12-11-2021, 11:01 AM
" কাল থেকেই চলে আসবেন । " আবির বলে নির্বাণ কে বললো চল চা খাই । নির্বাণএর কাঁধে হাত রেখে এগিয়ে যাবার আগে " ওহ হ্যাঁ এই দিন অগ্রিম 2000 টাকা রাখুন , আপনার দরকার পড়বে !"
নির্বানের ঘাড় ঘুরিয়ে মোহনা কে কিছু বলার অবকাশ রইলো না । মোহনা উঠে গেলো না বসে রইলো তা জানে না নির্বাণ । সামনে সবুজ ঘাসের লন তা আরো সুবুজ হয়ে চোখে বিঁধছে । দূরে লজের মধ্যেই গঙ্গার পাশ ঘেসে রেলিং দেওয়া , সেখানে দুজন যুবক যুবতী হাতে হাত ধরে গঙ্গার দিকে তাকিয়ে আছে । লনের মধ্যে বসার ছিঁড়ে বসে জীবনদা কে বললো আবির " দুটো কড়া চা আনতঃ জীবন দা !"
জীবনদা সত্যি বড়ো অদ্ভুত । এরকম মানুষ গুলোর কোনো পরিবার দেখেনি নির্বাণ । অপরাধ বোধ যে তার মনে জায়গা পায় নি তা নয় । এতটা নির্মম না হলেও চলতো । দুটো মুখের কথায় ভাগ্য বদলে যায় না । তবুও ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে পিছনে । মোহনা রিক্সায় বসে পড়েছে , হয় তো কৃতজ্ঞতার এর রাশ মিষ্টি বাতাস বুকে নিয়ে । তার অপরাধ বোধের কোনো অনুভূতি নির্বানের জাগবে না বোধ হয় ।
আনমনা হয়ে তাকিয়ে দেখতে দেখতে মনে হলো ছেলেটা সুজয় ! এই সুজয় বলে ডাকতে গিয়েও থমকে গেলো নির্বাণ । তমালি কে দেখে সুজয়ের সাথে হাত ধরে ঘনিষ্ট ভাবে , নির্বানের গলা আটকে গেলো । সেটা লক্ষ্য করলো আবির । " চিনিস নাকি !"
নির্বাণ মাথা নেড়ে না বললো । আবির হেসে বললো " একটু অন্য রকম লাগছে না , মহিলা বিবাহিতা , ছেলেটা একদম ইয়াং , দুজনে এখানে লাগাতে আসে !"
এই তো কদিন আগে বন্ধ হলো না সেদিন সারা রাত ছিল !"
মাস তিনেক হলো সপ্তাহের বাঁধা কাস্টমার । সব খরচ ওই মহিলাই করে তমালি একটা কলেজে প্রফেসর ছেলেটা মস্তি নিচ্ছে ।"
বাড়ি থেকে একটা ফোন আসে নির্বানের ফোনে । ফিরে এসেছে জানিয়ে দেয় সে । একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে আবির কে বলে ভাই উঠতে হবে জরুরি কাজ আছে সামনের সপ্তাহে সত্যি এসব কথা দিচ্ছি !"
আবির বলে " চলে জাবি ভাবলাম একটু আড্ডা দেব !"
নির্বাণ কথা বাড়ায় না হন হন করে অফিসের দিকে এগিয়ে যায় নিজের ব্যাগ নিতে । জীবনডাও ব্যাগ নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে । কোকুনের ভিতরে প্রজাপতির রং বোঝা যায় না বাইরে থেকে , বোঝা যায় না মানুষের অন্তরঙ্গতা কি করে পাহাড়ে একটু একটু করে ফাটল ধরিয়ে একটা বড়ো গাছের জন্ম দেবে । আমরা বুঝতে পারি না নিঃসঙ্গ জীবনের প্রয়োজনে মানুষ কি করে আসতে আসতে একটা একটা করে সীমারেখা ডিঙিয়ে যায় সাহসের সাথে , মনে মনে জানে যে ফিরে যাওয়ার সব রাস্তাই বন্ধ । গণদেবতাতেও চিড় খায় ঠুনকো পোর্সেলিনের পাত্রের মতো । সময়ের হিল্লোলে একটু একটু করে একে একে সবকিছু মিশে যাবে মহা শুন্যে , অস্তিত্বের এমন সংগ্রামে একটু একটু করে হারিয়ে যাবে আমাদের প্রত্যেকের ভালোবাসার অস্তিত্ব গুলো । তখন নতুন করে খুঁজে নিতে হবে নতুন চরিত্র কোনো মহাকাব্য লেখবার আশায় । কালো কালো হেটে যাওয়া মানুষ গুলোর মাঝে নির্বানের দৃষ্টি হারিয়ে যায় । মোহনা কে খুঁজে পেলে বোধ হয় ভালো হতো ।
সমাপ্ত
নির্বানের ঘাড় ঘুরিয়ে মোহনা কে কিছু বলার অবকাশ রইলো না । মোহনা উঠে গেলো না বসে রইলো তা জানে না নির্বাণ । সামনে সবুজ ঘাসের লন তা আরো সুবুজ হয়ে চোখে বিঁধছে । দূরে লজের মধ্যেই গঙ্গার পাশ ঘেসে রেলিং দেওয়া , সেখানে দুজন যুবক যুবতী হাতে হাত ধরে গঙ্গার দিকে তাকিয়ে আছে । লনের মধ্যে বসার ছিঁড়ে বসে জীবনদা কে বললো আবির " দুটো কড়া চা আনতঃ জীবন দা !"
