08-11-2021, 05:29 PM
আর আরেকটু চেষ্টা করে দেখতে পেলো 7-8 জন পুরুষের মাঝে ঠাসাঠাসি করে চৈতালি এক হাতে ব্যাগ বুকে আঁকড়ে দাঁড়িয়ে থাকবার চেষ্টা করছে আর আরেক হাতে রুমাল নিয়ে ঘাম মুঝতে মুঝতে ভয়ে ভয়ে মুখ উঁচিয়ে নিঃস্বাস নেবার চেষ্টা করছে । পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটার মাথাটা ঘাম টপ টপ করে নির্বানের ঘাড়ে পড়ছে । ডান বা পশে দাঁড়িয়ে থাকা লোক গুলোর কুনুই এর গোতা খেয়ে নির্বাণ কহিব বিরক্ত হয়ে নিজের শেষ শক্তি টুকু প্রয়োগ করে নিজের ঝুলতে থাকা শরীরটাকে দরজার কোন নিয়ে ফেলে স্বস্তির নিঃস্বাস নিলো । টার পিঠের দিকে জোনাকুড়ি লোক তখন কুস্তি লড়ছে যদি একটু ট্রেনের লোহার প্যাদানি তে পা রেখে ঝোলা যায় সে জন্য । আর জানা দশ লোক আলুর বস্তা ঠাসার মতো কুৎসিল গালাগালি দিয়ে ঝুলতে থাকা লোক গুলোকে ঠেলে ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা করতে লাগলো ।
এখনো কাতারে কাতারে মানুষ দাঁড়িয়ে যারা সাহস করে ট্রেন-এ উঠবার চেষ্টা করে নি । নির্বাণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলো একটা ট্যাক্সি নিলেই ভালো ছিল এর চেয়ে ! অনেক গুলো কুনুই এর গোতা এখনো পেটে পিঠে পড়ছে তার, কিন্তু সেই ভেবে রাগ করলে তার চলবে না , কারণ একটু এদিক ওদিক নড়লে নিচের লোক গুলো তাকে নিচে টেনে নামিয়ে তার জায়গা দখল করে নেবে ।
পরের দশ মিনিট আরো বিভীশিখাময় মনে হলো নির্বানের । কারণ নিজের জায়গা করে নেয়া পর্যন্ত নির্বাণ এটুকু নিঃশ্চিন্ত ছিল যে সে এ যাত্রায় পার পেয়ে যাবে । কিন্তু ট্রেন ছাড়বার এনাউন্সমেন্ট করতেই আরো বেশ কিছু শ্রেণীর বেয়াদপ যুবক একরকম মারপিট করে টেনে কিছু লোককে নামিয়ে ট্রেনের গেটে উঠে দাঁড়ালো । ভিড়ের পরিমান ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এটা শুধু কল্পনা করা যায় , বিশেষ করে যারা কোনো দিন হাওড়া বান্ডেল-এ যাতায়াত করেন নি । যখন থেকেই সে দরজার কোন টা নিয়েছে তখনি সে বুঝে গিয়েছিলো তার সামনে কোনো নাদুস নুদুস লোক দাঁড়িয়ে আছে আর সে কাটখোট্টা রুক্ষ নিত্যযাত্রীরা মতো নয় । তাই চাপের খাতিরে অনেকবারই নির্বাণ তার শরীরএর উপর নিজের শরীর ফেলে দিয়েছে । ঘাড় নিচু করে সেই মানুষটিকে দেখবার তার আর সুযোগ হয় নি । শুধু সামনের লোহাট হাতলটা শক্ত করে ধরে থাকায় তাকে সরিয়ে তার জায়গা কেউ নিতে পারে নি আর শেষ শক্তি দিয়ে নির্বাণ টা প্রতিহত করেছে ।
