07-11-2021, 09:06 AM
প্রতাপগড় রহস্য
Part2
Part2
ওমাঃ লোক রাখতে যাবো কোন দুঃখে। ও আমি ভাবলাম বুঝি যাই হোক- সুকান্ত কথা শেষ করলো। ও তো কমলি মা আমার রেধেছে তুই আসবি বলে, না হলে তো গনসার মা আছেই। সে আবার কে পিসী? ও কে তুই চিনিস কেন কল্পনাপিসীর মেয়ে। তোরা ছোট বেলায় কতো খেলা করতিস মনে নেই। কল্পনা আমার শই ছোটবেলার আহাঃ মেয়েটা বড় অভাগা রে। কেন,পিসী?এই রকম বলছো। ওমা, কল্পনার গত হওয়ার পর ওকে কে দেখার কেউ নেই। বয়স্কা মেয়ে কি করে একা ছেড়েদি। আর শই এর মৃত্যুশয্যায় আমি কথা দিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে, রাঘব এসে দাড়িয়েছে, সে এ বাড়ির চাকর। আর কিছু লাগবে দাদাবাবু? না তুই যা। কমলা কোথায় রে? কে কমলা দিদিমোনি সে বাগানে গেছে, গাছের পরিচর্যা করতে। সব দিকে নজর মেয়েটার। তা, হা রে সুকো আবার বর্মা পারি দিবি কবে? আর যাব না সে পাঠ চুকিয়ে এসেছি। যাক, চেহারাটার কি হাল করে ছিস এইতো এবার তুমি ঠিক করে দিও। তা পিসী অনুপম,অক্ষয়,পিযূষ,আলী ওরা কি খবর গো? ভাবছি! কালকে একবার গঞ্জে যাবো মাধবকে সঙ্গে করে। তা যাসখোন। পিযূষ তো শুনেছি কি সব সাহেবদের কোম্নানীতে চাকরি করে হপ্তায় এক আদবার এখানে আসে মার কাছে। আর বাকিরা সব এখানেই থাকে। পিসী রাতে আর খাবনা ভাবছি বুঝলে। তোর প্রিয় চিতল মাছের মুইঠা ও বরিভাজা।তোমাকে নিয়ে আর পারা যাবেনা। শুতে গেল সুকান্ত, কাকে যেন সে দেখল ছাদের সিরি দিয়ে উপরে চলে গেল। কমলা নয় তো। ঘুমে চোখদুটি অবস হয়ে গেল সুকান্তর। প্রাতভ্রমনে যাওয়ার অভ্যাস সুকান্তর তাই সে ধুতি ও পানজাবী আর পামসু টি পরে যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে বেরতে যাবে সদর দরজা মুখোমুখি কমলার সঙ্গে। সুকান্ত হতবাক! এ তো সাক্ষাৎ এক দেবী মূর্তি অপরুপা বললে কম বলা হবে মাথা ভর্তি একরাস কালো চুল ছোট্ট ললাট ঢলঢলে মুখখানি তার সঙ্গে চোখগুলি যেন কোন শিল্পীর তুলির টানে আঁকা। উন্নত গৃবা ও সুন্দর পাতলা পাতার নেয় ঠোঁট যেন রুপটিকে আরো অন্য মাত্রা দিয়েছে। গায়ের রং ও বেশ পরিষ্কার। সুকান্তর চোখ দুটি যেন তার বক্ষদেশে গিয়ে একরকম আটকে গেছে। ফুলকাটা লেসের ব্লাউজের ডিজাইনের মধ্যে দিয়ে বক্ষ বিভাচিকা বেশ দৃশ্যমান, উদ্ধত পর্বেতর ন্যায় তা শাড়ীর ভেতর দিয়ে জানান দিচ্ছে। আটপৌরে করে একটি কমলা পার শাড়ী ও কালো ব্লাউজ পরে সে যেন অপরুপা। মুচকি হেসে সে পাশ কাটিয়ে চলে গেল যেন চোখের ইশারায় কি যেন বলে গেল। সুকান্ত আর সময় নষ্ট না করে সদর দরজার দিকে এগোতে লাগল। গ্রামের পথ ধরে সে চলেছে অপরুপ শোভা চারিদিকে পথে দেখা বুড়ো করিম মীঁয়ার সঙ্গে।"ছোটকত্তা যে, তা কবে আসা হলো"? এই তো গতকাল। তা তোমরা সব আছ কেমন, আল্লার ভরসায় চলে যাচ্ছে। সুকান্ত এগিয়ে চলল।