Thread Rating:
  • 19 Vote(s) - 3.42 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery “একলা আকাশ” --- Ratinath
#35
পর্ব-

সকাল থেকে যেন রেলগাড়ি ছুটছে সেই কোন কাকভোরে উঠে কাজ শুরু করা কণার অভ্যাস তারপর অনিচ্ছুক অপুকে ঘুম থেকে তুলে তাকে কলেজের জন্য তৈরি করা তারপর ওর ঠাকুরদার হাতে তুলে দিয়ে কলেজে পাঠানো তারপর একটু হাত খালি করে নিজের জন্জন্য এককাপ চা বানিয়ে খাওয়া আবার শুরু হয় জলখাবার দুপুরের রান্নার কাজ মতির মা এসে রাতের এঁটোবাসন মেজে, বাসি ঘরদোর ধুয়ে-মুছে দেয়
কিন্তু আজ সকালে উঠে রান্না করতে গিয়ে দেখে সকাল 9ta বেজে গেছে ওর গত আটবছরের রুটিনে আজই ছেদ পড়লো একতো ছেলের মামাবাড়ি যাওয়াতে কলেজে পাঠাবার তাড়া ছিল না আর দ্বিতীয়টার কথা ভেবে ওর যুবতী শরীরে একটা শিরশিরানি অনুভব করে গত সন্ধ্যা থেকে প্রায় দেররাত অবধি শ্বশুর শরৎবাবুর সাথে শরীরী খেলায় কিভাবে যে মজে উঠলো..সেটাই মনে পড়ে কণার ঠোঁটের কোণ দিয়ে একটা মুচকি হাসি বেরিয়ে আসে
এখন শ্বশুর শরৎবাবু বাজার নিয়ে ফেরেন নি..
……. চা বানিয়ে নিজে একটু নেয় আর মতির মাকে এককাপ দিয়ে বসার ঘরে এসে বসে মতির মা ঘর ঝাড়ু বন্ধ রেখে কণার সামনে ঘরের মেঝেতে বসে চা খেতে খেতে কণাকে বলে বৌদিদি তুমি বাপু বাপের বাড়ি কেন চলে গেলিনে..
কণা একটা কোনো ভাবনায় বুঁদ ছিল
মতির মা দ্বিতিয়বার আবার ওই কথা বলতেই.. সম্বিৎ ফিরে পায় আর বলে-কেন যাবো ওখানে এটাইতো আমার বাড়ি আর আমি এই বাড়ির বউ
মতির মা বলে- তা,হলিও..তুমি সমত্থ বয়সের যুবতী বেধবা..আবারতো বে করতিও পারো আর দেখতি-শুনতিতো তুমি খাসা গো তোমার কি যৌবনের ক্ষুদা পায় না
কণা মতির মা কথা শুনে হেসে বলে- ধ্যৎ মতির মা কুমারী মেয়ে ছেড়ে কে আর আমারমতো বিধবাকে বিয়ে করবে সাথে আবার একটা ছেলে আছে
তা হলিও চেষ্টা করতি কি হয় বলো মতির মা বিজ্ঞেরমতো বলে ওঠে
কণা এবার মতির মাকে ধমকে বলে- তুমি এইসব কথা ছাড়ান দিয়ে তাড়াতাড়ি ঘরের কাজ সারো মতির মা বাবা এই এখুনি বাজার-সওদা নিয়ে এলেন বলে
মতির মা চুপুচাপ চা শেষ করেবিড বিড় করে বলতে থাকে..আমার আর কি? তুমার বয়স দেহেই এত কথা বললুম বুঝবে পরে গরীবের কথা বাসি হলে মতির মা হাতের কাজ সারতে থাকে
কণা মতির মার বিড়বিড়ানি শুনতে শুনতে মনে মনে নিজেকে বলে- তুই আর কি বুঝবি মতির মা আর আমিইবা কি বলবো আমার দুঃখ-সুখ,আমার আনন্দ-বেদনা,আমার যৌবনজ্বালা কেমন,কি,কতো আর তা কেমন করে মিটছে
ইতিমধ্যে শরৎবাবু বাজার নিয়ে ঢুকতে কণা চোখের ইশারা করে মতির মার উপস্থিতির কথা জানায়
কণার শ্বশুর কণার ইঙ্গিত বুঝে একটু জোরে চেঁচিয়ে বলেন- বৌমা,বাজার তোলো আর এতো বেলা অবধি ঘুমানোর অভ্যাস ছাড়ো আজ সকালের এককাপ চাও জুটলো না এখনো
কণাও গতরাতে এইরকম করার কথা যে শ্বশুর শরৎ মনে রেখেছেন এবং সেই মতো কাজও করলেন দেখে কণাও ঝাঁঝিয়ে উঠে বলে..কেন? আমাকে কি দাসীবাঁদী পেয়েছেন নাকি ? যে রোজ একটাইমে সব দিতে হবে বলতে বলতে কণা বাজারের ব্যাগ নিয়ে শ্বশুরের দিকে তাকিয়ে একটা চোখ ঠেরে রান্নাঘরে চলে যায়
মতির মা রান্নাঘরে বাসন রাখতে এসে এই কপট ঝগড়া বুঝতে না পেরে ফিসফিসিয়ে কণাকে বলে- নাও গো বৌদি তোমার শোউর মিনসের খিঁটখিঁটানি শুরু হয়ে গেল এবার চলবেনি এটা তুমি সইতি পারলি হয়
কণা মতির মাকে একটু কড়া করে বলে-আহ্,মতির মা নিজের কাজ করোতো আর হ্যাঁ,মাছটা কাটাই আছে একটু ধুয়ে এনে দাও
মতির মা মুখটা বেঁকিয়ে মাছ নিয়ে ধুতে চলে যায়
কণা শ্বশুর শরৎবাবুর জন্য চা বানিয়ে ওনার ঘরে গিয়ে চাটা টেবিলে রাখতেই শরৎ কণাকে জড়িয়ে ধরে বলে- বকাবকির শুরুটা কেমন হোলো
কণা একটু বিরক্তি দেখিয়ে শ্বশুরের আলিঙ্গণ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে-উফ্,যা করোনা তুমি মতির মা এখনো যাইনি দেখলে ওই বকাবকির খেলা ভন্ডুল হয়ে যাবে তবে শুরুটা ভালোই হয়েছে আজ-কালের মধ্যেই পাড়া প্রতিবেশীরা আমাদের এই অশান্তির খবর পেয়ে যাবে
কণা শ্বশুর শরৎ চায়ে চুমুক দিয়ে মিটিমিট করে হাসতে থাকেন
কণা শ্বশুরের হাসি দেখে জিভ ভেঙচে বলে- উলিবাবা,হাসি দেখি আর ধরে না তোমার
কণা শ্বশুর শরৎ বলেন- বাহরে,হাসতে কি মানা নাকি? তাড়াতাড়ি রান্না সারো ..
কণা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে যায়

[+] 5 users Like ddey333's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: “একলা আকাশ” --- Ratinath - by ddey333 - 11-12-2021, 12:26 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)