24-12-2021, 03:40 PM
(This post was last modified: 24-12-2021, 03:58 PM by Bumba_1. Edited 4 times in total. Edited 4 times in total.)
সান্টাক্লসের উপহার
লেখা এবং প্রচ্ছদ :- বুম্বা
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে বড়দিন এখন সকলের উৎসব। আনন্দের উৎসব .. কেক খাওয়া, বেড়াতে যাওয়া - এগুলো তো আছেই, বাচ্চাদের কাছে সবথেকে মজা আগের দিন রাত্রে 'সান্টাক্লসের' উপহার পাওয়া।
অপুর কাছে এটা দারুন আনন্দের দিন। ও জানে বড়দিনের আগের দিন ২৪শে ডিসেম্বর রাত বারোটার পর সান্টাক্লস প্রত্যেকের বাড়িতে যায় আর ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য উপহার নিয়ে আসে। কখনো ঝোলানো মোজায় ভরে দেয় চকলেট, আবার কখনো বালিশের নিচে রেখে দেয় লজেন্স, ছবির বই।
অপু জানে সান্টাক্লস ওদের বাড়িতেও আসবে। ঝোলানো মোজায় চকলেট রাখবে, বালিশের নিচে ছবির বই, ছড়ার বই, গল্পের বই রাখবে, লজেন্স রাখবে। ঘুম থেকে উঠেই বালিশ উল্টে ও সব দেখতে পাবে। বিকেলে খেলার মাঠে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে এগুলো ভাগ করে খাবে .. বইয়ের ছবি দেখাবে।
ছোটবেলায় ঘুম থেকে উঠলেই মা বলতেন "অপু .. দ্যাখ তো তোর বালিশটা উল্টে।"
ওপু বালিশ উল্টে দেখেই অবাক হয়ে যেত .. এখন আর বলতে হয় না। এখন সে মাস গুনে, দিন গুনে বুঝে নেয় ২৪শে ডিসেম্বর কবে। আগের দিন বিকেলে বন্ধুদের বলে রাখে "আজ রাতে সান্টাক্লস আসবে .. লাল রঙের ডিলেডালা জোব্বা পড়ে, তার জামার অনেক পকেট .. সব পকেট ভর্তি উপহার। তার মাথায় ঢলঢলে লাল পশমের টুপি .. তাতেও থাকে লজেন্স, চকলেট। সে আসে মাঝরাতে .. আমি কতো রাত অব্দি জেগে থাকি .. কিন্তু কোনোদিন তাকে দেখতে পাইনি .. তবে সকালে উঠেই দেখি কখন যেন দিয়ে গেছে উপহার আমার বালিশের নিচে।"
বন্ধুরা চোখ বড় বড় করে শোনে তার গল্প। ভাবে - ইশশ, আমাদের বাড়িতেও যদি সান্টাক্লস আসতো তাহলে কেমন মজাই না হতো।
বিনু একদিন বাড়ি গিয়ে তার মা-বাবাকে অপুর গল্পটা করলো। বললো "বাবা, যাও না কাকুকে জিজ্ঞেস করে এসো না .. কি করলে সান্টাক্লস আমাদের বাড়িতেও আসবে .. আমি মোজা ঝুলিয়ে রাখবো .. সান্টাক্লস এসে চকলেট রাখবে .. বালিশের নিচে লজেন্স, ছবির বই রেখে দেবে। একবারটি জিজ্ঞেস করে এসো না বাবা.."
