02-11-2021, 11:22 AM
সকালে দরজা ধাক্কায় ঘুমটা ভেঙে গেল, খুলে দেখি আমার এক বন্ধু সুব্রত। বলল আমার দাদা আমার জন্য একটা কাজ দেখেছে, কিন্তু আমি চাই কাজটা তুই কর, এই মুহুর্তে কাজটা তোর খুবই দরকার,
কলকাতায় এক চায়ের গোডাউনে লেবার দেখাশুনার কাজ, মাইনে সাত হাজার দেবে, এক তারিখে জয়েন্ট, পাঁচ দিন বাকি।
বললাম - কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো ।
সুব্রত - ওসব পরে হবে, আমি দাদাকে ব্যাবস্থা করতে বলছি। চলে গেল সুব্রত ।
বিথীর কথা যে এত তারাতারি ফলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি । আজ বিকেলে বিথীর সাথে দেখা করতেই হবে ।
যথারীতি পাঁচটার আগেই যথাস্থানে পৌঁছে গেলাম, চোখ পরে গেল বিথী আমারো আগে পৌঁছে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তাকিয়ে আছে আমারই দিকে।যেন প্রয়জনটা ওরই।
একটা হালকা হাঁসি দিয়ে বলল - এইতো ঠিক সময়ের মধ্যেই এসে গেছে আমার যোদ্ধা, ঠিক এইভাবেই সময়ের মূল্য দিও ।
ওর কথায় বুকটা ভরে গেল । ওর চোখের দৃষ্টি এতোটাই তিক্ষ্ণ যে, আমার চোখের দরজা দিয়ে ঢুকে মনের ভেতরটাও দেখতে পাচ্ছে।
দুজনেই একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলাম নদীর দিকে মুখ করে। সুর্য্য ডুবছে, লাল আবিরের রঙে আকাশটা রাঙিয়ে দিয়েছে। আগে কখনো এভাবে আকাশকে দেখিনি ।
হঠাৎই বিথী বলে উঠলো,, ও যোদ্ধা বলো কি যেন বলবে বলে ডেকেছিলে ।
বললাম - আমার মনে হয়, যেটা বলতে চাই তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা, তুমি আগে থেকেই সব যেনে গেছো ।
বিথী - হাঁ যানি,
বললাম - কি যানো ?
বিথী – এই যে সামনেই ফুচকাওয়ালা, ঝালমুড়ি ওয়ালারা দোকান দিয়েছে । তোমার খুব ইচ্ছে করছে আমাকে মন ভরে খাওয়াতে । কিন্তু তোমার পকেট একেবারে গড়ের মাঠ, খাওয়াতে পারছোনা তাই মনে মনে কষ্ট পাচ্ছ ।
আমি এক লাফে উঠে ডাঁড়িয়ে পরলাম, আর মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি - আর ভাবছি, আরে সত্তি সত্তিই তো আমি এটাই ভাবছিলাম ।
কৌতুহল আর চাপতে পারালাম না, বলেই ফেললাম, এই তুমি কে বলতো ?
খুব সহজ ভাবেই উত্তর দিল - তোমার প্রেমীকা ।
হাতটা ধরে এক ঝটকায় আবার পাসে বসিয়ে দিল।
আর বলল - যা বলি মন দিয়ে শোনো,
প্রশ্ন করলো - যানো আমাদের প্রেমের মেয়াদ কতদিনের ?
আমি - না যানিনা,
বিথী - মাত্র এক দিনের ।
তুমি কি যানো আমার প্রেমীকের সংখা কত ?
আমি - না যানিনা,
বিথী - তোমাকে নিয়ে 210 জন,
তুমি কি যানো,, কেন আমি এক দিনের বেশি সম্পর্ক রাখিনা ?
আমি - না,
বিথী - কারন, একটা যোদ্ধা তৈরী করতে আমার কাছে এক দিনই যথেষ্ট । এবার বল আমার বীর যোদ্ধা, তুমি কি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত?
