Thread Rating:
  • 63 Vote(s) - 2.92 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
কাজলদীঘি শ্মশান/পীরবাবার থান--মামনজাফরান (জ্যোতি বন্দোপাধ্যায়)
হিমাংশু ডিড ওদের এগিয়ে দিলো।
-আপনি এটা ঠিক কাজ করছেন না অনিবাবু।
-মল তোমার কাছে এখনো ৫০ কোটির হিসাব চাই নি।
-সেটাও কি আমি একা লিয়েছি। সবাই লিয়েছে। মল এবার নিজের ফরমায় এলো বাংলা হিন্দী।
-কারা কারা নিয়েছে?
-চম্পক আছে, সুনীত আছে, কিংশুক আছে, অরিন্দম আছে, ম্যায় সনাতন ভি আছে।
-আমি তোমার কাছ থেকে বুঝছি আর তুমি ওদের কাছ থেকে বুঝে নাও।
-এটা কি বলছো অনি। সনাতনবাবু বললেন।
-কেনো।
-নাওয়ার সময় অনির কথা মনে পরে নি
সবার মাথা নত।
-সই না করলে সবকাটাকে তোলতাই করাবো। হিমাংশু দুটো ডিড আছে দেখে শুনে সই করাবি। রেজিস্টারার ম্যাডাম এসেছে।
-হ্যাঁ।
-এখানেই রেজিস্টার করাবি। সাক্ষী সাবুদ, অমিতাভদা, মল্লিকদা, মিত্রা। আমি নিউজরুমে গিয়ে বসছি। আধাঘন্টা সময় দিলাম। তারপর আবার মিটিং স্টার্ট হবে।
মল আমার কাছে এসে দাঁড়ালো। তুমি ক্যাশ লাও।
-আমার এক কথা।
-তাহলে আমিও তোমায় বললাম, আমি তোমাকে ছেড়ে দেবো না।
আমি ফোনটা হাতে নিয়ে ডায়াল করলাম, ভয়েস অন করলাম।
-কি রে অনি, মল নাকুর নুকুর করছে। ও শালা মেড়ো আছে। ও জানে না তোর বুদ্ধির কাছে ওরা বাচ্চা।
-কার গলা শুনতে পাচ্ছ।
মল আমার দিকে ফ্যাকাসে চোখে তাকিয়ে আছে, ও যার ওপর নির্ভর করে এতোক্ষণ দাপাদাপি করছিলো সেটা যে এই ব্যক্তি সেটা ও বুঝে ফেলেছে।
-তুমি কথা বলো।
মলের গালে, চম্পকদার গালে, সুনীতদার গালে কে যেন কষে থাপ্পর মারলো।
-দে।……কি মল বাবু।
-হ্যাঁ বল ইসলাম ভাই।
-অনি যা বলছে চুপচাপ করে নিন, আপনার ভালো হবে, অনিকে আপনার থেকেও বেশি দিন দেখেছি, ও খারাপ ছেলে নয়। আর শোনেন চম্পক আর সুনীতকেও বলে দিন। ও যা বলে আজ থেকে যেনো কথা শুনে চলে, আমি অনিকে রিকোয়েস্ট করেছি, ওদের চাকরি যাবে না, ওর কথা যেন শোনে। না হলে বিপদ আছে। অনিকে দেন।
-হ্যাঁ বলো।
-তুই কাল দামিনী বুড়ীর কাছে গেছিলি।
-হ্যাঁ।
-কেনো ইসলাম ভাই-এর ওপর বিশ্বাস ছিলো না।
-মনটা ভালো লাগছিলো না।
ইসলাম ভাই হো হো করে হেসে উঠলো।
-আজ গিয়ে বলে আসবি।
-ঠিক আছে।
ফোনটা বন্ধ করলাম, সবাই কথা শুনলো। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে, দামিনী মাসীর গল্পটা একমাত্র মিত্রা জানে, ও মাথা নীচু করে আছে।
আমি ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম।
ঘরের বাইরে দেখছি প্রচুর লোকের আনাগোনা। আমায় দেখতে পেয়ে, পরি কি মরি করে পালাচ্ছে। আমি সোজা ক্যান্টিনে চলে গেলাম, চায়ের কথা বলতেই ওরা তুড়ন্ত চা নিয়ে চলে এলো, আমি ফোনটা বার করে, বড়মাকে ফোন করলাম।
-হাঁপাচ্ছ কেনো?
-ঠাকুর ঘর থেকে দৌড়ে এলাম। জানি তুই ফোন করবি।
-তোমার ঠাকুর কি বললো।
-তুই জিতবি।
-তাই হয়েছে।
-হ্যাঁরে অনি সত্যি তুই জিতেছিস।
-হ্যাঁ।
-তুই ছোটর সঙ্গে কথা বল।
-দাও।
-জানিস অনি এই কটা দিন মনটা ভীষণ খারাপ ছিলো। তুই ভাল আছিসতো, মনটা খালি কু গাইতো।
-আমি কোন অন্যায় কাজ করিনি।
-জানি। কাল দাদার শরীরটা ভীষণ খারাপ ছিলো।
-জানি।
-তুই জানিস।
-হ্যাঁ।
-তুই কি সাংঘাতিক ছেলে রে।
-পরে ফোন করবো।
সন্দীপ কখন পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে বুঝতে পারি নি। মিটি মিটি হাসছে। তুই সত্যি বস।
-কেনো।
-বোড়ের চালে রাজা কিস্তি মাত।
হাসলাম
ফোনটা বেজে উঠলো।
হিমাংশুর ফোন।
-সই কমপ্লিট।
-হ্যাঁ। তোকে সই করতে হবে।
-যাচ্ছি।
-তুই নিউজরুমে থাক, সেকেন্ড ইনিংসটা খেলে আসি।
সন্দীপ হাসলো।
[+] 4 users Like MNHabib's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: কাজলদীঘি শ্মশান/পীর সাহেবের থান--মামনজাফরান (জ্যোতি বন্দোপাধ্যায়) - by MNHabib - 17-12-2021, 10:08 PM



Users browsing this thread: