22-12-2021, 12:31 PM
খুকী উঠানেই দাঁড়িয়েছিলো। বললো, খোকা ভাই, সারাদিন কই কই থাকো?
না, না, খুকীর সাথে বাড়তি কথা বলা যাবে না। উর্মির মা জানতে পারলে, আবারো কথা শুনিয়ে দেবে। কি অসাধারন মহিলা। একটুও রাগ করে না। হাসি মুখে কঠিন কঠিন কথা বলে। মনে তো হয় আমাকে চোখে চোখেই রাখে, মেয়ের জামাই বানানোর জন্যে। আমি বললাম, কোথায় থাকি তোমাকে বলতে হবে নাকি? ছেলে মানুষ, সারাদিন ঘরে বসে থাকবো নাকি?
খুকী গম্ভীর হয়েই বললো, না মানে, ছোট আপু খোঁজেছিলো। অডিশন না কি বললো, নিয়ে যাবার জন্যেই তোমাকে খোঁজেছিলো।
আমি বললাম, তাই নাকি?
খুকী ঠেস দিয়েই বললো, তো কি ভেবেছো, আমি তোমাকে খোঁজেছি?
আমি বললাম, ছোট আপু কি খুব রাগ করেছিলো?
খুকী বললো, না, রাগ করেনি। একটু দূর এর জায়গা। একা একা যেতে সাহস করছিলো না। বললো, ফিরার পথে হলেও তাকে নিয়ে আসতে। ঠিকানা দিয়ে গেছে।
আমি বললাম, কই দাও।
খুকী বললো, দেবো। আগে খাওয়া দাওয়া করে নাও। খাবার রেডীই আছে। অডিশন শেষ হবে বিকাল তিনটায়। বললো, ঘন্টা খানেকের পথ। দুটুয় রওনা হলেই চলবে।
স্টুডিও সুরাঙ্গন, আমি তার সামনে দাঁড়িয়েই মৌসুমীর জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। ঠিক তিনটাতেই মৌসুমী বেড় হলো। আমাকে দেখে আবাক হয়ে বললো, খোকা তুমি?
আমি বললাম, তুমিই তো বলেছো, তোমাকে নিয়ে যেতে।
মৌসুমী ততোধিক অবাক হয়ে বললো, কই, কখন, কাকে বলেছি?
আমি বললাম, খুকীই তো বললো। এই তো আমাকে ঠিকানা দিলো। বললো, এখানে আসার সময়ও নাকি আমাকে খোঁজেছিলে।
মৌসুমী আমার হাতের কাগজটা চেয়ে বললো, কই দেখি?
মৌসুমী কাগজটা হাতে নিয়ে বললো, এটা তো আমার হাতের লেখা নয়। দেখেতো মনে হচ্ছে খুকীর হাতের লেখা। নিশ্চয়ই খুকী তোমাকে বোকা বানাতে চেয়েছে। ঠিক আছে, এসেছো ভালো করেছো। এত ব্যস্ততার মাঝে তোমাকে নিয়ে অনেকদিন বেড়ানো হয়না। চলো, ওই পার্কটাতে গিয়ে একটু বসি।
ব্যস্ত থাকলে বুঝি মানুষ এমনই হয়। মৌসুমীও অনেক বদলে গেছে।
না, না, খুকীর সাথে বাড়তি কথা বলা যাবে না। উর্মির মা জানতে পারলে, আবারো কথা শুনিয়ে দেবে। কি অসাধারন মহিলা। একটুও রাগ করে না। হাসি মুখে কঠিন কঠিন কথা বলে। মনে তো হয় আমাকে চোখে চোখেই রাখে, মেয়ের জামাই বানানোর জন্যে। আমি বললাম, কোথায় থাকি তোমাকে বলতে হবে নাকি? ছেলে মানুষ, সারাদিন ঘরে বসে থাকবো নাকি?
খুকী গম্ভীর হয়েই বললো, না মানে, ছোট আপু খোঁজেছিলো। অডিশন না কি বললো, নিয়ে যাবার জন্যেই তোমাকে খোঁজেছিলো।
আমি বললাম, তাই নাকি?
খুকী ঠেস দিয়েই বললো, তো কি ভেবেছো, আমি তোমাকে খোঁজেছি?
আমি বললাম, ছোট আপু কি খুব রাগ করেছিলো?
খুকী বললো, না, রাগ করেনি। একটু দূর এর জায়গা। একা একা যেতে সাহস করছিলো না। বললো, ফিরার পথে হলেও তাকে নিয়ে আসতে। ঠিকানা দিয়ে গেছে।
আমি বললাম, কই দাও।
খুকী বললো, দেবো। আগে খাওয়া দাওয়া করে নাও। খাবার রেডীই আছে। অডিশন শেষ হবে বিকাল তিনটায়। বললো, ঘন্টা খানেকের পথ। দুটুয় রওনা হলেই চলবে।
স্টুডিও সুরাঙ্গন, আমি তার সামনে দাঁড়িয়েই মৌসুমীর জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। ঠিক তিনটাতেই মৌসুমী বেড় হলো। আমাকে দেখে আবাক হয়ে বললো, খোকা তুমি?
আমি বললাম, তুমিই তো বলেছো, তোমাকে নিয়ে যেতে।
মৌসুমী ততোধিক অবাক হয়ে বললো, কই, কখন, কাকে বলেছি?
আমি বললাম, খুকীই তো বললো। এই তো আমাকে ঠিকানা দিলো। বললো, এখানে আসার সময়ও নাকি আমাকে খোঁজেছিলে।
মৌসুমী আমার হাতের কাগজটা চেয়ে বললো, কই দেখি?
মৌসুমী কাগজটা হাতে নিয়ে বললো, এটা তো আমার হাতের লেখা নয়। দেখেতো মনে হচ্ছে খুকীর হাতের লেখা। নিশ্চয়ই খুকী তোমাকে বোকা বানাতে চেয়েছে। ঠিক আছে, এসেছো ভালো করেছো। এত ব্যস্ততার মাঝে তোমাকে নিয়ে অনেকদিন বেড়ানো হয়না। চলো, ওই পার্কটাতে গিয়ে একটু বসি।
ব্যস্ত থাকলে বুঝি মানুষ এমনই হয়। মৌসুমীও অনেক বদলে গেছে।