04-05-2019, 12:51 PM
"রাজনীতির গোলকধাঁধায় বগলা"
রাত বারোটা। মফস্বলে রাত বারোটা মানে অনেক রাত। রাস্তা সুনসান। রাস্তার পাশে কোন বাতি নেই। পুরো ঘুটঘুটে অন্ধকার। আকাশে শুধু একটা ফ্যাকাশে অপূর্ণাঙ্গ চাঁদ, যার আলো দেবার দুর্বল প্রচেষ্টাও ব্যর্থ করে দিচ্ছে খণ্ড খণ্ড মেঘ। মোড়গুলোতে দলা পাকিয়ে জাঁকিয়ে বসে আছে অন্ধকারের দলা। সাইকেলের টুংটাং আওয়াজ ভেসে আসে। কেউ আসছে। আর এই সাইকেলটার অপেক্ষাতেই অন্ধকারের পেটে মোড়ের কিছু আগে ওৎ পেতে বসে আছে শিকারী। লোকটা জানে, আর মিনিট তিন-চারেকেই এসে যাবে সাইকেল আরোহী - তার টার্গেট। শরীর শক্ত হয় খুনের নেশায়। এবারে বের হবার প্রস্তুতি নেয় খুনী, কোমরে গোজা ধারাল নেপালী কুকরীটাতে একবার হাত বুলিয়ে নেয়। লুঙ্গী কাছা মেরে চাদর দিয়ে মাথা-মুখ আবারো ঢেকে নেয়, যদিও জানে, রাত বারোটায় এই সুনসান জায়গায় বোমা ফাটলেও কমপক্ষে দশমিনিটের আগে কেউ আসবে না, পুলিশ আসতে কমসে কম কয়েক ঘন্টা লাগবে।
সাইকেলটা এগিয়ে আসতে থাকে কাছে, টুংটাং শব্দের এগিয়ে আসা থেকে বোঝা যায়। টার্গেট সোজা সাইকেল চালিয়ে আসছে, আবছা আঁধারে দেখা যাচ্ছে - একদম ওর কোলের ভেতর এসে পড়বে একটু পরেই। কাছাকাছি হতেই লোকটা সাইকেলের পথ আটকে রাস্তার ওপরে এসে দাঁড়ায়। লোকটা অত্যন্ত ক্ষিপ্র আর চটপটে। এক ঝটকায় সাইকেল আরোহীকে সাইকেল থেকে নামিয়ে নেয়, সাইকেলটা রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। ক্ষিপ্রগতি লোকটার অনেক বিশেষত্বের একটা, এই প্রফেশনে আসলে অনেক কিছু আয়ত্ব করতে হয় প্রানের দায়ে। ছিটকে আসা রক্ত যাতে গায়ে না লাগে সেই কারণে লোকটা তরিত্গতিতে সাইকেল আরোহীর পেছনে চলে যায়। ক্ষিপ্রগতিতে লোকটা সাইকেল আরোহীর মাথার চুল মুঠো করে ধরে কুকরীটা গলায় ঠেকায়। গলায় খোঁচা লাগা জিনিষটা কি সেটা বোঝার আগেই ধারালো নেপালী কুকরীটা এক ঝটকায় সাইকেল আরোহীর গলার শ্বাসনালী কেটে দেয়। লাশটা পড়ার আগেই ধরে ফেলে খুনি, আস্তে করে শুইয়ে দেয় লাশটা নীচে পড়ে থাকা সাইকেলটার পাশে। অপারেশন শেষ, শুধু একবার চেক করে নেওয়া টার্গেট পুরোপুরি খতম হয়েছে কিনা, সেরকমই নির্দেশ আছে।
পেছনে সাইকেলটার পাশে পড়ে থাকে বছর তিরিশেক বয়সী এক যুবকের মৃতদেহ, শরীর রক্তে ভেসে গেলেও মুখটা আশ্চর্য্য ভাবে অক্ষত আছে, বড়বড় দুটো চোখ, পুরুষালী মোটা গোঁফ।
এরপর আর পেছনে তাকায়নি খুনি, সেরকমই "ইন্সট্রাকশন" ছিলো, সোজা হেঁটে বেরিয়ে যায়।
কে এই সাইকেল আরোহী? কেনইবা খুন হল? কে খুন করল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে বিগত এক মাসে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা বলির মধ্যে। আজকের এই মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাত যেখান থেকে শুরু চলুন সেখান থেকেই শুরু করা যাক।