ঢোকার আগেই বুদ্ধি করে জানলা দিয়ে ব্যাগটা ছুড়ে দিয়েছিলো নির্বাণ । ব্যাগে সে টিফিন কৌটো ছাড়া আর কিছু রাখে না । আর পকেটের পার্স-এ 30 টাকা, মান্থলি আর প্যান্টের চোরা পকেটে হাজার দুয়েক টাকা রাখে বিপদ আপদের জন্য । তাই ব্যাগ নিয়ে তার দুশ্চিন্তা ছিল না । বসে থাকা লোকেরা নিশ্চয়ই ব্যাগের একটা বিহিত করবে । জানলার সামনেও দুপাশে বসা লোকের মাঝখানেও ঠেসে দাঁড়িয়ে 4-5 জন । তাহলে বোঝাই যায় ট্রেন-এর ভিতরে কি অবস্থা হতে পারে ।
এখনো কাতারে কাতারে মানুষ দাঁড়িয়ে যারা সাহস করে ট্রেন-এ উঠবার চেষ্টা করে নি । নির্বাণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে লাগলো একটা ট্যাক্সি নিলেই ভালো ছিল এর চেয়ে ! অনেক গুলো কুনুই এর গোতা এখনো পেটে পিঠে পড়ছে তার, কিন্তু সেই ভেবে রাগ করলে তার চলবে না , কারণ একটু এদিক ওদিক নড়লে নিচের লোক গুলো তাকে নিচে টেনে নামিয়ে তার জায়গা দখল করে নেবে ।
পরের দশ মিনিট আরো বিভীশিখাময় মনে হলো নির্বানের । কারণ নিজের জায়গা করে নেয়া পর্যন্ত নির্বাণ এটুকু নিঃশ্চিন্ত ছিল যে সে এ যাত্রায় পার পেয়ে যাবে । কিন্তু ট্রেন ছাড়বার এনাউন্সমেন্ট করতেই আরো বেশ কিছু শ্রেণীর বেয়াদপ যুবক একরকম মারপিট করে টেনে কিছু লোককে নামিয়ে ট্রেনের গেটে উঠে দাঁড়ালো । ভিড়ের পরিমান ভাষায় প্রকাশ করা যায় না এটা শুধু কল্পনা করা যায় , বিশেষ করে যারা কোনো দিন হাওড়া বান্ডেল-এ যাতায়াত করেন নি । যখন থেকেই সে দরজার কোন টা নিয়েছে তখনি সে বুঝে গিয়েছিলো তার সামনে কোনো নাদুস নুদুস লোক দাঁড়িয়ে আছে আর সে কাটখোট্টা রুক্ষ নিত্যযাত্রীরা মতো নয় । তাই চাপের খাতিরে অনেকবারই নির্বাণ তার শরীরএর উপর নিজের শরীর ফেলে দিয়েছে । ঘাড় নিচু করে সেই মানুষটিকে দেখবার তার আর সুযোগ হয় নি । শুধু সামনের লোহাট হাতলটা শক্ত করে ধরে থাকায় তাকে সরিয়ে তার জায়গা কেউ নিতে পারে নি আর শেষ শক্তি দিয়ে নির্বাণ টা প্রতিহত করেছে ।
ঢোকার আগেই বুদ্ধি করে জানলা দিয়ে ব্যাগটা ছুড়ে দিয়েছিলো নির্বাণ । ব্যাগে সে টিফিন কৌটো ছাড়া আর কিছু রাখে না । আর পকেটের পার্স-এ 30 টাকা, মান্থলি আর প্যান্টের চোরা পকেটে হাজার দুয়েক টাকা রাখে বিপদ আপদের জন্য । তাই ব্যাগ নিয়ে তার দুশ্চিন্তা ছিল না । বসে থাকা লোকেরা নিশ্চয়ই ব্যাগের একটা বিহিত করবে । জানলার সামনেও দুপাশে বসা লোকের মাঝখানেও ঠেসে দাঁড়িয়ে 4-5 জন । তাহলে বোঝাই যায় ট্রেন-এর ভিতরে কি অবস্থা হতে পারে ।