29-10-2021, 09:31 AM
রাতের হিংসা সকালে মরমী গায়ে মাখে না । কিন্তু জোয়ান শরীর টাও তো কিছু যেন চায় । সকালের মিষ্টি রোদ্দুরে সব হিংসা গুলো শুকিয়ে যায়, ঝরে যায় রোদ বেলা হলে । এক এক করে মনে করিয়ে দেয়া সব কাজ গুলোই করে নেয় মরমী ।অতসী স্নান করে এসে উনুনে আঁচ দেয় ।দাবায় বসে রেডিও শুনছে সিদ্দে ।
রান্নায় এক মনে সিদ্দে কে চাখতে থাকে অতসী । চোখ যেন থামতেই চায় না । ময় রাক্ষসের মতো টেনে শুষে নিচ্ছে সিদ্দের ভিতরের অস্তি মজ্জা । এবার হরিদাসী দের জাল টা ভালোই বুনেছে সিদ্দে । শ পাঁচেক টাকা তো পাবেই ।এমন বুনন জাল এ তল্লাটে কেউ দিতে পারে না । রান্নার ধোয়া ভরে গেছে বাড়ি ময় উনুনের রান্না । বেশ যত্ন করে রান্না করে অতসী । যদিও গরিব ঘরে রান্নার গন্ধ যেন আলাদা । পাত পেড়ে খেতে ইচ্ছা করে । পার্শে মাছ দিয়ে গেছে নরেন-এর ছেলে । মাছের ঝাল , কলমি শাক , পুঁই ভিটুলীর বড়া আর একটু নিয়েরে মাছ , পাতলা করে আম ডাল । রান্না হবো হবো করছে । কিঙ্করের বৌ রোজ এসে ঘর গোবর লেপে দিয়ে যায় । ওদিকে রান্না শেষ অতসীর ।আর কিঙ্করের বৌয়ের ঘর দর পরিষ্কার করা শেষ । তার নাম রাধা ।
বৌদি মনি আমি আসি গে , বিকেলে এসে উঠোন ঝাঁট দিয়ে যাবো ক্ষনে ! রাধা জানিয়ে না তাকিয়ে চলে যায় । কিঙ্কর সুজন মাঝীল কাছে কাজ করছে অনেক বছর । খুব খাটতে পারে ছেলেটা ।তাই দুই বাড়ির একের ওপরের সাথে চরম সহানুভূতি । রাধা কখনো ভাবে না যে সে ঝি খাতে । গরিব সে হতে পারে কিন্তু সুজন মাঝির উপর তার গভীর শ্রদ্ধা বড়ো দাদার মতো ।
অতসী সিদ্দের দিকে একটু ঝাঝিয়ে ওঠে ।
" দেখো এখনো শুয়ে আছে , কিরে ওঠ স্নান করবি তো ! বেলাবেলি খেয়ে না , ইশ গায়ের চামড়া গুলোর কি কোনো শ্রী আছে? তেল মাখিয়ে দি আজ ! আজ আমি স্নান করিয়ে দেব তোকে ।" সিদ্দের দিকে তাকিয়ে বলে ।
সময় সুযোগে যে মরমীকে ও স্নান করিয়ে দেয় না অতসী তা নয় ।
আর গা বাড়তি মেয়ে হলে কি হবে পাড়ার পুকুরে স্নান না করলে শান্তি হয় না মরমীর কলার ডেও ভাসিয়ে সাঁতার কাটতে তার খুব ভালো লাগে । যদিও মিডি পরে ভিতরের অন্তর্বাস গুলো ভালো করে টেনে টুনে পুকুরে নামে । মাই তো তার সবেদার মতো সুবেদার , শক্ত ভরাট । থলথলে হয় নি , আসলে হাত পড়ে নি কারোর । কিন্তু দু একটা ছেলে আছে কায়দা করে ধরে ঘেঁষতে চায় , মরমী সুযোগ দেয় নি আজ অব্দি ।মরমীর চোখ একটু ঘোলা সাদা , অতসীর মতো । তাই রূপ যেন ঠিকরে বেরোয় ।যে দেখে শুধু তাকিয়েই মায়ায় পড়ে যায় । গামছা সাবান নিয়ে বেরোতে চায় মরমী পুকুরের দিকে ।
অতসী কি ভেবে থামিয়ে দেয় ।" জল একটু গরম করছি আজ দুজনকে সাবান মাখিয়ে দি !" তার পর না হয় পুকুরে যায় ।পিঠের দিকে ছ্যাদলা পড়ে গেছে । ঘরের দেওয়ালে বর্ষায় যেমন সবুজ আস্তরণ জমে গ্রামের ভাষায় মানুষ জন বলে ছ্যাদলা । এই নাটক দেখতেই মরমীর সহ্য হয় না । এখন আগে সিদ্দে কে দাঁড় করিয়ে স্নান করবে অতসী । মায়ের স্নেহ না অন্য কিছু ? স্নানের জায়গায় চাপা কল আর খানিকটা সিমেন্ট জমানো তার পার ।চ্যাচার বেড়া দিয়ে ঘেরা আর দরজায় শুধু একটা পর্দা । সে পর্দার ত্রিপল শতছিন্ন বলা যায় । এ দৃশ্য মরমীর অনেক বার দেখা ।
