Thread Rating:
  • 41 Vote(s) - 2.9 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Non-erotic সৌরভ
#22
মেজো আপার বাড়ি দাওয়াত, আসতেই হল , অন্য কেউ হলে আমি এড়িয়ে যেতাম , কিন্তু এখানে সম্ভব নয় । মেজো আপা নাছোড় বান্দা টাইপ মানুষ । সেই ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি , ওর যেটা চাই সেটা চাইই চাই । বাবাও ওনর সাথে লাগতে যেতেন না । একবার মা চেষ্টা করেছিলো , নাজেহাল হতে হয়েছে , মায়ের এক খালাতো বোন এর ছেলে , বাউন্ডুলে টাইপ। তবে দেখতে খুব ভালো ছিলো , একবার এক বিয়েতে ছেলেটি মেজো আপার সাথে একটু ভাব করার চেষ্টা করছিলো । সেদিন ছিলো গায়ে হলুদ , মা ব্যাপারটা খেয়াল করে মেজো আপা কে বাসায় পাঠিয়ে দিতে চাইলো । তুমুল ঝগড়া দুজনে , আমার তখন ১২ বছর বয়স , তাই ঘটনাটা আমার মনে আছে ।  

 
একসময় মা যখন একটু অন্যদিকে গেলো , তখন মেজো আপা আমাকে ডেকে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলো , বলল “যা তো ওই ছেলেটাকে দিয়ে আয়” আমি বিনা প্রস্নে রাজি হয়ে গেলাম । ছেলেটিকে কাগজ টি দিতেই ছেলেটি সেটা পড়ল । পরার পর একটা হাঁসি ফুটে উঠলো ছেলেটির মুখে । আমাকে বলল “যাও গিয়ে বলো ওকে” আমি চলে আসছিলাম , ছেলেটি আমাকে ডাকল আবার বলল “বাবু তুমি এটা রাখো” পরে দেখছি , ১০০ টাকার নোট । ওই সময় ১০০ টাকা আমার কাছে আসমানের চাঁদ । আমি মেজো আপা কে গিয়ে বললাম ।
 
সেদিন রাতে মা সারা রাত কেঁদেছে , মেজো আপার হাতে পায়ে ধরা সুধু বাকি ছিলো । মেজো আপা কে দেখে মনে হচ্ছিলো সে খুব মজা পাচ্ছিলো মায়ের এই অবস্থা দেখে। এমন জেদি ছিলো মেজো আপা , এখন অবশ্য সেই জেদ নেই । জেদ এর জায়গা দখল করেছে , প্যানপ্যানানি , ও প্যানপ্যান করতে করতে মানুষ মেরে ফেলতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস ।  
 
আমাদের ভাই বোনের মাঝে মেজো আপা সবচেয়ে সুন্দরী । মায়ের মতো গায়ের রং যা আমরা বাকি ভাই বোন কেউ পাইনি। একেবারে কাঁচা সোনার মতো রং । অনেকে আছে রং সুন্দর হলে চেহারা সুন্দর হয় না । আপার তেমন ছিলো না , বড় আপার জন্য যখন পাত্র দেখা হচ্ছিলো , তখন মেজো আপা কে পাত্র পক্ষের সামনে যেতে দেয়াও হতো না। আসলে আপার সৌন্দর্য বর্ণনা করা আমার কাজ নয় । এক কথায় বলতে গেলে দম বন্ধকরা সুন্দরী । যে সব সুন্দরী মেয়েদের সামনে গেলে দম বন্ধ বন্ধ লাগে , তাদের নাম আমি দিয়েছি দম বন্ধ সুন্দরী ।   
ছোট বেলায় এই জন্যই আমি মেজো আপার ভক্ত ছিলাম । যখন একেবারে ছোট ছিলাম , তখন আমি বলতাম আমি বড় হয়ে মেজো আপা কে বিয়ে করবো । একবার এই নিয়ে বিশাল ঝগড়া , মনের কথা এক বন্ধুকে বলে দিয়েছিলাম , সেই বিশ্বাসঘাতক সবাইকে বলে দেয় , সবাই খুব হাসাহাসি , সবাই ক্ষেপায় বলে বোন কে বিয়ে করতে চায় । আমি তখন দুনিয়ার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানি না । লেগে গিয়েছিলো তুমুল মারামারি , ওটাই ছিলো আমার জীবনের প্রথম আর শেষ মারামারি । মনে পড়লে এখনো হাঁসি পায় জীবনে মারামারি করেছিলাম , তাও ভালবাসার জন্য হা হা হা ।
 
