26-11-2021, 12:41 PM
বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে , আর ভেতরে ক্লাস চলছে। ক্লাসচলাকালীন শিক্ষক , ক্লাসে বসে থাকা সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রশ্ন করলেন.....আমি যদি তোমাদের প্রত্যেককে ১০০টাকা করে দিই , তাহলে সেই টাকা নিয়ে তোমরা কে কি কিনবে বলো....কেউ বললো আমি একটা ভালো ক্রিকেটের ব্যাট কিনবো,কেউ বললো চকলেট কিনবো, কেউ বললো ভিডিও গেম কিনবো,কেউ বললো রং পেন্সিল কিনবো.....তখনই স্যারের চোখ গেল মুখ নিচু করে বসে থাকা এক ছাত্রর দিকে।শিক্ষক তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি ভাবছো! তুমি কি কিনবে বলো।ওই ছাত্র নম্র সুরে স্যারকে বললো, স্যার আমার মা চোখে কম দেখে ,তাই আমি আমার মায়ের জন্য একটা ভালো চশমা কিনবো।
স্যার তখন বললেন চশমা তোমার বাবাও কিনে নিয়ে যেতে পারবে! তুমি কি তোমার জন্য কিছুই নেবে না!ওই ছাত্র এমনই উত্তর দিলো! যা শুনে শিক্ষকের চোখ অশ্রুতে ভরে উঠলো।
ছাত্র বললো স্যার অনেকদিন হয়েছে আমার বাবা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে, আর আমার মা কাপড় সেলায় করে আমার পড়াশোনার খরচ আর সংসার চালায়।চোখে কম দেখতে পায় বলে , সেলাইএর কাজ ঠিকমত করতে পারে না, মা এর জন্যে নতুন চশমা এনে দিলে আমি ঠিকমত পড়তে পারবো, আমি শিক্ষিত হয়ে ভালো যায়গায় কাজ পেয়ে মায়ের সকল দু:খ কষ্ট দুর করবো।
এই কথা শুনে শিক্ষক বললেন তোমার সঠিক চিন্তাধারায় হল তোমার উপার্জনের রাস্তা।তাই আমার শর্ত অনুযায়ী আমি তোমাকে ১০০টাকা দিচ্ছি আর তার সাথে আরও ১০০টাকা দিচ্ছি আমার তরফ থেকে ধার হিসাবে তুমি রেখে নাও।তুমি বড় হয়ে যখন উপার্জন করবে, তখন ধার করা টাকাটা আমাকে ফেরত দিয়ে দিও,আমার আরও ইচ্ছা তুমি মানুষের মত মানুষ হও, যাতে আমি তোমার মাথায় হাত রেখে নিজেকে ধন্য মনে করতে পারি।।
১৫ বছর পর.......বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, আর ভেতরে ক্লাস চলছে।ঠিক তখনই জেলা কালেক্টরের গাড়ি এসে থামলো কলেজের গেটের সামনে।সকলে চুপচাপ.....কিন্তু এ কি!
জেলার একজন কালেক্টর এক বৃদ্ধ শিক্ষ্কের পা ছুয়ে প্রনাম জানিয়ে বললো স্যার আমি ...............জীবনানন্দ সরকার।স্যার এই নিন ১০০ টাকা,আপনার দেওয়া সেই টাকা আমি ফেরত দিতে এসেছি।
এই দৃশ্য দেখে সবাই হতভম্ব! কারোর মুখ দিয়ে তখন কোন কথায় বের হচ্ছে না।
সেই বৃদ্ধ শিক্ষক কালেক্টরকে আনন্দে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।।
আমরা যদি মনে করি তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রমের দ্বারা আমাদের ভাগ্যকে লিখে দিতে পারি, আর তা যদি না পারি তাহলে পরিস্থিতি আমাদের সেই ভাগ্য লিখে দিতে সাহায্য করে।।।
সংগৃহীত
স্যার তখন বললেন চশমা তোমার বাবাও কিনে নিয়ে যেতে পারবে! তুমি কি তোমার জন্য কিছুই নেবে না!ওই ছাত্র এমনই উত্তর দিলো! যা শুনে শিক্ষকের চোখ অশ্রুতে ভরে উঠলো।
ছাত্র বললো স্যার অনেকদিন হয়েছে আমার বাবা এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে, আর আমার মা কাপড় সেলায় করে আমার পড়াশোনার খরচ আর সংসার চালায়।চোখে কম দেখতে পায় বলে , সেলাইএর কাজ ঠিকমত করতে পারে না, মা এর জন্যে নতুন চশমা এনে দিলে আমি ঠিকমত পড়তে পারবো, আমি শিক্ষিত হয়ে ভালো যায়গায় কাজ পেয়ে মায়ের সকল দু:খ কষ্ট দুর করবো।
এই কথা শুনে শিক্ষক বললেন তোমার সঠিক চিন্তাধারায় হল তোমার উপার্জনের রাস্তা।তাই আমার শর্ত অনুযায়ী আমি তোমাকে ১০০টাকা দিচ্ছি আর তার সাথে আরও ১০০টাকা দিচ্ছি আমার তরফ থেকে ধার হিসাবে তুমি রেখে নাও।তুমি বড় হয়ে যখন উপার্জন করবে, তখন ধার করা টাকাটা আমাকে ফেরত দিয়ে দিও,আমার আরও ইচ্ছা তুমি মানুষের মত মানুষ হও, যাতে আমি তোমার মাথায় হাত রেখে নিজেকে ধন্য মনে করতে পারি।।
১৫ বছর পর.......বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, আর ভেতরে ক্লাস চলছে।ঠিক তখনই জেলা কালেক্টরের গাড়ি এসে থামলো কলেজের গেটের সামনে।সকলে চুপচাপ.....কিন্তু এ কি!
জেলার একজন কালেক্টর এক বৃদ্ধ শিক্ষ্কের পা ছুয়ে প্রনাম জানিয়ে বললো স্যার আমি ...............জীবনানন্দ সরকার।স্যার এই নিন ১০০ টাকা,আপনার দেওয়া সেই টাকা আমি ফেরত দিতে এসেছি।
এই দৃশ্য দেখে সবাই হতভম্ব! কারোর মুখ দিয়ে তখন কোন কথায় বের হচ্ছে না।
সেই বৃদ্ধ শিক্ষক কালেক্টরকে আনন্দে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।।
আমরা যদি মনে করি তাহলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আর পরিশ্রমের দ্বারা আমাদের ভাগ্যকে লিখে দিতে পারি, আর তা যদি না পারি তাহলে পরিস্থিতি আমাদের সেই ভাগ্য লিখে দিতে সাহায্য করে।।।
সংগৃহীত