! শিট!!
এটাই কী অ্যামনেশিয়া? আমার?!
না, না, না না না না না না। অ্যামনেশিয়া কেন হতে যাবে আমার। জাস্ট একটু মাথাটা গুলিয়ে গিয়েছে এই যা। আর কিছু না। একটু বাদেই ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু একটু বাদে ঠিক হল না কিছুই। বরঞ্চ আমার মনে একটা ধারণাই বার বার হতে লাগল সবকিছুর ব্যাপারে। আমার চেনা এ সব কিছুই - এই শার্ট-প্যান্ট, এই ঘড়ি, এই… জায়গাটা - কিন্তু এর কোন কিছুই আমার নয়। যেন কোন এক হোটেলে এসে, গতবারে যে রুমে ছিলাম সেটাই আবার বুক করেছি।
কিন্তু কার হোটেল, কে বুক করেছে (অথবা, করেছি)? আমার নাম কী?
একটা আইডিয়া মাথায় এল। চট করে মানিব্যাগটা টেনে বার করলাম। এখানে-ওখানে ঘেঁটেও জিনিসটা পাচ্ছিলাম না, কিন্তু হঠাত আঙ্গুলগুলো চলে গেল একটা ফ্ল্যাপের নীচে। বেরিয়ে এল একটা আইডেনটিটি কার্ড। ছবি দেওয়া।
আমার ছবি - অন্তত, আমার মত দেখতে একটা লোক, কিন্তু কেমন যেন মরা মাছের মত মুখের ভাব। দূর দূর, এ আমি হতেই পারি না!
দরজা খুলে বেরিয়ে (বেরোতেই মনে পড়ল, ওটা ছিল ‘ডেন’, এটা হল ‘ল্যাব’) বাথরুমে চলে এলাম। বেসিনের ওপর চওড়া দেওয়ালজোড়া আয়না। সামনে গিয়ে মুখের পাশে কার্ডটা ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি।
একটা দীর্ঘশ্বাস। নাহ, এ লোকটা আমিই বটে।
আর নামটা? কার্ডেই লেখা আছে।
আমার নাম… ডক্টর দীপাঞ্জন গুপ্ত…? দূর শালা! ন্যাকাচোদা আমার! এই নাম নিয়ে লোকটা জীবন এনজয় করত কী ভাবে?
করত না, কে যেন বলল আমার ভিতর থেকে।