বাসায় বিচার এলো , জিজ্ঞাসাবাদ চলল , জেরাকারী হচ্ছেন মা । ছোট বেলায় বাবার নেওটা  ছিলাম বলে বাবা আমাকে শাসন করতো না তেমন । কিছুতেই আমার মুখ থেকে বের হয় না আসল কারন । অনেক জেরা আর চড় থাপ্পর এর পর আমি মাথা নিচু করে বলেছিলাম “ইমন বলে আমি মেজো আপা কে বিয়ে করতে পারবো না”  শুনে মা মুখে আচল চাপা দিয়েছিলো । রাগ ভেঙ্গে গেছে আমি যেন বুঝতে না পারি । মেজো আপা সামনেই ছিলো , উনি এসে আমাকে প্রায় কোলে তুলে নিয়েছিলো , আমার চেয়ে ছয় বছরের বড় মেজো আপার তখন মাত্র ১২ বছর বয়স। গালে চুমু খেয়ে বলেছিলো “আমি তোকেই বিয়ে করবো” কি যে লজ্জা হয়েছিলো , কতদিন পর্যন্ত মেজো আপার সামনে যেতে পারতাম না । গেলেই মেজো আপা দুষ্টুমি করতো , “স্বামী কেমন আছেন” এই টাইপ কথা বলতো । ধিরে ধিরে বয়স হয়েছে , সমাজ এর রিতিনিতি বুঝতে সিখেছি , তারপর ওই ব্যাপার ভুলে গেছি । তবে মেজো আপার প্রতি একটা টান এখনো আমার আছে । আমার অন্য বোন দের তুলনায় ওর সাথে বেশি সম্পর্ক আমার । হয়ত মেজো আপাই এক মাত্র যে আমার বাসায় নিয়মিত যায় বলে ।  
 
মেজো দুলাভাই এর আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয় , কিন্তু পার্টির ব্যাপারে উনি বেশ সিরিয়াস , আমি আসতেই বলল “কিরে সৌরভ তোর শরীর কেমন”
 
“ ভালো দুলাভাই” আমি আমার সাভাবসিদ্ধ উত্তর দিয়েছিলাম , ভালো না হলেও ভালো বলা আমার অভ্যাস
 
“ তাহলে রাতে থাকবি , ভালো হুইস্কি আছে , স্কচ , ব্লু লেভেল , খেয়ে জাবি”
 
লোকটার সম্পর্কে অনেক বাজে কথা প্রচলিত আছে , তবে মেজো আপা আমাকে বিশ্বাস করিয়ে ছেড়েছে যে এসব ই মিত্থা। লোকে হিংসা করে বলে এসব বলে । আমি অবশ্য লোকের হিংসা করার মতো কিছুই পাই না । অবশ্য মেজো আপার ইংগিত কার দিকে সেটা স্পষ্ট , উনি বড় আপাকে উদ্দেশ্য করে বলেন এটা । মেজো দুলাভাই প্রথমে দেখতে এসেছিলেন বড় আপা কে , কিন্তু উনি মেজো আপাকে পছন্দ করে ফেলেন । মেজো আপার কথা বলতে বাবা কিহুতেই রাজি হন নি । পরে দুই বছর পর ফিরে এসে মেজো আপা কে বিয়ে করেছেন । এই বিয়েতে বড় আপা রাজি ছিলেন না , এমন কি উনি সুধু বিয়ের দিন এসে খেয়ে চলে গিয়েছিলেন ।
 
সবাই মনে করতো এতো পছন্দের বিয়ে , খুব সুখের হবে সংসার । তেমন হয়নি , মাঝে মাঝে মেজো আপার শরীরে দাগ দেখা যায় । মা আর আপার গোপন মিটিং ও আমি কান পেতে শুনেছি কয়েকবার । আমার খুব রাগ হতো , একবার তো জীবনে দ্বিতীয়বার মারামারির হয়েই গিয়েছিলো প্রায় । বাবা মা মারা যাওয়ার পরের ঘটনা সেটা ।  
 
একদিন রাতে আমি শুয়ে আছি , হঠাত দরজায় টোকা । রাত তখন শোয়া এগারো , এত রাতে কে আসবে । আমি ভেবেছিলাম মতিন । দরজার কাছা কাছি আসতেই শুনি চাপা গলার গর্জন “ আবার দে , আবার দে মাগি” ভেবে পাচ্ছিলাম না কি হয়েছে , কে এসেছে যে এমন করে কথা বলতে পারে । দরজার হোলে চোখ রেখে দেখি মেজো আপা হাতে ধরা মেয়ে তিতলি , মুখে আচল দেয়া , আর দুলাভাই প্রায় দৌরে চলে যাচ্ছে । 
দ্রুত দরজা খুলে জিজ্ঞাস করলাম “কিরে আপা তুই”
 
“মামা মামা , আব্বু আর আম্মু মারামারি করেছে” ছোট তিতলি পাংসু মুখে বলেছিলো ।
 
কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল মেজো আপা , মুখে চাপা দেয়া আচল খসে পড়ল , ঠোঁট থেতলে গেছে , গালে কালশিটে পরে আছে , কিছুক্ষন আমি বোকার মতো দাড়িয়ে ছিলাম , আমি কোন ভাবেই ওই পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না । কেউ আমার পরিবারের কারো উপর এভাবে হাত তুলতে পারে সেটা কোনদিন মাথায় আসেনি । ভাবতাম আমরা সবাই সেইফ এন্ড সাউন্ড আছি । কিছুক্ষন আমার মস্তিস্ক ফ্রিজ হয়ে রইলো , একটু ধাতস্ত হতেই আপা কে ভেতরে নিয়ে এলাম । ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে একটা কাপড়ে জড়িয়ে দিলাম ওর হাতে । ঠোঁট দুটো বাঁ পাশে ভালো রকম থেতলে ছিলো ।
 
