29-10-2021, 02:52 PM
সিদ্দে গেছে নন্দ দের আলু চপের দোকানে । সেখান থেকে ৬ টা চপ কিনে আনবে । আর ওমলেট রেঁধে দেবে অতসী । পান্তা আছে বেশ খানিকটা । গায়ে গঞ্জে পান্তা খাওয়া গা সওয়া হয়ে গেছে । ঘরে এসে লম্ফো জ্বালিয়ে রাখলো মরমী বারান্দায় । আর দুধ দুয়ে আসলো অতসী ঘোষেদের বাড়ি থেকে । দুটো গরু , দুধ দুয়ে দিলে এক পো দুধ দেয় ঘোষেরা, বাকি এক পো কিনে নেয় সে নিজেই । চা করতে বা , মাঝে সাঝে সিদ্দে কে খাওয়াতে চায় অতসী । বাটিতে খানিকটা মুড়ি দিলো অতসী মরমীকে । একটু চা খাবে এখন ।
ফিরে এসে বসলো সিদ্দে , চুপটি করে । মরমী কে দেখে সিদ্দে কেমন হয়ে যাচ্ছে । সিদ্দে মন দিয়ে শুনছে গান কিন্তু শরীর টানছে মরমীর দিকে । আজ জাল টা বোনা শেষ করে শুতে যাবে । টাকা পাওনা গন্ডা দিয়েই গেছে জালের লোক জন । কিন্তু মরমী কে কেন এতো মিষ্টি লাগছে ?
খাওয়া দাওয়া শেষ । আর ঝম ঝম করে বিকট আওয়াজ করে মেঘ ডেকে বৃষ্টি নামলো । আকাশের ভাব গতিক দেখে মনে হচ্ছে না এখুনি থামবে দু এক দিনে । লম্ফ ঝড়ের হাওয়ায় টিকছে না , তাই হ্যারিকেন নিয়ে কাজে মন দিলো সিদ্দে । ঘরে টুকি টাকি জামা কাপড় গুছিয়ে নিচ্ছেন অতসী । আর বাইরের ঘরটায় একটা কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েছে মরমী । তার ভয় করছে যদি পেটে বাচ্ছা এসে যায় । গুটি সুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়েছে গা ছমছমে বর্ষার রাতে ।
অনেক ক্ষণ কেটে গেলো সিদ্দের । বৃষ্টি টা থামলো মনে হয় না কি ছিটে ফোটা বৃষ্টি ।
বেশ দূর থেকে নৌকায় পাল তোলার হই হট্টগোল হচ্ছে । রুপাই নদীর ধার ঘেঁষে গড়ে উঠেছে জনবসতি । শহর এখানে ছোয় নি এখনো সভ্যতা কে । তাই নৌকার পর নৌকা নোঙ্গর দে এখানে ।জেলেদের বসতি । আর আসে শহর থেকে পাইকারি সব জিনিস , যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে । এখানে একটা শুধু চিকিৎসা কেন্দ্র আছে । খোঁজেন ডাক্তার আর নীলু নার্স । এরাই দেখে রাখে যা ১০০ জন গ্রামের মানুষ কে ।
সব নাইলনের সুতো গুলোর ফাঁস বেঁধে বাধনে লোহার নোলক লাগিয়ে দিয়ে সুতোর মুখ গুলো পুড়িয়ে জ্বালিয়ে বেঁধে দেয়যাতে, অনেক দিন টিকে থাকে । রাতে আছেন হচ্ছে চরাচর । কুকুরের ডাক আর দূর থেকে ভেসে আসা মাঝি মালহার দের আওয়াজ । বৃষ্টি ঝম ঝম করে পড়ছে না ছিটে ফোটা , কিন্তু অনেক ক্ষণ বৃষ্টি হবে । আকাশ বিদ্যুতের ঝলসানিতে কালো দেখাচ্ছে । সব শেষ করে নতুন জাল গুটিয়ে গুছিয়ে রেখে দিলো একটা বড়ো বস্তায় । কালই এসে নিয়ে যাবে হরিদাসী জাল না , খুব ঠোস মজবুত জাল হয়েছে ।
ফিরে এসে বসলো সিদ্দে , চুপটি করে । মরমী কে দেখে সিদ্দে কেমন হয়ে যাচ্ছে । সিদ্দে মন দিয়ে শুনছে গান কিন্তু শরীর টানছে মরমীর দিকে । আজ জাল টা বোনা শেষ করে শুতে যাবে । টাকা পাওনা গন্ডা দিয়েই গেছে জালের লোক জন । কিন্তু মরমী কে কেন এতো মিষ্টি লাগছে ?
খাওয়া দাওয়া শেষ । আর ঝম ঝম করে বিকট আওয়াজ করে মেঘ ডেকে বৃষ্টি নামলো । আকাশের ভাব গতিক দেখে মনে হচ্ছে না এখুনি থামবে দু এক দিনে । লম্ফ ঝড়ের হাওয়ায় টিকছে না , তাই হ্যারিকেন নিয়ে কাজে মন দিলো সিদ্দে । ঘরে টুকি টাকি জামা কাপড় গুছিয়ে নিচ্ছেন অতসী । আর বাইরের ঘরটায় একটা কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়েছে মরমী । তার ভয় করছে যদি পেটে বাচ্ছা এসে যায় । গুটি সুটি মেরে ঘুমিয়ে পড়েছে গা ছমছমে বর্ষার রাতে ।
অনেক ক্ষণ কেটে গেলো সিদ্দের । বৃষ্টি টা থামলো মনে হয় না কি ছিটে ফোটা বৃষ্টি ।
বেশ দূর থেকে নৌকায় পাল তোলার হই হট্টগোল হচ্ছে । রুপাই নদীর ধার ঘেঁষে গড়ে উঠেছে জনবসতি । শহর এখানে ছোয় নি এখনো সভ্যতা কে । তাই নৌকার পর নৌকা নোঙ্গর দে এখানে ।জেলেদের বসতি । আর আসে শহর থেকে পাইকারি সব জিনিস , যা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে । এখানে একটা শুধু চিকিৎসা কেন্দ্র আছে । খোঁজেন ডাক্তার আর নীলু নার্স । এরাই দেখে রাখে যা ১০০ জন গ্রামের মানুষ কে ।
সব নাইলনের সুতো গুলোর ফাঁস বেঁধে বাধনে লোহার নোলক লাগিয়ে দিয়ে সুতোর মুখ গুলো পুড়িয়ে জ্বালিয়ে বেঁধে দেয়যাতে, অনেক দিন টিকে থাকে । রাতে আছেন হচ্ছে চরাচর । কুকুরের ডাক আর দূর থেকে ভেসে আসা মাঝি মালহার দের আওয়াজ । বৃষ্টি ঝম ঝম করে পড়ছে না ছিটে ফোটা , কিন্তু অনেক ক্ষণ বৃষ্টি হবে । আকাশ বিদ্যুতের ঝলসানিতে কালো দেখাচ্ছে । সব শেষ করে নতুন জাল গুটিয়ে গুছিয়ে রেখে দিলো একটা বড়ো বস্তায় । কালই এসে নিয়ে যাবে হরিদাসী জাল না , খুব ঠোস মজবুত জাল হয়েছে ।