জীবনদা সত্যি বড়ো অদ্ভুত । এরকম মানুষ গুলোর কোনো পরিবার দেখেনি নির্বাণ । অপরাধ বোধ যে তার মনে জায়গা পায় নি তা নয় । এতটা নির্মম না হলেও চলতো । দুটো মুখের কথায় ভাগ্য বদলে যায় না । তবুও ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে পিছনে । মোহনা রিক্সায় বসে পড়েছে , হয় তো কৃতজ্ঞতার এর রাশ মিষ্টি বাতাস বুকে নিয়ে । তার অপরাধ বোধের কোনো অনুভূতি নির্বানের জাগবে না বোধ হয় ।
আনমনা হয়ে তাকিয়ে দেখতে দেখতে মনে হলো ছেলেটা সুজয় ! এই সুজয় বলে ডাকতে গিয়েও থমকে গেলো নির্বাণ । তমালি কে দেখে সুজয়ের সাথে হাত ধরে ঘনিষ্ট ভাবে , নির্বানের গলা আটকে গেলো । সেটা লক্ষ্য করলো আবির । " চিনিস নাকি !"
নির্বাণ মাথা নেড়ে না বললো । আবির হেসে বললো " একটু অন্য রকম লাগছে না , মহিলা বিবাহিতা , ছেলেটা একদম ইয়াং , দুজনে এখানে লাগাতে আসে !"
এই তো কদিন আগে বন্ধ হলো না সেদিন সারা রাত ছিল !"
মাস তিনেক হলো সপ্তাহের বাঁধা কাস্টমার । সব খরচ ওই মহিলাই করে তমালি একটা কলেজে প্রফেসর ছেলেটা মস্তি নিচ্ছে ।"
বাড়ি থেকে একটা ফোন আসে নির্বানের ফোনে । ফিরে এসেছে জানিয়ে দেয় সে । একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে আবির কে বলে ভাই উঠতে হবে জরুরি কাজ আছে সামনের সপ্তাহে সত্যি এসব কথা দিচ্ছি !"
আবির বলে " চলে জাবি ভাবলাম একটু আড্ডা দেব !"
নির্বাণ কথা বাড়ায় না হন হন করে অফিসের দিকে এগিয়ে যায় নিজের ব্যাগ নিতে । জীবনডাও ব্যাগ নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে । কোকুনের ভিতরে প্রজাপতির রং বোঝা যায় না বাইরে থেকে , বোঝা যায় না মানুষের অন্তরঙ্গতা কি করে পাহাড়ে একটু একটু করে ফাটল ধরিয়ে একটা বড়ো গাছের জন্ম দেবে । আমরা বুঝতে পারি না নিঃসঙ্গ জীবনের প্রয়োজনে মানুষ কি করে আসতে আসতে একটা একটা করে সীমারেখা ডিঙিয়ে যায় সাহসের সাথে , মনে মনে জানে যে ফিরে যাওয়ার সব রাস্তাই বন্ধ । গণদেবতাতেও চিড় খায় ঠুনকো পোর্সেলিনের পাত্রের মতো । সময়ের হিল্লোলে একটু একটু করে একে একে সবকিছু মিশে যাবে মহা শুন্যে , অস্তিত্বের এমন সংগ্রামে একটু একটু করে হারিয়ে যাবে আমাদের প্রত্যেকের ভালোবাসার অস্তিত্ব গুলো । তখন নতুন করে খুঁজে নিতে হবে নতুন চরিত্র কোনো মহাকাব্য লেখবার আশায় । কালো কালো হেটে যাওয়া মানুষ গুলোর মাঝে নির্বানের দৃষ্টি হারিয়ে যায় । মোহনা কে খুঁজে পেলে বোধ হয় ভালো হতো ।
সমাপ্ত