16-12-2021, 03:59 PM
আমি মেয়েটির সাথে কেনো যেনো সহজ হতে পারছিলাম না। খুব মিষ্টি চেহারার মেয়েদের সামনে আমি সহজ হতে পারি না। অথচ, মেয়েটিকে খুব আলাপীই মনে হলো। বলতে থাকলো নিজে থেকেই। এইচ, এস, সি, পাশ করে ঘরে বসে আছি। সময় কাটে না। অবশ্য ডিগ্রী কলেজে নাম লিখিয়ে রেখেছি। বেসরকারী কলেজ। ঠিক মতো ক্লাশ হয়না। গার্ডেনিং করা খুব পছন্দ।
আমি চারিদিক চোখ ঘুরিয়ে তাঁকালাম। বললাম, সুন্দর বাগান। সবই কি আপনি বানিয়েছেন?
রেখা গর্বিত হাসি হেসে বললো, তবে কি তোমার ধারনা আমাদের কোন মালী আছে?
আমি বললাম, না মানে, সত্যিই আপনি খুব চমৎকার!
রেখা মুখটা হা করে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাঁকিয়ে থাকলো। তারপর বললো, আমি চমৎকার? নাকি আমার মালীর কাজ?
আমি বললাম, এই বাগানটাও চমৎকার, আপনিও চমৎকার!
রেখা আনন্দিত হয়েই হাতের নিড়ানীটা মাটিতে রেখে দু হাতে ভর দিয়ে খানিকটা সামনে ঝুকে বসলো। যার কারনে, তার হাত কাটা কামিজটার গল গলিয়ে স্তন দুটি আরো প্রকাশিত হয়ে পরছিলো চোখের সামনে।
আমি অনুমান করলাম, সাধারন কোন বক্ষ নয় রেখার। ডাব কিংবা নারকেল এর চাইতেও অধিক বড় হবে এই স্তন দুটি। আমার লিঙ্গটা নিজের অজান্তেই চড় চড় করতে থাকলো। অথচ, রেখা আনন্দ উদ্বেলিত কন্ঠে বলতে থাকলো, খুব ইচ্ছে ছিলো কৃষি বিজ্ঞান কিংবা উদ্ভিদ বিদ্যায় পড়ার। অথচ, এইচ, এস, সি, পাশ করতে হলো ঠেলে ঠুলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেবারই সুযোগ পেলাম না। আমি মন খারাপ করি না। আমার মতো করে, এমন কৃষিই বলো, আর উদ্ভিদ চর্চাই বলো, পৃথিবীর কেউ পারবে না। জানো, এই বাগান গড়তে কত টাকা খরচ হয়েছে?
আমি মামুলী করেই জিজ্ঞাসা করলাম, কত টাকা?
রেখা বললো, ওই যে দেখছো, সেচ যন্ত্রটা, ওটার জন্যেই তো পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হলো।
আমি মাথায় হাত রেখে বললাম, পাঁচ লক্ষ টাকা? শূন্য কয়টা?
রেখা খিল খিল করেই হাসলো। বললো, শূন্য খুব বেশী না। মাত্র পাঁচটা। কিন্তু আমার জন্যে বাবা একের পেছনে পাঁচটা কেনো, দশটা শূন্যের টাকাও খরচ করতে পারে।
আমি নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম, আমি কিন্তু একশটা শূন্যও খরচ করতে পারি।
আমার কথা শুনে রেখা উঠে দাঁড়ালো। বললো, দুষ্ট ছেলে। একের পেছনে একশটা শূন্য বসালে কত টাকা হবে তুমি অনুমান করতে পারো? আমি ঠেলে ঠুলে পাশ করলেও, অংকে কিন্তু খুবই পাকা।
আমি কোন কিছু না ভেবেই বললাম, অসীম! যা গণনা করা যায়না।
রেখার চেহারাটা হঠাৎই শুকনো হয়ে গেলো। বললো, কি বলতে চাইছো?
আমি হাসলাম। বললাম, না দিদি, কোথায় যেনো শুনেছিলাম, যা কোন দামেই কেনা যায়না, তাকে নাকি অমূল্য সম্পদ বলে। যা কেনা যাবে না, তা অমূল্য সম্পদ হবে কেনো? হবে অসীম মূল্যের সম্পদ। আপনি ঠিক তাই।
রেখা আমার দিকে খানিকক্ষণ গম্ভীর চোখেই তাঁকিয়ে থাকলো। তারপর বললো, তুমি আমাকে কখনোই কিনতে পারবে না। চলো, আমার সেচ যন্ত্রটা তোমাকে দেখাই। ওটা বানাতেই দু বছর সময় লেগেছে।
আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, দু বছর?
