06-12-2021, 07:11 PM
(This post was last modified: 08-12-2021, 03:55 PM by Jaybengsl. Edited 3 times in total. Edited 3 times in total.)
মন ভালো নেই সুমনের।
বাবা নেই আজ আট মাস হয়ে গেল।সুমনের বাবা সুকুমার মাঝারী মাপের সরকারী অফিসার।অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।বদলির চাকরি।এতোকাল যেখানেই ট্রান্সফার হয়েছে সুমনদের নিয়েই গেছে,সেখানকার কলেজেই ভর্তি করেছে সুমনকে ,নিজের পদমর্যাদার সুবাদে।
চার বছর ধরে সুমন এখনকার কলেজেই পড়ছে। সামনে সুমনের বারো ক্লাসের ফাইনাল। যদিও কলেজ এখন হচ্ছে না তবু নতুন জায়গায় মনসংযোগের ব্যাঘাত ঘটবে বলেই সুকুমার ওদের নিয়ে যেতে চায়নি।
সুমনের আর ভাই বোন নেই।মা কাবেরী আধা শহরের মেয়ে।প্রেম নয়,বাবা মার পছন্দে সুকুমারের সাথে নেগোসিয়েশন ম্যারেজ কাবেরীর।
এখন বাবার চাকরির কারণেই নানা ছোট বড় শহরে বছরের পর বছর কাটলেও বাইরের কাজে কাবেরী তেমন পোক্ত নয়।বাড়ি থেকে তেমন বেরোয়ই না।ঐ বাড়ির আসে পাশে দু একটা বাড়িতে সমবয়সী বা কাবেরীর মায়ের বয়সী মহিলাদের সাথে গল্প করতে যায় কখনো সখনও।
এতোকাল সুকুমারই বাইরের সব কাজ করেছে।তাই কাবেরীও কিচ্ছু শিখতে চায়নি।
ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি সব্জি,মাছ নিয়ে ঘোরে যারা তাদের থেকেই কেনাকাটা করে।দু একবার ব্যাঙ্ক,পোষ্ট অফিস গিয়েছে বটে,তাও সুমনকে সঙ্গে নিয়ে।এখনো ব্যাঙ্কে সই করতে গেলে হাত কাঁপে।ATM থেকে সুমনকেই টাকা তুলে আনতে হয়।
কে বলবে কাবেরী history তে মাস্টার ডিগ্রি।সুকুমারের আপত্তিতেই চাকরির চেষ্টা করেনি কাবেরী। বিয়ের পর পরই সুকুমার বলেছিলো দুজন চাকরি করলে সন্তান মানুষ হয় না।সন্তানের আসল শিক্ষক তার মা।কাবেরীও সুকুমারের কথা মেনে নিয়েছিল ।
আসলে সুকুমারের কি আসতে ইচ্ছে করে না?করে,কিন্তু জলপাইগুড়ি থেকে তমলুক যে অনেকটা। যেতে আসতে প্রায় তিনদিন।
জলপাইগুড়িতে World bank এর project এ একটা কাজ চলছে।Time bound project ।ছুটি নিলেই লেবাররা ফাঁকি দেবে।project শেষ করতে দেরী হলে প্রথমেই শো কজ নোটিস আসবে সুকুমার মুখার্জির হাতে ।তাই ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই মোটেই।
তমলুক,মানে মেদিনীপুরে ট্রান্সফারটা নিযেছিলো সুকুমার অফিসার্স ইউনিয়নের দাদাদের ধরে।বারাসাত থেকে ট্রান্সফার হয়েছিল আসলে কাকদ্বীপে।ওখানে সুমনের পড়াশোনা ভালো হবে না।তুলনায় মেদিনীপুরের কলেজগুলোর মান ভালো। ছেলের পড়াশোনার কারণেই কাজটা প্রায় সহজেই হয়ে গেছিলো ।
