08-11-2021, 10:22 AM
অফিস শেষ করে বাড়ি গিয়ে পরিষ্কার হয়ে পাঞ্জাবি আর জিন্স চড়িয়ে হেটে হেঁটেই গেলাম নয়নার বাড়ি । জানি আজ রাজকীয় অভ্যর্থনা হবে । চাপ আমিও দিয়েছি যত টা সম্ভব । পয়সা ছাড়া দুনিয়া চলে না । যতই বুদ্ধি বার করুক কাজল পিসি , পালতে পারবে না । ওদেরই বাড়ির সামনে রাস্তায় একটা পানবিড়ির দোকানের ছেলে নাম শেখর । সেই আমার হয়ে পাহারা দিচ্ছে মা মেয়েকে । ভোর ৫ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত পানের দোকান খোলা থেকে । বাকি সময় টা এলাকার পাহারাদার দের সে চুপি সাড়ে বলে রেখেছে । একটু বকশিস আমিও দেব বৈকি কাজ শেষ হলে ।
বাড়িতে ঢুকলাম নয়না দের । যেন সব কিছু ডালা সাজিয়ে প্রস্তুত কাজল পিসি । খুব যত্ন করেই বসলো আমায় সোফাতে । আর একটু আমার শরীর ঘেসে বসলো কাজল পিসি নিজে । এই প্রথম । উল্টো দিকে নয়না , দেখে মনে হলো খুব চিন্তিত । কাজল পিসি নির্দ্বিধায় আমার উরুতে হাত রেখে বোলাতে বোলাতে শুরু করলেন " বাবা অনেক নিরুপায় হয়েই তোমাকে ডাকা ।"
কাজল পিসির কথা আমি শুনতে লাগলাম ।
দু একজনের কাছে বাজারে বাকি পড়ে গেছে ১০ লাখ টাকা । আমার চিকিৎসার জন্য নয়নি টাকা টা ধার করেছিল । মাথার উপর রায় বাবু ছিলেন তাই চিন্তা করিনি । কিন্তু কি রায় বাবু তো কিছুই করে গেলেন না । এদিকে পাওনাদার দের জ্বালায় আমি যে আর টিকতে পারছি না !"
আমি : সরল মুখ নিয়ে বললাম " কেন আমি যে বললাম , নয়না কে সোনা দানা যা আছে দিয়ে এখন কার মতো ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে ! সামনের সপ্তাহে আমি তো চেষ্টা করছি যাতে চেক টা পেয়ে যায় !"
কাজল পিসি: না ব্যাপারটা ঠিক তা নয়, আসলে জমি বন্দক দিয়েই বাড়িটা করা , জোয়ান মেয়ে কে রাখবো কোথায় ভেবে বাড়ি তা করা ! একম যিনি বাড়ির করার জন্য টাকা ধার দিয়েছেন তিনি পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন । দলিল আর টাকা ধার নেওয়ার কাগজ মহাজনের কাছে ।১৫ দিনে টাকা ধার না দিলে নয় ।"
আমি: ওহ ব্যাপারটা তাহলে খুব চিন্তারই দেখছি । তাহা রায় সাহেব কি কিছুই দেন নি আপনাদের ? নয়না যে বলছিলো রায় সাহেব নয়না কে খাতির করতেন !"
