30-10-2021, 01:31 PM
রুপাই নদীর বান ডাকার আওয়াজ আসছে এখন । অদ্ভুত নিস্তব্ধতা মানুষের জীবনে । জীবন এখানে থেমে যায় না , বাড়তে থাকে একটার পর একটা , একটা স্বপ্ন থেকে বেড়ে চলে দুটো , চারটে ,১০ টা , এর পর শহর , আর জীবন গুলো মিশে যায় সমুদ্রে । আমরাই শুধু আপন করে হাচড়ে আগলে ধরতে চাই আমাদের কে , আমাদের আমি গুলোর কেউ হয় না । তারা একা , একা আসে একা হারিয়ে যায় । বড়োজোর মনে বাঁচিয়ে রাখা যায় দু দশ বছর ।
খেতে খেতে মাথা ঝন ঝনিয়ে ওঠে অতসীর । মরে গেলে সে নিশ্চয়ই নরকে যাবে । নিজের সম্পর্কের ছেলে কে যে ভোগ করে সে ডাইনি বৈকি । তা হোক । কিন্তু পরিপূর্ণ তার ভালোবাসা , সেখানে কোনো খাদ নেই । সামনের ফাল্গুনেই বিয়ে সেরে ফেলতে হবে মরমীর । সিদাম ভালো ছেলে । মেয়ের বিয়ে দিলে আর কিসের চিন্তা ?
সেদিন রাতে হাত কামড়ে আফসোস করলেও মরমীর মনে ভালোহয়ে গেলো পরের দিন সকালে । সুজন মাঝি ফিরে এসেছে । এবারে মাছের আমদানি কেন না জানি দ্বিগুন । যেখানে ঝড়ে জেলেরা মাছ পায় না , সেখানে সুজন মাছ রেখে জায়গা করতে পারছে না উপরি মাছের । ভিড় হয়েছে খুব সুজনের মাছ -এর জন্য আড়তে । ভোর রাত্রে নৌকা লাগিয়েছে ঘাটে । ভারত সাগরের সলমন , আর বাছাই করা পমফ্রেট জালে এসেছে । এসেছে অনেক ভালো গলদা চিংড়ি । ভালো কাকরাও , এক একটা ৫০০ গ্রামের ওজনের । সাগর দেবতা বোধ হয় তার উপর একটু বেশি করুনা করলেন । ম্যাকারেল এর কমতি নেই । অন্য সময় ৩-৪ টন এর মাছ আনতে পারে না সুজন , এবার নৌকা ঠাসা সে জানে না কত টন হবে । কিঙ্কর সোজা বাড়ির দিকে চলে গেছে । গাজা না খেলে ওহ ঠিক থাকতে পারে না । এক ছিলিম দেবে তার পর অন্য কথা ।
রূপসাগঞ্জের শহরের বাবুরা এসে দেখে গেলেন মাছের বহর । ওনারাই ফয়সালা করেন কি কেমন দাম হবে । নরেন আর ভবা কে লাগিয়ে দিলে সুজন মাছের ভেড়িতে । আড়তে তুলছে মাছ সব । ভবা সুজন মাছ আনলে আড়তে মাছের তদারকি করে । দাম উঠলো খুব । দাম হাঁকলো নরেন বুক পেতে । এতো ভালো মাছ গত ৫ বছরেও দেখে নি কেউ । কেউ লড়তে পারলো না যশোরের বাবুদের সামনে । নৌকা খালি করে মাছ বিক্রি হয়ে গেলো অনেক টাকায় । এতো টাকা দেখে নি সুজন অনেক দিন । সেই নরেনের মেয়ের বিয়ের সময় একবার লক্ষ টাকার মাছ উঠেছিল তার জালে । ঘরের মাছ আগেই আলাদা করে রাখা আছে , তাই নিয়ে টাকার ব্যাগ হাতে এগিয়ে পড়লো বাড়ির দিকে । নরেনের সাথে হিসেবে নিকেশ রাতে হবে । ৫০০ টাকার দুটো নোট বাড়িয়ে দিলো সুজন নরেন কে ।
" বিকেল আয় বুঝলি নরেন , বসে হিসেবে করবো ।কিঙ্কর কে সাথে নিয়ে আসিস , নাহলে ব্যাটা নেশা করে পড়ে থাকবে কোথাও । " লেখা পড়া খুব বেশি না জানলেও সুজন কোনো দিন নরেন কে ঠকায় নি । একটা দোক্তা দেয়া জর্দা পান খেয়ে এগিয়ে পড়লো বাড়ির দিকে । বৃষ্টি টান ধরেছে কিন্তু এতো কাদা রাস্তায় ! পায়ের প্লাস্টিকের জুতো । তাতে কাদা মাখামাখি । নাঃ আর জল ভালো লাগছে না । বসে দুটো ভাত খাবে শান্তি করে তার পর ঘুমাবে । ডাঙা তেও তার মাথা ঘুরছে জলের মতো । ভাত খাবার মতো বেলা হয়ে গেছে ।
খেতে খেতে মাথা ঝন ঝনিয়ে ওঠে অতসীর । মরে গেলে সে নিশ্চয়ই নরকে যাবে । নিজের সম্পর্কের ছেলে কে যে ভোগ করে সে ডাইনি বৈকি । তা হোক । কিন্তু পরিপূর্ণ তার ভালোবাসা , সেখানে কোনো খাদ নেই । সামনের ফাল্গুনেই বিয়ে সেরে ফেলতে হবে মরমীর । সিদাম ভালো ছেলে । মেয়ের বিয়ে দিলে আর কিসের চিন্তা ?