সময় গড়ানোর সাথে সাথে , আমার রাগ বাড়তে লাগলো , রাগ এতো চরম সিমায় গিয়ে পৌঁছেছিলো যে ইচ্ছা হচ্ছিলো চুপি চুপি রান্না ঘরের চাকু নিয়ে বেড়িয়ে পরি , বাসায় গিয়ে রাতের অন্ধকারে খুন করে চলে আসি , একটা কথাও বলব না , একবার ও জিজ্ঞাস করবো না কেনো করেছে এরকম ।
 
মনে ওই চিন্তা এসেছিলো ঠিক ই কিন্তু আমি নিজেও জানতাম এসব আমার দ্বারা সম্ভব নয় । তবে আমি বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম , সেদিন একটা হেস্ত নেস্ত করার ইচ্ছা নিয়ে । কিন্তু মেজো আপা কিছুতেই বের হতে দিল না । ওর আচরনে বেশ অবাক হয়েছিলাম , প্রচণ্ড রাগে আমি তখন বেশ উগ্র , শরীরে তখনো অসুখ বাসা বাধেনি , মেজো আপার বার বার নিষেধ সত্ত্বেও যখন বেড়িয়ে জাচ্ছিলাম । তখন মেজো আপা আমাকে বেশ শক্ত করেই বলল “ আমার সংসার আমাকে বুঝতে দে , তুই নাক গলাতে যাস কেনো , তোর বাড়িতে এসেছি বলে , এই এখন চলে জাচ্ছি” এই বলে সত্যি সত্যি মেজো আপা তিতলির হাত ধরে বেড়িয়ে যাচ্ছিলো ।
তখন আমার নিজের রাগ ভুলে ওকে থামানোর চেষ্টা করতে হচ্ছিলো , কিছুতেই থাকবে না , কোথায় থাকবে জিজ্ঞাস করতে বলে “যার কাছ থেকে এসেছি তার কাছে ফিরে যাবো।“ এখন নাকি ওটাই ওর জীবন , এই নিয়েই ওকে থাকতে হবে ।
 
সেদিন বুঝেছিলাম মেজো আপা , আর আগের সেই জেদি মেজো আপা নেই । যদি মেজো আপাকে মাটির সাথে তুলনা করা হয় তাহলে , কৈশোরে ও ছিলো পাথুরে মাটি , বড় শক্ত এই মাটি , কারো কথা শোনে না । এই মাটিতে চলাচল করা খুব কষ্টের , এই মাটিতে চাষ করা যায় না । কিন্তু বিয়ের পর সেই পাথুরে মাটির পাথর একটি একটি করে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে , তৈরি হয়েছে উর্বর নরম মাটি । আর এর কারিগর আমাদের মা , মায়ের সাথে গোপন মিটিং গুলোতে মা এই কাজ খুব যত্নের সাথে করেছেন ।
 
আমি আর কিছুই বলিনি ,এর পর কিছুই বলা যায় না , যদিও আমার বোন , কিন্তু তার আগে ও একজনের স্ত্রি , ওই একজনকেই ও নিজের সবচেয়ে আপন আর কাছের করে নিয়েছে । তার  দোষ ত্রুটি ও মানুষের কাছে লুকিয়ে রাখে , রাখার কারন আগে বুঝতে না পারলেও এখন অনেকটা বুঝতে পারি । কারন হচ্ছে ওই একজনের অপমান কে ও নিজের অপমান হিসেবে দেখে ।
 
মেনে নিতে না পারলেও সেদিন আমি আর কিছু বলিনি , ওদের মাঝে আমার অনধিকার চর্চা ঠিক হতো না । মেজো আপা নিজে যতদিন সাহায্য না চাইবে ততদিন আমি কে ওদের মাঝে আসার । সেদিন ই আমি প্রথম অনুভব করেছিলাম আমার ও এমন একজন দরকার , নইলে বড় একলা হয়ে যাবো । প্রকিতির নিয়ম ই এটা , মা বাবা ভাই বোন সবাই একদিন দূরে চলে যাবে , শূন্য স্থান পুরনের জন্য এমন কাউকে লাগবে যে সুধু তোমার একার ।
 
ঠিক এক সপ্তা পর এসেছিলো মেজো দুলাভাই , ওনাকে দেখেও না দেখার ভান করে ছিলাম , কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার উনার আচরন দেখে মনে হয়েছিলো কোন কিছুই ঘটেনি , উনি এক সপ্তা আগে স্বাভাবিক ভাবে স্ত্রি কে বাপের বাড়ি রেখে গিয়েছিলেন , এখন আবার নিতে এসেছেন । আমাকে ডেকে হালচাল জিজ্ঞাস করলেন । তারপর বললেন “যা তো একটা ডাব নিয়ে আয় , আসার সময় রাস্তায় ডাব দেখে এসেছি”
 
