19-12-2021, 11:15 AM
পরদিনই কলেজে একটা অঘটন ঘটে গেলো। মুনা ক্লাশে ঢুকতে না ঢুকতেই, কিছু কিছু ছেলে নিজেকে আঁড়াল করেই ডাকতে থাকলো, রেফারীর মেয়ে!
আমি ওই কোনার পেছনের বেঞ্চেই বসি। মুনা তা জানে। মুনা আমার দিকেই তাঁকালো। মুনা আমার দিকে তাঁকালে কি হবে? আমার কি এত সাহস আছে নাকি যে, প্রতিবাদ করে সবার মুখ সামলাবো? আমি চোখ নামিয়ে রাখলাম।
মুনা সত্যিই অসাধারন একটা মেয়ে। সে কাউকে পাত্তা দিলো না। হাই বেঞ্চের উপর দু পা তুলে বসলো। তারপর অট্ট হাসিতে ফেটে পরলো। অট্টহাসিতেই বলতে থাকলো, হ্যা হ্যা, ডাকো! আমার শুনতে খুব ভালো লাগছে। আমি তোমাদের কলেজে নুতন। কিন্তু তোমাদের কাছে আমি নুতন না। তা জেনে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু, তোমাদের বন্ধুদের মাঝে যে পুরনো একটা বুদ্ধু আছে তা জানো?
মুহুর্তেই ক্লাশে পিন পতন স্তব্ধতা বিরাজ করলো। মুনা আমার দিকেই এগিয়ে এলো। ধমকেই বললো, সরো।
আমি বেঞ্চ থেকে বেড়িয়ে সরে দাঁড়ালাম। মুনা ফিশ ফিশ করেই বললো, প্রমিজ করেছিলাম নিজের সাথে, টিচার বললেও তোমার পাশে বসবো না। তারপরও বসছি। তোমাকে কিছু শিক্ষা দেবার জন্যে।
এত মিষ্টি চেহারার একটি মেয়ে মুনা। এমন কঠিন ভাষায় কথা বলে কেনো? আমার কি দোষ? আমি একা ক্লাশ শুদ্ধ ছেলেদের সাথে প্রতিবাদ করে পারতাম নাকি? আমি কিছুই বললাম না। মুনা বেঞ্চের ভেতর ঢুকতেই, আমি মাথা নীচু করেই বসলাম। মুনা বিড় বিড় করেই বললো, বুদ্ধু কোথাকার।
মুনা আমাকে এক প্রকার বোকা বানিয়ে ফেলেছিলো সেদিন। মুনার উপর রাগই হয়েছিলো খুব। ক্লাশেও মন বসলো না।
কলেজ ছুটির পরও কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করলো না। শিশির অনেক ডাকলো, পাত্তা দিলাম না। অনেকটা মন খারাপ করেই বাড়ী ফিরছিলাম। বাড়ীর কাছাকাছি ঠিক তিন রাস্তার মোড়ে আসতেই, ওপাশে চোখে পরলো উর্মির মাকে। কে বলবে তিন তিনটি ছেলে মেয়ের মা এই মহিলা।
উর্মি প্রায়ই বলতো, ওর মায়ের বয়স খুব বেশী হয়নি। ওর বাবা যখন কলেজে পড়ে, আর ওর মা যখন ক্লাশ এইটে পড়ে, তখন পালিয়ে বিয়ে করেছিলো। কারন, উর্মি তখন তার মায়ের পেটে ছিলো। বলেছিলো, অসম্ভব সুন্দরী, পরিচয় করিয়ে দেবে। অথচ, কখনোই পরিচয় করিয়ে দেয়নি।
উর্মি তার মামার বাড়ী চলে যাবার পরই বেশ কয়েকবার দেখেছিলাম তার মাকে। সত্যিই অসম্ভব সুন্দরী এক মহিলা। সুন্দরীর চাইতেও, চেহারায় এক ধরনের আভিজাত্য আছে। যার কারনে বয়স বুঝা যায়না। হঠাৎ দেখলে চব্বিশ পঁচিশ বছর বয়সের যুবতী বলেই মনে হয়।
সেদিনও আমাকে ইশারা করলো। আমি কাছে যেতেই বললো, কলেজ থেকে ফিরছো বুঝি? উর্মি থাকলে ও ও হয়তো এমন সময়েই ফিরে আসতো। মনটা মানে না। মা বাবাকে ছেড়ে ছেলে মেয়েরা দূরে থাকলে কত কষ্ট লাগে বলো তো? তা ছাড়া উর্মি আমার প্রথম তৃষ্ণার প্রথম মেয়ে।
আমি ওই কোনার পেছনের বেঞ্চেই বসি। মুনা তা জানে। মুনা আমার দিকেই তাঁকালো। মুনা আমার দিকে তাঁকালে কি হবে? আমার কি এত সাহস আছে নাকি যে, প্রতিবাদ করে সবার মুখ সামলাবো? আমি চোখ নামিয়ে রাখলাম।
মুনা সত্যিই অসাধারন একটা মেয়ে। সে কাউকে পাত্তা দিলো না। হাই বেঞ্চের উপর দু পা তুলে বসলো। তারপর অট্ট হাসিতে ফেটে পরলো। অট্টহাসিতেই বলতে থাকলো, হ্যা হ্যা, ডাকো! আমার শুনতে খুব ভালো লাগছে। আমি তোমাদের কলেজে নুতন। কিন্তু তোমাদের কাছে আমি নুতন না। তা জেনে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু, তোমাদের বন্ধুদের মাঝে যে পুরনো একটা বুদ্ধু আছে তা জানো?
