29-10-2021, 10:27 AM
#স্বামীজীর_ভবিষ্যৎবাণী
স্বামীজি যখন বস্টনে স্যানবর্নের বাড়িতে ছিলেন, তখন হাভার্ড বিশ্বিবিদ্যালয়ের গ্রীক ভাষার অধ্যাপক শ্রীযুক্ত জন হেনিরি রাইট তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু দেখা না হওয়ায় অধ্যাপক তাঁর অ্যানিস্কোয়াম গ্রামের গৃহে স্বামীজিকে আমন্ত্রণ জানান। স্বামীজি তাঁর আমন্ত্রণ স্বীকার করে বস্টন থেকে ৩০মাইল উত্তরপূর্বে অতলান্তিক মহাসাগরের তীরবর্তী ক্ষুদ্র এই অ্যানিস্কোয়াম গ্রামে গিয়েছিলেন। স্বামীজিকে দেখে গ্রামের জনগণ অবাক, তাঁকে দেখার জন্য এলাকায় যেন 'আগ্রহের আগুন' লেগে যায়। সবাই উল্লাসে আত্মহারা হয়।
স্বামীজি এখানে বক্তৃতা দেন। ভারতের সহনশীল জনগণের উপর ইংরেজ জাতির উৎপীড়ন বিষয়ে তিনি নানা কথা বলেছিলেন। কিন্তু ভগবানের বিচারে এ হেন ইংরেজ জাতিকেও যে হার মানতে হবে চীনাদের কাছে --সে কথাও স্বামীজির মুখ থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছিল। অধ্যাপকপত্নীর পত্র থেকে ঘটনার বিবরণটি নিম্নরূপ--
"ক্রমে তাঁহার কথাগুলি মন্থরতর হইল, তাঁহার মিষ্ট স্বর গম্ভীর হইতে হইতে যেন ঘন্টারাবের ন্যায় শুনাইতে লাগিল এবং তিনি বলিলেন, 'কিন্তু ভগবানের বিচার তাদের উপর নেমে আসবে--প্রভু বলেছেন, 'প্রতিশোধ আমি নেব, প্রতিদান আমি দেব'।... ঐ কোটি কোটি চীনাদের দিকে চেয়ে দেখ--ওরাই হচ্ছে প্রভুর প্রতিশোধ, যা তোমাদের উপর নেমে আসবে।'... আর একটু মুচকি মুচকি হাসিয়া বলিলেন, 'তারা ইউরোপ ছেয়ে ফেলবে, তারা ইটের উপর ইট খাড়া থাকতে দেবে না। নারী, পুরুষ, শিশু--সব যাবে, আবার অন্ধকার যুগ ফিরে আসবে।... কেহ যদি ভগবানের প্রতিশোধে বিশ্বাস নাও করে, ইতিহাসের প্রতিশোধে বিশ্বাস করতেই হবে। আর এ-প্রতিশোধ ইংরেজদের উপর নেমে আসবেই। তারা পা দিয়ে আমাদের ঘাড় চেপে রেখেছে। তারা নিজেদের স্ফূর্তির জন্য আমাদের শেষ রক্তবিন্দু চুষে খেয়েছে। তারা আমাদের কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। আর আমাদের গ্রামের পর গ্রাম প্রদেশের পর প্রদেশ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে! এখন চিনেরা পড়বে তাদের উপর প্রতিশোধরূপে...।"
ভগিনী কৃস্টিনের স্মৃতিচারণেও আমরা এই উক্তির সমর্থন পাই। স্বামীজি সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, "তাঁকে মনে হতো, তিনি যেন ভবিষ্যদ্দ্রষ্টা ঋষিরূপে বিরাজমান;... আমাদের চমকে দিয়েছিলেন--এরপর যে বিরাট অভ্যুত্থানের ফলে নবযুগের সূত্রপাত হবে, তা আসবে রাশিয়া বা চীন দেশ থেকে।" বিবেকানন্দ আরও একবার আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, "ইংরেজরা চলিয়া যাইবার পর চীনদেশ হইতে ভারতাক্রমণের একটা বড় আশঙ্কা রহিয়াছে।"
*যুগাচার্যের ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যা হবার নয়*।
*তথ্যসূত্রঃ*
'যুগনায়ক বিবেকানন্দ'(২য় খণ্ড)--স্বামী গম্ভীরানন্দ