মেজো আপা কি এভাবে সুখি আছে? হয়ত আছে , অন্তত দেখে তাই মনে হচ্ছে । এই যে মেয়ের জম্নদিনে ছুটাছুটী করছে , ওর মুখে তো আমি তৃপ্তি দেখতে পাচ্ছি । কি করে সম্ভব সেটা অবশ্য বুঝতে পারছি না । বোঝার দরকার ও নেই আমার , আমাকে এসব এর ভেতর দিয়ে যেতে হবে না।
 
“ এই সৌরভ হাঁদার মতো দাড়িয়ে আচিস কেনো ? একটু সাহায্য কর” একটু আগে একবার বলে গেলো আমাকে , দম ফেলার সময় নেই ওর । মুখের পুরু মেকআপ ঘামে লেপ্তে আছে , বেশ বড় আয়োজন , পুরোটা একাই সাম্লাচ্ছে । দুলাভাই তেমন কাজে আসছেন না , উনি কথায় পটু কাজে নয় । আমি কথায় ও পটু না কাজেও না ।
 
একটু পর দেখলাম দুলাভাই একটা মেয়ের পাশে বসে, কম বয়সি মেয়ে , প্রথমে এমি দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম । একটা মেয়ের পাশে বসা খুব খারাপ কিছু না কিন্তু উনি যেভাবে বসেছেন সেটা আমার কাছে শালীন মনে হচ্ছে না । উনি নিচু হয়ে মেয়েটিকে কি যেন জিজ্ঞাস করছেন , আর মেয়েটি কুঁকড়ে যাচ্ছে । আমি আর দাঁড়ালাম না , এই ভরা মজলিশ এ এসব সহ্য করা আমার পক্ষে সম্ভব না।
 
বারান্দায় এসে পড়লাম , অনেকদিন পর একটা সিগারেট এর ইচ্ছা হচ্ছিলো । বেশ কিছুক্ষন বারান্দায় থাকার পর টের পেলাম কেউ একজন আসছে ।  ঘুরে তাকিয়ে দেখি সেই মেয়েটি , একটু বিব্রত হলাম । যার সাথে নিজের বোনের হাসবেন্ড কে একটু আগে দেখে এসেছি তার সামনে স্বাভাবিক হওয়া সহজ নয় ।
 
“ আমি যদি এখানে একটু দাড়াই , আপনার সমস্যা আছে”
 
“ না না আপনি আসুন,আমি চলে জাচ্ছি”
 
“ আপনিও দাঁড়ান , এখানে অনেক জায়গা আছে , আর আমাকে আপনি করে বলবেন না আমি তিতলির বান্ধবি, আপনি তো তিতলির মামা হন” 
 
কিছুক্ষনের জন্য আমি চুপ হয়ে গেলাম , আসলে কি বলবো বুঝতে পারছি না , দুলাভাই তিতলির বান্ধবির সাথে !!! লজ্জায় আমার কান গরম হয়ে গেলো ।
 
“ আপনি দেখছেন , তাই না?”
 
কি দেখার কথা জিজ্ঞাস করছে সেটা বুঝতে আমার এক সেকেন্ড ও সময় লাগলো না , কিন্তু ভাবলাম কথাটা কাটিয়ে দেই । এই বিষয় নিয়ে যত কথা বলবো মন তত তিক্ত হবে। তা ছাড়া মেয়েটির জন্য ও নিশ্চয়ই এই আলোচনা সুখকর হবে না । তাই বললাম “ কি দেখছি?”  
 
“তিতলির বাবার সাথে”  
 
“ দেখ তোমার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারছি না”  তিতলির বান্ধবি শোনার পর আপনা থেকেই তুমি চলে এলো ।
 
“ আপনি কি তিতলির মার কাছে বলে দেবেন?”
 
এবার আমার রাগ হলো , নিশ্চয়ই দুলাভাই পাঠিয়েছে , আর মেয়েটাকে আমি এতক্ষণ নিস্পাপ মনে করেছিলাম , এখন মনে হচ্ছে সেও এর সাথে জড়িত , আমি রাগের সাথেই বললাম “ বলে দিলে কি খুব অন্যায় হবে?”
 
“ না না অন্যায় হবে না , আমার কোন আপত্তি ও নেই , তবে উনি জানেন”
 
এমন একটা কথা মেয়েটি এতো স্বাভাবিক ভাবে বলল যে এটা কোন বিষয় ই না। কি বলবো ভেবে ওঠার আগেই মেয়টি আবার বলল “ উনার কাছে বললে সুধু সুধু ওনার কষ্ট বাড়বে”
 
“এই মেয়ে তোমার বয়স কত , এই বয়সে এতো বড় ফাজিল হয়ে উথেছো তুমি” রাগে গজ গজ করেতে করতে বললাম আমি
 
“তিতলির মাও এমন ই বলেছিলো”  
 