আমিও মনে মনে জানতে চাইলাম রায় সাহেব কত দূর কি দিয়েছেন এদের । এতো হতে পারে না রায় সাহেব নয়নার পিছনে খরচ করেন নি ।তাছাড়া এতো টাকা লোকের থেকে ধার করে মা মেয়ে কি করলো ।বাড়ির হাল পাল্টে ফেলেছে এ কথা সত্য । তাতে বড়োজোর ১২ লক্ষ খরচ হলো না হয় কিন্তু বাকি ৭-৮ লক্ষ এর হিসাব মেলানো যাচ্ছে না । খেয়ে দিয়ে ফুর্তি করলেই মানুষের এমন দশা হয় । যা শাড়ী আর গয়নার সাজগোজের বাহার তাতে এটাকা খরচ হয়ে যাবে বৈকি ।
কাজল পিসি: তুমি আসার পরে ওর মাইনেটাই অর্ধেক হয়ে গেছে । রায় সাহেবের দয়াতে ৫০ মতো হাতে পাচ্ছিলো । এখন তুমি ছাড়া যে বাঁচাবার কেউ নেই ! কোনো একটা উপায় তোমাকে করতেই হবে বাবা ! আমি সহায় সম্বলহীন বিধবা । এই জোয়ান মেয়ে নিয়ে লোকের লাথি ঝাঁটা খাবো এই বয়সে । তুমি যাহোক কোনো উপায় বার করো ।
আমি মনে মনে ভাবলাম যদি এদের আরো চাপ দি তাহলে বাধ্য হয়ে এরা এলাকা ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে যেতে পারে বৈকি ।একান্ত নিরুপায় হলে মানুষ এমনটাই করে ।
বাড়িতে ঢুকলাম নয়না দের । যেন সব কিছু ডালা সাজিয়ে প্রস্তুত কাজল পিসি । খুব যত্ন করেই বসলো আমায় সোফাতে । আর একটু আমার শরীর ঘেসে বসলো কাজল পিসি নিজে । এই প্রথম । উল্টো দিকে নয়না , দেখে মনে হলো খুব চিন্তিত । কাজল পিসি নির্দ্বিধায় আমার উরুতে হাত রেখে বোলাতে বোলাতে শুরু করলেন " বাবা অনেক নিরুপায় হয়েই তোমাকে ডাকা ।"
কাজল পিসির কথা আমি শুনতে লাগলাম ।
দু একজনের কাছে বাজারে বাকি পড়ে গেছে ১০ লাখ টাকা । আমার চিকিৎসার জন্য নয়নি টাকা টা ধার করেছিল । মাথার উপর রায় বাবু ছিলেন তাই চিন্তা করিনি । কিন্তু কি রায় বাবু তো কিছুই করে গেলেন না । এদিকে পাওনাদার দের জ্বালায় আমি যে আর টিকতে পারছি না !"
আমি : সরল মুখ নিয়ে বললাম " কেন আমি যে বললাম , নয়না কে সোনা দানা যা আছে দিয়ে এখন কার মতো ব্যাপারটা মিটিয়ে নিতে ! সামনের সপ্তাহে আমি তো চেষ্টা করছি যাতে চেক টা পেয়ে যায় !"
কাজল পিসি: না ব্যাপারটা ঠিক তা নয়, আসলে জমি বন্দক দিয়েই বাড়িটা করা , জোয়ান মেয়ে কে রাখবো কোথায় ভেবে বাড়ি তা করা ! একম যিনি বাড়ির করার জন্য টাকা ধার দিয়েছেন তিনি পুলিশের ভয় দেখাচ্ছেন । দলিল আর টাকা ধার নেওয়ার কাগজ মহাজনের কাছে ।১৫ দিনে টাকা ধার না দিলে নয় ।"
আমি: ওহ ব্যাপারটা তাহলে খুব চিন্তারই দেখছি । তাহা রায় সাহেব কি কিছুই দেন নি আপনাদের ? নয়না যে বলছিলো রায় সাহেব নয়না কে খাতির করতেন !"
আমিও মনে মনে জানতে চাইলাম রায় সাহেব কত দূর কি দিয়েছেন এদের । এতো হতে পারে না রায় সাহেব নয়নার পিছনে খরচ করেন নি ।তাছাড়া এতো টাকা লোকের থেকে ধার করে মা মেয়ে কি করলো ।বাড়ির হাল পাল্টে ফেলেছে এ কথা সত্য । তাতে বড়োজোর ১২ লক্ষ খরচ হলো না হয় কিন্তু বাকি ৭-৮ লক্ষ এর হিসাব মেলানো যাচ্ছে না । খেয়ে দিয়ে ফুর্তি করলেই মানুষের এমন দশা হয় । যা শাড়ী আর গয়নার সাজগোজের বাহার তাতে এটাকা খরচ হয়ে যাবে বৈকি ।
কাজল পিসি: তুমি আসার পরে ওর মাইনেটাই অর্ধেক হয়ে গেছে । রায় সাহেবের দয়াতে ৫০ মতো হাতে পাচ্ছিলো । এখন তুমি ছাড়া যে বাঁচাবার কেউ নেই ! কোনো একটা উপায় তোমাকে করতেই হবে বাবা ! আমি সহায় সম্বলহীন বিধবা । এই জোয়ান মেয়ে নিয়ে লোকের লাথি ঝাঁটা খাবো এই বয়সে । তুমি যাহোক কোনো উপায় বার করো ।
আমি মনে মনে ভাবলাম যদি এদের আরো চাপ দি তাহলে বাধ্য হয়ে এরা এলাকা ছেড়ে নিখোঁজ হয়ে যেতে পারে বৈকি ।একান্ত নিরুপায় হলে মানুষ এমনটাই করে ।