বিনুর পেড়াপীড়িতে ওর বাবা গেলেন অপুর বাবার কাছে। সব শুনে অপুর বাবা বলেন "ওহ্ , এই কথা, শোনো তাহলে ...." এই বলে অপুর বাবা ফিসফিস করে হাত নেড়ে কি যেন সব বুঝিয়ে দিতে লাগলেন বিনুর বাবাকে।
বিনুর বাবা মাঝপথে তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন "উঁহু .. এটা তুমি ঠিক করছো না, তোমার ছেলেকে ঠকাচ্ছো, মিথ্যে বোঝাচ্ছো .. আসলটা ও জানতে পারছে না। তাছাড়া লজেন্স, চকলেট - এগুলো দাঁতের ক্ষতি করে বইতো নয়। দেখবে বড় হলে তোমার ছেলের দাঁতও যাবে আর কেমন বোকা বোকা বুদ্ধি হবে।"
অপুর বাবা একটু চিন্তা করে বললেন "হয়তো তুমি ঠিকই বলছো .. এরকমভাবে তো আমি ভাবি নি। তবে সান্টাক্লসের গল্প তো মিথ্যে নয় .. পৃথিবীর সব মানুষই প্রায় এই গল্প জানে। সান্টাক্লস বাচ্চাদের অত্যন্ত প্রিয় আর বাচ্চাদের একটা সরল বিশ্বাসের জায়গাও সে অধিকার করে আছে। আমি অপুর মনে কেবলমাত্র সরল বিশ্বাস জন্মানোর জন্যই এই রকম গল্প তৈরি করে রেখেছি। শিশুর প্রথম বিশ্বাসই তো সরলতার মধ্যে দিয়ে আসা উচিত .. আমার অন্তত তাই মনে হয়।
বিনুর বাবা গম্ভীর হয়ে চলে গেলেন। মুখে যাই বলুন ব্যাপারটা কিন্তু তার ভালই লেগেছে। তিনি ভাবলেন সকালবেলা উঠে তার ছেলে যদি বালিশের নিচ থেকে হঠাৎ একটা প্রিয় জিনিস উপহার পায় তাহলে ওর যে কত আনন্দ হবে - সেই মুখটার কথা চিন্তা করেই তিনি একটা উপহার কিনে আনলেন। চুপি চুপি বিনুর মা'কে সব কথা জানিয়ে দিয়ে বললেন "খবরদার, ছেলে যেন জানতে না পারে .. ওর বালিশের নিচে রেখে দেবে, সকালে উঠে বলবে সান্তাক্লস রেখে গেছে। হুঁ হুঁ বাওয়া .. এসব লজেন্স ফজেন্সের ব্যাপার নয় .. এ অন্য জিনিস। ছেলেদের সাহসী করতে হবে, যুগটার কথাও তো ভাবতে হবে।"
পরেরদিন বিনু ঘুম থেকে ওঠে আর না। মায়েরও যেন ধৈর্য আর থাকছে না, গায়ে ঠ্যালা দিয়ে বললেন "ও বিনু, ওঠ না .. কত বেলা হলো.."
বিনু শীতে গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকে। মা আবার ডাকেন "বিনু, ও বিনু .. উঠবি না? দ্যাখ, তোর জন্য বালিশের নিচে সান্টাক্লস কি উপহার রেখে গেছে।"
কথাটা শোনামাত্র বিনু শীতঘুম কাটিয়ে এক লহমায় বিছানায় উঠে বসে আর সঙ্গে সঙ্গে বালিশটা উল্টে দ্যাখে "আঃ কি সুন্দর বন্দুক .. মা, এটা সান্টাক্লস উপহার দিয়েছে? তার মানে সান্টাক্লস আমাদের ঘরে রাত্রে এসেছিল .." চোখ মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে বিনুর। বন্দুকটা তুলে নিয়ে বুকের কাছে জাপ্টে ধরে। তারপর লক্ষ্য করে বালিশের পাশে আর একটা উপহার রাখা আছে তার জন্য .. এক প্যাকেট ভর্তি ছোট ছোট মটর দানার মতো গুলি।
মা বলেন "উপহার তো পেয়েছো .. যাও এবার মুখ চোখ ধোও, দাঁত মাজো।"
কে শোনে কার কথা .. বিনু ততক্ষণে ফরফর করে গুলির প্যাকেট ছিঁড়ে ফেলেছে। বন্দুকটা ধরে এপাশ-ওপাশ করতেই বুঝে নেয় কোনখানটায় গুলিটা ভরতে হবে .. মুহুর্তের মধ্যে ভরেও নেয় একটা গুলি। তারপর বন্দুকটা নিয়ে কিসে মারবে ভাবতে ভাবতে হঠাৎই ট্রিগারে চাপ পড়ে গুলিটা সোজা বেরিয়ে গিয়ে খটাস করে গিয়ে লাগলো ডাইনিং টেবিলের উপর রাখা স্টিলের জগে।
শব্দ শুনে রান্নাঘর থেকে মা বললেন "কি রে, বিনু .. কিসের শব্দ হলো?"