শেষের কথাটি বুঝতে আমার অনেক সময় লাগলো , এর মানে মেয়েটি মেজো আপার কাছে এসব বলেছিলো । আর মেজো আপা মেয়েটির উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে । স্বামীর দোষ ঢাকার জন্য মেজো আপা বহুদুর পর্যন্ত যেতে পারে , এটা আমার আগেই জানা আছে , ওর বিয়ের বছর দুই পরে একবার বড় আপার সাথে কি নিয়ে জানি ঝগড়া হয় ওর , বড় আপা মেজো দুলাভাই সম্পর্কে কিছু একটা বলেছিলো , আর অমনি বড় আপার নামে একশোটা মিত্থা কথা এমন কি বড় আপা মনে মনে মেজো দুলাভাই কে কামনা করে এমন মারাত্মক মিত্থা বলতেও ওর বাধেনি । তাই বলে একটা কিশোরী মেয়ে যে কিনা মলেস্টিং এর স্বীকার হচ্ছে তাঁকে সাপোর্ট করবে না ? মেজো আপার উপর প্রচণ্ড রাগ হলো ।
 
“ তুমি বলেছিলে আপার কাছে “ আমার গলার স্বর আগের থেকে একটু নমনীয় হয়ে এলো , মেয়েটিকে একটু আগে ভুল বুঝেছিলাম । মেয়েটি মুখে কিছু বলল না , তবে মাথা উপর নিচ করে হ্যাঁ সুচক উত্তর দিলো । “তারপর ও তুমি এ বাড়িতে কেনো আসো”
 
“ তিতলি আমার সবচেয়ে ভালো বান্ধবি তাই”
 
“ও…” কি বলবো ভেবে পাচ্ছিলাম না , একটু ভেবে বললাম ,”তোমার মা বাবার কাছে বলেছো , এসব নিয়ে মুখ বুজে থাকতে নেই” মেয়েটির জন্য সত্যি  কিছুটা মায়া লাগছে , বাচ্চা একটা মেয়ে কত বয়স হবে ১৪ , এই বয়সে মেয়েটিকে কত বড় একটি ব্যাপার বুকের মাঝে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে । এই বয়সে আমরা তো খাওয়া দাওয়া খেলাধুলা আর পড়াশুনা ছাড়া কিছুই ভাবতাম না। আমাদের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিলো স্কুলের হুজুর স্যার এর বেত্রাঘাত ।
 
“আমার তো মা নেই”
 
“ বাবা?”
 
“ বাবা আছেন , তবে বাবার কাছে বলা যাবে না”
 
“ কেনো … এসব জিনিস লুকিয়ে রাখতে নেই , লজ্জা পাওয়ার ও কিছু নেই” মেয়েটিকে বোঝানর জন্য বললাম ,
 
“ আমার বাবাও একি দোষে দুষ্ট , তাই আমার মনে হয় না তার জানার অধিকার আছে যে তার মেয়ের সাথেও এমন হচ্ছে”
 
একটা ধাক্কার মতো খেলাম , বাচ্চা একটা মেয়ের মুখে এমন কথা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না , মেয়েটির দিকে ভালো করে তাকালাম , বারান্দার গ্রিল এর পাশে দাড়িয়ে থাকায় , বাইরের আলোয় গ্রিলের ছায়া এসে পড়েছে ওর এক পাশে । আমার কাছে মনে হলো এই আলো ছায়া মিলে মেয়েটির অবস্থা একেবারে নির্ভুল ভাবে তুলে ধরেছে । মেজো আপার বাসার বারান্দার গ্রিল গুলো জেলের গারদ এর মত লম্বা লম্বা , আর এই লম্বা গ্রিল এর ছায়া মেয়েটিকে বন্দিনি রাজকন্যায় রুপদান করেছে । বন্দিনি রাজকন্যার জন্য মনটা খারাপ হয়ে গেলো । ইচ্ছা হচ্ছে কিছু করি , কিন্তু কি করবো , দুলাভাই এর কলার চেপে ধরে শাসিয়ে দেবো , সে শক্তি আমার নেই, মনে হয় ইচ্ছা ও নেই ।
 
“ আপনি কি ভাবছেন সেটা আমি শুনতে পাচ্ছি” হঠাত মেয়েটি হেঁসে উঠলো , আমি অবাক হয়ে তাকালাম , এখন আর বন্দিনি রাজকন্যার মতো লাগছে না ওকে । স্বাভাবিক কিশোরীর মতো দেখাচ্ছে ।
 
“মানে?”
 
“ মানে আমি মানুষের চিন্তা ভাবনা মাঝে মাঝে শুনতে পাই”
 
ভ্রূ কুচকে তাকালাম , কি বলতে চাইছে মেয়েটি বোঝার চেষ্টা করছি । ও কি সত্যি বলছে নাকি , গুমট ভাবটা দূর করার চেষ্টা করছে ।
 
“ শুনতে চান?” কিশোরীর উচ্ছলতা প্রকাশ পাচ্ছে ওর মাঝে , ব্যাপারটা ভালো লাগলো , আমার কাছে সব কিছু স্বাভাবিক ই ভালো লাগে, তাই  মেয়েটার মন খুশি করতেই বললাম
 
“ বলো তো শুনি”
 
