20-11-2021, 09:58 PM
সুবর্ণরেখা ঢুকলো নয়ন বেরিয়ে যাবার পর ।
রূপরেখার বোন সুবর্ণ রেখা , আমাদের একাউন্ট্যান্ট ছিল অরূপেরই কলিগ । বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর শশুরবাড়ি কাজ করতে দে নি , খুব সুন্দরী ছিল , আর বিত্তবান বলে দরকার হয় নি । কিন্তু যাবার আগে রূপরেখাই বলেছিলো যদি তার বোন কে সুযোগ দেয়া হয় । খুব দায়িত্ববতী এই মেয়েটি । এক pF গ্রাচুইটি সব কিছু দেখে দেয় ।
" দাদা আমিও চাই থাকতে কিন্তু হবে না , নিউ বর্ন বেবি , ৯ মাস "
আমার মনে পড়ে গেলো " হ্যাঁ তাই তো , হ্যাঁ যা তোর আসার দরকার নেই !"
সুবর্ণরেখা: রাগ করবেন না যেন , বলাই বাবু বললেন যে উনি একই সামলে দেবেন ।
আমি বললাম " ওরে বাবা যা তুই যা , আমি বুঝে নেবো !"
সত্যি যেন দিন টা ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কাটলো । ইস্তিয়াক এর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে প্ল্যান করলাম প্রোডাকশন কি করে বাড়ানো যায় । কত মজুর লাগবে । মেমোরি বেশি করে যেতে হবে আমাদের দফায় দফায় । তাহলে মেমরির অফিস এর উপর চাপ বাড়বে । নিশিকান্ত প্রোডাক্সন সুপারভাইসর , মেমরি থেকে ডেকে পাঠালাম হেড অফিসে ।
" রিহান " বলে থেমে গিয়ে 'স্যার ' মনি দেখা করতে চায় । কাজল পিসি মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো । ইস্তিয়াক মুচকি হাসলো ।
আমি: হ্যাঁ ভিতরে আসতে বলুন ।
কাজল পিসি কে দিয়ে অফিস পরিষ্কার করার কাজ করাবো না । তাই মনি কে ডাকা । মেমরির খোকন কে দিয়ে আমার চিন্তা নেই কিন্তু এই অফিসে কাজের লক যেন টিকতেই চায় না ।
সুভাষ এক নম্বরের ফাঁকিবাজ আজ ব্যাটা ছুটি করেছে ।
মনি ঘরে ঢুকলো । বয়স ৩২ হবে , স্বামী ছেড়ে গেছে তার । কিন্তু কাজ তার খুবই ভালো ।
আমি: " কিরে মনি , তুই কাজ খুজছিস না?"
মনি: হ্যাঁ সার , এখন থেকে ছেড়ে যাবার পর যে কাজ ধরেছিলাম বাবুদের অফিস উঠে গেছে ! ওখানে ফুলু আমার ভাই আর আমি কাজ করতাম । নয়না ম্যাডাম বললো আপনি দেখা করতে চান কাজ আছে ।
আমি: কাজ তো আছে কিন্তু আবার ছেড়ে যাবি তো ?
মনি: না সার ছেড়ে যাবো কোথায় ছেলে ইকলেজে , খাবো কি ছেড়ে গেলে
আমি: বেশ ওখানে যা পেতি তাই দেব, যা বলাই বাবু কে আমার নাম করে বল তোর টাকার কথা লিখে আমায় মেমো করে দিতে ।
মনি বেরিয়ে গেলো ।
ইস্তিয়াক: আপনার বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারলাম না দাদা ।
আমি: কেন ইস্তিয়াক এমন বলছো !
ইস্তিয়াক: আপনি আগুনের জায়গায় গুড় দিয়ে পিঁপড়ে মারলেন !
আমি: হাহাহাহাহাহা ইউ ব্লাডি বেহেনচোদ ! শোন ওদের লোন এর টাকা গুলো তোকে ডিসবার্স করতে হবে বুঝলি , সবার কাছ থেকে পেপার গুলো সাইন করিয়ে আনবি, এই নে লিস্ট ।
ইস্তিয়াক: ভূতের বেগার খাটছি । নয়নার দিকে ইঙ্গিত করে , যদিও নয়না অনেক আগেই বেরিয়ে গেছে আমার ঘর থেকে ।
আমি: উফফ একটু ধৈর্য ধর না ! ধৈর্য ওওওওওওওও
ইস্তিয়াক: ৭ টা বাজে এবার তাহলে আজ্ঞা হোক !
