02-01-2022, 07:22 PM
ঘরে ওই ছোট্ট জানলা তাই দাঁড়িয়ে রাতের অশোক ফুলের গন্ধ নিতে থাকে , খুব মাতাল করা গন্ধ হয় , বেশ্যা থেকে বাড়ির বৌ সবাই সে গন্ধ সমান ভাবে পায়, আর দূর্গা বাড়িতে সেই গন্ধ টা যেন রাতের অভিশাপের মতো মনে হয় । বিছানার তেলচিটে বিশ্রী গন্ধ তখন ম্লান হয়ে যায় আর অনেক মেয়েই তাদের চেনা খদ্দের কেই মনের সাথী বলে কল্পনা করে , আমরা ভুলে যাই যে তাদের মন আছে । ভালোবাসার কাঙাল বলে তাদের দমিয়ে রাখতে আমাদের বেগ পেতে হয় না । একটু একটু করে চা টা শুষে নিতে থাকে বিসির ঠোঁটের সব রঙিন স্বপ্ন গুলো । আসতে আসতে রাত চাদরের মতো ঢেকে দেয় দূর্গা বাড়ির এলোমেলো ওড়া স্বপ্ন গুলোকে অভিশাপের মতো । বিসির স্বপ্ন গুলো বেশ নোংরা নোংরা মনে হয় , কোথাও তরতাজা ফুলের গন্ধ নেই ।
বাইরে একটা মৃদু হয় হট্টগোল শোনা যায় সকাল বেলায় । হুল্লা মদ খেয়ে চেঁচামেচি করছে ! আর সরলার সাথে তার ঝগড়া নিত্য নৈমিত্তিক । দরজার পশে এসে শুনতে থাকে তাদের কথা বার্তা , এখনও বিসি বাইরে যাবার অনুমতি পায় নি , বাইরে বেরোলে মারধর তাকে খেতেই হবে আর সেই ভয়ে সে আর বাইরে যাবার সাহস করে না , রাতে মিনু খালি থাকলে শুতে আসে আর পাহারা দেয় সরলার কথা মতো । কিন্তু সে জানে সরলার কোনো মাথা আছে, দুর্গাবাড়ির মালিক কোনো বাঙালি না , শুধু সবাই তাঁকে দুবে জি বলেই জানে , বিহারের কোনো নামকরা অপরাধী ! খুনের দায়ে জেল খাটছে কিন্তু সেখান থেকেই সে এরকম অনেক দুর্গাবাড়ি নিয়ন্ত্রল করে । মাস গেলে তার লোক আসে রাতের অন্ধকারে আর বেশ মোটা টাকা নিয়ে যায় সরলার কাছ থেকে । হুল্লা শ্যামল কে দিয়ে কাজ না হলে আরো বড়ো মাপের কাজের লোক আছে তার হাতে । কিন্তু তার আজপর্যন্ত দরকার পড়ে নি , আর এই জন্যই শ্যামুর এতো নাম ডাক । শ্যামুই সব সামলে দেয় !
পাছে বাইরের লোক শুনতে পায়, সেই ভয়ে সরলা হুল্লা কে টেনে দূর্গা বাড়ির ভিতরে নিয়ে আসে । সরলার ঘর বিসির ঘরের পাশেই । বিসি এমনি ওদের ফিসফিসানি শুনতে পায় ।
" এই সরলা ঢেমনি মাগি , তোর জন্য আমি অনেক রিস্ক নিয়েছি সেটা কি তুই জানিস !" নেশায় জড়ানো মুখে কথা গুলো বলতে থাকে শ্যামু!
" মুখ সামলে কথা বলবি বলে দিচ্ছি হুল্লা ! যা নয় তাই ভেবিছিস । " চেঁচিয়ে উঠেও সরলা দমে গিয়ে হালকা করে নেয় গলা ।
সরলা কে থামিয়ে দেয় শ্যামল দাঁতে দাঁত দিয়ে ফিস ফিস করে বলে ! "চপ শালী! , তোর কথা শুনে মমতা কে কাল হাওড়ায় আস্তে বলিচি , পুলিশ এর জানাজানি হলে আমার এতো দিনের কষ্ট মাঠে মারা যাবে বুজেছো বাপধন ! এখন তুই বলছিস দূর্গা বাড়িতে জায়গা হবে না !"