“ আপনি আমার জন্য কিছু একটা করতে চাইছেন , কিন্তু আপনার ইচ্ছা হচ্ছে না”  এই বলে হেঁসে উঠলো , আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম , এই মেয়ের কি সত্যি সত্যি এই ক্ষমতা আছে ? নাকি অন্য কিছু ।
 
“ অবাক হলেন , ভাবছেন আমার ক্ষমতা আছে কিনা সত্যি সত্যি”  এবার আমি চমকে উঠলাম , আর এই চমকে ওঠা আমার শরীরী ভাষায় ও প্রকাশ পেলো । মেয়েটা এখন প্রচণ্ড হাসছে , মনে হচ্ছে হাঁসতে হাঁসতে ওর চোখে পানি চলে এসেছে । আমি কিছু না বলে বোকার মতো দাড়িয়ে রইলাম । মানুষের যে বাড়তি কোন ক্ষমতা থাকতে পারে এটা আমি কোনদিন বিশ্বাস করিনি।
 
ছোট বেলায় একবার আমাদের এলাকায়  বেদে এসেছিলো , সাপের খেলা দেখায় আরও নানা রকম জাদু দেখায় । একটা জাদু ছিলো , একটা পাখি কে মুঠি করে ধরে রাখে তারপরে  সেই পাখি কথা বলে । ওই জাদু দেখে সবাই অভিবুত আমি নিজেও অভিভূত , এতই অভিভূত হয়েছিলাম যে নিজে দেখতে চাইছিলাম কেমন করে এই কাজ হয়ে । লোকটা যখন অন্য জাদু দেখাতে ব্যাস্ত ছিলো আমি চুপি চুপি ঝোলা থেকে সেই পাখির বাক্স বের করি , একটা মড়া শালিক পাখির ঠোঁট আর নকল পশম লাগানো খাঁচা । কোন কিছু দেখে প্রচণ্ড অভিভূত হওয়ার পর যদি দেখা যায় সেটা সম্পূর্ণ ভাওতা তাহলে এই সম্পূর্ণ জিনিসটার উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায় । আমার ও তেমন , কোথাও যদি শুনি অমুক লোকের তমুক পাওয়ার আছে আমি বিশ্বাস করি না । তাই আমার অসুখের জন্য কোন পীর ফকির অথবা তিবিজ কবজ নেই নি । তবে এই মেয়েটি আমাকে ভাবিয়ে তুলছে । তবে এর পেছনে নিশ্চয়ই কোন রহস্য আছে । কি সেটা আমি এখনো বুঝে উঠতে পারছি না ।
 
অবশেষে মেয়েটির হাঁসি থামল , তবে হাসির রেষ এখনো কাটেনি , বলল “ আসলে আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি আমি তাই বলতে পেরেছি , আমার কোন পাওয়ার টাওয়ার নেই বুঝেছেন”
“ তুমি কি করে আমার সম্পর্কে জানলে?” বেশ অবাক হলাম আমি ,
 
“ তিতলির সবচেয়ে ভালো বন্ধু আমি , আমারা দুজনে অনেক কথা বলি”  কিশোরী সুলভ ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল মেয়েটি
 
আমার ভাগ্নি তিতলি , আমাকে নিয়ে ওর বান্ধবির সাথে কথা বলে সেটা আমার জানা ছিলো না । আসলে আমার কোন ভাগ্নে ভাগ্নির সাথেই তেমন সম্পর্ক নেই , সাধারণত ভাগ্নে ভাগ্নি দের সাথে মামাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদরের সম্পর্ক হয় । কিন্তু আমার কোন ভাগ্নে ভাগ্নি আমার সামনে তেমন আসে না । তাই তিতলির আমার সম্পর্কে তেমন কিছু জানার কথা না ।
 
“ কিন্তু তিতলি নিজেই তো আমাকে ঠিক মতো জানে না , তুমি এমন কি তিতলির কাছে শুনলে যে আমার মনে কি চিন্তা চলছে বুঝে ফেললে” আমার কৌতূহল এখনো কমেনি , তাই বিষয়টা আরও ভালো করে বোঝার জন্য বললাম ।
 
“ শুনলে আপনি রাগ করবেন” মেয়েটি বলল ওর চোখে এখনো হাঁসি খেলা করছে। কত দ্রুত মেয়েটি নিজের মনের অবস্থা পরিবর্তন করতে পারে দেখে বেশ অবাক হলাম , ভালো ও লাগছে । হয়ত কৈশোর এর চপলতা এক মুডে বেশিক্ষণ থাকতে দেয় না ওদের ।
 
“আচ্ছা শুনুন , তিতলি বলে আপনি নাকি ভ্যাবলা মার্কা লোক , কোন কিছুই আপনি করেন না , সুধু বসে বসে ভাবেন, আপনার নাকি কোন কিছুতে ইচ্ছা নেই । এমন কি আপনি তিতলির জন্য কোনদিন কিছু আনেন না , এই জন্মদিনেও কিছু গিফট করেনি”
 
