17-11-2021, 11:00 AM
বিশাল উঁচু গলায় লম্বা চওড়া একটি লোক । মিস্টার সামান্তা !
স্ট্র্যাডফোর্ড পাস আউট !
জয় মাথা নাড়ালো ।
" আচ্ছা মশাই কলকাতায় মরতে এলেন কেন MS করে , তার উপর রুড়কীর PHD । পয়সা তো কেউ দেয় না মশাই কলকাতায় ।
ক্রেডেনশিয়াল এতো ভারী ! দক্ষিনা কত?
জয় একটু অপ্রস্তুত হয়ে জিজ্ঞাসা করলো " মানে ?"
আরে মশাই অউটস্টান্ডিং রেজাল্ট আপনার , কি আপনাকে এভালুয়েট করবো বলুন তো , মাইনে কি চাই সেটা বলুন পোষালে VP এর কাছে পাঠাবো না হলে আপনি আসুন !
জয়: আপনারা কি দেবেন ?
সরখেল: সাউফার , বাড়ি , সব মিলিয়ে অনুয়াললি ৯ এর মতন প্যাকেজ হবে , ধরুন মাসে ৯০ হাজার হাতে পাবেন ।
জয় বেশ , প্রসিড করুন
তাহলে ওয়েটিং রুমে- বসুন বস এখুনি ফোন করবেন কেমন । উনি ফাইনাল ইটনেরভিউ নেবেন । চাকরি টা পাকা হলে আমায় একটু দেখবেন কেমন । আপনারা হবেন বড়োবাবু ।
ওয়েটিং রুম-এ বসে মাপতে লাগলো জয় অফিস । সামনে রাখা ফোন টা বাজলো ক্রিং ক্রিং ।
ফোন ধরলো জয় ।
প্লিজ কাম টু ভিপি'স অফিস ।
একটু ভয় ভয় করছে । সে অর্থে ইন্টারভিউ দেয় নি জয় এমন জীবনের দোটানায় । ঘন কুয়াশার মতো বাষ্প জমে গেছে চিল্ড এসি তে । বসে আছেন VP ভিতরে ।
নক করলো জয় দরজায় ।
মে আই কাম ইন স্যার ?"
গম্ভীর গলায় ---যা প্লিস কাম ইন !
ঘরে ঢুকেই দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে হিমবাহের মতো চাঙড় ভেঙে ভেঙে গলতে শুরু করলো জয় । নাঃ নড়বার একটুও ক্ষমতা নেই তার । প্রচন্ড ঘুরছে তার মাথা । কি করবে সে ।
চেয়ারে বসে আছেন মিস্টার অরুণেষ চ্যাটার্জী ।
একি তুমি এখানে কেন ?
বলেই আবার CV টা তুলে নাম দেখলেন মিস্টার চ্যাটার্জী ।
তাহা এমন করে সতুর টিউটর হবার কি দরকার পড়লো ? যে স্ট্যাডফোর্ড থেকে পড়ে এসেছে তার চাকরির অভাব ?
বাবার নাম লেখনি কেন ? বাবার নাম কি?
ঝগড়া বাবার সাথে ?
আর পূরবী বলছিলো কাল নাকি তুমি ওদের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছো ।
কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই জয়ের । একবার মনে হলো দরজা খুলে দৌড়ে ছুট মারুক শিয়ালদা স্টেশন-এ । নাঃ পকেটে টিকেটের টাকা হবে না । টাকা বেশি করে আনতেই ভুলে গেছে জয় । তা হোক । না বেরিয়ে যাবে ।
এমন সময় অরুণেষ উঠে হাত ধরে কাঁধে হাত রেখে বসলো জয় কে সামনের চেয়ারে ।
চাকরি তো হলো ? কিন্তু হোম টিউসন টা কি কিছু বলছো না যে ? ওহ দেখো ভুলেই গেছি , বলে বেল বাজালেন টেবিলের । আরেকজন এসে দাঁড়ালো সাথে সাথে ।
শোনো বাবুর জন্য চা জল খাবার নিয়ে এস । বলে নিজের ডেস্কের ফোন উঠিয়ে ফোন করলেন ।
শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে জয়ের ।
স্ট্র্যাডফোর্ড পাস আউট !
