27-11-2021, 11:58 AM
*জাঙিয়া কাহিনী*
এখন হাফপ্যান্টেও চেন থাকে, আমাদের বোতাম ছিল। তিন বোতামের এক আধটা খসে যেত প্রায় প্রায়। কলেজ যাওয়ার ঠিক আগে সে শূন্যস্থান আবিষ্কার হতেই, শাঁখা থেকে সেফটিপিন খুলে মা টেঁকে দিত ততক্ষণাৎ। একদিন অফিস ফেরত বাবা হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন - "এখন থেকে এটা পরবে।" আস্ত একখানা নতুন জাঙিয়া....!!!!!
এর আগে লুকিয়ে চুরিয়ে বাবার জাঙিয়া পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নেচেছি। নাচতে গিয়ে দেখেছি সবই নাচছে। মন খারাপ হয়েছে খুব। এই প্রথম নিজের সাইজের টাইট ফিটিং একখান জাঙিয়া হাতে পেয়ে যারপরনাই শ্লাঘা অনুভব করলুম। বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতায় দু'চোখ ভরে এলো। বুঝতে পারলুম বায়োলজিকাল কারণেই আমার সমস্যাটা বাবা বুঝেছে, মায়ের বোঝার কথা নয়। আরো বুঝলুম, সেফটিপিন যাতে ফুটে না যায় সেজন্যই ছেলেরা জাঙিয়া পরে, পরতে হয়..!
বোতাম থেকে চেনে উত্তীর্ণ ক্লাস সেভেনে, ফুলপ্যান্ট। খাকি প্যান্টের নীচে লাল জাঙিয়া। ক্লাস এইটে জীবনবিজ্ঞান শিক্ষক বীরেন বাবু ফুলেদের পরাগমিলন, আর ব্যাঙেদের যৌনজীবনের চ্যাপ্টার সবে শেষ করেছেন। কিন্তু ফুল বা ব্যাঙ কেউই জাঙিয়া পরে না। জাঙিয়া পরার প্রকৃত কারণ জলের মতো পরিষ্কার হলো পটলাদার পাল্লায় - "তাহলে কী বুঝলি, এ হলো উত্থান পতনের বিজ্ঞান..! উত্থানে শৌর্য, পতনে বীর্য..!"
''জাঙিয়া পরার রহস্য উন্মোচন.. এসব আজ ছেলেমানুষি মনে হয় ভায়া'' - হরিপদদা বিড়ি ধরালেন। "আসলে জাঙিয়া পরা নয়, জাঙিয়া ছাড়ার রহস্যটাই বুঝি জীবনের গল্প..! বাবাকে দেখেছি আজীবন নিজের জাঙিয়া নিজে হাতে কাচতে, তারে মেলতে, শুকোতে দিতে। তারপর জাঙিয়া ছেড়ে দিলেন। তারে শুকোতো সাদা সুতির ঘের দেওয়া আন্ডারওয়্যার..! সেও গেল সময়ে। শেষদিকে ক্যাথিটার.. পাতলা চাদর। কাঠের চিতায় সুতোটি নেই। যেমন এসেছিলেন, তেমনি চলে গেলেন। রইল পরে চশমা, লাঠি, জামা, পাজামা, সেভিং সেট আর... জাঙিয়া...!"
এখন হাফপ্যান্টেও চেন থাকে, আমাদের বোতাম ছিল। তিন বোতামের এক আধটা খসে যেত প্রায় প্রায়। কলেজ যাওয়ার ঠিক আগে সে শূন্যস্থান আবিষ্কার হতেই, শাঁখা থেকে সেফটিপিন খুলে মা টেঁকে দিত ততক্ষণাৎ। একদিন অফিস ফেরত বাবা হাতে একটা প্যাকেট ধরিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন - "এখন থেকে এটা পরবে।" আস্ত একখানা নতুন জাঙিয়া....!!!!!
এর আগে লুকিয়ে চুরিয়ে বাবার জাঙিয়া পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নেচেছি। নাচতে গিয়ে দেখেছি সবই নাচছে। মন খারাপ হয়েছে খুব। এই প্রথম নিজের সাইজের টাইট ফিটিং একখান জাঙিয়া হাতে পেয়ে যারপরনাই শ্লাঘা অনুভব করলুম। বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতায় দু'চোখ ভরে এলো। বুঝতে পারলুম বায়োলজিকাল কারণেই আমার সমস্যাটা বাবা বুঝেছে, মায়ের বোঝার কথা নয়। আরো বুঝলুম, সেফটিপিন যাতে ফুটে না যায় সেজন্যই ছেলেরা জাঙিয়া পরে, পরতে হয়..!
বোতাম থেকে চেনে উত্তীর্ণ ক্লাস সেভেনে, ফুলপ্যান্ট। খাকি প্যান্টের নীচে লাল জাঙিয়া। ক্লাস এইটে জীবনবিজ্ঞান শিক্ষক বীরেন বাবু ফুলেদের পরাগমিলন, আর ব্যাঙেদের যৌনজীবনের চ্যাপ্টার সবে শেষ করেছেন। কিন্তু ফুল বা ব্যাঙ কেউই জাঙিয়া পরে না। জাঙিয়া পরার প্রকৃত কারণ জলের মতো পরিষ্কার হলো পটলাদার পাল্লায় - "তাহলে কী বুঝলি, এ হলো উত্থান পতনের বিজ্ঞান..! উত্থানে শৌর্য, পতনে বীর্য..!"
''জাঙিয়া পরার রহস্য উন্মোচন.. এসব আজ ছেলেমানুষি মনে হয় ভায়া'' - হরিপদদা বিড়ি ধরালেন। "আসলে জাঙিয়া পরা নয়, জাঙিয়া ছাড়ার রহস্যটাই বুঝি জীবনের গল্প..! বাবাকে দেখেছি আজীবন নিজের জাঙিয়া নিজে হাতে কাচতে, তারে মেলতে, শুকোতে দিতে। তারপর জাঙিয়া ছেড়ে দিলেন। তারে শুকোতো সাদা সুতির ঘের দেওয়া আন্ডারওয়্যার..! সেও গেল সময়ে। শেষদিকে ক্যাথিটার.. পাতলা চাদর। কাঠের চিতায় সুতোটি নেই। যেমন এসেছিলেন, তেমনি চলে গেলেন। রইল পরে চশমা, লাঠি, জামা, পাজামা, সেভিং সেট আর... জাঙিয়া...!"