25-11-2021, 06:09 PM
ওদিকে অমর সাজিদকে ঢুকতে দেখে তড়াক করে লাফিয়ে উঠল ।
-‘কী হল সাজিদদা?
-কী আর হবে? সব সেট আছে । এখন শুধু কর্নেল বুড়োর সিগনাল এর অপেক্ষা কর ।
অমর কটু বিব্রত হয়ে বলে –‘সাজিদদা আমি তো আগে এসব করিনি। আমাকে একটু হেল্প করবে!’
-নিশ্চয় । সবাই সবাইকে হেল্প করতে হবে। তবে কী জান, ওই বুড়ো কে আগে দিতে হবে, সীল তো ওই কাটবে! আমরা অবশিষ্ট পাব।
-সাজিদ!
কর্নেলএর গুরু গম্ভীর ডাকে সাজিদ দৌড়ে ও ঘরে যায় –‘স্যার ডেকেছেন!’
কর্নেল বললেন –সুমিতা, আজ তোমাকে একটা জরুরী দরকারেও তলব করলাম’।
সুমিতা উত্সুক দৃষ্টিতে মুখ তুলে তাকায়।
কর্নেল তার বিপ্প্দ্যানক খেলাটা শুরু করলেন।
-‘সাজিদ ওগুলো দে।‘ সাজিদ কাপা কাপা হাতে ছবির প্যাকেটটা তুলে দেয় কর্নেলকে। নিজেকে যতটা সম্ভব গম্ভীর করে তিনি বলে চলেন
-‘সুমিতা, তোমাকে আমি একটি অত্যন্ত ভাল ছাত্রী বা মেয়ে বলেই জানতাম । কিন্তু সোজাসুজি বলি আমি তোমার প্রতি একটু মনক্ষুণ্ণ হয়েছি।
সুমিতা হঠাত্* ভিষণ ভাবে ধাক্কা খেল। স্যার কী বলেছেন! শালীনতা, ভদ্রতা, নম্রতা, অমায়িক ব্যবহার ইত্যাদি বৈশিষ্টর জন্য আজমপুরে সুমিতাকে সবাই চেনে। বিশেষ করে স্যার তো সুমিতাকে ছাত্রদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন ওর ব্যাবহারের জন্য। আজ কী হল! ওর বুক ভয়ে, দুখ্যে কেপে ওঠে । আমতা আমতা করে বলে –‘স্যার কী হয়েছে! কেন এই কথা বললেন...’
ওর কথা কেড়ে নিয়ে কর্নল ওর দিকে ছবির প্যাকেটটা ছুড়ে দিয়ে বলেন
–এগুলো কী?
সুমিতা তাড়াতাড়ি ছবির প্যাকেটটা খুলে দেখতে থাকে । মূহুর্তে ওর ফর্সা মুখটা যেন আবিররঙ হয়ে যায়। ওর হাত কাপতে থাকে থরথর করে। কোনও মতে নিজেকে সংযত করে বলে –স্যার আ... আ...আমি ঠিক জানি না ...কী ভাবে... স্যার আমার ছবি! কোনও মতে এই কথাকটা বলতে বলতে ওর চোখ ছলছল করে ওঠে।
কর্ণল বলে চলেন-‘ছবি গুলো তুমি উঠিয়েছ। তাই নয় কী? কেন উঠিয়েছ?’
সুমিতা হাত জোর করে বলে –‘স্যার বিশ্বাস করুন কখন এই ছবি গুলো উঠল আমি জানি না।‘
কর্ণল ব্যাপারটা দারুন উপভোগ করতে করতে বুঝলেন সমস্ত ব্যাপারটার কনট্রোল তার হাতে এসে গেছে।
তিনি বললেন –‘তুমি না তো কে? আর কে আছে বাড়িতে। সাজিদ। তুই?
সাজিদ কোনও রকম ভণিতা না করে বলল –হ্যা স্যার আমি।
সুমিতা ভয়ার্ত, জিজ্ঞাসু আর অবাক দৃষ্টিতে থাকলো সাজিদের দিকে ! তারপর চিত্কার করে উঠল –‘কেন সাজিদদা কেন? আমার এই সর্বনাশ কেন করলে তুমি?’
সাজিদ কোনও উত্তর দিল না।
-আমি সব বুঝি, এসব ছবি ভাল দামে বিক্রি হয়, পয়সা কামবার সোজা রাস্তা ধরেছ তুমি, সাজিদভাই!’ কর্নেল বললেন । সাজিদ এবার কোনও উত্তর দিল না।
কর্নেল এবার খুব ধীর ও গম্ভীর স্বরে বললেন –‘আমি কিছু জানি না, সুমিতা যেহেতু ছবি গুলো তোমারএবং তুমি যদি চাও এগুলো বাজারে না যাক, তবে তোমায় আমার কাছে শাস্তি পেতে হবে।‘
সুমিতা স্যারের পায়ের কাছে এসে বসে বলে –‘স্যার যা ইচ্ছে শাস্তি দিন। শুধু আমাকে এসবের থেকে বাচান।‘
-সাজিদ তুই আমার কাছে এই চেয়ারটাতে বোস আর ওই ছেলেটাকে ডাক।
-‘কী হল সাজিদদা?
