09-12-2021, 10:51 AM
প্রথম সিন
(মদন বাবু অফিসে যাবার জন্যে তৈরি হচ্ছেন, উদ্বিগ্ন মুখে বেয়ান সরলার প্রবেশ)
মদন- আরে বেয়ান যে, কি খবর? এত সকালে?
সরলা- আমি ঠিক আছি, আপনার খবর বলুন?
মদন- কেন? আমার আবার কি হল?
সরলা- মানে? আপনার কোনো বিপদ হয়নি?
মদন- কি বলছেন যা তা! কিসের বিপদ?
সরলা- আ…মানে আপনার বিপদ শুনেইত দৌরে এলাম!
মদন- কি…? কে বলল আপনাকে?
সরলা- এইত দেখুন না টেলিগ্রামটা। আমি কাল থেকে মেয়ে জামাইর মোবাইলে ট্রাই করছি, কিন্তু খালি সুইচ অফ বলছে। আপনার ল্যান্ডলাইনেও ট্রাই করেছি, শুধু বেজে যাচ্ছে।
(মদন বাবু টেলিগ্রামটা হাথে নিয়ে পড়লেন এবং নিজের কাছে রেখে দিলেন)
মদন- আমার বাড়ির ফোনটা কাল থেকে খারাপ, আপনি একটু শান্ত হয়ে বসুন, জল-টল খান, তারপর ধীরে সুস্থে আপনার সব কথা শুনব।
(মদন বাবু সরলাকে এক গ্লাস জল দিলেন এবং সরলাকে সোফাতে বসতে বললেন)
সরলা- বেয়াই মশাই, টেলিগ্রামটা পেয়ে ভিষন ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না, তাই সকাল হতেই বেরিয়ে পরলাম আপনার খবর নিতে।
মদন- মনে হয় টেলিগ্রামটা কেউ মজা করে পাঠিয়েছে।
সরলা- মজা! এরকম মজা করে কার কি লাভ!
মদন- সেটাও ঠিক, দাড়ান একটু ছেলে-বৌমার মোবাইলে ফোন করে জিগ্যেস করি তারা এই টেলিগ্রামটা করেছে কিনা। দু দিন আগে আমার সঙ্গে বৌমার মোবাইলে কথা হয়েছে বলল ওরা খুব ভাল আছে, আর খুব মজা করছে।
(মদন বাবু টেলিফোনটা তুলে ট্রাই করতে লাগলেন)
সরলা- আপনার ফোনটা ঠিক আছে!
মদন- হু…আজ সকালেই ঠিক হয়েছে….কিন্তু দুজনের মোবাইল সুইচ অফ বলছে।
সরলা- তা হলে কি হবে!
মদন- আপনি ব্যস্ত হবেন না, ওরা এখন সিমলায় আছে, আমি অফিসে গিয়ে সিমলার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, মনে হয় বিকেলের মধ্যেই ওদের খবর পেয়ে যাব। আপনি ততক্ষন চান খাওয়া করে বিশ্রাম নিন।
(মদন বাবু অফিসের দিকে রওনা দিলেন, সরলা কিছুক্ষন চুপ করে বসে থেকে উঠে পড়লেন চান খাওয়া সারার জন্যে)
সরলা- না মাথাটা ভিষন ধরেছে, যাই মেয়ের ঘরে গিয়ে শুই।
(সরলা মেয়ের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লেন, কিছুক্ষন পরে তার হঠাত মেয়ের ড্রেসিং টেবিলে চোখ পড়ল, দেখলেন দুটো মোবাইল পরে আছে)
সরলা-(মোবাইল দুটো হাথে নিয়ে দেখলেন মোবাইল দুটো তার মেয়ে জামাইর) তাহলে কি ওরা মোবাইল নিয়ে যেতে ভুলে গেছে। মেয়েটা যত দিন যাচ্ছে তত কেয়ারলেস হচ্ছে। না এখনি বেয়াইকে জানাতে হবে…. কিন্তু ওনার মোবাইল বা অফিসের নাম্বারটা নেওয়া হল না, তাহলে কি করি….ওফ কি যে করি… তবে কি ওরা নতুন মোবাইল কিনেছে, যাই হোক না কেন নাম্বারত পাল্টায়নি নিশ্চয়। মোবাইল দুটো চালু করলে বোঝা যাবে।…..আরে পুরনো নাম্বারগুলির সিম তো এখানে…….তবে…..বেয়াই মোবাইলে ওদের সাথে কি করে কথা বলল??…নতুন নাম্বার নিয়ে থাকলেও কমলা তা আমাকে জানলো না কেন….মাথাটা ভনভন করছে….না আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না, বিকেলে বেয়াই আসুক তখন দেখা যাবে। সন্ধা সাতটা বাজে, সরলা টিভির সামনে বসে বসে ভাবছে যে বেয়াই এখনো কোনো খবর নিয়ে ফিরল না, মনে হয় না আজকে আর ফেরা হবে এখানেই রাতটা কাটাতে হবে মনে হচ্ছে।
(মদন বাবু অফিসে যাবার জন্যে তৈরি হচ্ছেন, উদ্বিগ্ন মুখে বেয়ান সরলার প্রবেশ)
মদন- আরে বেয়ান যে, কি খবর? এত সকালে?