কথাগুলো শুনে আমার যেন দম আটকে গিয়েছিলো, যেন অন্য কনো জগৎএ বিচরণ করছিলাম।আমার কাঁধ দুটো ধরে ঝাঁকিয়ে দিয়ে বলল- শুনছো আমার কথা ? তুমি কি প্রস্তুত ?
আমি - হাঁ আমি অনেক আগেই প্রস্তুত ।
দুহাতে আমার গাল দুটো ধরে বলল চোখ বন্ধ করো, করলাম - ঠোঁটে চুম্বনের পরশ পেলাম ।
সারা শরির মনে এক ঐশ্বরিক অনুভুতির স্বাদ পেলাম, সেটা ভাষায় বর্ণনা করতে পারবোনা ।
তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে । বিথী আমার দিকে দুহাত বারিয়ে বলল - তুমি চাইলে আমাকে আলিঙ্গন দিতে পারো । আমি আশে পাশে দেখলাম, অনেক মানুষের ভীড়।
বিথী - আমি কাউকে তোয়াক্কা করিনা,
আমি মাথা নেরে না বলে দিলাম ।
এবার আরো কাছে ঘেঁসে বসলো, শরিরের আধখানা অংশ আমাকে ছুঁয়ে আছে। শান্ত গলায় -
আবার প্রশ্ন - যানো যোদ্ধা আমার আয়ু আর কত দিন ?
এবার আমি ভাল করে মুখের দিকে তাকালাম,,
নিয়ন আলোয় চোখের কোনে জল চিকচিক করছে, আর মাত্র 119 দিন, আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত । যোদ্ধা আমি মরতে চাই না, আমি বাঁচতে চাই,
আমার দিন একটা একটা ফুরিয়ে আসছে,
আমার ভেতরটা আমার অজান্তেই কেঁদে উঠলো, চোখের জলকে আর আটকে রাখতে পারালাম না ।
বিথী - কি হল যোদ্ধা ? তোমার চোখে জল ? তুমি না আমার বীর যোদ্ধা, আর বীরের চোখে জল শোভা পায়না।
আমি বললাম - নিজের জন্য নয়, তোমার কথা ভেবেই কাঁদছি, তোমার যে মহৎ উদ্দেশ্য, তার কথা ভেবে কাঁদছি, এখন আমি বুঝতে পারছি তোমার এই একদিনের ভালবাসায় একটা মানুষ একশো বছর পর্যন্ত বাঁচার শক্তি ফিরে পাবে। তোমার অবর্ত্তমানে যারা তোমার এই ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হবে, তাদের কথা ভেবে কাঁদছি।
এবার বিথীও কেঁদে ফেলল,,
বলল - বাহঃ আমার যোদ্ধা এবার পুরো পুরি তৈরী, যোদ্ধা কয়েকটা জরুরী কথা - আমি আর কোনোদিন তোমার সঙ্গে দেখা করবোনা, প্রয়জনে আমি তোমাকে ডেকে নেব।
ফেসবুকে আমার উপস্থিতি দেখেও কখনো sms করবেনা,
আমার নামের পাশে ঐ সবুজ বাতিটা যতদিন দেখতে পাবে, যানবে ততদিন আমিও আছি,
তোমার সাথেই আছি,
কখনো যদি আমার জন্য মনটা কেঁদে ওঠে, এই সময়, এইখানে, এইই বেঞ্চে এসে বসো। আর আবিরে রাঙানো ডুবে যাওয়া ঐ সুর্য্যটাকে দেখো।
একটা দির্ঘশ্বাস ছেরে বলল,,যোদ্ধা এবার আমাকে উঠতে হবে, আমার অনেক কাজ আর হাতে সময় খুবই কম, তুমি অনুমতি দাও,,,,,,,,
আমি বললাম - তোমায় বেঁধে রাখার কনো ক্ষমতাই আমার নেই । তুমি যাও আবার নতুন কনো যোদ্ধার খোঁজে ।
