21-11-2021, 03:59 PM
৭:৩০ বেজে গেছে । খুব আশ্চর্য লাগলো যখন দেখলাম কাজল পিসি মন দিয়ে একটা ডাইরি তে লিখে নিচ্ছেন যা যা বলাই বাবু বুঝিয়ে যাচ্ছেন । মন টা হালকা লাগলো । দেখা যাক মা মেয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় ।
নয়না কে ইশারা করলাম মা কে বলার জন্য । আমার সাথে বাড়ি যাবে । তার পর কি ভেবে আমি নিজেই এগিয়ে গেলাম ।
" বলাই বাবু আজ থাক যান অনেক রাত হলো , আপনি আসুন আমার সাথে ।"
একটু আড়ালে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম " কি বুঝলেন ,পারবে তো নাকি ডিসিশান টাই খেলো হয়ে গেলো !"
বলাইবাবু: না রিহান স্যার , এক দম ঠিকই সিদ্ধান্ত হয়েছে , পাই পয়সার হিসাব রাখতে জানেন , তবে নতুন, এর আগে অফিস কালচার বোধ হয় দেখেন নি !
আমি: বেশ আপনি চেষ্টা করুন !
দুজন কে সঙ্গে করে বাড়ি ফিরে গেলাম । দুজনেই কেউ কিছু কথা বললো না । কিন্তু নয়ন শুধু বললো " দাদা সামনের শনিবার একটু নিউমার্কেটের যেতে হবে আমার কিছু মেয়েদের পোশাক কেনার আছে ।" আমি বললাম আসুক শনিবার তার পর আমি ব্যবস্থা করবো । দীনেশ ড্রাইভার কে সঙ্গে নিয়ে তুমি চলে যেও । তার পর মনে পড়লো বণিকের কথা । ঠিক আছে , পরে ধীরে সুস্থে কথা বলা যাবে খাবার টেবিলে ।
" ওমা আমার কলি কেষ্ট এসে গেছে , এক দিকে রুক্মিণী , অন্য দিকে সত্যভামা , হায় রে পোড়া মন আমার রাধা !" বিদিশা দরজা খুলে টোন কাটলো । দুজনেই তাড়াতাড়ি জামা কাপড় ছেড়ে লেগে পড়লো বিদিশার কাজে । কিন্তু বিদিশার আজও রান্না শেষ । ডাইনিং রুম-এ বসে , বসতে বললাম দুজন কে আমার সামনে । মা মেয়ে দুজনেই বসলো আমার সামনে । মা মেয়ের কথা প্রায় নেই বললেই চলে । আসলে চুলোচুলির পর থেকে দুজনের দূরত্ব যেন বেড়ে গেছে এক ঝটকায় অনেকটা ।
বিদিশা টুকি টাকি কাজ করতে করতে শুনতে চাইছিলো আমার কথা । " একটু জোরে বোলো আমিও শুনবো , এক সতীন এসেছে এবার কি দ্বিতীয় সতীন আনবার প্ল্যান করছো ? "
আমি বিদিশার কথা এড়িয়ে গেলাম ।
আমি: " এখন তোমরা সুরক্ষিত মনে করছো ?"
মা মেয়ে দুজনেই মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানালো ।
আমি: " নাঃ তোমরা সুরক্ষিত নও !"
নয়ন: কেন এমন বলছো ? আমরা সবই তো মেনে নিয়েছি যা যা তুমি বলেছো !
আমি: হ্যাঁ কিন্তু বাইরের জগতে তুমি এর আগে যা জীবন কাটিয়েছো তার রেশ আসবে বৈকি !
নয়ন: যেমন ?
আমি: যেমন সিধু রাওয়াত, জাভেদ ইকবাল , বণিক আর প্রবীর রায় এর মতো অবস্থাপন্ন ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়েছো !
