03-05-2019, 11:11 PM
আনাম মিষ্টি নিয়ে ঘরে ফিরল অফিস থেকে৷ খুশির খবরে মিষ্টি খাওয়াই যে রেওয়াজ। ফারহানা আনামের হাতে মিষ্টি দেখে অবাক হল৷ আনাম পরে সবকিছু খুলে বলল৷ ফারহানাকে না জানিয়েই সে ফারহানার জন্য একটা স্কলারশিপ এর আবেদন করেছিল৷ অনার্স এ মেয়েটার রেজাল্ট ভাল৷ কিন্তু তাও সে এখন পুরোদস্তুর গৃহিণী। আনামের কোনো বাঁধা ছিলনা, ফারহানারই চাকরি বাকরি ভালো লাগেনা৷ আর শিহাব হওয়ার পর ওকে নিয়েই ফারহানার ব্যস্ততা। আশ্চর্যজনকভাবে স্কলারশিপটা ফারহানা পেয়ে গেছে৷ ফারহানা এসবের কিছুই জানতনা৷ সে যেন আকাশ থেকে পড়ল৷
-এসবের মানে কি?
-স্কলারশিপ, দক্ষিণ কোরিয়ার একটা ভার্সিটিতে৷
-তুমি পাগল হয়েছ?এখন আবার পড়ব? তাও আবার দেশের বাইরে!
-সমস্যা কি তাতে?
-সংসার কে দেখবে, শিহাবকে কে দেখবে?
-আম্মা আছে, আমি আছি৷ এত চিন্তা করো কেন?
-হ্যাঁ, আমাকে পাগলে পেয়েছে যে আমি তিন বছরের বাচ্চা রেখে বিদেশ যাই পড়তে সবকিছু ফেলে।
-ধুর৷ এতকিছু বুঝিনা৷ সুযোগ বারবার আসেনা৷ এটা একটা প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ।
-তুমি যাও৷ আমি কোথাও যাচ্ছিনা, যত্তসব!
ফারহানা আর আনামের বিয়ের পাঁচ বছর চলছে৷ খুব সুখী তারা৷ আনাম ব্যাংকে চাকরি করে৷ শিহাব তাদের ছেলে, ৩ বছর বয়স৷ বাড়িতে আর আছেন আনামের মা৷ খুব ভাল মহিলা৷ একেবারে বৃদ্ধা নন, প্রৌঢ়া বলা চলে। ফারহানার সাথেও তার সম্পর্কটা চমৎকার! ঠিক যেন মা-মেয়ের মত৷ ফারহানা সাধারণ বাঙালি মেয়ে। দেখতে সুন্দর, শ্যামলা গায়ের রঙ আর মায়াবি চেহারা, ফিগার যথেষ্ট ভাল। সে খুব লাজুক৷ ঘরকন্যা করেই বাংলার আর পাঁচটা গৃহবধূর মত তার দিন কেটে যায়৷ তার একটা খুব ভাল স্বামী আছে, একজন মায়ের মত শাশুড়ি আছেন, ফুটফুটে একটা ছেলে আছে৷ একটা বাঙালি মেয়ের সুখী হতে আর কি লাগে? ফারহানা বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যায় এবং অনার্স শেষ করে৷ শান্তশিষ্ট এবং কাজে পটু মেয়েটা এ ঘরের লক্ষ্মী। সবকিছু সে নিজহাতে পরম মমতায় সামলায়৷ আনামের সবকিছুর দেখাশোনা, ছেলের দেখাশোনা, শাশুড়ির যত্ন। সে ধর্মে-কর্মেও পিছিয়ে নেই৷ যদিও নিয়মিত পড়া হয়না কিন্তু নামাজ পড়ে সে৷
আনামের মা খবরটা শুনে বেশ খুশি হলেন,কিন্তু আনাম ভেবেছিল আম্মা না আবার কিছু মনে করে। কিন্তু দেখা গেল তিনি বেশ আনন্দিত খবরটা শুনে।
কয়েকদিন পরের কথা৷ ফারহানার মা-বাবা এসেছেন৷ ফারহানার স্কলারশিপ পাওয়া ও পড়তে দেশের বাইরে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই তাদের আসা৷ তারাও যখন উৎসাহ দিলেন তখন ফারহানা আস্তে আস্তে নরম হল। কিন্তু তার কথা হল শিহাবকে ফেলে সে কোথাও যাবেনা৷ সবাই তখন তাকে বোঝাল ১ বছরের মাত্র ব্যাপার, দেখতে দেখতে চলে যাবে৷ আর শিহাবতো এখন একটু বড় হয়েছে৷ দাদী আছেন, বাবা আছে, নানা-নানী আছে। শিহাবের কোনো সমস্যা হবেনা। ফারহানার ঢাকা ভার্সিটিতে পড়া ছোট বোনও তাকে বেশ উৎসাহ দিল৷
অবশেষে ফারহানার যাওয়া ঠিক হল৷ আনাম আর ফারহানা মিলে কিছু কেনাকাটা করল৷ আনামের বেশ গর্ব হচ্ছিল৷ তার কলিগ এর বউ বড় অফিসার, তা নিয়ে সে লোকের কি অহংকার! এখন আনামও বলতে পারবে তার বউও কম মেধাবী নয়৷ বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়৷ স্কলারশিপ এর চুক্তি অনুযায়ী যাওয়ার বিমান ভাড়া নিজেদের বহন করতে হবে৷ আনাম সে টাকা দিচ্ছিল৷ কিন্তু আনামের মা জানতে পেরে নিজের জমানো টাকা থেকে বউমার বিমানভাড়া দিলেন৷ ফারহানার নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। যাওয়ার দিন ফারহানা খুব কাঁদল শিহাবের জন্য৷ বুকে পাথর বেঁধে পরদেশে পাড়ি জমাল বাঙালি বধূ।
-এসবের মানে কি?
