02-11-2021, 11:22 AM
বিথী হারিয়ে গেল মানুষের ভীড়ে,
আমি বিথীতে মহিত হয়ে গেলাম, আমি যেন আর আমার মধ্যে নেই, সম্পুর্ন এক অন্য মানুষ ।
পরেরদিন সকালে একটা ম্যাসেজ পেলাম - কোলকাতার এক অনামী পাখা কারখানায় প্রডাকশন ম্যানেজারের পদের চাকরীর জন্য,
আর, চাকরীটা পেতে কনো অসুবিধে হয়নি।
ছোট্ট কারখানা, মালিকের অবর্ত্তমানে আমাকেই সব কিছু দেখতে হয় । জীবনটা আগের মতই আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল।
রোজ রাতে ফেসবুক খুলে বিথীর উপস্থিতি লক্ষ করি, জ্বলজ্বল করছে সবুজ আলোটা, বিথী এখনো অনলাইন আছে । অনেক ম্যাসেজ আসে, কনো ম্যাসেজই আর পরতে ইচ্ছা করেনা, অনেক ম্যাসেজের ভীড়ে প্রীয়ারও ম্যাসেজ আসে, আর দেখিনা, সুধু সবুজ আলো ছাড়া ।
যানি এটাও একদিন হঠাৎই নিভে যাবে, আর জ্বলবেনা ।
এমনি একদিন তাকিয়ে আছি সবুজ আলোটার দিকে, হঠাৎই ম্যাসেজ এলো বিথী শর্মার প্রোফাইল থেকে, বুকটা ছ্যাঁত করে ঊঠলো,তাতে লেখা,,,-
যোদ্ধা, যদি শেষ দেখাটা দেখতে চাও, তারাতারি চলে এসো, সময় খুবই কম।
নিচে পাটনা'র একটা ঠিকানা দেওয়া ।
তখন অনেক রাত - ভোর হতেই বেরিয়ে পরলাম একরাশ উৎকন্ঠা নিয়ে।
ঠিকানায় পৌঁছতে কনো অসুবিধে হয়নি।
কলকাতায় বড়বাজারে মামার কাছে থাকতো, এটা নিজের বারি, অনেক পুরানো আমলের বারি, চারিদিক ঘেরা, মাঝে বিশাল বড় দালান, বাইরে ভিতরে প্রচুর মানুষের ভীর, সবার চোখেই জল,
কোথায় বিথী, মনটা উৎকন্ঠায় ছটফট করছে,
ভীড় ঠেলে ভিতরের দিকে যাচ্ছি, হঠাৎ কেউ আমার হাতটা ধরে ফেললো, দেখি জল ভরা চোখে আমার মালিক,
ভীড় কাটিয়ে আমাকে নিয়ে গেল বিথীর কাছে,
দালানের একপ্রান্তে পালঙ্কের উপরে রানীর মত সুয়ে আছে বিথী, বড় বড় চোখের কোনে কালি, শুকনো মুখ, বিছানার সঙ্গে প্রায় মিশেই গেছে,
কিন্তু ঠোঁটের কোনে সেই অম্লান হাঁসি এখনো বর্ত্তমান,
বিথী বলল - আমার পাসে বসো,
আমি বসলাম, আমার হাতটা নিয়ে একটা চুমু দিয়ে বলল, যানো যোদ্ধা আমি তোমায় রোজ দেখতাম তুমি তাকিয়ে আছো আমার প্রফাইলের ঐ সবুজ বাতিটার দিকে, আজ থেকে ওটা আর জ্বলবেনা,,
আমি কথা দিয়েছিলাম বেইমানী করবোনা,, দেখো -
আমার শেষ দিনেও তোমাকে আমার ভালবাসা দিতে পেরেছি, আমি আবার আসবো তোমাদের মাঝে, আবার আমি যোদ্ধা রুপে তোমাদের পাসে পাবো।
আর এইযে এখানে এতো মানুষ দেখছো, এদের মধ্যে অনেকেই তোমার মত বীর যোদ্ধা,
আজ আমার একটুও কান্না পেলনা, কারন -
বিথী কথা দিয়েছে আবার আসবে,
বিথী বলল এবার তুমি যাও, আর এক যোদ্ধা এসেছে শেষ দেখা করতে,
আমি আর পেছন ফিরে তাকাইনি, আমি চলে যাওয়া সইতে পারিনা ।
এখনো আমি প্রতি রাতে একবার করে দেখি -
বিথীর প্রোফাইলটা
