18-12-2021, 03:27 PM
খুকী ফিরে এসে আমার মনে নুতন করেই উর্মির কথা স্মরন করিয়ে দিলো। মৌসুমী চলে গেছে স্টুডিওতে, গানের রেকর্ডিং এ। দুপুরে খবার দাবার এর পর, পড়ার টেবিলেই বসেছিলাম। আমার ছোট বোন ইলা কিছুক্ষণ বিছানায় গড়াগড়ি করে হঠাৎই ঘুমিয়ে পরেছে। আমি পড়ার টেবিলের পাশে বসে, জানালা দিয়ে দূরের পানেই তাঁকিয়ে রইলাম। হঠাৎই ঘুঘু পাখির ডাকটা আমার মন উদাস করে দিলো।
মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়, আমারও কোন মানসিক রোগ আছে। ঘুঘু পাখির ডাক শুনলে আমি ছটফট করতে থাকি। মনে হয় উর্মিই বোধ হয় করুন সুরে ডাকছে। আমি পাগলের মতো ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলাম। এক ছুটে সেই তিন রাস্তার মোড়ে। ডান দিকে ঘাড়টা ঘুরিয়ে উর্মিদের বাড়ীটার দিকেই চোখ রাখতে চাইলাম।
চোখে পরলো উর্মির মাকে। আধুনিকা পোশাক। হলদে স্কীন টাইট টপস, আর ছিটের লং স্কার্ট। কেনো যেনো কখনোই মহিলার দিকে ভালো করে চোখ তুলে তাঁকাইনি। সেদিনও চোখে পরতেই চোখ ফিরিয়ে নিতে চাইলাম। অথচ, মহিলা আমাকে ইশারা করলো। আমি সুবোধ ছেলের মতোই এগিয়ে গেলাম। উর্মির সাথে অদ্ভুত চেহারার মিল। সরু ঠোট, ঝক ঝকে সাদা দুধে দাঁত। বললো, কি নাম যেনো তোমার?
আমি বললাম, খোকা।
উর্মির মা বললো, ও খোকা? বাসায় আসো না কেনো? উর্মি নেই বলে? উর্মি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। আগামী মাসেই বোধ হয় আসতে পারবে। আবারো কলেজে একটা ক্লাশের গ্যাপ হয়ে যাবে। তাই মন খারাপ করেই চিঠি লিখেছে। তুমি কিন্তু ওকে শান্তনা দেবে।
উর্মির মায়ের কথা শুনে আমার মনটা খুব বিচলিত হয়ে উঠলো। খুকীও ফিরে এলো, উর্মিরও বুঝি ফিরে আসার সময় হলো। আবারোও তো দুজনে সাপে নেউলের মতোই লেগে থাকবে।
আমি বাড়ী ফিরে না গিয়ে উপজেলা মাঠের গার্ডেনের দিকেই এগুতে থাকলাম। খুবই সুন্দর উপজেলা গার্ডেনটা। সবুজ গাছের যেমনি ছড়াছড়ি, পুরু গার্ডেনটাতে সবুজ সুন্দর ঘাস চোখ জুড়িয়ে দেয়। চারি পাশে পাকা পীচ ঢালা সড়ক। আমি সেই সড়কেই একাকী ধীর পায়ে এগুচ্ছিলাম অন্য মনস্ক ভাবেই। হঠাৎই একটা সাইকেল আমার গা ঘেষে সাই সাই করে চলে গেলো। পেছন ফিরে তাঁকালাম। ক্রশের শার্ট গায়ে, মাথায় বেতের টুপি, পিঠে সাউডার ব্যাগ। সীটের উপর না বসে, প্যাডেলের উপর ভর করেই দ্রুত সাইকেল চালিয়ে দূরে মিলিয়ে যেতে থাকলো।
আমার মেজাজটাই খারাপ হলো। সাইকেল চালাবে বাপু, একটু সাবধানে চালাতে পারো না? যত্তসব। আমি আপন মনেই গাল দিলাম। তারপর আবারো নিজ পথে এগুতে থাকলাম।
বিশ গজও এগুতে পারলাম না। সাইকেলটা পুরু গার্ডেন প্রদক্ষিণ করে আবারো আমার গা ঘেষে সাই সাই করে ছুটে গেলো। তবে, এক নজর যা চোখে পরলো, তাতে করে মনে হলো কোন ছেলে নয়। পরনে লাল রং এর টপস। তার উপরই ক্রসের একটা শার্ট। শার্টটার সব বোতামই খুলা। উঁচু উঁচু বুক টপসটার উপর দিয়ে লাফাচ্ছিলো। খুবই রূপসী একটা মেয়ে। কোথায় যেনো দেখেছি তাকে। অথচ, ঠিক মনে করতে পারছিলাম না।
আমার ধারনা, মেয়েটি আবারো পুরু গার্ডেন প্রদক্ষিন করে এই পথেই আসবে। তখন ভালো করেই দূর থেকে তার চেহারাটা দেখার চেষ্টা করবো। আমি চোখ সামনে রেখেই হাঁটতে থাকলাম।
আরো বিশ গজ এগুতেই, সাইকেলটা আবারো ছুটে আসতে থাকলো। আমি দূর থেকেই মেয়েটির চেহারা পর্য্যবেক্ষণ করতে থাকলাম। যে চেহারাটা চোখে পরলো, তাতে করে আমি হতভম্ব। আর কেউ নয়, গতকালই আমাদের ক্লাশে প্রথম এসেছিলো। যার চোখ দেখে আমি ভাষাহীন হয়ে পরেছিলাম। মুনা।
মুনা আবারো আমার গা ঘেষেই সাইকেলটা ছুটিয়ে নিতে চাইছিলো। আমি নিজেকে সরিয়ে নিলাম। মুনা রিনি ঝিনি সুরে খিল খিল হাসি হেসে সাইকেল চালিয়ে নিজ পথেই ছুটে যেতে থাকলো।
মাঝে মাঝে আমারও মনে হয়, আমারও কোন মানসিক রোগ আছে। ঘুঘু পাখির ডাক শুনলে আমি ছটফট করতে থাকি। মনে হয় উর্মিই বোধ হয় করুন সুরে ডাকছে। আমি পাগলের মতো ঘর থেকে বেড়িয়ে গেলাম। এক ছুটে সেই তিন রাস্তার মোড়ে। ডান দিকে ঘাড়টা ঘুরিয়ে উর্মিদের বাড়ীটার দিকেই চোখ রাখতে চাইলাম।
চোখে পরলো উর্মির মাকে। আধুনিকা পোশাক। হলদে স্কীন টাইট টপস, আর ছিটের লং স্কার্ট। কেনো যেনো কখনোই মহিলার দিকে ভালো করে চোখ তুলে তাঁকাইনি। সেদিনও চোখে পরতেই চোখ ফিরিয়ে নিতে চাইলাম। অথচ, মহিলা আমাকে ইশারা করলো। আমি সুবোধ ছেলের মতোই এগিয়ে গেলাম। উর্মির সাথে অদ্ভুত চেহারার মিল। সরু ঠোট, ঝক ঝকে সাদা দুধে দাঁত। বললো, কি নাম যেনো তোমার?
