06-11-2021, 04:17 PM
সেদিন রাতে ফিরে আসলাম মেমরির বাসায় আর আমি সবিস্তারে খুলে বললাম ব্যাভিচারের কথা বিদিশাকে । বিদিশা শুনে খুব তৃপ্তি পেলো আর আমায় জিজ্ঞাসা করলো আমি খুশি কিনা । সত্যি বলতে কি এমন সম্পর্পনে আমি একটুও খুশি হই নি , বরং আমি চেয়েছিলাম যে মা মেয়ে দুজনে কেঁদে আমার পায়ে ধরুক । বিদিশা শুনে কিছুক্ষন চুপ করে থাকলো । তার পর বললো " দেখো এখন কিন্তু তোমার সময় এসেছে বদলা নেবার । তুমি কি করবে ভেবে দেখো , আর আমার যদি কিছু সাহায্য লাগে বোলো , তুমি জানো তো যে তোমার সুখেই আমার সুখ ! আমিও চাই জানো এতদিন ধরে মনে পুষে রাখা গ্লানি, তুমি এক দিনে মুছে ফেলো না কিন্তু। না হলে বদলা নেবার মজাই পাবে না , নিঃস্ব করে দাও ওদের ।" আমিও অবশ্য মনে মনে তাই চাই । বললাম " এখুনি সাহায্যের দরকার পড়বে না তবুও আমি জানাবো যদি কোনোকিছুর দরকার হয় । "
বিদিশা : "আচ্ছা শোনো সোমবার মিতুলের কলেজে পেরেন্টস টিচার মিটিং আছে , তোমায় আসতে হবে তো ?"
আমি: " কেন আমি তো শনিবার বিকেলেই কলকাতায় পৌঁছে যাচ্ছি , সোমবার না হয় একটু দেরি করেই যাবো অফিস ।"
কলকাতার অফিস থেকে আমারই মতো নয়না মেমরি আসা যাওয়া করে । কলকাতার ব্রেবোন রোডের অফিস আমাদের হেড অফিস । স্টাফ প্রায় জনা ৬০ ।মনিপুর আর মিজোরামের স্টাফ মিলিয়ে ২৫০ হবে । ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লাস বানানো হয় UK এর ফর্মুলা দিয়ে । রেসিলেন্স থেকে ক্যামেরা লেন্স , আর ফায়ার গ্লাস থেকে হাই প্রেসার ওয়াটার গ্লাস সাবমেরিনের সবই বানানো হয় । ভারত গ্লাস ফ্যাক্টরি , ভারতের সব চেয়ে পুরোনো সিলিকা জেল আমাদের এখানেই তৈরী হতো । তারই কর্ণধার আমি । আমাদের মাইনা পত্তর যদিও আসে এখনো লন্ডন থেকেই । আর ম্যাঞ্চেস্টার অফিস দেখাশুনা করে অর্ডার-এর স্পেসিফিকেশন ।
এমন অনেক হাই টেকনোলজি গ্লাস আছে যেগুলো আমরা মেমরির ইউনিট থেকেই বানাতে পারি । আমাদের ফ্যাক্টরি তে ইন্ডিয়ান রেল-এর ওয়াগন আসে কাঁচা মাল নিয়ে । গ্লাস মেল্টিং ফার্নেস , কন্ডিশনিং , মিক্সিং সবই আমরা করতে পারি । জাপান ছাড়া কাঁচের এসব কাজ হয় একমাত্র ভারতেই ।
রাতটা বেশ স্বপ্ন মধুর কাটলো আমার । নয়না আমার স্কেডিউল এর সাথে সাথেই আসা যাওয়া করতো মেমরি তে । রায় সাহেব থাকা কালীন কলকাতায় রায় সাহেবের বাংলোতে নয়না থাকার ব্যবস্থা করেছিল ।আমি তাঁকে সে সুযোগ দি নি । কলকাতায় ফ্ল্যাট থাকার সুবাদে আমার বাংলোর প্রয়োজন হয় নি কোনোদিন । দু দিন পরেই কলকাতায় ফিরে যাবো মেমরি থেকে । এর পর দু এক সপ্তাহ না এলেও চলবে ।
পরের দিন অফিসে খোকন একটা খবর নিয়ে আসলো । সকাল থেকেই নয়নার বাড়িতে পাওনাদারদের তাগাদা শুরু হয়ে গেছে বিশ্রী ভাবে । আমার হাওয়ায় ওড়ানো খবর শুনে লোক জন হুমড়ে পড়েছে কাজল পিসির বাড়িতে । আসা যাওয়া করছে একের পর এক । যেহেতু আমি বলেছি ওরা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে , আর খবর খোকন এনেদিয়েছিলো সেরকম ই । তাই কেউ আর এদের উপর ভরসা করতে পারলো না ।মেমরির অফিসে সকাল বেলা আসলেও ঘন ঘন কাজল মাসির ফোন আসতে লাগলো নয়নার ফোনে । খুব নিজের লজ্জা ঢেকে বাইরে বেরিয়ে ফোন তুলতে লাগলো একের পর এক । শেষে না থাকতে পেরে আসলো আমার কাছে ।
বিদিশা : "আচ্ছা শোনো সোমবার মিতুলের কলেজে পেরেন্টস টিচার মিটিং আছে , তোমায় আসতে হবে তো ?"
