03-11-2021, 12:38 PM
দরজার ফাঁক দিয়ে আসছে শেষ বিকেলের মরা রোদ্দুর। সেই আলোতেই শেখরের মুখটা ভালো করে দেখলো মাহী। এক গভীর প্রশান্তির চাদরে ঢেকে আছে তার মুখ। তার এত নির্মল, শান্ত মুখ বহুদিন দেখে নি মাহী। সম্প্রতি দলে বিভিন্ন উপদল সৃষ্টি হওয়া, দলের ভিতরের বিভিন্ন কমরেডদের বেইমানি করে পুলিশ-প্রশাসনের সাথে হাত মেলানো, বিভিন্ন স্তরে পার্টি ফান্ডের নয়ছয়, ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপার নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছে শেখর। এমন শান্তির ঘুম বোধহয় বহুদিন পায় নি। ইশারায় মীনাকে নড়াচড়া করতে বারন করে, দরজাটা ভেজিয়ে বেরিয়ে আসলো মাহী এবং সোহাগী।
সেই সন্ধ্যায় যখন অষ্টমীর মরা চাঁদ জেগে উঠলো শাল-পিয়ালের ফাঁকে, একগাদা সার্চলাইট এসে পড়লো তাদের কমিউনে। সঙ্গে whistle, মিলিটারি বুটের দাপাদাপি এবং sniffer dog এর চীৎকার। কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলার আগেই বেষ্টনী ক্রমশঃ ছোট করে গোটা কমিউনের দখল নিয়ে নিলো কমান্ডার গুরপ্রীত সিং-এর নেতৃত্বে কোবরা ব্যাটেলিয়ন। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিলো “অপারেশন শেষনাগ”।
চারিদিকে গুলি এবং গ্রেনেডের আওয়াজে ধড়মড় করে জেগে উঠেছিলো মীনা। চোখ কচলে আবিস্কার করলো একটা প্রায়ান্ধকার ঘরে সে শুয়ে আছে আর তার পেটে মাথা রেখে শুয়ে আছে শেখরবাবু। তার উরুদুটো জড়িয়ে রেখেছে এমনভাবে যেন কোনো শিশু তার মাকে জড়িয়ে ধরে নিশ্চিন্তে শুয়ে থাকে। এইধরনের পরিস্থিতির কোনো অভিজ্ঞতাই নেই মীনার। মাঝে মাঝেই দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝলকানি। বারান্দায় ধুপধাপ বুটজুতোর আওয়াজ কানে আসছে। কি করবে বুঝতে না পেরে ভয়ে ভয়ে শেখরকেই মৃদু ধাক্কা দেয়। জাগার কোনো লক্ষণই নেই শেখরের মধ্যে। এত আওয়াজ যেন তার কানেই যাচ্ছে না। মীনার পেটে মুখটা আরো গুঁজে দেয় সে। তখনই দরজা খুলে যায় এবং একাধিক সার্চলাইটের তীব্র আলো এসে পড়লো তাদের মুখে।
সেই রাতে সারান্ডা ক্যাম্প থেকে ধরা পরে ভারত সরকারের ত্রাস কমরেড শেখর সহ উনিশজন কমরেড। মৃদু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছিলো বদ্রু, জগদ্দল, মানিকরা। কিন্তু অস্ত্রভান্ডার অবধি পৌঁছতেই পারে নি তারা। বোঝাই যায় কমিউনের নাড়ীনক্ষত্রের খবর আছে যৌথ বাহিনীর কাছে। ফলে সাধারন রাইফেল এবং দু’চারটে হ্যান্ডগ্রেনেড নিয়ে যৎসামান্য প্রতিরোধ, অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভারে সজ্জিত বিশাল যৌথবাহিনীর সামনে দাড়াতেই পারে না। গুলিতে লুটিয়ে পড়ে মানিক; জঙ্গলের দিকে পালাতে গিয়ে গ্রেনেডের আঘাতে মারা পড়ে জগদ্দল। বাকীরা ধরা পড়ে।
তবে এই অপারেশনের প্রাইম টার্গেট কমরেড শেখর বাগচীকে এক অন্তঃস্বত্তার কোলে ঘুমন্ত অবস্থায় পাকড়াও করতে পেরে নিদারুন অবাক এবং খুশী হয় কমান্ডার গুরপ্রীত সিং। শেখরের সুতীব্র কামপিপাসার কথা কারোরই অবিদীত নেই। হয়তো এই মহিলাকে শেখরই পেট বাঁধিয়েছে। গোঁফের তলায় একটা চোরা হাসি ফুটে উঠলো তার। এই কি মাহী! শেখরের নর্মসহচরী! না না, এ হতে পারে না। মাহী দক্ষিণ ভারতীয়, দীর্ঘাঙ্গী। আর এই মেয়েটি ভেতো বাঙ্গালী টাইপের।
একটু পরেই শেখর, মাহী, বদ্রু, সোহাগী সহ উনিশজনকে হাতকড়া পড়িয়ে গাড়ীতে তোলা হলো। বাকী যে সব পুরুষদের বিরুদ্ধে চার্জসীট নেই তাদের জঙ্গলে পালিয়ে যেতে বলা হলো, এবং পলায়নকালে তাদের পিছন থেকে গুলি করা হলো। কিছু মারা গেলো, কয়েকজন পিঠে-পায়ে গুলি খেয়েও পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো। কমিউনের বাকী মেয়েদের তুলে দেওয়া হলো যৌথ বাহিনীর জওয়ানদের হাতে। আজকের অপারেশনের বিজয়োৎসব পালন করবে এই মেয়েদের ভোগের মাধ্যমে।