রেখা সেচ যন্ত্রটার দিকে এগুতে এগুতে বললো, শুধু কি দু বছর? কত শত শত শ্রমিকের পরিশ্রমও লেগেছে জানো? দিনের পর দিন শ্রমিকরা কলুর বলদের মতোই পাইপ ঘুরিয়েছে, অথচ পানি উঠেনা। পাশে সমুদ্র অথচ পানি উঠে না। কারন, আমাদের বাড়ীটা নাকি একটু উঁচু এলাকায়। মানে সমুদ্র সমতল থেকে অনেক উপরে।
আমি চারিদিক চোখ ঘুরিয়ে তাঁকালাম। বললাম, সুন্দর বাগান। সবই কি আপনি বানিয়েছেন?
রেখা গর্বিত হাসি হেসে বললো, তবে কি তোমার ধারনা আমাদের কোন মালী আছে?
আমি বললাম, না মানে, সত্যিই আপনি খুব চমৎকার!
রেখা মুখটা হা করে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাঁকিয়ে থাকলো। তারপর বললো, আমি চমৎকার? নাকি আমার মালীর কাজ?
আমি বললাম, এই বাগানটাও চমৎকার, আপনিও চমৎকার!
রেখা আনন্দিত হয়েই হাতের নিড়ানীটা মাটিতে রেখে দু হাতে ভর দিয়ে খানিকটা সামনে ঝুকে বসলো। যার কারনে, তার হাত কাটা কামিজটার গল গলিয়ে স্তন দুটি আরো প্রকাশিত হয়ে পরছিলো চোখের সামনে।
আমি অনুমান করলাম, সাধারন কোন বক্ষ নয় রেখার। ডাব কিংবা নারকেল এর চাইতেও অধিক বড় হবে এই স্তন দুটি। আমার লিঙ্গটা নিজের অজান্তেই চড় চড় করতে থাকলো। অথচ, রেখা আনন্দ উদ্বেলিত কন্ঠে বলতে থাকলো, খুব ইচ্ছে ছিলো কৃষি বিজ্ঞান কিংবা উদ্ভিদ বিদ্যায় পড়ার। অথচ, এইচ, এস, সি, পাশ করতে হলো ঠেলে ঠুলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেবারই সুযোগ পেলাম না। আমি মন খারাপ করি না। আমার মতো করে, এমন কৃষিই বলো, আর উদ্ভিদ চর্চাই বলো, পৃথিবীর কেউ পারবে না। জানো, এই বাগান গড়তে কত টাকা খরচ হয়েছে?
আমি মামুলী করেই জিজ্ঞাসা করলাম, কত টাকা?
রেখা বললো, ওই যে দেখছো, সেচ যন্ত্রটা, ওটার জন্যেই তো পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হলো।
আমি মাথায় হাত রেখে বললাম, পাঁচ লক্ষ টাকা? শূন্য কয়টা?
রেখা খিল খিল করেই হাসলো। বললো, শূন্য খুব বেশী না। মাত্র পাঁচটা। কিন্তু আমার জন্যে বাবা একের পেছনে পাঁচটা কেনো, দশটা শূন্যের টাকাও খরচ করতে পারে।
আমি নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম, আমি কিন্তু একশটা শূন্যও খরচ করতে পারি।
আমার কথা শুনে রেখা উঠে দাঁড়ালো। বললো, দুষ্ট ছেলে। একের পেছনে একশটা শূন্য বসালে কত টাকা হবে তুমি অনুমান করতে পারো? আমি ঠেলে ঠুলে পাশ করলেও, অংকে কিন্তু খুবই পাকা।
আমি কোন কিছু না ভেবেই বললাম, অসীম! যা গণনা করা যায়না।
রেখার চেহারাটা হঠাৎই শুকনো হয়ে গেলো। বললো, কি বলতে চাইছো?
আমি হাসলাম। বললাম, না দিদি, কোথায় যেনো শুনেছিলাম, যা কোন দামেই কেনা যায়না, তাকে নাকি অমূল্য সম্পদ বলে। যা কেনা যাবে না, তা অমূল্য সম্পদ হবে কেনো? হবে অসীম মূল্যের সম্পদ। আপনি ঠিক তাই।
রেখা আমার দিকে খানিকক্ষণ গম্ভীর চোখেই তাঁকিয়ে থাকলো। তারপর বললো, তুমি আমাকে কখনোই কিনতে পারবে না। চলো, আমার সেচ যন্ত্রটা তোমাকে দেখাই। ওটা বানাতেই দু বছর সময় লেগেছে।
আমি চোখ কপালে তুলে বললাম, দু বছর?
রেখা সেচ যন্ত্রটার দিকে এগুতে এগুতে বললো, শুধু কি দু বছর? কত শত শত শ্রমিকের পরিশ্রমও লেগেছে জানো? দিনের পর দিন শ্রমিকরা কলুর বলদের মতোই পাইপ ঘুরিয়েছে, অথচ পানি উঠেনা। পাশে সমুদ্র অথচ পানি উঠে না। কারন, আমাদের বাড়ীটা নাকি একটু উঁচু এলাকায়। মানে সমুদ্র সমতল থেকে অনেক উপরে।