02-11-2021, 11:19 AM
অসাধারন লাগল পড়ে। জানিনা লেখক কে? লেখকের নাম নেই। ভালো লাগল তাই শেয়ার করলাম …
★★★ সবুজ বাতি ★★★
...................................
বছর দুয়েক আগের কথা ।
ব্যাচেলর লাইফ, ছোটো খাটো একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী,, মা বাবা আর ছোটো বোনকে নিয়ে ছোটো সুখের সংসার ।
বাবা একটা জুটমিলে রিটায়ার করে প্রবিডেন্ট ফান্ডের সামান্য টাকায় দুকামরার একটা বারিও করেছে, সামান্য কিছু দেনাও হয়েছে ।
ভবিষ্যৎএর স্বপ্ন দেখছি আমার গার্লফ্রেন্ড প্রীয়াকে নিয়ে, আমাকে খুবই ভালবাসে প্রীয়া। আমরা ঠিক করেছি, বাবার দেনাটা শোধ করেই বিয়েটা সেরে নেবো । রাতে আমাদের কথাও হয় ফেসবুকে । কম খরচে অনেক কথা, মন চাইলে সারারাত । আমার ফ্রেন্ডলিষ্টে প্রায় কম বেশি করে একশো সদশ্য। সকলের সাথে না হলেও অনেকেরই সাথে নিওমিত কথা হয় । এমনি অল্প কথা বলা একজন ছিলো, বিথী শর্মা । অবাঙালী হলেও পরিস্কার বাংলা বলতে পারতো। আমি পাঁচটা sms করলে একটার উত্তর দিত । কখনো সুধুই লাইক দিয়ে ছেরে দিত।
প্রফাইলের ছবিটাও খুব সুন্দর, এককথায় সুন্দরী বলা চলে, বড় বড় চোখ মুখে মৃদু হাঁসি সত্তিই সুন্দর।
কোম্পানিতে লেবারদের দাবিদাবা আর ইউনিয়ান বাজিতে বন্ধই হয়ে গেল কোম্পানি । একেবারেই কর্মহীন হয়েগেলাম । ভাবলাম একটা কাজ ঠিকি জুটিয়ে নেব । এমন ভাবনা আমার মিথ্যে হয়ে গেল । এইভাবে কএক মাস কেটে গেল, একে একে মায়ের গয়না দোকানে বাঁধা পড়লো ।
সংসার বাঁচাতে রাজমিস্ত্রির জোগারের কাজের জন্য কথা বললাম, সেখানেও নিলোনা, কারন কাজের কোনো অভিজ্ঞতাই নেই । সাফ জানিয়ে দিল তোমার দ্বারায় একাজ হবেনা।
অবস্থা বুঝে মুদিওয়ালাও ধার দেওয়া বন্ধ করে দিল।
ছোটো বোনটা ক্লাস টেনে পড়ে । সেও দেখি খিদে নেই বলে, কিছু না খেয়েই কলেজে চলে গেল ।
মা বাবার মুখের দিকে তাকাতেই পারছিনা ।
গত রাতে প্রীয়াও বলে দিল, অন্য জায়গায় নাকি বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে । আর যেন কখনোই ডিস্টার্ব না করে। যাকে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়জন,সবার আগে সেই পালিয়ে গেল।
বন্ধুরাও প্রায় সবাই বেকার ।কিন্তু ওদের কেউ না কেউ আছে সংসার চালানোর মত । তবুও ওরা অনেক সাহায্য করেছে ।
অভাব যে এত ভয়ঙ্কর তা আগে যানা ছিলনা ।
মায়ের মুখঝামটা, বাবার শুকনো মুখের কটাক্ষ দৃষ্টি, যে বোনটার সারাটা দিন টুকটাক করে মুখ চলতো - সে আজ খালি পেটে বইয়ে মুখ গূঁজে পরে রয়েছে।
আর পারছিনা,, এভাবে বাঁচার কনো মানেই হয়না । আজেবাজে উল্টোপাল্টা চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে । অনেক রাতে বারি ফিরেছিলাম, বন্ধুর খাওয়ানো চা বিস্কুট অনেক আগেই হজম হয়ে গেছে। এবার বিষ খেতে ইচ্ছা করছে, হাঁ এটাই একমাত্র পথ, অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তির উপায় এটাই । হাঁ সুইসাইড, মাথার মধ্যে ফিক্সড হয়ে গেল, এছাড়া আর কিছুই মাথায় আসছেনা।
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে ফেসবুক খুললাম, ফ্রেন্ড লিষ্টের বন্ধুরা যারা অন লাইন ছিলো, তাদের মধ্যে প্রীয়া ছিলো এক নাম্বারে, তাই ওকেই প্রথমে লিখলাম গূড বাই প্রীয়া, চললাম,,,,,
হুঁহঃ,,,,,নো রিপ্লাই, হয়তো ব্যাস্ত আছে অন্য কারোর সাথে ।
তারপর পরপর প্রত্যেককেই একই কথা লিখে ফরোয়ার্ড করলাম, "গুড বাই বন্ধু চললাম "।তার মধ্যে অনেকে অনেক রকম রিপ্লাই করলো, কেউ - ভাল থাকিস । কেউ - কোথাও বেড়াতে যাচ্ছো নাকি ? কেউ - কনো কাজের জন্যে দেশ ছাড়ছো নাকি ?
কিন্তু একমাত্র বিথীই ব্যাপারটা ঠিকি আন্দাজ করেছিলো । যে কিনা অনেক কথা বলার পর তবে একটা রিপ্লাই দেয়। সে পরস্পর প্রশ্ন বাণে আমাকে ঘায়েল করে ফেলল ।
★★★ সবুজ বাতি ★★★
...................................