মুহুর্তেই ক্লাশে পিন পতন স্তব্ধতা বিরাজ করলো। মুনা আমার দিকেই এগিয়ে এলো। ধমকেই বললো, সরো।
আমি বেঞ্চ থেকে বেড়িয়ে সরে দাঁড়ালাম। মুনা ফিশ ফিশ করেই বললো, প্রমিজ করেছিলাম নিজের সাথে, টিচার বললেও তোমার পাশে বসবো না। তারপরও বসছি। তোমাকে কিছু শিক্ষা দেবার জন্যে।
এত মিষ্টি চেহারার একটি মেয়ে মুনা। এমন কঠিন ভাষায় কথা বলে কেনো? আমার কি দোষ? আমি একা ক্লাশ শুদ্ধ ছেলেদের সাথে প্রতিবাদ করে পারতাম নাকি? আমি কিছুই বললাম না। মুনা বেঞ্চের ভেতর ঢুকতেই, আমি মাথা নীচু করেই বসলাম। মুনা বিড় বিড় করেই বললো, বুদ্ধু কোথাকার।
মুনা আমাকে এক প্রকার বোকা বানিয়ে ফেলেছিলো সেদিন। মুনার উপর রাগই হয়েছিলো খুব। ক্লাশেও মন বসলো না।
কলেজ ছুটির পরও কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করলো না। শিশির অনেক ডাকলো, পাত্তা দিলাম না। অনেকটা মন খারাপ করেই বাড়ী ফিরছিলাম। বাড়ীর কাছাকাছি ঠিক তিন রাস্তার মোড়ে আসতেই, ওপাশে চোখে পরলো উর্মির মাকে। কে বলবে তিন তিনটি ছেলে মেয়ের মা এই মহিলা।
উর্মি প্রায়ই বলতো, ওর মায়ের বয়স খুব বেশী হয়নি। ওর বাবা যখন কলেজে পড়ে, আর ওর মা যখন ক্লাশ এইটে পড়ে, তখন পালিয়ে বিয়ে করেছিলো। কারন, উর্মি তখন তার মায়ের পেটে ছিলো। বলেছিলো, অসম্ভব সুন্দরী, পরিচয় করিয়ে দেবে। অথচ, কখনোই পরিচয় করিয়ে দেয়নি।
উর্মি তার মামার বাড়ী চলে যাবার পরই বেশ কয়েকবার দেখেছিলাম তার মাকে। সত্যিই অসম্ভব সুন্দরী এক মহিলা। সুন্দরীর চাইতেও, চেহারায় এক ধরনের আভিজাত্য আছে। যার কারনে বয়স বুঝা যায়না। হঠাৎ দেখলে চব্বিশ পঁচিশ বছর বয়সের যুবতী বলেই মনে হয়।
সেদিনও আমাকে ইশারা করলো। আমি কাছে যেতেই বললো, কলেজ থেকে ফিরছো বুঝি? উর্মি থাকলে ও ও হয়তো এমন সময়েই ফিরে আসতো। মনটা মানে না। মা বাবাকে ছেড়ে ছেলে মেয়েরা দূরে থাকলে কত কষ্ট লাগে বলো তো? তা ছাড়া উর্মি আমার প্রথম তৃষ্ণার প্রথম মেয়ে।