16-12-2021, 12:41 PM
ঝাপটা (Flapping)
রাখাল হাকিম
A different touched story of Rakhal Hakim ..
এই গল্পের মূল নায়িকা মুনা। পার্শ্ব চরিত্র মৌসুমী, উর্মি, খুকী সহ অজশ্র কন্যারা, আর সেই সাথে খোকা সহ কিছু উঠতি বয়সের চির সবুজ খোকারা...
সা নি ধা পা...
চোখ এত সুন্দর হয় নাকি? মুনা, আমাদের ক্লাশে। সদ্য ভর্তি হয়ে প্রথম ক্লাশে প্রথম দেখা। ক্লাশে ঢুকতে গিয়ে মিষ্টি গলায় বললো, মে আই কাম ইন স্যার?
মুনার চোখ দেখে আমিই না শুধু, স্বয়ং ক্লাশ টিচার এরও চোখ থেমে গেলো, ভাষা বন্ধ হয়ে গেলো। পুরু ক্লাশে পিন পতন নিস্তব্ধতা নেমে এলো। অবশেষে ক্লাশ টীচার বললো, অফকোর্স কাম ইন। তোমার সীট? ঠিক আছে, আপাততঃ ওই সীটটায় বসো।
ওই সীটটা হলো আমার পাশে। খালি সীট। ইচ্ছে করেই বেছে নিয়েছি। পেছনের দিকে। মুনা আমার কাছাকাছি এসে বললো, একটু বেড়িয়ে দাঁড়াও, আমি ওপাশে যাবো কিভাবে?
আমি মুনার চেহারার দিকে তাঁকাতে পারলাম না। এত রূপ কি কোন মেয়ের থাকতে পারে নাকি? চোখ ঝলসে যায়। আমি মাথা নীচু করে অন্যমনস্ক হয়ে অন্য জগতেই হারিয়ে গেলাম। মেয়েটি ঈষৎ খিস্তি মেরেই বললো, কথা কি শুনা যাচ্ছে? স্যার বলেছে ওই সীটে বসতে। আমি কি তোমাকে ডিঙিয়ে ঢুকবো?
মুনা আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা। শ্রেষ্ঠ চোখ, শ্রেষ্ঠ রূপবতী কন্যা। যার কারনে, উর্মি এখনো আমার সাথে কথা বলে না। এই বৃদ্ধ বয়সেও। ফেইসবুকে হাজারও নক করে উর্মিকে পাওয়া যায়না। এমন কি মুনাকেও পাই না।
১৯৮১ সালের কথা। আমি তখন ক্লাশ এইটে উঠেছি মাত্র। নবাগতা এই ছাত্রীটি আমার মাথাটাই খারাপ করে দিয়েছিলো। ঈষৎ স্বাস্থ্যবতী। বক্ষটা অসম্ভব উঁচু। মুনার দেহ আর উর্মির দেহ আকাশ পাতাল পার্থক্য। মুনা যদি একটা হাতী হয়ে থাকে, তাহলে উর্মি বুঝি সাধারন একটা টিকটিকী। তাহলে আমি কি? সে গলপোই বলবো।
আমি বেঞ্চি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ইশারা করলাম। যার অর্থ, ঢুকো। মেয়েটি তার সুন্দর বড় বড় চোখে আমার দিকে এক নজর তাঁকালো। বুকটা যেনো ক্ষত বিক্ষতই হলো তেমনি এক নজরে।
রাখাল হাকিম
A different touched story of Rakhal Hakim ..
এই গল্পের মূল নায়িকা মুনা। পার্শ্ব চরিত্র মৌসুমী, উর্মি, খুকী সহ অজশ্র কন্যারা, আর সেই সাথে খোকা সহ কিছু উঠতি বয়সের চির সবুজ খোকারা...
সা নি ধা পা...
চোখ এত সুন্দর হয় নাকি? মুনা, আমাদের ক্লাশে। সদ্য ভর্তি হয়ে প্রথম ক্লাশে প্রথম দেখা। ক্লাশে ঢুকতে গিয়ে মিষ্টি গলায় বললো, মে আই কাম ইন স্যার?
মুনার চোখ দেখে আমিই না শুধু, স্বয়ং ক্লাশ টিচার এরও চোখ থেমে গেলো, ভাষা বন্ধ হয়ে গেলো। পুরু ক্লাশে পিন পতন নিস্তব্ধতা নেমে এলো। অবশেষে ক্লাশ টীচার বললো, অফকোর্স কাম ইন। তোমার সীট? ঠিক আছে, আপাততঃ ওই সীটটায় বসো।
ওই সীটটা হলো আমার পাশে। খালি সীট। ইচ্ছে করেই বেছে নিয়েছি। পেছনের দিকে। মুনা আমার কাছাকাছি এসে বললো, একটু বেড়িয়ে দাঁড়াও, আমি ওপাশে যাবো কিভাবে?
আমি মুনার চেহারার দিকে তাঁকাতে পারলাম না। এত রূপ কি কোন মেয়ের থাকতে পারে নাকি? চোখ ঝলসে যায়। আমি মাথা নীচু করে অন্যমনস্ক হয়ে অন্য জগতেই হারিয়ে গেলাম। মেয়েটি ঈষৎ খিস্তি মেরেই বললো, কথা কি শুনা যাচ্ছে? স্যার বলেছে ওই সীটে বসতে। আমি কি তোমাকে ডিঙিয়ে ঢুকবো?
মুনা আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা। শ্রেষ্ঠ চোখ, শ্রেষ্ঠ রূপবতী কন্যা। যার কারনে, উর্মি এখনো আমার সাথে কথা বলে না। এই বৃদ্ধ বয়সেও। ফেইসবুকে হাজারও নক করে উর্মিকে পাওয়া যায়না। এমন কি মুনাকেও পাই না।
১৯৮১ সালের কথা। আমি তখন ক্লাশ এইটে উঠেছি মাত্র। নবাগতা এই ছাত্রীটি আমার মাথাটাই খারাপ করে দিয়েছিলো। ঈষৎ স্বাস্থ্যবতী। বক্ষটা অসম্ভব উঁচু। মুনার দেহ আর উর্মির দেহ আকাশ পাতাল পার্থক্য। মুনা যদি একটা হাতী হয়ে থাকে, তাহলে উর্মি বুঝি সাধারন একটা টিকটিকী। তাহলে আমি কি? সে গলপোই বলবো।
আমি বেঞ্চি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ইশারা করলাম। যার অর্থ, ঢুকো। মেয়েটি তার সুন্দর বড় বড় চোখে আমার দিকে এক নজর তাঁকালো। বুকটা যেনো ক্ষত বিক্ষতই হলো তেমনি এক নজরে।