যদি একবার জ্বলে ওঠে সবুজ বাতিটা,,,,,,,,,"
আমি বিথীতে মহিত হয়ে গেলাম, আমি যেন আর আমার মধ্যে নেই, সম্পুর্ন এক অন্য মানুষ ।
পরেরদিন সকালে একটা ম্যাসেজ পেলাম - কোলকাতার এক অনামী পাখা কারখানায় প্রডাকশন ম্যানেজারের পদের চাকরীর জন্য,
আর, চাকরীটা পেতে কনো অসুবিধে হয়নি।
ছোট্ট কারখানা, মালিকের অবর্ত্তমানে আমাকেই সব কিছু দেখতে হয় । জীবনটা আগের মতই আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল।
রোজ রাতে ফেসবুক খুলে বিথীর উপস্থিতি লক্ষ করি, জ্বলজ্বল করছে সবুজ আলোটা, বিথী এখনো অনলাইন আছে । অনেক ম্যাসেজ আসে, কনো ম্যাসেজই আর পরতে ইচ্ছা করেনা, অনেক ম্যাসেজের ভীড়ে প্রীয়ারও ম্যাসেজ আসে, আর দেখিনা, সুধু সবুজ আলো ছাড়া ।
যানি এটাও একদিন হঠাৎই নিভে যাবে, আর জ্বলবেনা ।
এমনি একদিন তাকিয়ে আছি সবুজ আলোটার দিকে, হঠাৎই ম্যাসেজ এলো বিথী শর্মার প্রোফাইল থেকে, বুকটা ছ্যাঁত করে ঊঠলো,তাতে লেখা,,,-
যোদ্ধা, যদি শেষ দেখাটা দেখতে চাও, তারাতারি চলে এসো, সময় খুবই কম।
নিচে পাটনা'র একটা ঠিকানা দেওয়া ।
তখন অনেক রাত - ভোর হতেই বেরিয়ে পরলাম একরাশ উৎকন্ঠা নিয়ে।
ঠিকানায় পৌঁছতে কনো অসুবিধে হয়নি।
কলকাতায় বড়বাজারে মামার কাছে থাকতো, এটা নিজের বারি, অনেক পুরানো আমলের বারি, চারিদিক ঘেরা, মাঝে বিশাল বড় দালান, বাইরে ভিতরে প্রচুর মানুষের ভীর, সবার চোখেই জল,
কোথায় বিথী, মনটা উৎকন্ঠায় ছটফট করছে,
ভীড় ঠেলে ভিতরের দিকে যাচ্ছি, হঠাৎ কেউ আমার হাতটা ধরে ফেললো, দেখি জল ভরা চোখে আমার মালিক,
ভীড় কাটিয়ে আমাকে নিয়ে গেল বিথীর কাছে,
দালানের একপ্রান্তে পালঙ্কের উপরে রানীর মত সুয়ে আছে বিথী, বড় বড় চোখের কোনে কালি, শুকনো মুখ, বিছানার সঙ্গে প্রায় মিশেই গেছে,
কিন্তু ঠোঁটের কোনে সেই অম্লান হাঁসি এখনো বর্ত্তমান,
বিথী বলল - আমার পাসে বসো,
আমি বসলাম, আমার হাতটা নিয়ে একটা চুমু দিয়ে বলল, যানো যোদ্ধা আমি তোমায় রোজ দেখতাম তুমি তাকিয়ে আছো আমার প্রফাইলের ঐ সবুজ বাতিটার দিকে, আজ থেকে ওটা আর জ্বলবেনা,,
আমি কথা দিয়েছিলাম বেইমানী করবোনা,, দেখো -
আমার শেষ দিনেও তোমাকে আমার ভালবাসা দিতে পেরেছি, আমি আবার আসবো তোমাদের মাঝে, আবার আমি যোদ্ধা রুপে তোমাদের পাসে পাবো।
আর এইযে এখানে এতো মানুষ দেখছো, এদের মধ্যে অনেকেই তোমার মত বীর যোদ্ধা,
আজ আমার একটুও কান্না পেলনা, কারন -
বিথী কথা দিয়েছে আবার আসবে,
বিথী বলল এবার তুমি যাও, আর এক যোদ্ধা এসেছে শেষ দেখা করতে,
আমি আর পেছন ফিরে তাকাইনি, আমি চলে যাওয়া সইতে পারিনা ।
এখনো আমি প্রতি রাতে একবার করে দেখি -
বিথীর প্রোফাইলটা
যদি একবার জ্বলে ওঠে সবুজ বাতিটা,,,,,,,,,"