অগ্রহায়ণ ১৪২৩, উদ্বোধন কার্যালয়, পৃষ্ঠা--১০-১২।
স্বামীজি যখন বস্টনে স্যানবর্নের বাড়িতে ছিলেন, তখন হাভার্ড বিশ্বিবিদ্যালয়ের গ্রীক ভাষার অধ্যাপক শ্রীযুক্ত জন হেনিরি রাইট তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু দেখা না হওয়ায় অধ্যাপক তাঁর অ্যানিস্কোয়াম গ্রামের গৃহে স্বামীজিকে আমন্ত্রণ জানান। স্বামীজি তাঁর আমন্ত্রণ স্বীকার করে বস্টন থেকে ৩০মাইল উত্তরপূর্বে অতলান্তিক মহাসাগরের তীরবর্তী ক্ষুদ্র এই অ্যানিস্কোয়াম গ্রামে গিয়েছিলেন। স্বামীজিকে দেখে গ্রামের জনগণ অবাক, তাঁকে দেখার জন্য এলাকায় যেন 'আগ্রহের আগুন' লেগে যায়। সবাই উল্লাসে আত্মহারা হয়।
স্বামীজি এখানে বক্তৃতা দেন। ভারতের সহনশীল জনগণের উপর ইংরেজ জাতির উৎপীড়ন বিষয়ে তিনি নানা কথা বলেছিলেন। কিন্তু ভগবানের বিচারে এ হেন ইংরেজ জাতিকেও যে হার মানতে হবে চীনাদের কাছে --সে কথাও স্বামীজির মুখ থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারিত হয়েছিল। অধ্যাপকপত্নীর পত্র থেকে ঘটনার বিবরণটি নিম্নরূপ--
"ক্রমে তাঁহার কথাগুলি মন্থরতর হইল, তাঁহার মিষ্ট স্বর গম্ভীর হইতে হইতে যেন ঘন্টারাবের ন্যায় শুনাইতে লাগিল এবং তিনি বলিলেন, 'কিন্তু ভগবানের বিচার তাদের উপর নেমে আসবে--প্রভু বলেছেন, 'প্রতিশোধ আমি নেব, প্রতিদান আমি দেব'।... ঐ কোটি কোটি চীনাদের দিকে চেয়ে দেখ--ওরাই হচ্ছে প্রভুর প্রতিশোধ, যা তোমাদের উপর নেমে আসবে।'... আর একটু মুচকি মুচকি হাসিয়া বলিলেন, 'তারা ইউরোপ ছেয়ে ফেলবে, তারা ইটের উপর ইট খাড়া থাকতে দেবে না। নারী, পুরুষ, শিশু--সব যাবে, আবার অন্ধকার যুগ ফিরে আসবে।... কেহ যদি ভগবানের প্রতিশোধে বিশ্বাস নাও করে, ইতিহাসের প্রতিশোধে বিশ্বাস করতেই হবে। আর এ-প্রতিশোধ ইংরেজদের উপর নেমে আসবেই। তারা পা দিয়ে আমাদের ঘাড় চেপে রেখেছে। তারা নিজেদের স্ফূর্তির জন্য আমাদের শেষ রক্তবিন্দু চুষে খেয়েছে। তারা আমাদের কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। আর আমাদের গ্রামের পর গ্রাম প্রদেশের পর প্রদেশ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে! এখন চিনেরা পড়বে তাদের উপর প্রতিশোধরূপে...।"
ভগিনী কৃস্টিনের স্মৃতিচারণেও আমরা এই উক্তির সমর্থন পাই। স্বামীজি সম্পর্কে তিনি জানিয়েছেন, "তাঁকে মনে হতো, তিনি যেন ভবিষ্যদ্দ্রষ্টা ঋষিরূপে বিরাজমান;... আমাদের চমকে দিয়েছিলেন--এরপর যে বিরাট অভ্যুত্থানের ফলে নবযুগের সূত্রপাত হবে, তা আসবে রাশিয়া বা চীন দেশ থেকে।" বিবেকানন্দ আরও একবার আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, "ইংরেজরা চলিয়া যাইবার পর চীনদেশ হইতে ভারতাক্রমণের একটা বড় আশঙ্কা রহিয়াছে।"
*যুগাচার্যের ভবিষ্যৎবাণী মিথ্যা হবার নয়*।
*তথ্যসূত্রঃ*
'যুগনায়ক বিবেকানন্দ'(২য় খণ্ড)--স্বামী গম্ভীরানন্দ
অগ্রহায়ণ ১৪২৩, উদ্বোধন কার্যালয়, পৃষ্ঠা--১০-১২।