এবার ট্রান্সফার ঠেকাতে দাদাদের কাছে আর যায়নি সুকুমার।জানতো নেতারা বার বার তার আবদার রাখবে না।
বাবা নেই আজ আট মাস হয়ে গেল।সুমনের বাবা সুকুমার মাঝারী মাপের সরকারী অফিসার।অ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।বদলির চাকরি।এতোকাল যেখানেই ট্রান্সফার হয়েছে সুমনদের নিয়েই গেছে,সেখানকার কলেজেই ভর্তি করেছে সুমনকে ,নিজের পদমর্যাদার সুবাদে।
চার বছর ধরে সুমন এখনকার কলেজেই পড়ছে। সামনে সুমনের বারো ক্লাসের ফাইনাল। যদিও কলেজ এখন হচ্ছে না তবু নতুন জায়গায় মনসংযোগের ব্যাঘাত ঘটবে বলেই সুকুমার ওদের নিয়ে যেতে চায়নি।
সুমনের আর ভাই বোন নেই।মা কাবেরী আধা শহরের মেয়ে।প্রেম নয়,বাবা মার পছন্দে সুকুমারের সাথে নেগোসিয়েশন ম্যারেজ কাবেরীর।
এখন বাবার চাকরির কারণেই নানা ছোট বড় শহরে বছরের পর বছর কাটলেও বাইরের কাজে কাবেরী তেমন পোক্ত নয়।বাড়ি থেকে তেমন বেরোয়ই না।ঐ বাড়ির আসে পাশে দু একটা বাড়িতে সমবয়সী বা কাবেরীর মায়ের বয়সী মহিলাদের সাথে গল্প করতে যায় কখনো সখনও।
এতোকাল সুকুমারই বাইরের সব কাজ করেছে।তাই কাবেরীও কিচ্ছু শিখতে চায়নি।
ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি সব্জি,মাছ নিয়ে ঘোরে যারা তাদের থেকেই কেনাকাটা করে।দু একবার ব্যাঙ্ক,পোষ্ট অফিস গিয়েছে বটে,তাও সুমনকে সঙ্গে নিয়ে।এখনো ব্যাঙ্কে সই করতে গেলে হাত কাঁপে।ATM থেকে সুমনকেই টাকা তুলে আনতে হয়।
কে বলবে কাবেরী history তে মাস্টার ডিগ্রি।সুকুমারের আপত্তিতেই চাকরির চেষ্টা করেনি কাবেরী। বিয়ের পর পরই সুকুমার বলেছিলো দুজন চাকরি করলে সন্তান মানুষ হয় না।সন্তানের আসল শিক্ষক তার মা।কাবেরীও সুকুমারের কথা মেনে নিয়েছিল ।
আসলে সুকুমারের কি আসতে ইচ্ছে করে না?করে,কিন্তু জলপাইগুড়ি থেকে তমলুক যে অনেকটা। যেতে আসতে প্রায় তিনদিন।
জলপাইগুড়িতে World bank এর project এ একটা কাজ চলছে।Time bound project ।ছুটি নিলেই লেবাররা ফাঁকি দেবে।project শেষ করতে দেরী হলে প্রথমেই শো কজ নোটিস আসবে সুকুমার মুখার্জির হাতে ।তাই ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই মোটেই।
তমলুক,মানে মেদিনীপুরে ট্রান্সফারটা নিযেছিলো সুকুমার অফিসার্স ইউনিয়নের দাদাদের ধরে।বারাসাত থেকে ট্রান্সফার হয়েছিল আসলে কাকদ্বীপে।ওখানে সুমনের পড়াশোনা ভালো হবে না।তুলনায় মেদিনীপুরের কলেজগুলোর মান ভালো। ছেলের পড়াশোনার কারণেই কাজটা প্রায় সহজেই হয়ে গেছিলো ।
এবার ট্রান্সফার ঠেকাতে দাদাদের কাছে আর যায়নি সুকুমার।জানতো নেতারা বার বার তার আবদার রাখবে না।