আমি বললাম, খোকা।
উর্মির মা বললো, ও খোকা? বাসায় আসো না কেনো? উর্মি নেই বলে? উর্মি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। আগামী মাসেই বোধ হয় আসতে পারবে। আবারো কলেজে একটা ক্লাশের গ্যাপ হয়ে যাবে। তাই মন খারাপ করেই চিঠি লিখেছে। তুমি কিন্তু ওকে শান্তনা দেবে।
উর্মির মায়ের কথা শুনে আমার মনটা খুব বিচলিত হয়ে উঠলো। খুকীও ফিরে এলো, উর্মিরও বুঝি ফিরে আসার সময় হলো। আবারোও তো দুজনে সাপে নেউলের মতোই লেগে থাকবে।
আমি বাড়ী ফিরে না গিয়ে উপজেলা মাঠের গার্ডেনের দিকেই এগুতে থাকলাম। খুবই সুন্দর উপজেলা গার্ডেনটা। সবুজ গাছের যেমনি ছড়াছড়ি, পুরু গার্ডেনটাতে সবুজ সুন্দর ঘাস চোখ জুড়িয়ে দেয়। চারি পাশে পাকা পীচ ঢালা সড়ক। আমি সেই সড়কেই একাকী ধীর পায়ে এগুচ্ছিলাম অন্য মনস্ক ভাবেই। হঠাৎই একটা সাইকেল আমার গা ঘেষে সাই সাই করে চলে গেলো। পেছন ফিরে তাঁকালাম। ক্রশের শার্ট গায়ে, মাথায় বেতের টুপি, পিঠে সাউডার ব্যাগ। সীটের উপর না বসে, প্যাডেলের উপর ভর করেই দ্রুত সাইকেল চালিয়ে দূরে মিলিয়ে যেতে থাকলো।
আমার মেজাজটাই খারাপ হলো। সাইকেল চালাবে বাপু, একটু সাবধানে চালাতে পারো না? যত্তসব। আমি আপন মনেই গাল দিলাম। তারপর আবারো নিজ পথে এগুতে থাকলাম।
বিশ গজও এগুতে পারলাম না। সাইকেলটা পুরু গার্ডেন প্রদক্ষিণ করে আবারো আমার গা ঘেষে সাই সাই করে ছুটে গেলো। তবে, এক নজর যা চোখে পরলো, তাতে করে মনে হলো কোন ছেলে নয়। পরনে লাল রং এর টপস। তার উপরই ক্রসের একটা শার্ট। শার্টটার সব বোতামই খুলা। উঁচু উঁচু বুক টপসটার উপর দিয়ে লাফাচ্ছিলো। খুবই রূপসী একটা মেয়ে। কোথায় যেনো দেখেছি তাকে। অথচ, ঠিক মনে করতে পারছিলাম না।
আমার ধারনা, মেয়েটি আবারো পুরু গার্ডেন প্রদক্ষিন করে এই পথেই আসবে। তখন ভালো করেই দূর থেকে তার চেহারাটা দেখার চেষ্টা করবো। আমি চোখ সামনে রেখেই হাঁটতে থাকলাম।
আরো বিশ গজ এগুতেই, সাইকেলটা আবারো ছুটে আসতে থাকলো। আমি দূর থেকেই মেয়েটির চেহারা পর্য্যবেক্ষণ করতে থাকলাম। যে চেহারাটা চোখে পরলো, তাতে করে আমি হতভম্ব। আর কেউ নয়, গতকালই আমাদের ক্লাশে প্রথম এসেছিলো। যার চোখ দেখে আমি ভাষাহীন হয়ে পরেছিলাম। মুনা।
মুনা আবারো আমার গা ঘেষেই সাইকেলটা ছুটিয়ে নিতে চাইছিলো। আমি নিজেকে সরিয়ে নিলাম। মুনা রিনি ঝিনি সুরে খিল খিল হাসি হেসে সাইকেল চালিয়ে নিজ পথেই ছুটে যেতে থাকলো।