সরলা- আমি ঠিক আছি, আপনার খবর বলুন?
মদন- কেন? আমার আবার কি হল?
সরলা- মানে? আপনার কোনো বিপদ হয়নি?
মদন- কি বলছেন যা তা! কিসের বিপদ?
সরলা- আ…মানে আপনার বিপদ শুনেইত দৌরে এলাম!
মদন- কি…? কে বলল আপনাকে?
সরলা- এইত দেখুন না টেলিগ্রামটা। আমি কাল থেকে মেয়ে জামাইর মোবাইলে ট্রাই করছি, কিন্তু খালি সুইচ অফ বলছে। আপনার ল্যান্ডলাইনেও ট্রাই করেছি, শুধু বেজে যাচ্ছে।
(মদন বাবু টেলিগ্রামটা হাথে নিয়ে পড়লেন এবং নিজের কাছে রেখে দিলেন)
মদন- আমার বাড়ির ফোনটা কাল থেকে খারাপ, আপনি একটু শান্ত হয়ে বসুন, জল-টল খান, তারপর ধীরে সুস্থে আপনার সব কথা শুনব।
(মদন বাবু সরলাকে এক গ্লাস জল দিলেন এবং সরলাকে সোফাতে বসতে বললেন)
সরলা- বেয়াই মশাই, টেলিগ্রামটা পেয়ে ভিষন ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না, তাই সকাল হতেই বেরিয়ে পরলাম আপনার খবর নিতে।
মদন- মনে হয় টেলিগ্রামটা কেউ মজা করে পাঠিয়েছে।
সরলা- মজা! এরকম মজা করে কার কি লাভ!
মদন- সেটাও ঠিক, দাড়ান একটু ছেলে-বৌমার মোবাইলে ফোন করে জিগ্যেস করি তারা এই টেলিগ্রামটা করেছে কিনা। দু দিন আগে আমার সঙ্গে বৌমার মোবাইলে কথা হয়েছে বলল ওরা খুব ভাল আছে, আর খুব মজা করছে।
(মদন বাবু টেলিফোনটা তুলে ট্রাই করতে লাগলেন)
সরলা- আপনার ফোনটা ঠিক আছে!
মদন- হু…আজ সকালেই ঠিক হয়েছে….কিন্তু দুজনের মোবাইল সুইচ অফ বলছে।
সরলা- তা হলে কি হবে!
মদন- আপনি ব্যস্ত হবেন না, ওরা এখন সিমলায় আছে, আমি অফিসে গিয়ে সিমলার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, মনে হয় বিকেলের মধ্যেই ওদের খবর পেয়ে যাব। আপনি ততক্ষন চান খাওয়া করে বিশ্রাম নিন।
(মদন বাবু অফিসের দিকে রওনা দিলেন, সরলা কিছুক্ষন চুপ করে বসে থেকে উঠে পড়লেন চান খাওয়া সারার জন্যে)
সরলা- না মাথাটা ভিষন ধরেছে, যাই মেয়ের ঘরে গিয়ে শুই।
(সরলা মেয়ের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লেন, কিছুক্ষন পরে তার হঠাত মেয়ের ড্রেসিং টেবিলে চোখ পড়ল, দেখলেন দুটো মোবাইল পরে আছে)
সরলা-(মোবাইল দুটো হাথে নিয়ে দেখলেন মোবাইল দুটো তার মেয়ে জামাইর) তাহলে কি ওরা মোবাইল নিয়ে যেতে ভুলে গেছে। মেয়েটা যত দিন যাচ্ছে তত কেয়ারলেস হচ্ছে। না এখনি বেয়াইকে জানাতে হবে…. কিন্তু ওনার মোবাইল বা অফিসের নাম্বারটা নেওয়া হল না, তাহলে কি করি….ওফ কি যে করি… তবে কি ওরা নতুন মোবাইল কিনেছে, যাই হোক না কেন নাম্বারত পাল্টায়নি নিশ্চয়। মোবাইল দুটো চালু করলে বোঝা যাবে।…..আরে পুরনো নাম্বারগুলির সিম তো এখানে…….তবে…..বেয়াই মোবাইলে ওদের সাথে কি করে কথা বলল??…নতুন নাম্বার নিয়ে থাকলেও কমলা তা আমাকে জানলো না কেন….মাথাটা ভনভন করছে….না আমি আর কিছু ভাবতে পারছি না, বিকেলে বেয়াই আসুক তখন দেখা যাবে। সন্ধা সাতটা বাজে, সরলা টিভির সামনে বসে বসে ভাবছে যে বেয়াই এখনো কোনো খবর নিয়ে ফিরল না, মনে হয় না আজকে আর ফেরা হবে এখানেই রাতটা কাটাতে হবে মনে হচ্ছে।