বিনু বলে "কিছু না .. মা।"
মা বলেন "শিগগির আয় .. মুখ ধুয়ে দুধ খেয়ে নে।"
কোনরকমে দাঁত মেজে মুখ ধুয়েই ঢকঢক করে খেয়ে নিলো এক গ্লাস দুধ .. তারপর বিস্কুটগুগো মুখে গুঁজে দিয়ে কুরমুর করে চিবোতে চিবোতে দে-ছুট' সোজা বাগানে।
বিনুর হাতে বন্দুক আর গুলির প্যাকেট .. বন্দুকে গুলি ভরছে আর ছুঁড়ছে। পাখি, ফুল, প্রজাপতি সবকিছুকে তাক করছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছে .. গুলিগুলো খুঁজে খুঁজে কুড়িয়ে নিচ্ছে .. আবার কোনো কোনোটা হারিয়েও যাচ্ছে .. মাঝে মাঝে এলোপাথাড়িও গুলি ছুঁড়ছে। বাগানের কোণে সদ্য সদ্য জন্মানো চারটে বাচ্চা নিয়ে গুটিসুটি মেরে শুয়েছিল লালি .. ওদের পোষা কুকুর। হঠাৎ লালি "ক্যাঁও ক্যাঁও" করে আর্তনাদ করে উঠলো। বাচ্চাগুলোর চোখ ফোটে নি, মায়ের আর্তনাদ শুনে আর পালিয়ে যাওয়া বুঝতে পেরে "কুঁই কুঁই" করতে করতে এ ওর ঘাড়ে পড়তে লাগলো।
বিনুর খুব মজা লাগছিলো .. একবার বন্দুকটা তাক করতে ইচ্ছে করলো বাচ্চাগুলোর দিকে। ঠিক সেই সময় মা চিৎকার করে ডাকলেন "কি হলো রে বিনু .. কুকুরটাকে মারলি?"
বিনুর উত্তর "না মা মারিনি .. এমনি ডাকছে লালি।"
মা বলেন "ভেতরে আয় .. পড়তে বোস . বাবা বাজার থেকে এক্ষুণি এসে পড়বে।"
বিনু ঘরে ঢুকে পড়ার টেবিলে বসে। কিন্তু পড়ায় মন একটুও নেই .. বই সামনে খুলে রেখে আবার বন্দুকে গুলি ভরে নেয় একটা। জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে লাল্টুদের প্রাচীরে বসে আছে হুলো বিড়ালটা। মাথায় চাপলো দুষ্টুমি বুদ্ধি .. বিড়ালটার দিকে তাক করে ছুঁড়লো গুলি। গুলিটা সত্যি সত্যি লাগলে বিড়ালটার পেট ফুটো হয়ে যেতো। কিন্তু গুলিটা লাগলো জানালার গ্রিলে আর সঙ্গে সঙ্গে বুমেরাং হয়ে দ্বিগুন বেগে ফিরে এসে লাগলো কাঠের আলমারির উপরে রাখা অ্যালার্ম ঘড়িটার কাঁচে। 'টুস' করে শব্দ হয়ে চির খেয়ে গেলো ঘড়ির কাঁচ। ভয় ধরে গেল বিনুর .. মা জানতে পারলে রক্ষা নেই .. দীপুমাসির দেওয়া ঘড়ি। মা হাত মুছতে মুছতে ঘরে ঢুকলে। বিনু তাড়াতাড়ি বইয়ের পাতা উল্টে বসে পড়ার ভান করতে লাগলো।
মা বললেন "দেখি .. কি বই বের করেছিস .. তখন থেকে বসে আছিস, না? নিজে থেকে কিচ্ছু করতে পারিস না?"
বিনু ভয় পেয়েছিল, মা বুঝি সব জানতে পেরে গেলো। আজকে ছুটির দিন, সকালে প্রচুর কাজ। মায়ের ওসব দেখার অবসর নেই। তাড়াতাড়ি বই খাতা বের করে দিয়ে বললেন "দু'পাতা কারসিভ রাইটিং লেখ, আমি আসছি .."
ঘড়িটার কাঁচ ফেটে গেছে দেখে বিনুর খুব দুঃখ হলো। হাতটায় যদি একটু প্র্যাকটিস থাকতো, তাহলে বিড়ালটার গায়ে ঠিকই লাগতো আর ঘড়িটাও ভাঙতো না। বিনু উঠে পড়ে সোফার বালিশগুলো ডিভানের উপর রেখে একের পর এক গুলি ছুঁড়ে 'টিপ' প্র্যাকটিস করতে থাকে। ভারি মজা লাগছে তার .. মনে মনে সান্টাক্লসকে থ্যাঙ্কস্ জানাচ্ছে বারবার।
মা রান্নাঘর থেকে বলেন "কি রে বিনু লিখছিস তো?"
বিনু তাড়াতাড়ি টেবিলে বসে পড়ে - "হ্যাঁ মা .. লিখছি।"
"আচ্ছা লেখ .. আমি বাথরুমে যাচ্ছি" মা বললেন।
এর জন্যই বিনু অপেক্ষা করছিল। সবিতামাসি রান্নাঘরে বাসন মাজছে .. বাইরে ময়লা ফেলতে গেলো .. ফিরে এসে দরজাটা ভেজিয়ে দিলো। এবার ঘর ঝাঁট দিতে এলো .. এখনতো বিনু'কে বাইরে যেতেই হবে, কেননা চেয়ার তুলে দেবে ডিভানে।
ঘর থেকে বেরিয়েই বিনু দেখে ভেজানো দরজাটার পিছনে একটা বড়সড় টিকটিকি লেপ্টে আছে .. দেখেই তার মনটা নেচে উঠলো। সঙ্গে সঙ্গে বন্দুকটা হাতে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে টিপ করে দিলো ট্রিগার টিপে। ঠিক সেই মুহূর্তেই দরজা ঠেলে ঢুকলো তার বাবা।
"উঃ মা গো .."বলে একটা আর্তনাদ করে কেমন যেন কুঁজো হয়ে গেলো ওর বাবা। দু'হাতে দুই থলি .. বড়দিনের অনেক বাজার। ওখানেই থলি নামিয়ে বসে পড়লেন। চশমার কাঁচ ঝনঝন করে ভেঙে মাটিতে পড়লো। বিনু ততক্ষণে প্রমাদ গুনে পড়ার টেবিলে গিয়ে চুপ করে বসেছে।
বিনুর মা বাথরুম থেকে আর্তনাদ শুনতে পেয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এলেন। "কি হলো .. কি হলো" বলে তাড়াতাড়ি এসে দেখেন বিনুর বাবা বেসিনের কাছে এসে চোখে জলের ঝাপটা দিচ্ছেন।
মা অসহিষ্ণু হয়ে বলেন "চোখে হলোটা কি .. অমন করছো কেনো? তারপর মাটি থেকে চশমাটা কুড়িয়ে নিয়ে বললেন "চশমা ভাঙলো কি করে? সবিতা, তুই কি কিছু জানিস?"
সবিতামাসি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ফুলঝাড়ু হাতে দাঁড়িয়েই আছে মূর্তির মতো .. বললো "না দিদি আমি কিছু দেখিনি।"
কয়েক মুহুর্ত কেটে গেলো। এবার বিনুর বাবার চোখ ধোওয়া বন্ধ হলো। চিৎকার করে বললেন "কোথায় গেলো রাস্কেলটা .. হতভাগা দাঁড়া .. বলে যেই না বিনুর দিকে এগিয়ে গেলেন। ওমনি বিনু "ও মা গো" বলে এসে মা'কে জড়িয়ে ধরলো।
মা শশব্যস্ত হয়ে বলে উঠলেন "কি হয়েছে .. কি করেছে বিনু?"
"করেছে আমার মাথা আর মুন্ডু .. চশমাটা দেখতে পাচ্ছো না! অল্পের জন্য চোখটা বেঁচে গেলো আমার.." বলে বিনুর দিকে চড় বাগিয়ে এগিয়ে গেলেন। বিনু তখন মায়ের কাছ থেকে পালিয়ে সবিতামাসির পেছনে গিয়ে লুকালো।
বাবা বললেন "এদিকে আয় বিনু .. না এলে আজকে তোকে মেরেই ফেলবো .."
"একদম মারবে না .. তুমিই তো ওকে বন্দুক কিনে দিয়েছো .. ও তো চায়নি।" বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে মা বলেন।
"এই হতভাগা .. বন্দুকটা কি তোকে আমাকে মারবার জন্য দেওয়া হয়েছে?" বেদম রেগে গিয়ে বাবা বললেন।
বিনু কাঁদো কাঁদো গলায় বলে "আমি তো টিকটিকিটা কে মারতে যাচ্ছিলাম .. তুমিই তো এসে গেলে.."
"ও .. টিকটিকি মারছিলে? নচ্ছার ছেলে .. নিরীহ একটা প্রাণীকে হত্যা করা .. এইজন্য তোকে বন্দুকটা দিয়েছি!"
বিনু বলে "তুমি তো দাওনি .. দিয়েছে তো সান্টাক্লস .. বালিশের তলা থেকে পেলাম তো সকালে .. কাল রাত্রে দিয়ে গেছে।"
বাবা বললো "ঘোড়ার ডিম দিয়েছে .. বোকা ছেলে। ওটা আমি দিয়েছি .."
এবার বিনু সত্যি সত্যিই কেঁদে ফেললো। বন্দুকটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলো ঘরের এক কোণে। তারপর মায়ের কাছে গিয়ে "তবে কেনো আমাকে বললে সান্টাক্লস দিয়েছে .. কেনো মিথ্যা কথা বললে .. আমি কিচ্ছু নেবো না .. কেনো কাকুর কাছে গিয়ে বললে না - সান্টাক্লসকে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে .. আমাকে লজেন্স দিতে, ছড়ার বই দিতে, চকলেট দিতে .. কেনো বাবা বন্দুক দিলো .. কেনো .. কেনো .. কেনো?" এই বলে বিনু সোফায় বসে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদতে লাগলো।