21-12-2021, 09:33 AM
উর্মির মা বললো, ও, ক্ষেপানোর জন্যে বুঝি সাগর পারে নির্জনেও নিয়ে যায় তোমাকে?
আমার বুকটা হঠাৎই দোলে উঠলো। উর্মির মা তো মুনার কথা বলছে না। বলছে রেখা দিদির কথা। তাই তো, আমার বয়সী একটি মেয়ে ফার্মের মুরগীর মতো ফুলে গেলেও তো রেখা দিদির মতো লাগার কথা না। উর্মির মায়ের কথা শুনে আমি আমতা আমতা করতে থাকলাম। বললাম, না মানে, রেখা দিদি কখনো কাছ থেকে সাগর দেখে নি। তাই দেখতে চেয়েছিলো।
উর্মির মা চোখ কপালে তুলে বললো, মুনা থেকে রেখা দিদি হয়ে গেলো?
আমি হঠাৎই ভাষা হারিয়ে ফেললাম। চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম শুধু। উর্মির মা বললো, শোন ছেলে, এতদিন আমি তোমাকে কিছুই বলিনি। বলিনি নিজ স্বার্থে। উর্মি ফিরে আসছে আর কদিন পরই। তাই না বলেও পারছি না।
উর্মির মা কি বলতে চাইছে, কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারলাম। আমার বুকটা ধক ধক করতে থাকলো। মাথা নীচু করে রইলাম আমি। অথচ, উর্মির মা হাসতে থাকলো। বললো, চলো, ওই দিকটায় চলো।
উর্মির মায়ের ভাব সাব আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।
উর্মির মা হাঁটতে হাঁটতেই বললো, খুব সহজে আমি মানুষকে দোষ দিইনা। তোমাদের মতো এমন একটা বয়স আমারও ছিলো। তেমনি বয়সে আমিও ভুল করেছিলাম। মা য়দি ভুল করে, মেয়ে তো ভুল করবেই। শুধু শুধু অন্যকে দোষ দিই কি করে?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। উর্মির মা আবারও বলতে থাকলো। আমাদের সময়ে চিকিৎসা, হাসপাতাল এসব খুব কমই ছিলো। তাই রাতারাতি বিয়ে করে ফেলেছিলাম। খুব অল্প বয়সে বিয়ে করার মাঝে কোন আনন্দ নেই। জীবনের অনেক আনন্দ ফূর্তি থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। তাই উর্মি নিজে মা হতে চাইলেও, উর্মির এই উঠতি বয়সের আনন্দের দিনগুলো থেকে বঞ্চিত হতে দিইনি। এমন কি তোমার সাথে যেনো পুনরায় দেখা না হয়, সেই ব্যাবস্থাই করেছিলাম। মামার বাড়ীর কাছাকাছি কলেজেই ভর্তি করেছিলাম। অথচ, আবারো ফেল করলো। ছেলে মেয়েরা মা বাবার কাছে না থাকলে কি পড়ালেখা হয়? তাই আবারো নিয়ে আসছি।
আমি বললাম, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন খালা। আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছিলো।
উর্মির মা বললো, ক্ষমা আমি করেই দিয়েছিলাম। কারন বলেছিই তো, এমন একটা বয়সে আমিও ভুল করেছিলাম। কিন্তু তোমাকে যকন দেখলাম, একটা ধীঙ্গী মেয়েকে নিয়ে সাগর পারের দিকে যাচ্ছো, তখন উর্মির মা হিসেবে চুপচাপ থাকি কি করে?