" কত ধ্যানাই প্যানাই আছে সেটা তুই জানিস? তুই তো খদ্দের কাটিয়ে খালাস , পুলিশ ধরলে আমার গাঁড়ে রুল ঢুকিয়ে সব কথা বার করবে !" শ্যামল খেকিয়ে ওঠে ।
" তোর কি মাথায় ভিরমি ধরেছে গ্যা! ছেলের বয়স 8 , আর মা ছেলেকে এখানে তুললি তাদির রাখবো কোথায় আমার মাথায় !" খেচিয়ে ওঠে সরলা একই সুরে ।
" দিদি লক্ষি আমার , একটু ম্যানেজ করো , দু একদিনে ওহ আমি একদম সেটিং করে নোব, মাল টা তো তুমি দেখোছো, প্রচুর খদ্দের পাবে !" শেষ মেশ একটু নরম হয়ে খাতির করতে শুরু করে ।
বিসি বুঝতে পারে নিশ্চয়ই এ কোনো অভাগার কথা বলছে । তারই মতো দূর্গা বাড়ির বেশ্যা হবে । " না বাপু আমি নেই এতে , তুই মাগীর যদি ব্যবস্থা কত্তি প্যারিস তো নিয়ে আয়, তোকে 25000 টাকা দোবো, ছেলে পুলে এখানে রাখা চলবে নে এই বলে দিলুম !" ঝামটা মেরে সরলা নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় রাগে ।
হুল্লা শ্যামল গজ গজ করতে করতে বেরিয়ে যায় তারই পিছু পিছু ।
দিন টা যেন ছবির মতো কেটে যায় দূর্গা বাড়িতে কত না দেখার ,বোঝার ,হিসেবে করার জিনিস আছে এ বাড়িতে । অবাক হবার সময় থাকে না এই সব মেয়েদের ।
কারোর সত্যির থেকে মিথ্যের আবদার বেশি থাকে , আর কেউ মিথ্যে আবদার করে সত্যি সত্যি পেট ভরায় ।
বাইরে একটা মৃদু হয় হট্টগোল শোনা যায় সকাল বেলায় । হুল্লা মদ খেয়ে চেঁচামেচি করছে ! আর সরলার সাথে তার ঝগড়া নিত্য নৈমিত্তিক । দরজার পশে এসে শুনতে থাকে তাদের কথা বার্তা , এখনও বিসি বাইরে যাবার অনুমতি পায় নি , বাইরে বেরোলে মারধর তাকে খেতেই হবে আর সেই ভয়ে সে আর বাইরে যাবার সাহস করে না , রাতে মিনু খালি থাকলে শুতে আসে আর পাহারা দেয় সরলার কথা মতো । কিন্তু সে জানে সরলার কোনো মাথা আছে, দুর্গাবাড়ির মালিক কোনো বাঙালি না , শুধু সবাই তাঁকে দুবে জি বলেই জানে , বিহারের কোনো নামকরা অপরাধী ! খুনের দায়ে জেল খাটছে কিন্তু সেখান থেকেই সে এরকম অনেক দুর্গাবাড়ি নিয়ন্ত্রল করে । মাস গেলে তার লোক আসে রাতের অন্ধকারে আর বেশ মোটা টাকা নিয়ে যায় সরলার কাছ থেকে । হুল্লা শ্যামল কে দিয়ে কাজ না হলে আরো বড়ো মাপের কাজের লোক আছে তার হাতে । কিন্তু তার আজপর্যন্ত দরকার পড়ে নি , আর এই জন্যই শ্যামুর এতো নাম ডাক । শ্যামুই সব সামলে দেয় !
পাছে বাইরের লোক শুনতে পায়, সেই ভয়ে সরলা হুল্লা কে টেনে দূর্গা বাড়ির ভিতরে নিয়ে আসে । সরলার ঘর বিসির ঘরের পাশেই । বিসি এমনি ওদের ফিসফিসানি শুনতে পায় ।
" এই সরলা ঢেমনি মাগি , তোর জন্য আমি অনেক রিস্ক নিয়েছি সেটা কি তুই জানিস !" নেশায় জড়ানো মুখে কথা গুলো বলতে থাকে শ্যামু!
" মুখ সামলে কথা বলবি বলে দিচ্ছি হুল্লা ! যা নয় তাই ভেবিছিস । " চেঁচিয়ে উঠেও সরলা দমে গিয়ে হালকা করে নেয় গলা ।
সরলা কে থামিয়ে দেয় শ্যামল দাঁতে দাঁত দিয়ে ফিস ফিস করে বলে ! "চপ শালী! , তোর কথা শুনে মমতা কে কাল হাওড়ায় আস্তে বলিচি , পুলিশ এর জানাজানি হলে আমার এতো দিনের কষ্ট মাঠে মারা যাবে বুজেছো বাপধন ! এখন তুই বলছিস দূর্গা বাড়িতে জায়গা হবে না !"
" কত ধ্যানাই প্যানাই আছে সেটা তুই জানিস? তুই তো খদ্দের কাটিয়ে খালাস , পুলিশ ধরলে আমার গাঁড়ে রুল ঢুকিয়ে সব কথা বার করবে !" শ্যামল খেকিয়ে ওঠে ।
" তোর কি মাথায় ভিরমি ধরেছে গ্যা! ছেলের বয়স 8 , আর মা ছেলেকে এখানে তুললি তাদির রাখবো কোথায় আমার মাথায় !" খেচিয়ে ওঠে সরলা একই সুরে ।
" দিদি লক্ষি আমার , একটু ম্যানেজ করো , দু একদিনে ওহ আমি একদম সেটিং করে নোব, মাল টা তো তুমি দেখোছো, প্রচুর খদ্দের পাবে !" শেষ মেশ একটু নরম হয়ে খাতির করতে শুরু করে ।
বিসি বুঝতে পারে নিশ্চয়ই এ কোনো অভাগার কথা বলছে । তারই মতো দূর্গা বাড়ির বেশ্যা হবে । " না বাপু আমি নেই এতে , তুই মাগীর যদি ব্যবস্থা কত্তি প্যারিস তো নিয়ে আয়, তোকে 25000 টাকা দোবো, ছেলে পুলে এখানে রাখা চলবে নে এই বলে দিলুম !" ঝামটা মেরে সরলা নিজের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায় রাগে ।
হুল্লা শ্যামল গজ গজ করতে করতে বেরিয়ে যায় তারই পিছু পিছু ।
দিন টা যেন ছবির মতো কেটে যায় দূর্গা বাড়িতে কত না দেখার ,বোঝার ,হিসেবে করার জিনিস আছে এ বাড়িতে । অবাক হবার সময় থাকে না এই সব মেয়েদের ।
কারোর সত্যির থেকে মিথ্যের আবদার বেশি থাকে , আর কেউ মিথ্যে আবদার করে সত্যি সত্যি পেট ভরায় ।