16-11-2021, 05:51 PM
তবে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হওয়া গেল না। আপদ যেতে যেতেও ছোবল মেরে গেছে। ন’টা দশে রানামামার বসের ফোন। ওপারে বজ্রপাত, “ছি ছি, আপনি এতটা ভিন্ডিকটিভ? না হয়, মোহনবাগান হেরেইছে এ বার। তাই বলে সাত বছর আগের ম্যাচের কথা তুলে সেই সংক্রান্ত এই জঘন্য গালিগালাজ দেওয়া লেখাটা পাঠিয়ে এ বারের জয় উদযাপন করছেন? ড্যাম ইট বোস, ড্যাম ইট…”
“স্যর…আমি…”
“কী আমি? একটা কথা প্লিজ় জেনে রাখুন। অফিশিয়াল মেল চালাচালির একটা ডেকোরাম আছে। আপনি সেখানে…”
“শুনুন স্যর…দয়া করে…”
“আপনি শুনুন। যে নিম্নরুচির পরিচয় আপনি দিয়েছেন…”
বাকিটা রানামামা স্রেফ নীরবে শুনে গেলেন।
রাত সাড়ে এগারোটাতেও সব ঠিকঠাক আছে কি না জানার জন্য ভাগ্নেরা মিলে মামাকে ফোন লাগাল। ডেভলপমেন্ট শুনে সবাই চুপ।
আবিরের প্রতি সম্ভাষণে ফটিকের মুখে তখন শ-কার ব-কার চলে আসছিল। নেহাত রানামামা লাইনে ছিলেন বলে…
শেষমেশ বংশী বলল, “যাকগে, আপদ বিদেয় করা গেছে। কাল রোববার। তুমি পরশু অফিসে ঢুকেই আগে মিটিয়ে নিয়ো।”
ফটিক রাগটা গিলে ফেললেও পল্লব আবিরের ওপর চেঁচিয়ে চলেছে, “দেখেছিস আপদ, কী জুটিয়েছিলি? তোর কাছে রাস্তা জানতে চাইল। তুইও আগুপিছু না দেখে এই দিকে ঠেলে দিলি…” আর ‘এই দিক’ যে আসলে কোন দিক, সেটা জানার জন্য রাত একটা চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল।
তুলকালাম কাণ্ড!
রানামামি অর্থাৎ কি না রানামামার স্ত্রী রঙ্কিণী কালী হয়ে গেছেন। খাঁড়া খুঁজছেন! পারলে মামারই বুকের ওপর উঠে দাঁড়ান।
মামি উঠেছিলেন জল খেতে। হঠাৎ দেখতে পান, টেবিলে রাখা রানামামার ফোনে আলো জ্বলে উঠছে। কী ব্যাপার দেখতে গিয়ে দেখেন হোয়াটস্অ্যাপ। প্রেরক কোনও এক নিরুপমা। লিখছেন— “অরিন্দম, আপনার মেল পেয়ে মনটা ভরে গেল। সেই গান, ‘হৃদয়ের এ কূল ও কূল’। সত্যি, এখনও মনে আছে আপনার? স্বরলিপিটা এখনও অত যত্নে রেখে দিয়েছেন?”
ব্যস! নিমেষে আগুন!
রাত দুটোর সময় রানামামা মামিকে বোঝাচ্ছেন, “আমি না…আমি কিছু করিনি…”
“আমি কাল সকালেই চলে যাব। ছি ছি, তোমার লজ্জা করে না? আমার শ্যাম-কুল ভাসিয়ে তুমি ও দিকে দু-কূল সামলাচ্ছ?”
“আরে শোনো শোনো। আগে পুরো ব্যাপারটা…”
“আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই না।”
“স্যর…আমি…”
“কী আমি? একটা কথা প্লিজ় জেনে রাখুন। অফিশিয়াল মেল চালাচালির একটা ডেকোরাম আছে। আপনি সেখানে…”
“শুনুন স্যর…দয়া করে…”
“আপনি শুনুন। যে নিম্নরুচির পরিচয় আপনি দিয়েছেন…”
বাকিটা রানামামা স্রেফ নীরবে শুনে গেলেন।
রাত সাড়ে এগারোটাতেও সব ঠিকঠাক আছে কি না জানার জন্য ভাগ্নেরা মিলে মামাকে ফোন লাগাল। ডেভলপমেন্ট শুনে সবাই চুপ।
আবিরের প্রতি সম্ভাষণে ফটিকের মুখে তখন শ-কার ব-কার চলে আসছিল। নেহাত রানামামা লাইনে ছিলেন বলে…
শেষমেশ বংশী বলল, “যাকগে, আপদ বিদেয় করা গেছে। কাল রোববার। তুমি পরশু অফিসে ঢুকেই আগে মিটিয়ে নিয়ো।”
ফটিক রাগটা গিলে ফেললেও পল্লব আবিরের ওপর চেঁচিয়ে চলেছে, “দেখেছিস আপদ, কী জুটিয়েছিলি? তোর কাছে রাস্তা জানতে চাইল। তুইও আগুপিছু না দেখে এই দিকে ঠেলে দিলি…” আর ‘এই দিক’ যে আসলে কোন দিক, সেটা জানার জন্য রাত একটা চল্লিশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল।
তুলকালাম কাণ্ড!
রানামামি অর্থাৎ কি না রানামামার স্ত্রী রঙ্কিণী কালী হয়ে গেছেন। খাঁড়া খুঁজছেন! পারলে মামারই বুকের ওপর উঠে দাঁড়ান।
মামি উঠেছিলেন জল খেতে। হঠাৎ দেখতে পান, টেবিলে রাখা রানামামার ফোনে আলো জ্বলে উঠছে। কী ব্যাপার দেখতে গিয়ে দেখেন হোয়াটস্অ্যাপ। প্রেরক কোনও এক নিরুপমা। লিখছেন— “অরিন্দম, আপনার মেল পেয়ে মনটা ভরে গেল। সেই গান, ‘হৃদয়ের এ কূল ও কূল’। সত্যি, এখনও মনে আছে আপনার? স্বরলিপিটা এখনও অত যত্নে রেখে দিয়েছেন?”
ব্যস! নিমেষে আগুন!
রাত দুটোর সময় রানামামা মামিকে বোঝাচ্ছেন, “আমি না…আমি কিছু করিনি…”
“আমি কাল সকালেই চলে যাব। ছি ছি, তোমার লজ্জা করে না? আমার শ্যাম-কুল ভাসিয়ে তুমি ও দিকে দু-কূল সামলাচ্ছ?”
“আরে শোনো শোনো। আগে পুরো ব্যাপারটা…”
“আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই না।”