08-01-2022, 06:22 PM
দুই
বাপ্পা কে কলেজ থেকে এনে ওকে খাইয়ে দেয়। তারপর ওকে ঘুম পাড়িয়ে বারান্দায় এসে বসে। আজ মেঘ করেছে একটু আগে থেকে। পাতলা গাউন টা পরে পায়চারি করতে করতে ভাবে সকালের কথা। বিক্রম ওকে আজ বদলে দিল। এই ভাবে ও চায়নি কোনদিন। বাবা মায়ের শাসনে মানুষ সোহিনী। পেচ্ছাপ করার সময় ও অনুভব করেছে একটা জ্বালা। মুখ টা যেন আগের থেকে বেশী হাঁ করে আছে। আর হবেই না বা কেন, এত বড় যে কোন মানুষের লিঙ্গ হতে পারে সে সম্মন্ধে ওর ধারনা ছিলনা। বার বার মনে হতে লাগলো এটা ঠিক করল না। বিক্রম কে পাত্তা না দিলেই হত। ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি নামলো, গাছের পাতায় টাপুর টুপুর শব্দ ওকে সব কিছু ভুলিয়ে দিল।
সন্ধ্যে বেলায় রান্না করতে এল অঞ্জু। ও যেন লজ্জায় মিশে গেলো। অঞ্জু স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করতে লাগলো যেন কিছুই ঘটেনি এবং এর ফলে ধীরে ধীরে ও স্বাভাবিক হয়ে এল। ৮ টার সময় সৌম্য এলে যেন ও হাঁপ ছেড়ে বাঁচল।
এর পর দুদিন সব স্বাভাবিক অন্য সাধারণ দিনের মতোই কাটতে লাগলো। সোহিনীও আস্তে আস্তে সব কিছু মেনে নিয়ে আগের মতো চলতে থাকল। বুধবার দিন দুপুর নাগাদ সৌম্য ফোন করে জানাল যে ওদের এক কন্ট্রাক্টর এর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সৌম্য কে নিমন্ত্রন করেছিল সোহিনী সমেত কিন্তু সৌম্য যেতে পারছে না কারন কয়েকটা গুরুত্ত পূর্ণ কাজে ওকে আজ ডি এম সাহেবের সাথে বসতে হবে ওনার বাংলো তে। সেই কারনে সোহিনী কে যেতে হবে। গাড়ির ব্যাবস্থা করে দেয়। ৭টা নাগাদ বের হবে। ও সেই মতো প্রস্তুত হয়, অঞ্জুর কাছে বাপ্পা থাকবে। ৭ টার সময় গাড়ি আসে, ইন্নভা গাড়ি আগে দেখেছে কিন্তু চাপেনি কোন দিন। পিছনের সিটে বসে সোহিনী।
আধ ঘণ্টার রাস্তা, ক্লান্তি হীন শফর। ভাবতে ভাবতে হারিয়ে যায় সোহিনী। এক বছর আগেও ওর মনের কোনে কথাও এই স্বপ্ন দানা বাঁধেনি যা আজ বাস্তব। আলোর ঝল্কানি তে স্বম্বিত ফিরে পায়। ড্রাইভার নেমে দরজা খুলে দিতে ও নেমে আসে। কন্ট্রাক্টর বিলাশভাই আর তাঁর স্ত্রী এসে ওকে সাদরে ভেতরে নিয়ে যায়। বিশাল হোটেল বুক করেছে ওরা। ওকে ভেতরে এনে বসাতেই চোখ যায় সামনের সারিতে, বিলাশ ভাই এর সাথে এগিয়ে আসে বিক্রম।
বিক্রম এসে ওকে বলে-
-আসুন ম্যাদাম, এদিকে।
বিলাশভাই এর মুখে এক গাল হাসি, খুব ই খুশি ও আসার জন্যে। গুজরাটি ভাসায় বিলাশভাই আর বিক্রম কথা বলে যার কিছুই ওর বোধগম্য হয়না। তারপর ওকে বাচ্চাটার কাছে নিয়ে আসে যার জন্মদিন। একটা খেলনা এনেছিল, সেটা ওর হাতে দিয়ে এগিয়ে যেতেই বিক্রম ওকে খাবারের জায়গায় নিয়ে আসে। এখানে বিক্রম খুব ই ভদ্র ব্যবহার করে। সাড়ে আটটার মধ্যে ওর খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে ওদের নমস্কার করে বেড়িয়ে আসতেই বিক্রম ওর পিছনে বেড়িয়ে আসে। ও সেই সময় সৌম্য কে ফোন করতে চেষ্টা করল, কিন্তু যোগাযোগ করতে পারলনা। গাড়িটা খুজতে একটু এগিয়ে আধো অন্ধকার এর দিকে জেতেই খেয়াল করল বিক্রম কে।
- সোহিনী, ওই দিকে যেওনা, জঙ্গলে সিংহ আছে।
চমকে পিছিয়ে এল, কিছুদিন আগে ও দেখেছিল টিভি তে একটা ভিডিও, তাই সাহসে কুললো না।