মীনাকেও উপর্য্যপরি ছয়জন জওয়ান ভোগ করলো। তাদের পৈশাচিক অত্যাচারে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলো তার। অবশেষেএকজন নাগা জওয়ান যখন রিভলবারের বাঁট তার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে মোচর দিতে লাগলো, পেটে-পাছায় মিলিটারি বুট দিয়ে লাথি মারতে লাগলো, গর্ভপাত ঘটলো মীনার।
সেই সন্ধ্যায় যখন অষ্টমীর মরা চাঁদ জেগে উঠলো শাল-পিয়ালের ফাঁকে, একগাদা সার্চলাইট এসে পড়লো তাদের কমিউনে। সঙ্গে whistle, মিলিটারি বুটের দাপাদাপি এবং sniffer dog এর চীৎকার। কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলার আগেই বেষ্টনী ক্রমশঃ ছোট করে গোটা কমিউনের দখল নিয়ে নিলো কমান্ডার গুরপ্রীত সিং-এর নেতৃত্বে কোবরা ব্যাটেলিয়ন। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিলো “অপারেশন শেষনাগ”।
চারিদিকে গুলি এবং গ্রেনেডের আওয়াজে ধড়মড় করে জেগে উঠেছিলো মীনা। চোখ কচলে আবিস্কার করলো একটা প্রায়ান্ধকার ঘরে সে শুয়ে আছে আর তার পেটে মাথা রেখে শুয়ে আছে শেখরবাবু। তার উরুদুটো জড়িয়ে রেখেছে এমনভাবে যেন কোনো শিশু তার মাকে জড়িয়ে ধরে নিশ্চিন্তে শুয়ে থাকে। এইধরনের পরিস্থিতির কোনো অভিজ্ঞতাই নেই মীনার। মাঝে মাঝেই দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝলকানি। বারান্দায় ধুপধাপ বুটজুতোর আওয়াজ কানে আসছে। কি করবে বুঝতে না পেরে ভয়ে ভয়ে শেখরকেই মৃদু ধাক্কা দেয়। জাগার কোনো লক্ষণই নেই শেখরের মধ্যে। এত আওয়াজ যেন তার কানেই যাচ্ছে না। মীনার পেটে মুখটা আরো গুঁজে দেয় সে। তখনই দরজা খুলে যায় এবং একাধিক সার্চলাইটের তীব্র আলো এসে পড়লো তাদের মুখে।
সেই রাতে সারান্ডা ক্যাম্প থেকে ধরা পরে ভারত সরকারের ত্রাস কমরেড শেখর সহ উনিশজন কমরেড। মৃদু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছিলো বদ্রু, জগদ্দল, মানিকরা। কিন্তু অস্ত্রভান্ডার অবধি পৌঁছতেই পারে নি তারা। বোঝাই যায় কমিউনের নাড়ীনক্ষত্রের খবর আছে যৌথ বাহিনীর কাছে। ফলে সাধারন রাইফেল এবং দু’চারটে হ্যান্ডগ্রেনেড নিয়ে যৎসামান্য প্রতিরোধ, অত্যাধুনিক অস্ত্রসম্ভারে সজ্জিত বিশাল যৌথবাহিনীর সামনে দাড়াতেই পারে না। গুলিতে লুটিয়ে পড়ে মানিক; জঙ্গলের দিকে পালাতে গিয়ে গ্রেনেডের আঘাতে মারা পড়ে জগদ্দল। বাকীরা ধরা পড়ে।
তবে এই অপারেশনের প্রাইম টার্গেট কমরেড শেখর বাগচীকে এক অন্তঃস্বত্তার কোলে ঘুমন্ত অবস্থায় পাকড়াও করতে পেরে নিদারুন অবাক এবং খুশী হয় কমান্ডার গুরপ্রীত সিং। শেখরের সুতীব্র কামপিপাসার কথা কারোরই অবিদীত নেই। হয়তো এই মহিলাকে শেখরই পেট বাঁধিয়েছে। গোঁফের তলায় একটা চোরা হাসি ফুটে উঠলো তার। এই কি মাহী! শেখরের নর্মসহচরী! না না, এ হতে পারে না। মাহী দক্ষিণ ভারতীয়, দীর্ঘাঙ্গী। আর এই মেয়েটি ভেতো বাঙ্গালী টাইপের।
একটু পরেই শেখর, মাহী, বদ্রু, সোহাগী সহ উনিশজনকে হাতকড়া পড়িয়ে গাড়ীতে তোলা হলো। বাকী যে সব পুরুষদের বিরুদ্ধে চার্জসীট নেই তাদের জঙ্গলে পালিয়ে যেতে বলা হলো, এবং পলায়নকালে তাদের পিছন থেকে গুলি করা হলো। কিছু মারা গেলো, কয়েকজন পিঠে-পায়ে গুলি খেয়েও পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো। কমিউনের বাকী মেয়েদের তুলে দেওয়া হলো যৌথ বাহিনীর জওয়ানদের হাতে। আজকের অপারেশনের বিজয়োৎসব পালন করবে এই মেয়েদের ভোগের মাধ্যমে।
মীনাকেও উপর্য্যপরি ছয়জন জওয়ান ভোগ করলো। তাদের পৈশাচিক অত্যাচারে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলো তার। অবশেষেএকজন নাগা জওয়ান যখন রিভলবারের বাঁট তার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে মোচর দিতে লাগলো, পেটে-পাছায় মিলিটারি বুট দিয়ে লাথি মারতে লাগলো, গর্ভপাত ঘটলো মীনার।