জয় মাথা নাড়ালো ।
" আচ্ছা মশাই কলকাতায় মরতে এলেন কেন MS করে , তার উপর রুড়কীর PHD । পয়সা তো কেউ দেয় না মশাই কলকাতায় ।
ক্রেডেনশিয়াল এতো ভারী ! দক্ষিনা কত?
জয় একটু অপ্রস্তুত হয়ে জিজ্ঞাসা করলো " মানে ?"
আরে মশাই অউটস্টান্ডিং রেজাল্ট আপনার , কি আপনাকে এভালুয়েট করবো বলুন তো , মাইনে কি চাই সেটা বলুন পোষালে VP এর কাছে পাঠাবো না হলে আপনি আসুন !
জয়: আপনারা কি দেবেন ?
সরখেল: সাউফার , বাড়ি , সব মিলিয়ে অনুয়াললি ৯ এর মতন প্যাকেজ হবে , ধরুন মাসে ৯০ হাজার হাতে পাবেন ।
জয় বেশ , প্রসিড করুন
তাহলে ওয়েটিং রুমে- বসুন বস এখুনি ফোন করবেন কেমন । উনি ফাইনাল ইটনেরভিউ নেবেন । চাকরি টা পাকা হলে আমায় একটু দেখবেন কেমন । আপনারা হবেন বড়োবাবু ।
ওয়েটিং রুম-এ বসে মাপতে লাগলো জয় অফিস । সামনে রাখা ফোন টা বাজলো ক্রিং ক্রিং ।
ফোন ধরলো জয় ।
প্লিজ কাম টু ভিপি'স অফিস ।
একটু ভয় ভয় করছে । সে অর্থে ইন্টারভিউ দেয় নি জয় এমন জীবনের দোটানায় । ঘন কুয়াশার মতো বাষ্প জমে গেছে চিল্ড এসি তে । বসে আছেন VP ভিতরে ।
নক করলো জয় দরজায় ।
মে আই কাম ইন স্যার ?"
গম্ভীর গলায় ---যা প্লিস কাম ইন !
ঘরে ঢুকেই দরজায় ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে হিমবাহের মতো চাঙড় ভেঙে ভেঙে গলতে শুরু করলো জয় । নাঃ নড়বার একটুও ক্ষমতা নেই তার । প্রচন্ড ঘুরছে তার মাথা । কি করবে সে ।
চেয়ারে বসে আছেন মিস্টার অরুণেষ চ্যাটার্জী ।
একি তুমি এখানে কেন ?
বলেই আবার CV টা তুলে নাম দেখলেন মিস্টার চ্যাটার্জী ।
তাহা এমন করে সতুর টিউটর হবার কি দরকার পড়লো ? যে স্ট্যাডফোর্ড থেকে পড়ে এসেছে তার চাকরির অভাব ?
বাবার নাম লেখনি কেন ? বাবার নাম কি?
ঝগড়া বাবার সাথে ?
আর পূরবী বলছিলো কাল নাকি তুমি ওদের সাথে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছো ।
কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই জয়ের । একবার মনে হলো দরজা খুলে দৌড়ে ছুট মারুক শিয়ালদা স্টেশন-এ । নাঃ পকেটে টিকেটের টাকা হবে না । টাকা বেশি করে আনতেই ভুলে গেছে জয় । তা হোক । না বেরিয়ে যাবে ।
এমন সময় অরুণেষ উঠে হাত ধরে কাঁধে হাত রেখে বসলো জয় কে সামনের চেয়ারে ।
চাকরি তো হলো ? কিন্তু হোম টিউসন টা কি কিছু বলছো না যে ? ওহ দেখো ভুলেই গেছি , বলে বেল বাজালেন টেবিলের । আরেকজন এসে দাঁড়ালো সাথে সাথে ।
শোনো বাবুর জন্য চা জল খাবার নিয়ে এস । বলে নিজের ডেস্কের ফোন উঠিয়ে ফোন করলেন ।
শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে জয়ের ।