10-11-2021, 02:29 PM
প্রতাপগড় রহস্য
Part 3
কাজলদিঘীতে মাছ ধরতে যাবে ভাবল সুকান্ত। হাত ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখলো 7টা বাজে,পিসীর বোধয় পুজো শেষ। বাড়ি তারাতারি ফিরতে হবে, বাড়ির দিকে হাটে সুকান্ত। পিসী ও কমলা তখন নাট মন্দিরে পুজোয় ব্যাস্ত। কমলা একটি লালপাড় শাড়ী পড়েছে কি অপূর্ব লাগছে তাকে। নিতম্বের গরনটি সত্যি লোভনীয়। কি সব ভাবছি আমি মনে মনে বলল সুকান্ত। নিজের ঘরে পোশাক ছেড়ে আরাম করতে লাগল সুকান্ত। ইতিমধ্যে মাধব এসে খাবার দেবে কিনা জিজ্ঞাস করতে এল। সুকান্ত বলল আমি নিচে যাচ্ছি। "আয় সুকো এতক্ষন ছিলি কোথায়? ওই একটু প্রাতভ্রমনে গেছিলাম। লুচি সহযোগে মাংসের ঘুগনি শিতের সকালে সত্যি ভাবাযায়না। সব আমার কমলা মা নিজে হাতে রেঁধেছে, কিরে রান্না সব ঠিক আছে তো। হা পিসী। সুকান্ত কাছারিতে যাবে ভাবছিল হঠাৎ নবারুন এসে বলল ছোটবাবু পত্র আছে আপনার জন্য। পত্রর শুনে চোখ কুচকোল সুকান্ত। কে আবার তাকে পত্রর দিলো! খাম খুলে দেখল সমরেশ পত্র দিয়েছে। পত্রটি ঠিক এই রকম--------
নবাবগঞ্জ, ব্যান্নর্জী ভবন
24 parganas, 700035.
বন্ধু
সুকান্ত গঞ্জে মাধবের সঙ্গে দেখা হলো, সে বলল তুই নাকি বর্মা থেকে তিন চারদিন হলো এসেছিস। অনেকদিন তোর সঙ্গে দেখা হয়নি। ইতিমধ্যে একটি র্দুঘটনা ঘটে গেছে বাবা মশাই গত হয়েছেন। কিন্তুু পুলিশের অনুমান তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরিবারের সবাই শোকাহত। যদিও, পুলিশ এখনও হাল ছাড়েনি কিন্তুু হত্যাকারি এখন আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমার অনুরোধ তুই একবারটা যদি আসতিস হয়ত এর একটা মীমাংসা হত।
প্রতাপগড় ইতি
নদিয়া মহকুঞ্জ সমরেশ
742192
চিঠি পেয়ে সুকান্ত বন্ধুর অনুরোধ নিয়ে কি করবে ভেবে পায়না। এতদিন পর বাড়ি ফিরে আবার পিসীকে কি বলবে ভেবে পেলনা, অন্যদিকে সমরেশের বিপদের কথা পিসিকে বললে নিশ্চয় পিসি বুঝবে। দুপুরে খেতে বসে পিসিকে চিঠির সবকথা সে পিসিকে বলল। ঠিক আছে যাবি যা তবে তোর দেখাশোনার জন্য কেউ এখান থেকে যাবে। ওখানে তো অনেক ঠাকুর চাকর ঝি তো আছে। তবুও যাবে। কেউ না যাক কমলা মা যাবে। মনে মনে সুকান্ত চাইছিল কমলা যাক তার সাথে। সুকান্ত কালকেই ডাকে চিঠি লিখে দিলো। প্রতাপগড় প্রায় এখান থেকে 100কিমি. কাজেই austin গাড়িটিকে সঙ্গে নিতে হল। মালপত্র ও বেডিং গাড়িতে তুলে দেওয়া হল। কমলা আজ একটা আকাশি শাড়ী ও সবুজ ব্লাউজ পড়েছে। সুকান্ত একটি শার্ট ও গালিশ ওলা প্যান্ট নিল রংয়ের। পিসি দূগ্গা দূগ্গা করে সবাই কে রওনা করে দিলো। পথ চলা শুরু হলে কমলা সুকান্তর দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছিল আর হাসচ্ছিল মৃদু। সুকান্তর নজর তার সাড়া শরীরের আনাচেকানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সুকান্ত কমলার একটি আঙ্গুল আলতো করে স্পর্শ করলো, কেঁপে উঠল কমলা।