আমার কাঁধটা আলতোভাবে ঝাঁকিয়ে চলেগেল ।
কলকাতায় এক চায়ের গোডাউনে লেবার দেখাশুনার কাজ, মাইনে সাত হাজার দেবে, এক তারিখে জয়েন্ট, পাঁচ দিন বাকি।
বললাম - কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো ।
সুব্রত - ওসব পরে হবে, আমি দাদাকে ব্যাবস্থা করতে বলছি। চলে গেল সুব্রত ।
বিথীর কথা যে এত তারাতারি ফলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবিনি । আজ বিকেলে বিথীর সাথে দেখা করতেই হবে ।
যথারীতি পাঁচটার আগেই যথাস্থানে পৌঁছে গেলাম, চোখ পরে গেল বিথী আমারো আগে পৌঁছে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তাকিয়ে আছে আমারই দিকে।যেন প্রয়জনটা ওরই।
একটা হালকা হাঁসি দিয়ে বলল - এইতো ঠিক সময়ের মধ্যেই এসে গেছে আমার যোদ্ধা, ঠিক এইভাবেই সময়ের মূল্য দিও ।
ওর কথায় বুকটা ভরে গেল । ওর চোখের দৃষ্টি এতোটাই তিক্ষ্ণ যে, আমার চোখের দরজা দিয়ে ঢুকে মনের ভেতরটাও দেখতে পাচ্ছে।
দুজনেই একটা বেঞ্চে গিয়ে বসলাম নদীর দিকে মুখ করে। সুর্য্য ডুবছে, লাল আবিরের রঙে আকাশটা রাঙিয়ে দিয়েছে। আগে কখনো এভাবে আকাশকে দেখিনি ।
হঠাৎই বিথী বলে উঠলো,, ও যোদ্ধা বলো কি যেন বলবে বলে ডেকেছিলে ।
বললাম - আমার মনে হয়, যেটা বলতে চাই তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা, তুমি আগে থেকেই সব যেনে গেছো ।
বিথী - হাঁ যানি,
বললাম - কি যানো ?
বিথী – এই যে সামনেই ফুচকাওয়ালা, ঝালমুড়ি ওয়ালারা দোকান দিয়েছে । তোমার খুব ইচ্ছে করছে আমাকে মন ভরে খাওয়াতে । কিন্তু তোমার পকেট একেবারে গড়ের মাঠ, খাওয়াতে পারছোনা তাই মনে মনে কষ্ট পাচ্ছ ।
আমি এক লাফে উঠে ডাঁড়িয়ে পরলাম, আর মুখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি - আর ভাবছি, আরে সত্তি সত্তিই তো আমি এটাই ভাবছিলাম ।
কৌতুহল আর চাপতে পারালাম না, বলেই ফেললাম, এই তুমি কে বলতো ?
খুব সহজ ভাবেই উত্তর দিল - তোমার প্রেমীকা ।
হাতটা ধরে এক ঝটকায় আবার পাসে বসিয়ে দিল।
আর বলল - যা বলি মন দিয়ে শোনো,
প্রশ্ন করলো - যানো আমাদের প্রেমের মেয়াদ কতদিনের ?
আমি - না যানিনা,
বিথী - মাত্র এক দিনের ।
তুমি কি যানো আমার প্রেমীকের সংখা কত ?
আমি - না যানিনা,
বিথী - তোমাকে নিয়ে 210 জন,
তুমি কি যানো,, কেন আমি এক দিনের বেশি সম্পর্ক রাখিনা ?
আমি - না,
বিথী - কারন, একটা যোদ্ধা তৈরী করতে আমার কাছে এক দিনই যথেষ্ট । এবার বল আমার বীর যোদ্ধা, তুমি কি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত?
