14-11-2021, 03:17 PM
সময় কিন্তু সত্যি বয়ে যায় নদীর মতো । মানুষ বুঝতে পারে না কারণ নদীর ঢেউ গুলোতেই মনোসংযোগ করে বসে থাকে মানুষ ,সময়ের সাক্ষ্মী হতে চায় না । আর সময়ের নদীর পাড়ে সময় কে গায়ে না মাখিয়ে বসে থাকে ঢেউ গুলো দেখতে দেখতে । তার মনে থাকে না যে সময় তার জন্য থেমে থাকবে না । জীবনের সময় পেরিয়ে বেলাশেষে বুঝতে পারে , সত্যি সময়ের সাথে ভেসে চলা হয় নি ।বদলে নেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সে সময় মানুষের । কেউ হাল ছেড়ে দেয়, আর কেউ আত্মানুভূতি খোঁজবার চেষ্টা করে । যেখানে মুখরতা মৌন, সেখানে তীব্র অতি তীব্র আমাদের চাহিদা গুলো মনের রাশ ধরে না । রাশ ধরে ধৈর্য ।
৩ মাস এ ভাবেই কাটিয়ে নিলো জয় , চ্যাটার্জী পরিবারের ছত্রছায়ায় ।
খুব সুকৌশলে তার PHD এর বাকি সব কাজ শেষ করে পেপার সাবমিশন করে ফাইল করলো ফাইনাল পেপার । খুব প্রশংসা করলেন আচার্য্য সত্যেন্দ্রনাথ লাহিড়ী । তিনি অ্যাডভান্স ডিনামিক্স এর হেড। তার হাত ধরেই মাত্র ৩ বছরে অর্জন করছে জনমেজয় তার পিএইচডি । সত্যি গর্বের বিষয় ।কিন্তু এসব নিয়ে ওয়াকিবহাল নয় রজত সামন্ত । তিনি ব্যবসায় মশগুল থাকলেও একটা হেল্পিং হ্যান্ড-এর জন্য হা পিত্তেশ করে তার ছেলে কে গালিগালাজ করতেন নিয়মিত । শাপ শাপান্ত করা তার বাবার মনে ছেলের প্রতি স্নেহ জন্মায় নি ।
গুঞ্জনের পরীক্ষার ফাইনাল বাকি এখনো দু তিন মাস । আর আশ্চর্য এখানেই যে গুঞ্জন নিজেকে তৈরী করে নিয়েছে ফাইনালে বসার জন্য ।বাকি যেটুকু আছে সেটা তৈরী পড়া অভ্যাস করা আর কি । সে অর্গানিক হোক বা অ্যাডভান্স ফিজিক্স হোক আর ক্যালকুলাস হোক । নিজের ঘরে মগ্ন নিজেরই কিছু কাজে জনমেজয় । দু তিনটে বারমুডা ঘরে পড়ার না কিনলেই নয় ।সেদিকে নজর আছে মিসেস চ্যাটার্জীর । শেষ নিঃস্বাস পর্যন্ত জয় কেও মেপে যাচ্ছেন তিনি সততার নিক্তিতে । সন্দেহ সেখানেই , কারণ প্রয়োজন ছাড়া সে মাইনের টাকা টাও নেয় নি । গচ্ছিত রেখেছে অনেক টাকাই ।
একদিন সকাল ১০ টা হবে ।
গেটের বাইরে এসে দাঁড়ালো একটা অস্টিন গাড়ি । তার থেকে নামলেন এক প্রৌঢ়া মহিলা । গলায় সোনার চেন ছাড়া বিশেষ সাজগোজ নেই । কিন্তু তাকে দেখলেই বোঝা যায় তিনি বনেদি পরিবারের আর অভিজাত্য তার চোখে মুখে ।শাসন করবার সাহস ঝরে পড়ছে চোখে । ড্রাইভার ছাড়া আরো এক জন চাকর গোছের লোক তার পিছনে । কানে দুটো মুক্ত , তার চমক হার মানিয়ে দেবে আসল হীরেকেও ।
চ্যাটার্জী বাড়ির নিচে সেই মহিলার তুমুল চেঁচামেচি । খুবই রেগে আছেন মহিলা , রূপে যেন দেবী লক্ষ্মী প্রতিমা ।তাকে হাতে পায়ে ধরে শান্ত করে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে জনমেজয় ।আর উপরতলার জানলার কাঁচ ফেলে লুকিয়ে দেখছেন গোটা ঘটনা মিসেস চ্যাটার্জী ।
হ্যা ঠিকই ধরেছেন । কাত্যায়নী দেবী । জন্মেজয়ের মা ।
" শেষে গ্যারেজে , জয় , না আমি কিছুতেই বরদাস্ত করবো না , এখনই ফিরে চল বাবার মানিকতলার বাড়িতে । তোর বাবাকে আমি বুঝে নেবো ।না না আমি মা আমি তোর এ দশা দেখতে পারবো না ।
কে এরা ? এদের চাকর সেজে আছিস কেন !"