আমা ভাগ্নি আমার সম্পর্কে এমন ধারনা রাখে শুনে একটু আহত হলেও , মেনে নিতে হলো , কারন ভুল কিছুই বলেনি ও , আমার কি উচিৎ ছিলো তিতলি অথবা বড় আপার ছেলে মেয়ের সাথে ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করা । ভাবনায় ছেঁদ পরলো মেয়েটি যখন একটি প্রশ্ন করলো , খুব বেক্তিগত প্রশ্ন , এই ধরনের প্রশ্ন সচরাচর ভাগ্নির বান্ধবির কাছ থেকে আশা করি না ।
 
“ আচ্ছা আপনি বিয়ে করেন না কেনো?”  দেখলাম প্রশ্নটি করে মেয়েটি মুখ চেপে হাসছে , বুঝতে পারলাম এই ব্যাপারেও তিতলির কোন থিওরি আছে , একবার চিন্তা করলাম জানার দরকার কি , পরে ভাবলাম আমি হয়ত না জানতে চাইলেও এই মেয়ে আমাকে জানাবে , ওর চোখ তাই বলছে , সে নিজেও জানতে চায় ।
 
“ কানো তিতলি কিছু বলেনি”
 
“ বলেছে তো , আসলেই কি ওটা সত্যি কিনা জানতে চাইছি”
 
“ কি বলেছে ও ?”
“ বলেছে , ওর কাছে মনে হয় আপনার গোপন রোগ আছে”  মেয়েটির এখন বেশ কষ্ট হচ্ছে হাঁসি চেপে রাখতে ,
 
“রোগ তো একটা আছে , সেটা সবাই জানে”  আমি সরল মনে বললাম , বলেই বুঝলাম ভুল হয়েছে , মেয়েটি পেটে হাত চাপা দিয়ে হাসছে ,
 
লজ্জায় আমার কান গরম হয়ে গেলো , “গোপন রোগ” বলতে কি বোঝাতে চাইছে সেটা আমি এখন বুঝতে পারছি । আমার ভাগ্নি আমার সম্পর্কে এমন কথা বলে এটা বেশ লজ্জার বিষয়  আর অনুচিত ও । পরক্ষনেই আমার মনে পরে গেলো কদু ভাইয়ের কথা , ভাল নাম ছিলো কুদ্দুস , আমাদের এলাকার , বিয়ে করেনি অনেক বয়স হয়ে গিয়েছিলো , আমারা বন্ধুরা মিলে ওনাকে নিয়েও এসব বলতাম । তিতিলি ই সেই এক বয়সে এই আছে , হয়ত নতুন নতুন সব কিছু জানতে পারছে , এসব নিয়ে কথা বলবে বন্ধুদের সাথে এটাই তো স্বাভাবিক ।
 
“ এই তুই এখানে , তোকে………” মেজো আপা এইটুকু বলে থমকে গেলেন , চোখ সরু করে তাকিয়ে আছে মেয়েটির দিকে । মেয়েটি ও হাঁসি থামিয়ে দিয়েছে ।
 
“ কিরে আপা?” আমি জানতে চাইলাম
 
“ কেক কাটা হবে চল …… এই তুমি ও আসো , তিতলি তোমাকে খুঁজছে”
 
সবার আগে মেয়েটি বেড়িয়ে গেলো , মেয়েটি বেড়িয়ে যেতেই মেজো আপা গলা নিচু করে বলল ,” এই মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকিস , এক নম্বর বজ্জাত”
 
কেক কাটার সময় দেখলাম দুলাভাই একেবারে ওই মেয়েটির পেছনে দাঁড়িয়েছে । মেয়েটির মুখে আর হাঁসি নেই , কেমন জানি একটু উশখুশ করছে । আর একজনের মুখেও হাঁসি নেই সে হচ্ছে মেজো আপা । ও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে কি হচ্ছে , দুলাভাই যখন খুব স্বাভাবিক ভাবে মেয়েটিকে কেক খাইয়ে দিচ্ছিলো তখন তো মেজো আপা কেঁদেই ফেলে প্রায় ।
 
আমি আর থাকলাম না চুপ চাপ বেড়িয়ে এলাম । বেশ রাত হয়েছে , রাস্তা ফাঁকা , আমি হাঁটছি । মেজো আপা আর তিতলির বান্ধবির কথা মনে পড়ছে সুধু । মেয়েটিকে এক ফাঁকে জিজ্ঞাস করেছিলাম তিতলি এসব জানে কিনা , উত্তরে বলেছিলো “না… কোন মেয়ের ই তার বাবার কুচ্ছিত চেহারা দেখা উচিৎনয় , অনেক কষ্ট হয়”
 
মেজো আপা আর ওই মেয়েটি দুজনার কত তফাৎ কিন্তু একটি জায়গায় দুজনের কত মিল । এই যাহ মেয়েটির নাম জিজ্ঞাস করা হয়নি ।  
[+] 6 users Like cuck son's post
Like Reply