সেদিন রাতে হাত কামড়ে আফসোস করলেও মরমীর মনে ভালোহয়ে গেলো পরের দিন সকালে । সুজন মাঝি ফিরে এসেছে । এবারে মাছের আমদানি কেন না জানি দ্বিগুন । যেখানে ঝড়ে জেলেরা মাছ পায় না , সেখানে সুজন মাছ রেখে জায়গা করতে পারছে না উপরি মাছের । ভিড় হয়েছে খুব সুজনের মাছ -এর জন্য আড়তে । ভোর রাত্রে নৌকা লাগিয়েছে ঘাটে । ভারত সাগরের সলমন , আর বাছাই করা পমফ্রেট জালে এসেছে । এসেছে অনেক ভালো গলদা চিংড়ি । ভালো কাকরাও , এক একটা ৫০০ গ্রামের ওজনের । সাগর দেবতা বোধ হয় তার উপর একটু বেশি করুনা করলেন । ম্যাকারেল এর কমতি নেই । অন্য সময় ৩-৪ টন এর মাছ আনতে পারে না সুজন , এবার নৌকা ঠাসা সে জানে না কত টন হবে । কিঙ্কর সোজা বাড়ির দিকে চলে গেছে । গাজা না খেলে ওহ ঠিক থাকতে পারে না । এক ছিলিম দেবে তার পর অন্য কথা ।
রূপসাগঞ্জের শহরের বাবুরা এসে দেখে গেলেন মাছের বহর । ওনারাই ফয়সালা করেন কি কেমন দাম হবে । নরেন আর ভবা কে লাগিয়ে দিলে সুজন মাছের ভেড়িতে । আড়তে তুলছে মাছ সব । ভবা সুজন মাছ আনলে আড়তে মাছের তদারকি করে । দাম উঠলো খুব । দাম হাঁকলো নরেন বুক পেতে । এতো ভালো মাছ গত ৫ বছরেও দেখে নি কেউ । কেউ লড়তে পারলো না যশোরের বাবুদের সামনে । নৌকা খালি করে মাছ বিক্রি হয়ে গেলো অনেক টাকায় । এতো টাকা দেখে নি সুজন অনেক দিন । সেই নরেনের মেয়ের বিয়ের সময় একবার লক্ষ টাকার মাছ উঠেছিল তার জালে । ঘরের মাছ আগেই আলাদা করে রাখা আছে , তাই নিয়ে টাকার ব্যাগ হাতে এগিয়ে পড়লো বাড়ির দিকে । নরেনের সাথে হিসেবে নিকেশ রাতে হবে । ৫০০ টাকার দুটো নোট বাড়িয়ে দিলো সুজন নরেন কে ।
" বিকেল আয় বুঝলি নরেন , বসে হিসেবে করবো ।কিঙ্কর কে সাথে নিয়ে আসিস , নাহলে ব্যাটা নেশা করে পড়ে থাকবে কোথাও । " লেখা পড়া খুব বেশি না জানলেও সুজন কোনো দিন নরেন কে ঠকায় নি । একটা দোক্তা দেয়া জর্দা পান খেয়ে এগিয়ে পড়লো বাড়ির দিকে । বৃষ্টি টান ধরেছে কিন্তু এতো কাদা রাস্তায় ! পায়ের প্লাস্টিকের জুতো । তাতে কাদা মাখামাখি । নাঃ আর জল ভালো লাগছে না । বসে দুটো ভাত খাবে শান্তি করে তার পর ঘুমাবে । ডাঙা তেও তার মাথা ঘুরছে জলের মতো । ভাত খাবার মতো বেলা হয়ে গেছে ।