27-12-2021, 10:53 AM
একটি বিপজ্জনক ফোনালাপ*****
কন্যা : হ্যালো , হ্যাঁ বাবা বলো ?
মানিকবাবু : আমরা ভালো আছি , তোর মায়ের হাঁটু ব্যথা বেড়েছে , আর হ্যাঁ শোন সুমি আজ কাজে আসেনি , আমি তোর মায়ের ঘরদোর ওই ডান্ডান্যাতাটা দিয়ে মুছে দিয়েছি। তোরা সব ভালো তো ? ছাড়ছি তাহলে .....
কন্যা : আরে এখুনি কি ছাড়বে ? মা কে দাও ।
মানিকবাবু : আবার মা কেন ? এক্ষুনি একগাদা কথা বলবে । শোন মিনিটে একটাকা কুড়ি পয়সা , আমার পাওয়ার ভরা নেই ( পাশ থেকে মায়ের চেঁচিয়ে হাঁক , আমি কথা বলবো , কিপটে বুড়ো একটা )
কন্যা : মা আমি ঘুরিয়ে ফোন করছি , তোমরা লাইন কেটে দাও ।
মানিকবাবু : অপচয় করিস না । আর ফোন করার দরকার নেই । আবার কাল করবি । ( লাইন কেটে দেওয়া হল )
মেয়ে ঘুরিয়ে ফোন করলেন ।
মা : হ্যালো , কে স্বাতী ? শোন , তোর বাবার সাথে আর একসাথে সংসার করা যাচ্ছে না , ভীষন অত্যাচার করছে ।
কন্যা : সে কি ? কি করেছে ।
মা : শোন সারাদিন খাইখাই করছে । সকালে চারবার চা খেয়েছে । সিগারেটের ধোয়ায় ঘরে কিচ্ছু দেখা যায় না । এই সবে আমাশা থেকে উঠলো । আমাকে বলছে মুড়িঘন্ট করে দিতে আর বোয়ালের ঝাল । পাঁচশো চুনো মাছ এনেছে । কে কাটবে বল , (কান্না) আমার হাঁটু ব্যথা । বলছে চুনো মাছের চচ্চড়ি করতে । আমি আর ওর সাথে থাকবো না । আমাকে আলাদা করে দে ।
কন্যা : এসব রেঁধেছো নাকি ? কালকেও তো মেট্রোজিল খেয়েছে ।
মা : মুখ ফুটে চাইলো মানুষটা আর রাঁধবো না ? জানিস রাতে আমাকে ঘুমাতে দেয় না , সারারাত অত্যাচার করে ।
কন্যা : সে কি ? কি বলছো মা ?
মা : ঠিকই বলছি ( কান্না ) সারারাত টিভি চালিয়ে হিস্ট্রি চ্যানেলে এলিয়েন দেখে । তারপর পাঁচশো কেজির মানুষ কি করে অপারেশন করে রোগা হচ্ছে তা দেখে । গাঁক গাঁক করে টিভি চলে । আমার ঘুম আসেনা । অত্যাচার নয় ? অথচ আমাকে দিদি নম্বর ওয়ান দেখতে দেয় না , তখন নিউজ শোনে ।
কন্যা : তো তুমি অন্য ঘরে শোও না কেন ?
মা : তোর বাবা ভুতের ভয় পায় , আমাকে ছাড়া শুতে পারে না । তুই এসে এর একটা বিহিত করে যা । ( ব্যাকগ্রাউন্ডে মানিকবাবুর আবৃত্তি শোনা যায় , " মানিক ব্যানার্জ্জীরে হে মুটকি জননী / রেখেছো ক্রীতদাস করে , স্বামী তো ভাবোনি ।" ) ওই দেখ , সারাদিন ছড়া কাটছে নয় গান করছে । লোকে পাগল বলে ।
কন্যা : আচ্ছা আমি কাল কলেজফেরত যাবো । একটু মুড়িঘন্ট রেখো ।
মা : একপাতা সেফটিপিন আর শায়ার দড়ি আনবি । আর ন্যাপথলিন ।
কন্যা : আনবো মা ।
মা : এবার রাখি , তোর বাবা কড়াইশুটির কচুরি করতে বলছে । রাখছি ।
©স্বাতীব্যানার্জ্জী
কন্যা : হ্যালো , হ্যাঁ বাবা বলো ?