Messages In This Thread
সৌরভ - by cuck son - 09-10-2021, 03:55 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 09-10-2021, 04:09 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 09-10-2021, 06:06 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 10-10-2021, 05:37 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 12-10-2021, 08:46 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 13-10-2021, 05:56 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 12-10-2021, 08:51 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 13-10-2021, 07:22 PM
RE: সৌরভ - by amzad2004 - 13-10-2021, 07:50 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 13-10-2021, 08:22 PM
RE: সৌরভ - by amzad2004 - 14-10-2021, 04:03 AM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 17-10-2021, 08:03 PM
RE: সৌরভ - by amzad2004 - 17-10-2021, 08:16 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 17-10-2021, 09:02 PM
RE: সৌরভ - by amzad2004 - 18-10-2021, 05:35 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 23-10-2021, 07:22 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 23-10-2021, 09:44 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 24-10-2021, 07:04 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 24-10-2021, 07:27 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 30-10-2021, 10:47 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 31-10-2021, 05:28 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 02-11-2021, 07:55 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 03-11-2021, 08:35 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 05-11-2021, 03:33 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 05-11-2021, 04:23 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 05-11-2021, 04:36 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 06-11-2021, 03:56 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 06-11-2021, 07:27 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 06-11-2021, 07:39 PM
RE: সৌরভ - by buddy12 - 10-11-2021, 03:04 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 10-11-2021, 06:00 PM
RE: সৌরভ - by buddy12 - 10-11-2021, 07:42 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 10-11-2021, 11:48 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 09-11-2021, 09:35 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 12-11-2021, 05:20 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 15-11-2021, 05:52 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 15-11-2021, 06:04 PM
RE: সৌরভ - by raja05 - 10-11-2021, 05:32 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 12-11-2021, 05:21 PM
RE: সৌরভ - by Bichitro - 11-11-2021, 01:08 PM
RE: সৌরভ - by Goutam - 11-11-2021, 07:59 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 15-11-2021, 06:05 PM
RE: সৌরভ - by ambrox33 - 15-11-2021, 07:08 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 16-11-2021, 10:20 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 15-11-2021, 10:19 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 16-11-2021, 09:28 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 16-11-2021, 10:14 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 16-11-2021, 10:35 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 16-11-2021, 10:40 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 16-11-2021, 10:48 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 19-11-2021, 05:16 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 20-11-2021, 12:33 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 21-11-2021, 08:11 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 20-11-2021, 01:40 PM
RE: সৌরভ - by Rajaryan25 - 23-11-2021, 01:27 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 23-03-2022, 02:43 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 23-05-2022, 09:31 PM
RE: সৌরভ - by jemona - 24-05-2022, 06:28 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 24-05-2022, 02:27 PM
RE: সৌরভ - by Rajaryan25 - 24-05-2022, 11:12 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 26-05-2022, 01:01 PM
RE: সৌরভ - by Jholokbd1999 - 12-06-2022, 01:01 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 12-06-2022, 02:02 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 12-06-2022, 05:18 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 12-06-2022, 07:48 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 13-06-2022, 01:09 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 13-06-2022, 06:29 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 13-06-2022, 01:27 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 13-06-2022, 01:05 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 13-06-2022, 08:51 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 13-06-2022, 09:07 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 13-06-2022, 11:56 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 14-06-2022, 05:36 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 14-06-2022, 07:06 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 02-07-2022, 12:48 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 02-07-2022, 01:38 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 02-07-2022, 03:26 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 02-11-2022, 10:58 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 02-11-2022, 11:25 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 12-11-2022, 07:49 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 03-01-2023, 08:25 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 03-01-2023, 08:31 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 03-01-2023, 09:09 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 04-01-2023, 12:44 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 03-01-2023, 08:36 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 03-01-2023, 09:15 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 04-01-2023, 12:42 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 04-01-2023, 02:23 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 17-01-2023, 06:17 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 17-01-2023, 11:49 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 18-01-2023, 10:19 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 13-02-2023, 02:59 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 14-02-2023, 11:41 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 14-02-2023, 12:55 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 14-02-2023, 01:15 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 14-02-2023, 07:50 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 15-02-2023, 01:30 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 15-02-2023, 02:21 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 15-02-2023, 04:28 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 09-03-2023, 06:14 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 09-03-2023, 09:37 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 09-03-2023, 09:47 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 09-03-2023, 10:24 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 10-03-2023, 09:54 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 10-03-2023, 03:01 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 15-03-2023, 07:00 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 15-03-2023, 04:42 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 15-03-2023, 05:23 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 26-03-2023, 05:43 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 30-03-2023, 09:09 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 30-03-2023, 09:22 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 30-03-2023, 09:26 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 30-03-2023, 09:53 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 31-03-2023, 02:11 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 31-03-2023, 02:25 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 30-03-2023, 10:46 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 30-03-2023, 11:02 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 31-03-2023, 02:05 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 01-04-2023, 07:20 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 01-04-2023, 08:23 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 01-04-2023, 09:14 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 03-04-2023, 08:29 PM
RE: সৌরভ - by ddey333 - 05-04-2023, 10:31 AM
RE: সৌরভ - by cuck son - 25-04-2023, 04:04 PM
RE: সৌরভ - by nextpage - 03-04-2023, 01:21 PM
RE: সৌরভ - by cuck son - 03-04-2023, 08:35 PM
RE: সৌরভ - by RickyX6T9 - 20-09-2023, 07:21 PM



Users browsing this thread: 1 Guest(s)