13-11-2021, 10:12 AM
প্রথম প্রথম মধবিত্ত বাঙালী মানসিকতায় একটু বাধো-বাধো ঠেকলেও, পরে ব্যাপারটার মধ্যে চূড়ান্ত অশ্লীলতা, নোংরামি এবং ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় তার ভেতরে এক চরম পুলকের জন্ম দিয়েছিলো। আর কে না জানে এই অশ্লীলতা, এই নোংরামি আর এই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় না থাকলে পরকীয়ার আসল কিকটাই পাওয়া যায় না। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে বৈধ প্রেম, যা বেডরুমের চার দেওয়ালের ভেতরে বন্দী, তার মধ্যে সেই কারণেই কোনো রোমাঞ্চ নেই। আর এখানেই পরকীয়া প্রেমের আকর্ষণ, যা যুগে যুগে সারা পৃথিবীর নর-নারীকে প্রলোভিত করেছে, হাতছানি দিয়েছে পরপুরুষ বা পরনারীর কাছে ছুটে যেতে, তার বাহুবন্ধনে ধরা দিতে, তার শরীরে নিজের শরীর ডুবিয়ে আনন্দের শেষ বিন্দু শুষে নিতে। বৈষ্ণব কবি জ্ঞানদাস বলেছেন,
“রূপ লাগি আঁখি ঝুঁরে গুনে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।।“
যে বালক পরের বাগান থেকে আম চুরি করে খায়, সে বাজার থেকে কিনে আনা আমে স্বাদই পায় না।
দেবাংশুকে সামলে নিয়ে পার্টি থেকে বার করে আনতে, ঋত্বিককে খুব একটা বেগ পেতে হয় নি। সকলেরই অল্পবিস্তর নেশা হয়ে গিয়েছিলো; কেউই আর এই উটকো ঝামেলা ঘাড়ে নিতে চায় নি। তাই সে যখন ডিক্লেয়ার করলো, দেবাংশুকে বাড়ি ছেড়ে দেবে, সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। দেবাংশু ইতিমধ্যে ছড়িয়েছে বিস্তর। দু-চারটে গ্লাস ভেঙ্গেছে, ওয়েটারদের খিস্তিখাস্তা করেছে, বমি করেছে এবং টয়লেটে মাথা ঘুরে বা পা পিছলে পড়ে গেছে। দেবাংশু আজকাল খুব ড্রিঙ্ক করছে। প্রায় প্রত্যেক পার্টিতেই বেহেড মাতাল হয়ে পড়ছে। বাড়ীতেও শোনা যাচ্ছে রেগুলার ড্রিঙ্ক করছে।
সেটা কোনো ব্যাপার নয়। কর্পোরেট জগতে সকলেই অল্পবিস্তর রেগুলার ড্রিঙ্ক করে। কর্মজীবনের নিদারুন স্ট্রেস থেকে সাময়িক রিলিফ পাওয়ার জন্য। কিন্তু পার্টিতে বেহেড হয়ে গালিগালাজ করা, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া চরম ফ্রাস্টেশনের লক্ষণ। অথচ নিজের কেরিয়ারের সব থেকে ভালো অবস্থানে এখন রয়েছে দেবাংশু। কোম্পানির ব্লু আইড বয় সে। সেখান থেকে ফ্রাস্টু খাওয়ার কোনো চান্সই নেই। কোণো মহিলাঘটিত কেচ্ছাও তার নামে শোনা যায় নি, ফলে সেই দিক থেকেও ব্যাথা পাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাহলে কি ফ্যামিলি-ঝামেলি। বেঙ্গালুরুর বঙ্গসমাজে দেবাংশুর স্ত্রী উর্মি এবং সুদর্শন, কনফার্মড ব্যাচেলর ঋত্বিক গুহমজুমদারকে নিয়ে যে চাটনি খবরগুলো শোনা যাচ্ছে, সেগুলোই কি দেবাংশুর হতাশা এবং তদ্বজনিত অত্যধিক মদ্যপানের জন্য দায়ী। আসলে উর্মি যে পরিমানে রূপসী, তাকে এক পুরুষে বেঁধে রাখাও মুশকিল। যুগে যুগে অতিসুন্দরী নারীরা বহুভোগ্যা হয়েছেন। গুপীদা এই জন্যই বলে থাকেন, “যে মেয়েদের জিওগ্রাফি ভালো, তাদের হিস্ট্রি কখনো ভালো হতে পারে না”।
আজ পার্টিতেও অনেকেই লক্ষ্য করেছেন, বিশেষ করে পরছিদ্রাণ্বেষণকারী মহিলারা ঋত্বিক-উর্মির এক এক করে উধাও হয়ে যাওয়া; দেবাংশুর মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পর উর্মির ফোনে বারবার কল করা সত্বেও তার ফোন রিসিভ না করা; এরপর ঋত্বিকের এসে ঝাপিয়ে পড়ে দেবাংশুকে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া। ইতিমধ্যে উর্মির কি হলো, কোথায় গেলো, কি করে বাড়ী ফিরবে, চ্যাটার্জী বৌদি একবার উল্লেখ করলেও, ব্যাপারটা ধামাচাপা পড়ে গেলো সকলেই আপদবিদায় করতে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায়। দু-একজন ইয়াং ছেলে দেবাংশুকে ঋত্বিকের গাড়ী অবধি পৌঁছে দিতে আগ্রহ দেখালেও, ঋত্বিক তাদের সাহায্য নিলো না। লিফটম্যানের সাহায্য নিয়ে প্রায় সংজ্ঞাহীন দেবাংশুকে বেসমেন্টে নিয়ে আসলো। গাড়ীর ব্যাকসীটে দেবাংশুকে শুইয়ে দিয়ে, উর্মিকে কল করলো।
