30-10-2021, 03:55 PM
যদিও এখন একেবারেই মনে পড়েনা এইসব! দক্ষিন কলকাতার এই পার্কটার বেঞ্চটায় বসে বাচ্চা গুলোর মায়েদের দেখতে দেখতে একবার একটা “সিরিজ অফ ড্রিমস্*” এর মত পরপর মাথায় চলে এল ঘটনা গুলো। আসলে স্মৃতি গুলো কোথাও না কোথাও থেকেই যায় মনের ভেতরে, নতুন স্মৃতি দিয়ে চাপা পড়ে মাত্র, খোঁচা খেলে গর্ত থেকে বেরোনো সাপের মত বেরিয়ে আসে, ছোবলও দেয়। তবে সেক্ষেত্রে তানিয়ার স্মৃতি গুলো নেহাতই ঢোড়া সাপ। মাঝে মাঝে মনে করার চেষ্টাও করে। কিন্তু সব কিছু মনে পড়েনা, শেষ দিনটা... যেদিন অর্ককে তানিয়া জিজ্ঞেস করেছিল “আমাদের মধ্যে সমস্যা টা কোথায় অর্ক? আমরা তো ভালই আছি।” অর্ক নিজের ফুলের গাছ গুলোর দিকে তাকিয়ে বলেছিল। “আমরা আর গল্প করতে পারিনা তানিয়া, আমাদের মধ্যে কথা ফুরিয়ে গেছে।” তানিয়ার কাছে উত্তরটা খুব বোকা বোকা ছিল, অর্কও পরে মনে হয়েছিল বোকা বোকা, ন্যাকা ন্যাকা। তানিয়া ঠিকই বলেছিল অর্ক কোন রিলেশনশিপের যোগ্যই নয়। অর্ক বোঝে ওই সব রিলেশনশিপ টিপ ওই সব একমাত্র রবিঠাকুর বোঝেন। একমাত্র রবীন্দ্রনাথ পড়লে অর্কর মনে প্রেম আসত, ভাবত শুধু তানিয়ার জন্যই বেঁচে আছে সে। বাকি সব মায়া, কত দিন গেছে তানিয়ার সাথে দেখা করতে যাবার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নিত কিছু কবিতায়। “আমার পরানও যাহা চায়” গেয়ে উঠত নিজে নিজেই, অটোতে যেতে যেতে অটো আলা গুলো অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত অর্কর দিকে। একদিন তো গান গাওয়াতে এতই মত্ত ছিল যে অন্ধেরি যেতে গিয়ে ভারসোভা চলে গেছিল। তবে কাজে দিত এই গান গুলো। অর্ক ছোটবেলা থেকেই বেশ ভালো গায় তাই তানিয়া খুব একটা বেশি কিছু না বুঝলেও গানগুলো মন দিয়ে শুনত। অন্তত শ্রুতিমধুর তো ছিল। কিন্তু শুধু গান দিয়ে খুব একটা বেশিদিন টানতে পারল না অর্ক। তানিয়া চেষ্টা করেছিল, অর্কও যে করেনি তা নয়। তবে কেউই পারেনি, শেষের দিকে পারতে চায়ও নি। এখন সেই সব কথা মনে পড়লেও হাসি পায় অর্কর।
একটা বল সোজা এসে অর্কর মাথায় লাগাতে ঘোর ভাঙে অর্কর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে আসে বছর পাঁচেকের একটা পুঁচকে মিষ্টি ছেলে। “তোমার লাগেনি তো কাকু!” অর্কর হাড় ভেঙ্গে গেলেও এই প্রশ্নের জবাবে “না” বলা ছাড়া কিচ্ছু করতে পারতনা অর্ক। বলটা হাতে তুলে বাচ্চাটাকে দিয়ে গালটা একবার টিপে দেয় অর্ক। প্রচন্ড মিষ্টি একটা হাঁসি হেঁসে বলটা নিয়ে দৌড়ে চলে যায় তার অপেক্ষারত খুদে বন্ধুদের কাছে। এতক্ষনে ঘড়ি দেখে অর্ক। প্রায় ৯.৩০ টা বাজে। এবার ওঠা উচিৎ, ১০টায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট। একটা উত্তেজনা অনুভব করে অর্ক। জীবনে প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছে তার প্রিয় লেখিকা “মালবিকা রায়ের” সাথে!
একটা বল সোজা এসে অর্কর মাথায় লাগাতে ঘোর ভাঙে অর্কর। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে আসে বছর পাঁচেকের একটা পুঁচকে মিষ্টি ছেলে। “তোমার লাগেনি তো কাকু!” অর্কর হাড় ভেঙ্গে গেলেও এই প্রশ্নের জবাবে “না” বলা ছাড়া কিচ্ছু করতে পারতনা অর্ক। বলটা হাতে তুলে বাচ্চাটাকে দিয়ে গালটা একবার টিপে দেয় অর্ক। প্রচন্ড মিষ্টি একটা হাঁসি হেঁসে বলটা নিয়ে দৌড়ে চলে যায় তার অপেক্ষারত খুদে বন্ধুদের কাছে। এতক্ষনে ঘড়ি দেখে অর্ক। প্রায় ৯.৩০ টা বাজে। এবার ওঠা উচিৎ, ১০টায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট। একটা উত্তেজনা অনুভব করে অর্ক। জীবনে প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছে তার প্রিয় লেখিকা “মালবিকা রায়ের” সাথে!