03-01-2022, 05:12 PM
৫ - শখের গোয়েন্দা
ভবানীপুর যখন পৌঁছলাম, ঘড়ির কাঁটা তখন ওপরের দিকে একটা সমকোণ এঁকেছে। জগুবাজারের বাসস্টপের উলটো দিকে ফুটপাথে কিছু দোকান, আমি তার জটলার মাঝে সেঁধিয়ে গেলাম। বাসস্টপে সামান্য কিছু লোকজন; অনু নামলে হারিয়ে ফেলার কোনো চান্সই নেই।
আশ্চর্য, আমি এখন চাইছি যাতে আমি হারিয়ে ফেলি ওকে।
ওই তো। বাস থেকে নামছে। বেশ সাজুগুজু করা হয়েছে তো! তা হবে না আর, বয়ফ্রেন্ডের কাছে যাচ্ছে যে, একটু শৃঙ্গার করতে হবে বৈকি! শৃঙ্গার হবে, রতি হবে, কামকলা হবে - আর আমার জীবন ফুলে কলাগাছ হবে!
ইচ্ছে হল খুব এই ভরা বাসস্টপের মাঝেই কনফ্রন্ট করি। মজলিশের মধ্যে কাপড় খুলে নিই। অনেক কষ্টে ইচ্ছেটা দমন করে পা বাড়ালাম। অনু যাচ্ছে মেন রোড ধরে, আমি যাচ্ছি কুড়ি কদম পিছনে ফুটপাথের দোকানের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে।
তুমি চলো ডালে ডালে,আমি চলি পাতায় পাতায়।
অনু রাস্তা পার হয়ে ডানদিকে ঘুরল, ভেতরে ঢুকল হরিশ মুখার্জী রোডের দিকে, একটা সরু গলি দিয়ে। মোড়ে জঞ্জালের স্তুপে কুকুরের কলরব। আমি তাড়াতাড়ি মোড় পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। ভিতরে তাকিয়ে দেখতে পেলাম সে আবার ডানদিকে ঘুরে আরো সরু একটা গলির মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। আবার একই রুটিন - মোড় অবধি যাও, ভেতরে উঁকি মারো, তারপর এগিয়ে চলো।
গলির গলি, তস্য গলি। এ কোন গোলকধাঁধাঁয় ঢুকছে অনু? এখানে রাস্তা জানলই বা কী করে?
শেষ গলিটা অতি সরু - একজনের বেশি দুজন পাশাপাশি যেতে পারবে না। এই গলিতেই অনু একটা বাড়ির সামনে থমকে গিয়ে এদিক-ওদিক তাকাল। আমি ছিলাম কোণায় একটা বাড়ির রোয়াকে, আর মেঘলা দুপুরে এ সরু গলি প্রায় অন্ধকার - সুতরাং অনুর দিক থেকে আমি প্রায় অদৃশ্য। সে বাড়িটার গেটের কাছে এগিয়ে গেল।
ভবানীপুর যখন পৌঁছলাম, ঘড়ির কাঁটা তখন ওপরের দিকে একটা সমকোণ এঁকেছে। জগুবাজারের বাসস্টপের উলটো দিকে ফুটপাথে কিছু দোকান, আমি তার জটলার মাঝে সেঁধিয়ে গেলাম। বাসস্টপে সামান্য কিছু লোকজন; অনু নামলে হারিয়ে ফেলার কোনো চান্সই নেই।
আশ্চর্য, আমি এখন চাইছি যাতে আমি হারিয়ে ফেলি ওকে।
ওই তো। বাস থেকে নামছে। বেশ সাজুগুজু করা হয়েছে তো! তা হবে না আর, বয়ফ্রেন্ডের কাছে যাচ্ছে যে, একটু শৃঙ্গার করতে হবে বৈকি! শৃঙ্গার হবে, রতি হবে, কামকলা হবে - আর আমার জীবন ফুলে কলাগাছ হবে!
ইচ্ছে হল খুব এই ভরা বাসস্টপের মাঝেই কনফ্রন্ট করি। মজলিশের মধ্যে কাপড় খুলে নিই। অনেক কষ্টে ইচ্ছেটা দমন করে পা বাড়ালাম। অনু যাচ্ছে মেন রোড ধরে, আমি যাচ্ছি কুড়ি কদম পিছনে ফুটপাথের দোকানের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে।
তুমি চলো ডালে ডালে,আমি চলি পাতায় পাতায়।
অনু রাস্তা পার হয়ে ডানদিকে ঘুরল, ভেতরে ঢুকল হরিশ মুখার্জী রোডের দিকে, একটা সরু গলি দিয়ে। মোড়ে জঞ্জালের স্তুপে কুকুরের কলরব। আমি তাড়াতাড়ি মোড় পর্যন্ত গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। ভিতরে তাকিয়ে দেখতে পেলাম সে আবার ডানদিকে ঘুরে আরো সরু একটা গলির মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল। আবার একই রুটিন - মোড় অবধি যাও, ভেতরে উঁকি মারো, তারপর এগিয়ে চলো।
গলির গলি, তস্য গলি। এ কোন গোলকধাঁধাঁয় ঢুকছে অনু? এখানে রাস্তা জানলই বা কী করে?
শেষ গলিটা অতি সরু - একজনের বেশি দুজন পাশাপাশি যেতে পারবে না। এই গলিতেই অনু একটা বাড়ির সামনে থমকে গিয়ে এদিক-ওদিক তাকাল। আমি ছিলাম কোণায় একটা বাড়ির রোয়াকে, আর মেঘলা দুপুরে এ সরু গলি প্রায় অন্ধকার - সুতরাং অনুর দিক থেকে আমি প্রায় অদৃশ্য। সে বাড়িটার গেটের কাছে এগিয়ে গেল।