-কী আর হবে? সব সেট আছে । এখন শুধু কর্নেল বুড়োর সিগনাল এর অপেক্ষা কর ।
অমর কটু বিব্রত হয়ে বলে –‘সাজিদদা আমি তো আগে এসব করিনি। আমাকে একটু হেল্প করবে!’
-নিশ্চয় । সবাই সবাইকে হেল্প করতে হবে। তবে কী জান, ওই বুড়ো কে আগে দিতে হবে, সীল তো ওই কাটবে! আমরা অবশিষ্ট পাব।
-সাজিদ!
কর্নেলএর গুরু গম্ভীর ডাকে সাজিদ দৌড়ে ও ঘরে যায় –‘স্যার ডেকেছেন!’
কর্নেল বললেন –সুমিতা, আজ তোমাকে একটা জরুরী দরকারেও তলব করলাম’।
সুমিতা উত্সুক দৃষ্টিতে মুখ তুলে তাকায়।
কর্নেল তার বিপ্প্দ্যানক খেলাটা শুরু করলেন।
-‘সাজিদ ওগুলো দে।‘ সাজিদ কাপা কাপা হাতে ছবির প্যাকেটটা তুলে দেয় কর্নেলকে। নিজেকে যতটা সম্ভব গম্ভীর করে তিনি বলে চলেন
-‘সুমিতা, তোমাকে আমি একটি অত্যন্ত ভাল ছাত্রী বা মেয়ে বলেই জানতাম । কিন্তু সোজাসুজি বলি আমি তোমার প্রতি একটু মনক্ষুণ্ণ হয়েছি।
সুমিতা হঠাত্* ভিষণ ভাবে ধাক্কা খেল। স্যার কী বলেছেন! শালীনতা, ভদ্রতা, নম্রতা, অমায়িক ব্যবহার ইত্যাদি বৈশিষ্টর জন্য আজমপুরে সুমিতাকে সবাই চেনে। বিশেষ করে স্যার তো সুমিতাকে ছাত্রদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালবাসেন ওর ব্যাবহারের জন্য। আজ কী হল! ওর বুক ভয়ে, দুখ্যে কেপে ওঠে । আমতা আমতা করে বলে –‘স্যার কী হয়েছে! কেন এই কথা বললেন...’
ওর কথা কেড়ে নিয়ে কর্নল ওর দিকে ছবির প্যাকেটটা ছুড়ে দিয়ে বলেন
–এগুলো কী?
সুমিতা তাড়াতাড়ি ছবির প্যাকেটটা খুলে দেখতে থাকে । মূহুর্তে ওর ফর্সা মুখটা যেন আবিররঙ হয়ে যায়। ওর হাত কাপতে থাকে থরথর করে। কোনও মতে নিজেকে সংযত করে বলে –স্যার আ... আ...আমি ঠিক জানি না ...কী ভাবে... স্যার আমার ছবি! কোনও মতে এই কথাকটা বলতে বলতে ওর চোখ ছলছল করে ওঠে।
কর্ণল বলে চলেন-‘ছবি গুলো তুমি উঠিয়েছ। তাই নয় কী? কেন উঠিয়েছ?’
সুমিতা হাত জোর করে বলে –‘স্যার বিশ্বাস করুন কখন এই ছবি গুলো উঠল আমি জানি না।‘
কর্ণল ব্যাপারটা দারুন উপভোগ করতে করতে বুঝলেন সমস্ত ব্যাপারটার কনট্রোল তার হাতে এসে গেছে।
তিনি বললেন –‘তুমি না তো কে? আর কে আছে বাড়িতে। সাজিদ। তুই?
সাজিদ কোনও রকম ভণিতা না করে বলল –হ্যা স্যার আমি।
সুমিতা ভয়ার্ত, জিজ্ঞাসু আর অবাক দৃষ্টিতে থাকলো সাজিদের দিকে ! তারপর চিত্কার করে উঠল –‘কেন সাজিদদা কেন? আমার এই সর্বনাশ কেন করলে তুমি?’
সাজিদ কোনও উত্তর দিল না।
-আমি সব বুঝি, এসব ছবি ভাল দামে বিক্রি হয়, পয়সা কামবার সোজা রাস্তা ধরেছ তুমি, সাজিদভাই!’ কর্নেল বললেন । সাজিদ এবার কোনও উত্তর দিল না।
কর্নেল এবার খুব ধীর ও গম্ভীর স্বরে বললেন –‘আমি কিছু জানি না, সুমিতা যেহেতু ছবি গুলো তোমারএবং তুমি যদি চাও এগুলো বাজারে না যাক, তবে তোমায় আমার কাছে শাস্তি পেতে হবে।‘
সুমিতা স্যারের পায়ের কাছে এসে বসে বলে –‘স্যার যা ইচ্ছে শাস্তি দিন। শুধু আমাকে এসবের থেকে বাচান।‘
-সাজিদ তুই আমার কাছে এই চেয়ারটাতে বোস আর ওই ছেলেটাকে ডাক।