আমি বললাম, রেখা দিদি, আমাদের ক্লাশের শিশির এর বড় বোন। পড়ালেখা এক প্রকার শেষ। বাড়ীতে একা একা থাকে। আমাকে খুবই স্নেহ করে।
উর্মির মা বললো, তাহলেই ভালো। একটা কথা বলি, উর্মি কিন্তু তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। আর যাই করো, আমার মেয়েকে তুমি কষ্ট দিতে পারবে না। সময় হলেই তোমাদের বিয়ে দেবো।
উর্মির মা আমাকে এক কঠিন মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাইছে। তা তো করবেই, সর্বোপরি একজন মা। আমার মাথাটা ঝিম ঝিম করতে থাকলো। বাড়ীতে ফিরে এলাম, দুপুরের অনেক পর।
আমার বুকটা হঠাৎই দোলে উঠলো। উর্মির মা তো মুনার কথা বলছে না। বলছে রেখা দিদির কথা। তাই তো, আমার বয়সী একটি মেয়ে ফার্মের মুরগীর মতো ফুলে গেলেও তো রেখা দিদির মতো লাগার কথা না। উর্মির মায়ের কথা শুনে আমি আমতা আমতা করতে থাকলাম। বললাম, না মানে, রেখা দিদি কখনো কাছ থেকে সাগর দেখে নি। তাই দেখতে চেয়েছিলো।
উর্মির মা চোখ কপালে তুলে বললো, মুনা থেকে রেখা দিদি হয়ে গেলো?
আমি হঠাৎই ভাষা হারিয়ে ফেললাম। চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম শুধু। উর্মির মা বললো, শোন ছেলে, এতদিন আমি তোমাকে কিছুই বলিনি। বলিনি নিজ স্বার্থে। উর্মি ফিরে আসছে আর কদিন পরই। তাই না বলেও পারছি না।
উর্মির মা কি বলতে চাইছে, কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারলাম। আমার বুকটা ধক ধক করতে থাকলো। মাথা নীচু করে রইলাম আমি। অথচ, উর্মির মা হাসতে থাকলো। বললো, চলো, ওই দিকটায় চলো।
উর্মির মায়ের ভাব সাব আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না।
উর্মির মা হাঁটতে হাঁটতেই বললো, খুব সহজে আমি মানুষকে দোষ দিইনা। তোমাদের মতো এমন একটা বয়স আমারও ছিলো। তেমনি বয়সে আমিও ভুল করেছিলাম। মা য়দি ভুল করে, মেয়ে তো ভুল করবেই। শুধু শুধু অন্যকে দোষ দিই কি করে?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। উর্মির মা আবারও বলতে থাকলো। আমাদের সময়ে চিকিৎসা, হাসপাতাল এসব খুব কমই ছিলো। তাই রাতারাতি বিয়ে করে ফেলেছিলাম। খুব অল্প বয়সে বিয়ে করার মাঝে কোন আনন্দ নেই। জীবনের অনেক আনন্দ ফূর্তি থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। তাই উর্মি নিজে মা হতে চাইলেও, উর্মির এই উঠতি বয়সের আনন্দের দিনগুলো থেকে বঞ্চিত হতে দিইনি। এমন কি তোমার সাথে যেনো পুনরায় দেখা না হয়, সেই ব্যাবস্থাই করেছিলাম। মামার বাড়ীর কাছাকাছি কলেজেই ভর্তি করেছিলাম। অথচ, আবারো ফেল করলো। ছেলে মেয়েরা মা বাবার কাছে না থাকলে কি পড়ালেখা হয়? তাই আবারো নিয়ে আসছি।
আমি বললাম, আমাকে ক্ষমা করে দেবেন খালা। আমাদের ভুল হয়ে গিয়েছিলো।
উর্মির মা বললো, ক্ষমা আমি করেই দিয়েছিলাম। কারন বলেছিই তো, এমন একটা বয়সে আমিও ভুল করেছিলাম। কিন্তু তোমাকে যকন দেখলাম, একটা ধীঙ্গী মেয়েকে নিয়ে সাগর পারের দিকে যাচ্ছো, তখন উর্মির মা হিসেবে চুপচাপ থাকি কি করে?
আমি বললাম, রেখা দিদি, আমাদের ক্লাশের শিশির এর বড় বোন। পড়ালেখা এক প্রকার শেষ। বাড়ীতে একা একা থাকে। আমাকে খুবই স্নেহ করে।
উর্মির মা বললো, তাহলেই ভালো। একটা কথা বলি, উর্মি কিন্তু তোমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। আর যাই করো, আমার মেয়েকে তুমি কষ্ট দিতে পারবে না। সময় হলেই তোমাদের বিয়ে দেবো।
উর্মির মা আমাকে এক কঠিন মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাইছে। তা তো করবেই, সর্বোপরি একজন মা। আমার মাথাটা ঝিম ঝিম করতে থাকলো। বাড়ীতে ফিরে এলাম, দুপুরের অনেক পর।