আমি: " কেন আমি তো শনিবার বিকেলেই কলকাতায় পৌঁছে যাচ্ছি , সোমবার না হয় একটু দেরি করেই যাবো অফিস ।"
কলকাতার অফিস থেকে আমারই মতো নয়না মেমরি আসা যাওয়া করে । কলকাতার ব্রেবোন রোডের অফিস আমাদের হেড অফিস । স্টাফ প্রায় জনা ৬০ ।মনিপুর আর মিজোরামের স্টাফ মিলিয়ে ২৫০ হবে । ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লাস বানানো হয় UK এর ফর্মুলা দিয়ে । রেসিলেন্স থেকে ক্যামেরা লেন্স , আর ফায়ার গ্লাস থেকে হাই প্রেসার ওয়াটার গ্লাস সাবমেরিনের সবই বানানো হয় । ভারত গ্লাস ফ্যাক্টরি , ভারতের সব চেয়ে পুরোনো সিলিকা জেল আমাদের এখানেই তৈরী হতো । তারই কর্ণধার আমি । আমাদের মাইনা পত্তর যদিও আসে এখনো লন্ডন থেকেই । আর ম্যাঞ্চেস্টার অফিস দেখাশুনা করে অর্ডার-এর স্পেসিফিকেশন ।
এমন অনেক হাই টেকনোলজি গ্লাস আছে যেগুলো আমরা মেমরির ইউনিট থেকেই বানাতে পারি । আমাদের ফ্যাক্টরি তে ইন্ডিয়ান রেল-এর ওয়াগন আসে কাঁচা মাল নিয়ে । গ্লাস মেল্টিং ফার্নেস , কন্ডিশনিং , মিক্সিং সবই আমরা করতে পারি । জাপান ছাড়া কাঁচের এসব কাজ হয় একমাত্র ভারতেই ।
রাতটা বেশ স্বপ্ন মধুর কাটলো আমার । নয়না আমার স্কেডিউল এর সাথে সাথেই আসা যাওয়া করতো মেমরি তে । রায় সাহেব থাকা কালীন কলকাতায় রায় সাহেবের বাংলোতে নয়না থাকার ব্যবস্থা করেছিল ।আমি তাঁকে সে সুযোগ দি নি । কলকাতায় ফ্ল্যাট থাকার সুবাদে আমার বাংলোর প্রয়োজন হয় নি কোনোদিন । দু দিন পরেই কলকাতায় ফিরে যাবো মেমরি থেকে । এর পর দু এক সপ্তাহ না এলেও চলবে ।
পরের দিন অফিসে খোকন একটা খবর নিয়ে আসলো । সকাল থেকেই নয়নার বাড়িতে পাওনাদারদের তাগাদা শুরু হয়ে গেছে বিশ্রী ভাবে । আমার হাওয়ায় ওড়ানো খবর শুনে লোক জন হুমড়ে পড়েছে কাজল পিসির বাড়িতে । আসা যাওয়া করছে একের পর এক । যেহেতু আমি বলেছি ওরা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারে , আর খবর খোকন এনেদিয়েছিলো সেরকম ই । তাই কেউ আর এদের উপর ভরসা করতে পারলো না ।মেমরির অফিসে সকাল বেলা আসলেও ঘন ঘন কাজল মাসির ফোন আসতে লাগলো নয়নার ফোনে । খুব নিজের লজ্জা ঢেকে বাইরে বেরিয়ে ফোন তুলতে লাগলো একের পর এক । শেষে না থাকতে পেরে আসলো আমার কাছে ।