রান্নায় এক মনে সিদ্দে কে চাখতে থাকে অতসী । চোখ যেন থামতেই চায় না । ময় রাক্ষসের মতো টেনে শুষে নিচ্ছে সিদ্দের ভিতরের অস্তি মজ্জা । এবার হরিদাসী দের জাল টা ভালোই বুনেছে সিদ্দে । শ পাঁচেক টাকা তো পাবেই ।এমন বুনন জাল এ তল্লাটে কেউ দিতে পারে না । রান্নার ধোয়া ভরে গেছে বাড়ি ময় উনুনের রান্না । বেশ যত্ন করে রান্না করে অতসী । যদিও গরিব ঘরে রান্নার গন্ধ যেন আলাদা । পাত পেড়ে খেতে ইচ্ছা করে । পার্শে মাছ দিয়ে গেছে নরেন-এর ছেলে । মাছের ঝাল , কলমি শাক , পুঁই ভিটুলীর বড়া আর একটু নিয়েরে মাছ , পাতলা করে আম ডাল । রান্না হবো হবো করছে । কিঙ্করের বৌ রোজ এসে ঘর গোবর লেপে দিয়ে যায় । ওদিকে রান্না শেষ অতসীর ।আর কিঙ্করের বৌয়ের ঘর দর পরিষ্কার করা শেষ । তার নাম রাধা ।
বৌদি মনি আমি আসি গে , বিকেলে এসে উঠোন ঝাঁট দিয়ে যাবো ক্ষনে ! রাধা জানিয়ে না তাকিয়ে চলে যায় । কিঙ্কর সুজন মাঝীল কাছে কাজ করছে অনেক বছর । খুব খাটতে পারে ছেলেটা ।তাই দুই বাড়ির একের ওপরের সাথে চরম সহানুভূতি । রাধা কখনো ভাবে না যে সে ঝি খাতে । গরিব সে হতে পারে কিন্তু সুজন মাঝির উপর তার গভীর শ্রদ্ধা বড়ো দাদার মতো ।
অতসী সিদ্দের দিকে একটু ঝাঝিয়ে ওঠে ।
" দেখো এখনো শুয়ে আছে , কিরে ওঠ স্নান করবি তো ! বেলাবেলি খেয়ে না , ইশ গায়ের চামড়া গুলোর কি কোনো শ্রী আছে? তেল মাখিয়ে দি আজ ! আজ আমি স্নান করিয়ে দেব তোকে ।" সিদ্দের দিকে তাকিয়ে বলে ।
সময় সুযোগে যে মরমীকে ও স্নান করিয়ে দেয় না অতসী তা নয় ।
আর গা বাড়তি মেয়ে হলে কি হবে পাড়ার পুকুরে স্নান না করলে শান্তি হয় না মরমীর কলার ডেও ভাসিয়ে সাঁতার কাটতে তার খুব ভালো লাগে । যদিও মিডি পরে ভিতরের অন্তর্বাস গুলো ভালো করে টেনে টুনে পুকুরে নামে । মাই তো তার সবেদার মতো সুবেদার , শক্ত ভরাট । থলথলে হয় নি , আসলে হাত পড়ে নি কারোর । কিন্তু দু একটা ছেলে আছে কায়দা করে ধরে ঘেঁষতে চায় , মরমী সুযোগ দেয় নি আজ অব্দি ।মরমীর চোখ একটু ঘোলা সাদা , অতসীর মতো । তাই রূপ যেন ঠিকরে বেরোয় ।যে দেখে শুধু তাকিয়েই মায়ায় পড়ে যায় । গামছা সাবান নিয়ে বেরোতে চায় মরমী পুকুরের দিকে ।
অতসী কি ভেবে থামিয়ে দেয় ।" জল একটু গরম করছি আজ দুজনকে সাবান মাখিয়ে দি !" তার পর না হয় পুকুরে যায় ।পিঠের দিকে ছ্যাদলা পড়ে গেছে । ঘরের দেওয়ালে বর্ষায় যেমন সবুজ আস্তরণ জমে গ্রামের ভাষায় মানুষ জন বলে ছ্যাদলা । এই নাটক দেখতেই মরমীর সহ্য হয় না । এখন আগে সিদ্দে কে দাঁড় করিয়ে স্নান করবে অতসী । মায়ের স্নেহ না অন্য কিছু ? স্নানের জায়গায় চাপা কল আর খানিকটা সিমেন্ট জমানো তার পার ।চ্যাচার বেড়া দিয়ে ঘেরা আর দরজায় শুধু একটা পর্দা । সে পর্দার ত্রিপল শতছিন্ন বলা যায় । এ দৃশ্য মরমীর অনেক বার দেখা ।