বছর দুয়েক আগের কথা ।
ব্যাচেলর লাইফ, ছোটো খাটো একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী,, মা বাবা আর ছোটো বোনকে নিয়ে ছোটো সুখের সংসার ।
বাবা একটা জুটমিলে রিটায়ার করে প্রবিডেন্ট ফান্ডের সামান্য টাকায় দুকামরার একটা বারিও করেছে, সামান্য কিছু দেনাও হয়েছে ।
ভবিষ্যৎএর স্বপ্ন দেখছি আমার গার্লফ্রেন্ড প্রীয়াকে নিয়ে, আমাকে খুবই ভালবাসে প্রীয়া। আমরা ঠিক করেছি, বাবার দেনাটা শোধ করেই বিয়েটা সেরে নেবো । রাতে আমাদের কথাও হয় ফেসবুকে । কম খরচে অনেক কথা, মন চাইলে সারারাত । আমার ফ্রেন্ডলিষ্টে প্রায় কম বেশি করে একশো সদশ্য। সকলের সাথে না হলেও অনেকেরই সাথে নিওমিত কথা হয় । এমনি অল্প কথা বলা একজন ছিলো, বিথী শর্মা । অবাঙালী হলেও পরিস্কার বাংলা বলতে পারতো। আমি পাঁচটা sms করলে একটার উত্তর দিত । কখনো সুধুই লাইক দিয়ে ছেরে দিত।
প্রফাইলের ছবিটাও খুব সুন্দর, এককথায় সুন্দরী বলা চলে, বড় বড় চোখ মুখে মৃদু হাঁসি সত্তিই সুন্দর।
কোম্পানিতে লেবারদের দাবিদাবা আর ইউনিয়ান বাজিতে বন্ধই হয়ে গেল কোম্পানি । একেবারেই কর্মহীন হয়েগেলাম । ভাবলাম একটা কাজ ঠিকি জুটিয়ে নেব । এমন ভাবনা আমার মিথ্যে হয়ে গেল । এইভাবে কএক মাস কেটে গেল, একে একে মায়ের গয়না দোকানে বাঁধা পড়লো ।
সংসার বাঁচাতে রাজমিস্ত্রির জোগারের কাজের জন্য কথা বললাম, সেখানেও নিলোনা, কারন কাজের কোনো অভিজ্ঞতাই নেই । সাফ জানিয়ে দিল তোমার দ্বারায় একাজ হবেনা।
অবস্থা বুঝে মুদিওয়ালাও ধার দেওয়া বন্ধ করে দিল।
ছোটো বোনটা ক্লাস টেনে পড়ে । সেও দেখি খিদে নেই বলে, কিছু না খেয়েই কলেজে চলে গেল ।
মা বাবার মুখের দিকে তাকাতেই পারছিনা ।
গত রাতে প্রীয়াও বলে দিল, অন্য জায়গায় নাকি বিয়ের ঠিক হয়ে গেছে । আর যেন কখনোই ডিস্টার্ব না করে। যাকে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়জন,সবার আগে সেই পালিয়ে গেল।
বন্ধুরাও প্রায় সবাই বেকার ।কিন্তু ওদের কেউ না কেউ আছে সংসার চালানোর মত । তবুও ওরা অনেক সাহায্য করেছে ।
অভাব যে এত ভয়ঙ্কর তা আগে যানা ছিলনা ।
মায়ের মুখঝামটা, বাবার শুকনো মুখের কটাক্ষ দৃষ্টি, যে বোনটার সারাটা দিন টুকটাক করে মুখ চলতো - সে আজ খালি পেটে বইয়ে মুখ গূঁজে পরে রয়েছে।
আর পারছিনা,, এভাবে বাঁচার কনো মানেই হয়না । আজেবাজে উল্টোপাল্টা চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে । অনেক রাতে বারি ফিরেছিলাম, বন্ধুর খাওয়ানো চা বিস্কুট অনেক আগেই হজম হয়ে গেছে। এবার বিষ খেতে ইচ্ছা করছে, হাঁ এটাই একমাত্র পথ, অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তির উপায় এটাই । হাঁ সুইসাইড, মাথার মধ্যে ফিক্সড হয়ে গেল, এছাড়া আর কিছুই মাথায় আসছেনা।
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে ফেসবুক খুললাম, ফ্রেন্ড লিষ্টের বন্ধুরা যারা অন লাইন ছিলো, তাদের মধ্যে প্রীয়া ছিলো এক নাম্বারে, তাই ওকেই প্রথমে লিখলাম গূড বাই প্রীয়া, চললাম,,,,,
হুঁহঃ,,,,,নো রিপ্লাই, হয়তো ব্যাস্ত আছে অন্য কারোর সাথে ।
তারপর পরপর প্রত্যেককেই একই কথা লিখে ফরোয়ার্ড করলাম, "গুড বাই বন্ধু চললাম "।তার মধ্যে অনেকে অনেক রকম রিপ্লাই করলো, কেউ - ভাল থাকিস । কেউ - কোথাও বেড়াতে যাচ্ছো নাকি ? কেউ - কনো কাজের জন্যে দেশ ছাড়ছো নাকি ?
কিন্তু একমাত্র বিথীই ব্যাপারটা ঠিকি আন্দাজ করেছিলো । যে কিনা অনেক কথা বলার পর তবে একটা রিপ্লাই দেয়। সে পরস্পর প্রশ্ন বাণে আমাকে ঘায়েল করে ফেলল ।