কথাগুলো শুনে আমার যেন দম আটকে গিয়েছিলো, যেন অন্য কনো জগৎএ বিচরণ করছিলাম।আমার কাঁধ দুটো ধরে ঝাঁকিয়ে দিয়ে বলল- শুনছো আমার কথা ? তুমি কি প্রস্তুত ?
আমি - হাঁ আমি অনেক আগেই প্রস্তুত ।
দুহাতে আমার গাল দুটো ধরে বলল চোখ বন্ধ করো, করলাম - ঠোঁটে চুম্বনের পরশ পেলাম ।
সারা শরির মনে এক ঐশ্বরিক অনুভুতির স্বাদ পেলাম, সেটা ভাষায় বর্ণনা করতে পারবোনা ।
তখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে । বিথী আমার দিকে দুহাত বারিয়ে বলল - তুমি চাইলে আমাকে আলিঙ্গন দিতে পারো । আমি আশে পাশে দেখলাম, অনেক মানুষের ভীড়।
বিথী - আমি কাউকে তোয়াক্কা করিনা,
আমি মাথা নেরে না বলে দিলাম ।
এবার আরো কাছে ঘেঁসে বসলো, শরিরের আধখানা অংশ আমাকে ছুঁয়ে আছে। শান্ত গলায় -
আবার প্রশ্ন - যানো যোদ্ধা আমার আয়ু আর কত দিন ?
এবার আমি ভাল করে মুখের দিকে তাকালাম,,
নিয়ন আলোয় চোখের কোনে জল চিকচিক করছে, আর মাত্র 119 দিন, আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত । যোদ্ধা আমি মরতে চাই না, আমি বাঁচতে চাই,
আমার দিন একটা একটা ফুরিয়ে আসছে,
আমার ভেতরটা আমার অজান্তেই কেঁদে উঠলো, চোখের জলকে আর আটকে রাখতে পারালাম না ।
বিথী - কি হল যোদ্ধা ? তোমার চোখে জল ? তুমি না আমার বীর যোদ্ধা, আর বীরের চোখে জল শোভা পায়না।
আমি বললাম - নিজের জন্য নয়, তোমার কথা ভেবেই কাঁদছি, তোমার যে মহৎ উদ্দেশ্য, তার কথা ভেবে কাঁদছি, এখন আমি বুঝতে পারছি তোমার এই একদিনের ভালবাসায় একটা মানুষ একশো বছর পর্যন্ত বাঁচার শক্তি ফিরে পাবে। তোমার অবর্ত্তমানে যারা তোমার এই ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হবে, তাদের কথা ভেবে কাঁদছি।
এবার বিথীও কেঁদে ফেলল,,
বলল - বাহঃ আমার যোদ্ধা এবার পুরো পুরি তৈরী, যোদ্ধা কয়েকটা জরুরী কথা - আমি আর কোনোদিন তোমার সঙ্গে দেখা করবোনা, প্রয়জনে আমি তোমাকে ডেকে নেব।
ফেসবুকে আমার উপস্থিতি দেখেও কখনো sms করবেনা,
আমার নামের পাশে ঐ সবুজ বাতিটা যতদিন দেখতে পাবে, যানবে ততদিন আমিও আছি,
তোমার সাথেই আছি,
কখনো যদি আমার জন্য মনটা কেঁদে ওঠে, এই সময়, এইখানে, এইই বেঞ্চে এসে বসো। আর আবিরে রাঙানো ডুবে যাওয়া ঐ সুর্য্যটাকে দেখো।
একটা দির্ঘশ্বাস ছেরে বলল,,যোদ্ধা এবার আমাকে উঠতে হবে, আমার অনেক কাজ আর হাতে সময় খুবই কম, তুমি অনুমতি দাও,,,,,,,,
আমি বললাম - তোমায় বেঁধে রাখার কনো ক্ষমতাই আমার নেই । তুমি যাও আবার নতুন কনো যোদ্ধার খোঁজে ।
আমার কাঁধটা আলতোভাবে ঝাঁকিয়ে চলেগেল ।