-স্কলারশিপ, দক্ষিণ কোরিয়ার একটা ভার্সিটিতে৷
-তুমি পাগল হয়েছ?এখন আবার পড়ব? তাও আবার দেশের বাইরে!
-সমস্যা কি তাতে?
-সংসার কে দেখবে, শিহাবকে কে দেখবে?
-আম্মা আছে, আমি আছি৷ এত চিন্তা করো কেন?
-হ্যাঁ, আমাকে পাগলে পেয়েছে যে আমি তিন বছরের বাচ্চা রেখে বিদেশ যাই পড়তে সবকিছু ফেলে।
-ধুর৷ এতকিছু বুঝিনা৷ সুযোগ বারবার আসেনা৷ এটা একটা প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ।
-তুমি যাও৷ আমি কোথাও যাচ্ছিনা, যত্তসব!
ফারহানা আর আনামের বিয়ের পাঁচ বছর চলছে৷ খুব সুখী তারা৷ আনাম ব্যাংকে চাকরি করে৷ শিহাব তাদের ছেলে, ৩ বছর বয়স৷ বাড়িতে আর আছেন আনামের মা৷ খুব ভাল মহিলা৷ একেবারে বৃদ্ধা নন, প্রৌঢ়া বলা চলে। ফারহানার সাথেও তার সম্পর্কটা চমৎকার! ঠিক যেন মা-মেয়ের মত৷ ফারহানা সাধারণ বাঙালি মেয়ে। দেখতে সুন্দর, শ্যামলা গায়ের রঙ আর মায়াবি চেহারা, ফিগার যথেষ্ট ভাল। সে খুব লাজুক৷ ঘরকন্যা করেই বাংলার আর পাঁচটা গৃহবধূর মত তার দিন কেটে যায়৷ তার একটা খুব ভাল স্বামী আছে, একজন মায়ের মত শাশুড়ি আছেন, ফুটফুটে একটা ছেলে আছে৷ একটা বাঙালি মেয়ের সুখী হতে আর কি লাগে? ফারহানা বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যায় এবং অনার্স শেষ করে৷ শান্তশিষ্ট এবং কাজে পটু মেয়েটা এ ঘরের লক্ষ্মী। সবকিছু সে নিজহাতে পরম মমতায় সামলায়৷ আনামের সবকিছুর দেখাশোনা, ছেলের দেখাশোনা, শাশুড়ির যত্ন। সে ধর্মে-কর্মেও পিছিয়ে নেই৷ যদিও নিয়মিত পড়া হয়না কিন্তু নামাজ পড়ে সে৷
আনামের মা খবরটা শুনে বেশ খুশি হলেন,কিন্তু আনাম ভেবেছিল আম্মা না আবার কিছু মনে করে। কিন্তু দেখা গেল তিনি বেশ আনন্দিত খবরটা শুনে।
কয়েকদিন পরের কথা৷ ফারহানার মা-বাবা এসেছেন৷ ফারহানার স্কলারশিপ পাওয়া ও পড়তে দেশের বাইরে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই তাদের আসা৷ তারাও যখন উৎসাহ দিলেন তখন ফারহানা আস্তে আস্তে নরম হল। কিন্তু তার কথা হল শিহাবকে ফেলে সে কোথাও যাবেনা৷ সবাই তখন তাকে বোঝাল ১ বছরের মাত্র ব্যাপার, দেখতে দেখতে চলে যাবে৷ আর শিহাবতো এখন একটু বড় হয়েছে৷ দাদী আছেন, বাবা আছে, নানা-নানী আছে। শিহাবের কোনো সমস্যা হবেনা। ফারহানার ঢাকা ভার্সিটিতে পড়া ছোট বোনও তাকে বেশ উৎসাহ দিল৷
অবশেষে ফারহানার যাওয়া ঠিক হল৷ আনাম আর ফারহানা মিলে কিছু কেনাকাটা করল৷ আনামের বেশ গর্ব হচ্ছিল৷ তার কলিগ এর বউ বড় অফিসার, তা নিয়ে সে লোকের কি অহংকার! এখন আনামও বলতে পারবে তার বউও কম মেধাবী নয়৷ বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়৷ স্কলারশিপ এর চুক্তি অনুযায়ী যাওয়ার বিমান ভাড়া নিজেদের বহন করতে হবে৷ আনাম সে টাকা দিচ্ছিল৷ কিন্তু আনামের মা জানতে পেরে নিজের জমানো টাকা থেকে বউমার বিমানভাড়া দিলেন৷ ফারহানার নিজেকে সত্যিই ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। যাওয়ার দিন ফারহানা খুব কাঁদল শিহাবের জন্য৷ বুকে পাথর বেঁধে পরদেশে পাড়ি জমাল বাঙালি বধূ।