বাপ্পা কে কলেজ থেকে এনে ওকে খাইয়ে দেয়। তারপর ওকে ঘুম পাড়িয়ে বারান্দায় এসে বসে। আজ মেঘ করেছে একটু আগে থেকে। পাতলা গাউন টা পরে পায়চারি করতে করতে ভাবে সকালের কথা। বিক্রম ওকে আজ বদলে দিল। এই ভাবে ও চায়নি কোনদিন। বাবা মায়ের শাসনে মানুষ সোহিনী। পেচ্ছাপ করার সময় ও অনুভব করেছে একটা জ্বালা। মুখ টা যেন আগের থেকে বেশী হাঁ করে আছে। আর হবেই না বা কেন, এত বড় যে কোন মানুষের লিঙ্গ হতে পারে সে সম্মন্ধে ওর ধারনা ছিলনা। বার বার মনে হতে লাগলো এটা ঠিক করল না। বিক্রম কে পাত্তা না দিলেই হত। ভাবতে ভাবতে বৃষ্টি নামলো, গাছের পাতায় টাপুর টুপুর শব্দ ওকে সব কিছু ভুলিয়ে দিল।
সন্ধ্যে বেলায় রান্না করতে এল অঞ্জু। ও যেন লজ্জায় মিশে গেলো। অঞ্জু স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করতে লাগলো যেন কিছুই ঘটেনি এবং এর ফলে ধীরে ধীরে ও স্বাভাবিক হয়ে এল। ৮ টার সময় সৌম্য এলে যেন ও হাঁপ ছেড়ে বাঁচল।
এর পর দুদিন সব স্বাভাবিক অন্য সাধারণ দিনের মতোই কাটতে লাগলো। সোহিনীও আস্তে আস্তে সব কিছু মেনে নিয়ে আগের মতো চলতে থাকল। বুধবার দিন দুপুর নাগাদ সৌম্য ফোন করে জানাল যে ওদের এক কন্ট্রাক্টর এর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে সৌম্য কে নিমন্ত্রন করেছিল সোহিনী সমেত কিন্তু সৌম্য যেতে পারছে না কারন কয়েকটা গুরুত্ত পূর্ণ কাজে ওকে আজ ডি এম সাহেবের সাথে বসতে হবে ওনার বাংলো তে। সেই কারনে সোহিনী কে যেতে হবে। গাড়ির ব্যাবস্থা করে দেয়। ৭টা নাগাদ বের হবে। ও সেই মতো প্রস্তুত হয়, অঞ্জুর কাছে বাপ্পা থাকবে। ৭ টার সময় গাড়ি আসে, ইন্নভা গাড়ি আগে দেখেছে কিন্তু চাপেনি কোন দিন। পিছনের সিটে বসে সোহিনী।
আধ ঘণ্টার রাস্তা, ক্লান্তি হীন শফর। ভাবতে ভাবতে হারিয়ে যায় সোহিনী। এক বছর আগেও ওর মনের কোনে কথাও এই স্বপ্ন দানা বাঁধেনি যা আজ বাস্তব। আলোর ঝল্কানি তে স্বম্বিত ফিরে পায়। ড্রাইভার নেমে দরজা খুলে দিতে ও নেমে আসে। কন্ট্রাক্টর বিলাশভাই আর তাঁর স্ত্রী এসে ওকে সাদরে ভেতরে নিয়ে যায়। বিশাল হোটেল বুক করেছে ওরা। ওকে ভেতরে এনে বসাতেই চোখ যায় সামনের সারিতে, বিলাশ ভাই এর সাথে এগিয়ে আসে বিক্রম।
বিক্রম এসে ওকে বলে-
-আসুন ম্যাদাম, এদিকে।
বিলাশভাই এর মুখে এক গাল হাসি, খুব ই খুশি ও আসার জন্যে। গুজরাটি ভাসায় বিলাশভাই আর বিক্রম কথা বলে যার কিছুই ওর বোধগম্য হয়না। তারপর ওকে বাচ্চাটার কাছে নিয়ে আসে যার জন্মদিন। একটা খেলনা এনেছিল, সেটা ওর হাতে দিয়ে এগিয়ে যেতেই বিক্রম ওকে খাবারের জায়গায় নিয়ে আসে। এখানে বিক্রম খুব ই ভদ্র ব্যবহার করে। সাড়ে আটটার মধ্যে ওর খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে ওদের নমস্কার করে বেড়িয়ে আসতেই বিক্রম ওর পিছনে বেড়িয়ে আসে। ও সেই সময় সৌম্য কে ফোন করতে চেষ্টা করল, কিন্তু যোগাযোগ করতে পারলনা। গাড়িটা খুজতে একটু এগিয়ে আধো অন্ধকার এর দিকে জেতেই খেয়াল করল বিক্রম কে।
- সোহিনী, ওই দিকে যেওনা, জঙ্গলে সিংহ আছে।
চমকে পিছিয়ে এল, কিছুদিন আগে ও দেখেছিল টিভি তে একটা ভিডিও, তাই সাহসে কুললো না।