যদিও সুদ সমেত টাকা ফেরত দিয়ে দিচ্ছ ! কিন্তু বণিকের সাথে তোমার শারীরিক সম্বন্ধ ছিল ! আর তুমি এটা জানলে আশ্চর্য হবে যে কাজল পিসির সিধু রাওয়াত এর সাথে রীতিমতো প্রায়ই যোগাযোগ ছিল ।
" কি আপনি সে কথা অস্বীকার করতে পারেন ?" কাজল পিসি কে প্রশ্ন করলাম ।
কোনো উত্তর আসলো না , কাজল পিসি চোরের মতো মাথা নিচু করে ডাইনিং টেবিলের প্লাষ্টিক টা খুঁটতে লাগলো ।
নয়না কে ইশারা করলাম মা কে বলার জন্য । আমার সাথে বাড়ি যাবে । তার পর কি ভেবে আমি নিজেই এগিয়ে গেলাম ।
" বলাই বাবু আজ থাক যান অনেক রাত হলো , আপনি আসুন আমার সাথে ।"
একটু আড়ালে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম " কি বুঝলেন ,পারবে তো নাকি ডিসিশান টাই খেলো হয়ে গেলো !"
বলাইবাবু: না রিহান স্যার , এক দম ঠিকই সিদ্ধান্ত হয়েছে , পাই পয়সার হিসাব রাখতে জানেন , তবে নতুন, এর আগে অফিস কালচার বোধ হয় দেখেন নি !
আমি: বেশ আপনি চেষ্টা করুন !
দুজন কে সঙ্গে করে বাড়ি ফিরে গেলাম । দুজনেই কেউ কিছু কথা বললো না । কিন্তু নয়ন শুধু বললো " দাদা সামনের শনিবার একটু নিউমার্কেটের যেতে হবে আমার কিছু মেয়েদের পোশাক কেনার আছে ।" আমি বললাম আসুক শনিবার তার পর আমি ব্যবস্থা করবো । দীনেশ ড্রাইভার কে সঙ্গে নিয়ে তুমি চলে যেও । তার পর মনে পড়লো বণিকের কথা । ঠিক আছে , পরে ধীরে সুস্থে কথা বলা যাবে খাবার টেবিলে ।
" ওমা আমার কলি কেষ্ট এসে গেছে , এক দিকে রুক্মিণী , অন্য দিকে সত্যভামা , হায় রে পোড়া মন আমার রাধা !" বিদিশা দরজা খুলে টোন কাটলো । দুজনেই তাড়াতাড়ি জামা কাপড় ছেড়ে লেগে পড়লো বিদিশার কাজে । কিন্তু বিদিশার আজও রান্না শেষ । ডাইনিং রুম-এ বসে , বসতে বললাম দুজন কে আমার সামনে । মা মেয়ে দুজনেই বসলো আমার সামনে । মা মেয়ের কথা প্রায় নেই বললেই চলে । আসলে চুলোচুলির পর থেকে দুজনের দূরত্ব যেন বেড়ে গেছে এক ঝটকায় অনেকটা ।
বিদিশা টুকি টাকি কাজ করতে করতে শুনতে চাইছিলো আমার কথা । " একটু জোরে বোলো আমিও শুনবো , এক সতীন এসেছে এবার কি দ্বিতীয় সতীন আনবার প্ল্যান করছো ? "
আমি বিদিশার কথা এড়িয়ে গেলাম ।
আমি: " এখন তোমরা সুরক্ষিত মনে করছো ?"
মা মেয়ে দুজনেই মাথা নেড়ে হ্যাঁ জানালো ।
আমি: " নাঃ তোমরা সুরক্ষিত নও !"
নয়ন: কেন এমন বলছো ? আমরা সবই তো মেনে নিয়েছি যা যা তুমি বলেছো !
আমি: হ্যাঁ কিন্তু বাইরের জগতে তুমি এর আগে যা জীবন কাটিয়েছো তার রেশ আসবে বৈকি !
নয়ন: যেমন ?
আমি: যেমন সিধু রাওয়াত, জাভেদ ইকবাল , বণিক আর প্রবীর রায় এর মতো অবস্থাপন্ন ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা নিয়েছো !
যদিও সুদ সমেত টাকা ফেরত দিয়ে দিচ্ছ ! কিন্তু বণিকের সাথে তোমার শারীরিক সম্বন্ধ ছিল ! আর তুমি এটা জানলে আশ্চর্য হবে যে কাজল পিসির সিধু রাওয়াত এর সাথে রীতিমতো প্রায়ই যোগাযোগ ছিল ।
" কি আপনি সে কথা অস্বীকার করতে পারেন ?" কাজল পিসি কে প্রশ্ন করলাম ।
কোনো উত্তর আসলো না , কাজল পিসি চোরের মতো মাথা নিচু করে ডাইনিং টেবিলের প্লাষ্টিক টা খুঁটতে লাগলো ।