08-11-2021, 03:16 PM
আনমনা হয়ে রতি বেরিয়ে পড়ে অফিসের দিকে , আর এমন করে অনেক দিন অফিস যেতে হয় রতি কে , পোশাক পরিচ্ছদ এর আড়ালে অনেক গুলো দীর্ঘশ্বাস উঁকি মারে তার কাঁধের আনাচে কানাচে ।
সেদিনের রাত হয় অভিমানের রাত। অনেক দিন এমনি যায় দুজন দুজন কে ফোন করে না , বা কেউ কাউকে জানবার প্রয়োজন মনে করে না যে একে ওপরের জীবনে বিদ্যমান । মাঝখান থেকে দিন টাই অতীত হয়ে যায় বর্তমান থেকেও । আর আবছা করে স্মৃতিটাকেও মুছিয়ে দেয় অভিমানের গ্লানি দিয়ে ।
ব্ল্যাডিচির নোবেলটা পড়তে পড়তে ঘড়ির দিকে তাকায় রতি । রাত 11 টা বাজে । এতো দেরি করে না সোম । ভাবতে ভাবতে দরজায় বেল বাজে । দীর্ঘাঙ্গী তন্বী সুন্দরী ছিপছিপে স্মার্ট মহিলা দ্বিগিশা ছাড়া আর কেউ নয় , আর তাকে জড়িয়ে ঘাড় নুইয়ে আছে সোম । ড্রিঙ্কস করেছে ভালো মতোই । "ম্যাম টুডে স্যার ইশ সো হ্যাপি , প্রমোশন মিলা AVP , হ্যামনে সেলিব্রেট কিয়া ! "
সে নিজেই সোফা তে বসিয়ে দিলো সোম কে ! রতি প্রশ্ন করলো "হোয়েন আর ইউ লিভিং গাইস!"
উচ্ছল প্রাণবন্ত হয়ে জবাব দিলো মেয়েটি " ওহ ইটস টুমোরো ইভনিং! ইটস সো মাচ অফ ফান !"
রতি কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন বোধ করলো না ! মেয়েটি চালাক টাই সময় নষ্ট না করেই বললো " আই মাস্ট বি লেট , গুড নাইট !"
মেয়েটি চলে গেলো ।
সোম কে টেনে নিয়ে বিছানায় গেলো রতি । পোশাকটা পাল্টে বিছানায় শুইয়ে দিলো সে , নেশার ঘোরে এলোমেলো কিছু শব্দ শুনতে পেলো রতি ! "ইউ নো ডি মাই লাইফ ইশ হেল !"
আর কিছু ভালো লাগলো না রতির । পরের দিনের যুদ্ধ এর জন্য তাকে তৈরী হতে হবে ,প্রত্যেক দিনের এমন যুদ্ধ করেই অনেক মেয়েদের জীবনের চাওয়া পাওয়া নির্ধারণ করতে হয় !
সকালে দুটো শরীর আর মনের কোনো কথা বিনিময় হলো না । ভিড় ট্রেনে তো এমন কত হয় , হাজার টা শরীরের সাথে হাজারটা মন পাশা পাশি দাঁড়িয়ে থাকে আবার কিছু সময় পরে একে ওপরের থেকে দূরে হারিয়ে যায় । সোম রতি কে লক্ষ করে কিছু কথা ছুড়ে দেয় যাবার আগে , "দু সপ্তাহে ফিরে আসবো , মন থেকে এসব নোংরা সরিয়ে দাও ! আমার কোনো গিল্টি ফিলিং নেই ! "
রতি উত্তর দেয় না কিন্তু বলে "ভাববো !"