“রূপ লাগি আঁখি ঝুঁরে গুনে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।।“
যে বালক পরের বাগান থেকে আম চুরি করে খায়, সে বাজার থেকে কিনে আনা আমে স্বাদই পায় না।
দেবাংশুকে সামলে নিয়ে পার্টি থেকে বার করে আনতে, ঋত্বিককে খুব একটা বেগ পেতে হয় নি। সকলেরই অল্পবিস্তর নেশা হয়ে গিয়েছিলো; কেউই আর এই উটকো ঝামেলা ঘাড়ে নিতে চায় নি। তাই সে যখন ডিক্লেয়ার করলো, দেবাংশুকে বাড়ি ছেড়ে দেবে, সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। দেবাংশু ইতিমধ্যে ছড়িয়েছে বিস্তর। দু-চারটে গ্লাস ভেঙ্গেছে, ওয়েটারদের খিস্তিখাস্তা করেছে, বমি করেছে এবং টয়লেটে মাথা ঘুরে বা পা পিছলে পড়ে গেছে। দেবাংশু আজকাল খুব ড্রিঙ্ক করছে। প্রায় প্রত্যেক পার্টিতেই বেহেড মাতাল হয়ে পড়ছে। বাড়ীতেও শোনা যাচ্ছে রেগুলার ড্রিঙ্ক করছে।
সেটা কোনো ব্যাপার নয়। কর্পোরেট জগতে সকলেই অল্পবিস্তর রেগুলার ড্রিঙ্ক করে। কর্মজীবনের নিদারুন স্ট্রেস থেকে সাময়িক রিলিফ পাওয়ার জন্য। কিন্তু পার্টিতে বেহেড হয়ে গালিগালাজ করা, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া চরম ফ্রাস্টেশনের লক্ষণ। অথচ নিজের কেরিয়ারের সব থেকে ভালো অবস্থানে এখন রয়েছে দেবাংশু। কোম্পানির ব্লু আইড বয় সে। সেখান থেকে ফ্রাস্টু খাওয়ার কোনো চান্সই নেই। কোণো মহিলাঘটিত কেচ্ছাও তার নামে শোনা যায় নি, ফলে সেই দিক থেকেও ব্যাথা পাওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাহলে কি ফ্যামিলি-ঝামেলি। বেঙ্গালুরুর বঙ্গসমাজে দেবাংশুর স্ত্রী উর্মি এবং সুদর্শন, কনফার্মড ব্যাচেলর ঋত্বিক গুহমজুমদারকে নিয়ে যে চাটনি খবরগুলো শোনা যাচ্ছে, সেগুলোই কি দেবাংশুর হতাশা এবং তদ্বজনিত অত্যধিক মদ্যপানের জন্য দায়ী। আসলে উর্মি যে পরিমানে রূপসী, তাকে এক পুরুষে বেঁধে রাখাও মুশকিল। যুগে যুগে অতিসুন্দরী নারীরা বহুভোগ্যা হয়েছেন। গুপীদা এই জন্যই বলে থাকেন, “যে মেয়েদের জিওগ্রাফি ভালো, তাদের হিস্ট্রি কখনো ভালো হতে পারে না”।
আজ পার্টিতেও অনেকেই লক্ষ্য করেছেন, বিশেষ করে পরছিদ্রাণ্বেষণকারী মহিলারা ঋত্বিক-উর্মির এক এক করে উধাও হয়ে যাওয়া; দেবাংশুর মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পর উর্মির ফোনে বারবার কল করা সত্বেও তার ফোন রিসিভ না করা; এরপর ঋত্বিকের এসে ঝাপিয়ে পড়ে দেবাংশুকে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া। ইতিমধ্যে উর্মির কি হলো, কোথায় গেলো, কি করে বাড়ী ফিরবে, চ্যাটার্জী বৌদি একবার উল্লেখ করলেও, ব্যাপারটা ধামাচাপা পড়ে গেলো সকলেই আপদবিদায় করতে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায়। দু-একজন ইয়াং ছেলে দেবাংশুকে ঋত্বিকের গাড়ী অবধি পৌঁছে দিতে আগ্রহ দেখালেও, ঋত্বিক তাদের সাহায্য নিলো না। লিফটম্যানের সাহায্য নিয়ে প্রায় সংজ্ঞাহীন দেবাংশুকে বেসমেন্টে নিয়ে আসলো। গাড়ীর ব্যাকসীটে দেবাংশুকে শুইয়ে দিয়ে, উর্মিকে কল করলো।