কিছু উত্তর দিলো জনমেজয় ।
কাঁচ নামিয়ে রাখায় মিসেস চ্যাটার্জী কথোপকথন গুলো সেই ভাবে পরিষ্কার শুনতে পান নি । আর দারুণ সৌভাগ্য ক্রমে সামনে ছিল না চাকর বকর , ছিল না গুঞ্জন । তাই এই ঘটনার সামনা সামনি প্রতক্ষ্যদর্শী বাড়ির ঝি আর পূরবী দেবী ।
কিন্তু কোনো একটা মায়ার মতো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে হয়ে , শেষে সেই মহিলা গাড়িতে গিয়ে বসলেন ।যেন জয় ধাক্কা দিয়ে দিয়ে সেই মহিলাকে পাচার করে দিলেন ।আর চাকর দুটো ব্যাগ ভর্তি জিনিস পত্র জয়ের ঘরে দিয়ে জয় কে প্রণাম করে গেলো ।জয়ের বাড়ির ভোলা দা । এর কোলেই জয়ের শৈশব কেটেছে । দাদা বাবুকে প্রণাম না করলে তার চাকরির সার্থকতা থাকে না তাই এই প্রণাম ।
সব দেখে মিসেস চ্যাটার্জীর সন্দেহ বেড়ে গেলো অনেকটাই ।
৩ মাস এ ভাবেই কাটিয়ে নিলো জয় , চ্যাটার্জী পরিবারের ছত্রছায়ায় ।
খুব সুকৌশলে তার PHD এর বাকি সব কাজ শেষ করে পেপার সাবমিশন করে ফাইল করলো ফাইনাল পেপার । খুব প্রশংসা করলেন আচার্য্য সত্যেন্দ্রনাথ লাহিড়ী । তিনি অ্যাডভান্স ডিনামিক্স এর হেড। তার হাত ধরেই মাত্র ৩ বছরে অর্জন করছে জনমেজয় তার পিএইচডি । সত্যি গর্বের বিষয় ।কিন্তু এসব নিয়ে ওয়াকিবহাল নয় রজত সামন্ত । তিনি ব্যবসায় মশগুল থাকলেও একটা হেল্পিং হ্যান্ড-এর জন্য হা পিত্তেশ করে তার ছেলে কে গালিগালাজ করতেন নিয়মিত । শাপ শাপান্ত করা তার বাবার মনে ছেলের প্রতি স্নেহ জন্মায় নি ।
গুঞ্জনের পরীক্ষার ফাইনাল বাকি এখনো দু তিন মাস । আর আশ্চর্য এখানেই যে গুঞ্জন নিজেকে তৈরী করে নিয়েছে ফাইনালে বসার জন্য ।বাকি যেটুকু আছে সেটা তৈরী পড়া অভ্যাস করা আর কি । সে অর্গানিক হোক বা অ্যাডভান্স ফিজিক্স হোক আর ক্যালকুলাস হোক । নিজের ঘরে মগ্ন নিজেরই কিছু কাজে জনমেজয় । দু তিনটে বারমুডা ঘরে পড়ার না কিনলেই নয় ।সেদিকে নজর আছে মিসেস চ্যাটার্জীর । শেষ নিঃস্বাস পর্যন্ত জয় কেও মেপে যাচ্ছেন তিনি সততার নিক্তিতে । সন্দেহ সেখানেই , কারণ প্রয়োজন ছাড়া সে মাইনের টাকা টাও নেয় নি । গচ্ছিত রেখেছে অনেক টাকাই ।
একদিন সকাল ১০ টা হবে ।
গেটের বাইরে এসে দাঁড়ালো একটা অস্টিন গাড়ি । তার থেকে নামলেন এক প্রৌঢ়া মহিলা । গলায় সোনার চেন ছাড়া বিশেষ সাজগোজ নেই । কিন্তু তাকে দেখলেই বোঝা যায় তিনি বনেদি পরিবারের আর অভিজাত্য তার চোখে মুখে ।শাসন করবার সাহস ঝরে পড়ছে চোখে । ড্রাইভার ছাড়া আরো এক জন চাকর গোছের লোক তার পিছনে । কানে দুটো মুক্ত , তার চমক হার মানিয়ে দেবে আসল হীরেকেও ।
চ্যাটার্জী বাড়ির নিচে সেই মহিলার তুমুল চেঁচামেচি । খুবই রেগে আছেন মহিলা , রূপে যেন দেবী লক্ষ্মী প্রতিমা ।তাকে হাতে পায়ে ধরে শান্ত করে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে জনমেজয় ।আর উপরতলার জানলার কাঁচ ফেলে লুকিয়ে দেখছেন গোটা ঘটনা মিসেস চ্যাটার্জী ।
হ্যা ঠিকই ধরেছেন । কাত্যায়নী দেবী । জন্মেজয়ের মা ।
" শেষে গ্যারেজে , জয় , না আমি কিছুতেই বরদাস্ত করবো না , এখনই ফিরে চল বাবার মানিকতলার বাড়িতে । তোর বাবাকে আমি বুঝে নেবো ।না না আমি মা আমি তোর এ দশা দেখতে পারবো না ।
কে এরা ? এদের চাকর সেজে আছিস কেন !"
কিছু উত্তর দিলো জনমেজয় ।
কাঁচ নামিয়ে রাখায় মিসেস চ্যাটার্জী কথোপকথন গুলো সেই ভাবে পরিষ্কার শুনতে পান নি । আর দারুণ সৌভাগ্য ক্রমে সামনে ছিল না চাকর বকর , ছিল না গুঞ্জন । তাই এই ঘটনার সামনা সামনি প্রতক্ষ্যদর্শী বাড়ির ঝি আর পূরবী দেবী ।
কিন্তু কোনো একটা মায়ার মতো মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে হয়ে , শেষে সেই মহিলা গাড়িতে গিয়ে বসলেন ।যেন জয় ধাক্কা দিয়ে দিয়ে সেই মহিলাকে পাচার করে দিলেন ।আর চাকর দুটো ব্যাগ ভর্তি জিনিস পত্র জয়ের ঘরে দিয়ে জয় কে প্রণাম করে গেলো ।জয়ের বাড়ির ভোলা দা । এর কোলেই জয়ের শৈশব কেটেছে । দাদা বাবুকে প্রণাম না করলে তার চাকরির সার্থকতা থাকে না তাই এই প্রণাম ।
সব দেখে মিসেস চ্যাটার্জীর সন্দেহ বেড়ে গেলো অনেকটাই ।