রাত বারোটা। মফস্বলে রাত বারোটা মানে অনেক রাত। রাস্তা সুনসান। রাস্তার পাশে কোন বাতি নেই। পুরো ঘুটঘুটে অন্ধকার। আকাশে শুধু একটা ফ্যাকাশে অপূর্ণাঙ্গ চাঁদ, যার আলো দেবার দুর্বল প্রচেষ্টাও ব্যর্থ করে দিচ্ছে খণ্ড খণ্ড মেঘ। মোড়গুলোতে দলা পাকিয়ে জাঁকিয়ে বসে আছে অন্ধকারের দলা। সাইকেলের টুংটাং আওয়াজ ভেসে আসে। কেউ আসছে। আর এই সাইকেলটার অপেক্ষাতেই অন্ধকারের পেটে মোড়ের কিছু আগে ওৎ পেতে বসে আছে শিকারী। লোকটা জানে, আর মিনিট তিন-চারেকেই এসে যাবে সাইকেল আরোহী - তার টার্গেট। শরীর শক্ত হয় খুনের নেশায়। এবারে বের হবার প্রস্তুতি নেয় খুনী, কোমরে গোজা ধারাল নেপালী কুকরীটাতে একবার হাত বুলিয়ে নেয়। লুঙ্গী কাছা মেরে চাদর দিয়ে মাথা-মুখ আবারো ঢেকে নেয়, যদিও জানে, রাত বারোটায় এই সুনসান জায়গায় বোমা ফাটলেও কমপক্ষে দশমিনিটের আগে কেউ আসবে না, পুলিশ আসতে কমসে কম কয়েক ঘন্টা লাগবে।
সাইকেলটা এগিয়ে আসতে থাকে কাছে, টুংটাং শব্দের এগিয়ে আসা থেকে বোঝা যায়। টার্গেট সোজা সাইকেল চালিয়ে আসছে, আবছা আঁধারে দেখা যাচ্ছে - একদম ওর কোলের ভেতর এসে পড়বে একটু পরেই। কাছাকাছি হতেই লোকটা সাইকেলের পথ আটকে রাস্তার ওপরে এসে দাঁড়ায়। লোকটা অত্যন্ত ক্ষিপ্র আর চটপটে। এক ঝটকায় সাইকেল আরোহীকে সাইকেল থেকে নামিয়ে নেয়, সাইকেলটা রাস্তার পাশে পড়ে থাকে। ক্ষিপ্রগতি লোকটার অনেক বিশেষত্বের একটা, এই প্রফেশনে আসলে অনেক কিছু আয়ত্ব করতে হয় প্রানের দায়ে। ছিটকে আসা রক্ত যাতে গায়ে না লাগে সেই কারণে লোকটা তরিত্গতিতে সাইকেল আরোহীর পেছনে চলে যায়। ক্ষিপ্রগতিতে লোকটা সাইকেল আরোহীর মাথার চুল মুঠো করে ধরে কুকরীটা গলায় ঠেকায়। গলায় খোঁচা লাগা জিনিষটা কি সেটা বোঝার আগেই ধারালো নেপালী কুকরীটা এক ঝটকায় সাইকেল আরোহীর গলার শ্বাসনালী কেটে দেয়। লাশটা পড়ার আগেই ধরে ফেলে খুনি, আস্তে করে শুইয়ে দেয় লাশটা নীচে পড়ে থাকা সাইকেলটার পাশে। অপারেশন শেষ, শুধু একবার চেক করে নেওয়া টার্গেট পুরোপুরি খতম হয়েছে কিনা, সেরকমই নির্দেশ আছে।
পেছনে সাইকেলটার পাশে পড়ে থাকে বছর তিরিশেক বয়সী এক যুবকের মৃতদেহ, শরীর রক্তে ভেসে গেলেও মুখটা আশ্চর্য্য ভাবে অক্ষত আছে, বড়বড় দুটো চোখ, পুরুষালী মোটা গোঁফ।
এরপর আর পেছনে তাকায়নি খুনি, সেরকমই "ইন্সট্রাকশন" ছিলো, সোজা হেঁটে বেরিয়ে যায়।
কে এই সাইকেল আরোহী? কেনইবা খুন হল? কে খুন করল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে বিগত এক মাসে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা বলির মধ্যে। আজকের এই মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাত যেখান থেকে শুরু চলুন সেখান থেকেই শুরু করা যাক।