মানিকবাবু : আমরা ভালো আছি , তোর মায়ের হাঁটু ব্যথা বেড়েছে , আর হ্যাঁ শোন সুমি আজ কাজে আসেনি , আমি তোর মায়ের ঘরদোর ওই ডান্ডান্যাতাটা দিয়ে মুছে দিয়েছি। তোরা সব ভালো তো ? ছাড়ছি তাহলে .....
কন্যা : আরে এখুনি কি ছাড়বে ? মা কে দাও ।
মানিকবাবু : আবার মা কেন ? এক্ষুনি একগাদা কথা বলবে । শোন মিনিটে একটাকা কুড়ি পয়সা , আমার পাওয়ার ভরা নেই ( পাশ থেকে মায়ের চেঁচিয়ে হাঁক , আমি কথা বলবো , কিপটে বুড়ো একটা )
কন্যা : মা আমি ঘুরিয়ে ফোন করছি , তোমরা লাইন কেটে দাও ।
মানিকবাবু : অপচয় করিস না । আর ফোন করার দরকার নেই । আবার কাল করবি । ( লাইন কেটে দেওয়া হল )
মেয়ে ঘুরিয়ে ফোন করলেন ।
মা : হ্যালো , কে স্বাতী ? শোন , তোর বাবার সাথে আর একসাথে সংসার করা যাচ্ছে না , ভীষন অত্যাচার করছে ।
কন্যা : সে কি ? কি করেছে ।
মা : শোন সারাদিন খাইখাই করছে । সকালে চারবার চা খেয়েছে । সিগারেটের ধোয়ায় ঘরে কিচ্ছু দেখা যায় না । এই সবে আমাশা থেকে উঠলো । আমাকে বলছে মুড়িঘন্ট করে দিতে আর বোয়ালের ঝাল । পাঁচশো চুনো মাছ এনেছে । কে কাটবে বল , (কান্না) আমার হাঁটু ব্যথা । বলছে চুনো মাছের চচ্চড়ি করতে । আমি আর ওর সাথে থাকবো না । আমাকে আলাদা করে দে ।
কন্যা : এসব রেঁধেছো নাকি ? কালকেও তো মেট্রোজিল খেয়েছে ।
মা : মুখ ফুটে চাইলো মানুষটা আর রাঁধবো না ? জানিস রাতে আমাকে ঘুমাতে দেয় না , সারারাত অত্যাচার করে ।
কন্যা : সে কি ? কি বলছো মা ?
মা : ঠিকই বলছি ( কান্না ) সারারাত টিভি চালিয়ে হিস্ট্রি চ্যানেলে এলিয়েন দেখে । তারপর পাঁচশো কেজির মানুষ কি করে অপারেশন করে রোগা হচ্ছে তা দেখে । গাঁক গাঁক করে টিভি চলে । আমার ঘুম আসেনা । অত্যাচার নয় ? অথচ আমাকে দিদি নম্বর ওয়ান দেখতে দেয় না , তখন নিউজ শোনে ।
কন্যা : তো তুমি অন্য ঘরে শোও না কেন ?
মা : তোর বাবা ভুতের ভয় পায় , আমাকে ছাড়া শুতে পারে না । তুই এসে এর একটা বিহিত করে যা । ( ব্যাকগ্রাউন্ডে মানিকবাবুর আবৃত্তি শোনা যায় , " মানিক ব্যানার্জ্জীরে হে মুটকি জননী / রেখেছো ক্রীতদাস করে , স্বামী তো ভাবোনি ।" ) ওই দেখ , সারাদিন ছড়া কাটছে নয় গান করছে । লোকে পাগল বলে ।
কন্যা : আচ্ছা আমি কাল কলেজফেরত যাবো । একটু মুড়িঘন্ট রেখো ।
মা : একপাতা সেফটিপিন আর শায়ার দড়ি আনবি । আর ন্যাপথলিন ।
কন্যা : আনবো মা ।
মা : এবার রাখি , তোর বাবা কড়াইশুটির কচুরি করতে বলছে । রাখছি ।
©স্বাতীব্যানার্জ্জী