অজান্তেই বিদায় জানাতে চায় না রতি আর নিজের অফিসের দিকে এগিয়ে যায় । মানুষ কে এগিয়েই যেতে হয় । যেমন করে এগিয়ে এসেছে দ্বিগিশা ! যেমন করে এগিয়ে গিয়েছে সোম ! রতির 60000 টাকার মাইনের সামনে ওদের উচাভিলাষা অনেক বেশি বৈকি , সেখানে মানুষের গুণমান বিচার করার প্রয়োজন অন্য মানুষদের হয় না । রতি কেও এগিয়ে যেতে হবে । তার মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক কিছুই সে ফেলে এসেছে , আর কুড়িয়ে নেয়া যাবে না , ট্রেন যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায় , ফেলে আসা স্টেশন গুলোকেও ফিরে পাওয়া যায় না ,আগের মতো শুধু স্মৃতি হয়েই পড়ে থাকে । সারা দিন আর বিশেষ কাজ হয় নি, রতির জীবন টা থেমে গেছে । সোমের উপর একটু অভিমান জমেছে মাত্র ,যাক ভালোই হয়েছে মনের আয়নার বাষ্প গুলো একটু একটু করে জল হয়ে ঝরে পড়ছে ।
সেদিনের রাত হয় অভিমানের রাত। অনেক দিন এমনি যায় দুজন দুজন কে ফোন করে না , বা কেউ কাউকে জানবার প্রয়োজন মনে করে না যে একে ওপরের জীবনে বিদ্যমান । মাঝখান থেকে দিন টাই অতীত হয়ে যায় বর্তমান থেকেও । আর আবছা করে স্মৃতিটাকেও মুছিয়ে দেয় অভিমানের গ্লানি দিয়ে ।
ব্ল্যাডিচির নোবেলটা পড়তে পড়তে ঘড়ির দিকে তাকায় রতি । রাত 11 টা বাজে । এতো দেরি করে না সোম । ভাবতে ভাবতে দরজায় বেল বাজে । দীর্ঘাঙ্গী তন্বী সুন্দরী ছিপছিপে স্মার্ট মহিলা দ্বিগিশা ছাড়া আর কেউ নয় , আর তাকে জড়িয়ে ঘাড় নুইয়ে আছে সোম । ড্রিঙ্কস করেছে ভালো মতোই । "ম্যাম টুডে স্যার ইশ সো হ্যাপি , প্রমোশন মিলা AVP , হ্যামনে সেলিব্রেট কিয়া ! "
সে নিজেই সোফা তে বসিয়ে দিলো সোম কে ! রতি প্রশ্ন করলো "হোয়েন আর ইউ লিভিং গাইস!"
উচ্ছল প্রাণবন্ত হয়ে জবাব দিলো মেয়েটি " ওহ ইটস টুমোরো ইভনিং! ইটস সো মাচ অফ ফান !"
রতি কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন বোধ করলো না ! মেয়েটি চালাক টাই সময় নষ্ট না করেই বললো " আই মাস্ট বি লেট , গুড নাইট !"
মেয়েটি চলে গেলো ।
সোম কে টেনে নিয়ে বিছানায় গেলো রতি । পোশাকটা পাল্টে বিছানায় শুইয়ে দিলো সে , নেশার ঘোরে এলোমেলো কিছু শব্দ শুনতে পেলো রতি ! "ইউ নো ডি মাই লাইফ ইশ হেল !"
আর কিছু ভালো লাগলো না রতির । পরের দিনের যুদ্ধ এর জন্য তাকে তৈরী হতে হবে ,প্রত্যেক দিনের এমন যুদ্ধ করেই অনেক মেয়েদের জীবনের চাওয়া পাওয়া নির্ধারণ করতে হয় !
সকালে দুটো শরীর আর মনের কোনো কথা বিনিময় হলো না । ভিড় ট্রেনে তো এমন কত হয় , হাজার টা শরীরের সাথে হাজারটা মন পাশা পাশি দাঁড়িয়ে থাকে আবার কিছু সময় পরে একে ওপরের থেকে দূরে হারিয়ে যায় । সোম রতি কে লক্ষ করে কিছু কথা ছুড়ে দেয় যাবার আগে , "দু সপ্তাহে ফিরে আসবো , মন থেকে এসব নোংরা সরিয়ে দাও ! আমার কোনো গিল্টি ফিলিং নেই ! "
রতি উত্তর দেয় না কিন্তু বলে "ভাববো !"
অজান্তেই বিদায় জানাতে চায় না রতি আর নিজের অফিসের দিকে এগিয়ে যায় । মানুষ কে এগিয়েই যেতে হয় । যেমন করে এগিয়ে এসেছে দ্বিগিশা ! যেমন করে এগিয়ে গিয়েছে সোম ! রতির 60000 টাকার মাইনের সামনে ওদের উচাভিলাষা অনেক বেশি বৈকি , সেখানে মানুষের গুণমান বিচার করার প্রয়োজন অন্য মানুষদের হয় না । রতি কেও এগিয়ে যেতে হবে । তার মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক কিছুই সে ফেলে এসেছে , আর কুড়িয়ে নেয়া যাবে না , ট্রেন যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায় , ফেলে আসা স্টেশন গুলোকেও ফিরে পাওয়া যায় না ,আগের মতো শুধু স্মৃতি হয়েই পড়ে থাকে । সারা দিন আর বিশেষ কাজ হয় নি, রতির জীবন টা থেমে গেছে । সোমের উপর একটু অভিমান জমেছে মাত্র ,যাক ভালোই হয়েছে মনের আয়নার বাষ্প গুলো একটু একটু করে জল হয়ে ঝরে পড়ছে ।