আমি: হ্যাঁ চল আমিও বেরোবো ।
কম্পিউটার লক করে ল্যাপটপ নিয়ে বেরোবো , দেখি নয়না দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে আমার সাথে ফিরবে । সিংহ ভাগ বেরিয়ে গেছে , কাল থেকে অতিরিক্ত দু ঘন্টা থাকবে সবাই জানিয়েও দিয়েছে ইস্তিয়াক কে । নয়না কে নিয়ে আমার অফিসে ফিসফাস একদম হয় না । সবাই জানে আমি ওকে পছন্দ করি না । আজকের সিদ্ধান্তে যদিও সবাই অবাক , কিন্তু আমাকে সবাই শ্রদ্ধা করে তাই নিশ্চয়ই কোনো সন্দেহ নেই যে অনেক ভেবেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি । তাছাড়া নয়না কে নিয়ে হেলদোল নেই অফিসে ওর খারাপ ব্যবহারের জন্য ।
রূপরেখার বোন সুবর্ণ রেখা , আমাদের একাউন্ট্যান্ট ছিল অরূপেরই কলিগ । বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আর শশুরবাড়ি কাজ করতে দে নি , খুব সুন্দরী ছিল , আর বিত্তবান বলে দরকার হয় নি । কিন্তু যাবার আগে রূপরেখাই বলেছিলো যদি তার বোন কে সুযোগ দেয়া হয় । খুব দায়িত্ববতী এই মেয়েটি । এক pF গ্রাচুইটি সব কিছু দেখে দেয় ।
" দাদা আমিও চাই থাকতে কিন্তু হবে না , নিউ বর্ন বেবি , ৯ মাস "
আমার মনে পড়ে গেলো " হ্যাঁ তাই তো , হ্যাঁ যা তোর আসার দরকার নেই !"
সুবর্ণরেখা: রাগ করবেন না যেন , বলাই বাবু বললেন যে উনি একই সামলে দেবেন ।
আমি বললাম " ওরে বাবা যা তুই যা , আমি বুঝে নেবো !"
সত্যি যেন দিন টা ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে কাটলো । ইস্তিয়াক এর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে প্ল্যান করলাম প্রোডাকশন কি করে বাড়ানো যায় । কত মজুর লাগবে । মেমোরি বেশি করে যেতে হবে আমাদের দফায় দফায় । তাহলে মেমরির অফিস এর উপর চাপ বাড়বে । নিশিকান্ত প্রোডাক্সন সুপারভাইসর , মেমরি থেকে ডেকে পাঠালাম হেড অফিসে ।
" রিহান " বলে থেমে গিয়ে 'স্যার ' মনি দেখা করতে চায় । কাজল পিসি মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো । ইস্তিয়াক মুচকি হাসলো ।
আমি: হ্যাঁ ভিতরে আসতে বলুন ।
কাজল পিসি কে দিয়ে অফিস পরিষ্কার করার কাজ করাবো না । তাই মনি কে ডাকা । মেমরির খোকন কে দিয়ে আমার চিন্তা নেই কিন্তু এই অফিসে কাজের লক যেন টিকতেই চায় না ।
সুভাষ এক নম্বরের ফাঁকিবাজ আজ ব্যাটা ছুটি করেছে ।
মনি ঘরে ঢুকলো । বয়স ৩২ হবে , স্বামী ছেড়ে গেছে তার । কিন্তু কাজ তার খুবই ভালো ।
আমি: " কিরে মনি , তুই কাজ খুজছিস না?"
মনি: হ্যাঁ সার , এখন থেকে ছেড়ে যাবার পর যে কাজ ধরেছিলাম বাবুদের অফিস উঠে গেছে ! ওখানে ফুলু আমার ভাই আর আমি কাজ করতাম । নয়না ম্যাডাম বললো আপনি দেখা করতে চান কাজ আছে ।
আমি: কাজ তো আছে কিন্তু আবার ছেড়ে যাবি তো ?
মনি: না সার ছেড়ে যাবো কোথায় ছেলে ইকলেজে , খাবো কি ছেড়ে গেলে
আমি: বেশ ওখানে যা পেতি তাই দেব, যা বলাই বাবু কে আমার নাম করে বল তোর টাকার কথা লিখে আমায় মেমো করে দিতে ।
মনি বেরিয়ে গেলো ।
ইস্তিয়াক: আপনার বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারলাম না দাদা ।
আমি: কেন ইস্তিয়াক এমন বলছো !
ইস্তিয়াক: আপনি আগুনের জায়গায় গুড় দিয়ে পিঁপড়ে মারলেন !
আমি: হাহাহাহাহাহা ইউ ব্লাডি বেহেনচোদ ! শোন ওদের লোন এর টাকা গুলো তোকে ডিসবার্স করতে হবে বুঝলি , সবার কাছ থেকে পেপার গুলো সাইন করিয়ে আনবি, এই নে লিস্ট ।
ইস্তিয়াক: ভূতের বেগার খাটছি । নয়নার দিকে ইঙ্গিত করে , যদিও নয়না অনেক আগেই বেরিয়ে গেছে আমার ঘর থেকে ।
আমি: উফফ একটু ধৈর্য ধর না ! ধৈর্য ওওওওওওওও
ইস্তিয়াক: ৭ টা বাজে এবার তাহলে আজ্ঞা হোক !
আমি: হ্যাঁ চল আমিও বেরোবো ।
কম্পিউটার লক করে ল্যাপটপ নিয়ে বেরোবো , দেখি নয়না দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে আমার সাথে ফিরবে । সিংহ ভাগ বেরিয়ে গেছে , কাল থেকে অতিরিক্ত দু ঘন্টা থাকবে সবাই জানিয়েও দিয়েছে ইস্তিয়াক কে । নয়না কে নিয়ে আমার অফিসে ফিসফাস একদম হয় না । সবাই জানে আমি ওকে পছন্দ করি না । আজকের সিদ্ধান্তে যদিও সবাই অবাক , কিন্তু আমাকে সবাই শ্রদ্ধা করে তাই নিশ্চয়ই কোনো সন্দেহ নেই যে অনেক ভেবেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি । তাছাড়া নয়না কে নিয়ে হেলদোল নেই অফিসে ওর খারাপ ব্যবহারের জন্য ।