28-10-2021, 11:32 AM
উদযাপনের হৃৎপিণ্ড :
" দেখ মরমী , সেই তখন থেকে বলছি আমার শরীরে হাত দিয়ে কথা বলবি না , আমি মদ্দ মানুষ ! তুই মেয়ে ছেলে !"
খিল খিল করে হেসে উঠলো মরমী । বেড়ার ঘরে শীত বর্ষা গ্রীষ্ম সবই এক । মরমী মেয়ে থেকে মায়ের ভাব কাটিয়ে জোয়ান হয়েছে । সিদ্দে তারই সৎ ভাই । লাল টুকটুকে কার্তিকের মতো ভাই টাকে ছুঁয়ে দেখতে মরমীর বেশ লাগে । দু এক বার ঘুমের ঘোরে জড়িয়ে মরমী নিজের তল পেট ঘষে নেয় সিদ্দের হাঁটুতে ।
সব মেয়েই করে এমন দাদার সাথে । শরীরে বেড়ে উঠেছে তো কিন্তু মনে? মন যেন সেই ছেলে মানুষ ।
আর সিদ্দের পুরুষ ইন্দ্রিয় সাড়া দেয় মরমীর দুষ্টুমি তে । একটু নদীর বাঁধ ভাঙলেই সর্বনাশ ।
এ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো মাঝি না । সুজন মাঝি , নদীর ধরেই তার বেড়ার ঘর । পূর্ণিমা কলেরায় মারা গেলো আজ চব্বিশ বছর । বাগদি দের ঘরের বিধবা মেয়েটা ডাগর ছিল । বৌ মরে যাওয়া সুজন মাঝি আর সইতে পারে নি । চোখের খিদে মনের খিদে আর শেষে পেটের খিদের জ্বালায় বুড়ো বাপ রতন ঢালী , দিয়েই দিলো মেয়েটাকে । সাধ করে মেয়ের নাম রেখেছিলো অতসী । বিয়ে দিতে পারে নি রতন ঢালী । এক দিন রাতের অন্ধকারে সুজন মাঝি কেই মেনে নেয় তার জামাই । একটা নৌকা , মাছ ধরে ,হোক না জেলে । সৎ মা হলেও মন-এ তার কোনো খেদ নেই । সুজন মাঝি বড়ো দরাজ দিল লোক । তাই সিদ্দে কে আপন করে নিতে কষ্ট হয় নি । বছর ৮ এক পর মরমী পেটে এসেছিলো ।
সাগরে গেলে সুজন ফিরেই আসতে চায় না ।সাগর তার বড়ো ভালো লাগে । সুজ্জি টা যেন টানে তাঁকে । ইচ্ছে হয় নাও বেয়ে সে দেখুক কোথায় লুকিয়ে পড়ে সুজ্জি টা । মাছ তো বাহানা । নোনা জলের গন্ধ না পেলে সুজনের ঘুম হয় না । সাগরে কত কিছু না লুকোনো আছে । এখানে মানুষ কে দেখতে হয় না । শুধু দেখতে হয় একের পর এক ঢেউ । এদের কোনো অহংকার নেই ।
সিদ্দে মাঝি সুজনের ছেলে । মাছ ধরতে পারে নিপুন কৌশলে । কিন্তু তার বেরাম সে সমুদ্দুরে যাবে না । নাহলে সুজনের আরো দুটো পয়সা হয় । বাড়িতেই পড়ে থাকে দিন ভর । আর অতসী মা তার বড্ডো প্রিয় । মায়ের হাতে ভাত না খেলে সে ঘুমোতে পারে না । অথচ জোয়ান ছেলে ।
সুজন সাগরে যাবে । যেদিন সুমুদ্দুরে যায় সুজন সেদিন সকাল থেকে তৈরী হয় সে । গেরামের মহাজন দের টাকা শোধ দিয়ে যেতে হয় । নাও দেখে নিতে হয় ঠিক করে । জালের কাটি গুলো সাজিয়ে নিতে হয় । কিনে আনতে হয় তার আগে শহর থেকে লোহা । শুকনো খাবার । আর জার্-এ ভরা জল । টুকি টাকি ওষুধ লাগে । সাগর কোরো কথা শোনে না । কোনো চোখের জল মানে না । সাগর ডাক দেয় গভীর ডাক । সে ডাক এড়াতে পারে না সুজন ।
" দেখ মরমী , সেই তখন থেকে বলছি আমার শরীরে হাত দিয়ে কথা বলবি না , আমি মদ্দ মানুষ ! তুই মেয়ে ছেলে !"
খিল খিল করে হেসে উঠলো মরমী । বেড়ার ঘরে শীত বর্ষা গ্রীষ্ম সবই এক । মরমী মেয়ে থেকে মায়ের ভাব কাটিয়ে জোয়ান হয়েছে । সিদ্দে তারই সৎ ভাই । লাল টুকটুকে কার্তিকের মতো ভাই টাকে ছুঁয়ে দেখতে মরমীর বেশ লাগে । দু এক বার ঘুমের ঘোরে জড়িয়ে মরমী নিজের তল পেট ঘষে নেয় সিদ্দের হাঁটুতে ।
সব মেয়েই করে এমন দাদার সাথে । শরীরে বেড়ে উঠেছে তো কিন্তু মনে? মন যেন সেই ছেলে মানুষ ।
আর সিদ্দের পুরুষ ইন্দ্রিয় সাড়া দেয় মরমীর দুষ্টুমি তে । একটু নদীর বাঁধ ভাঙলেই সর্বনাশ ।
এ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো মাঝি না । সুজন মাঝি , নদীর ধরেই তার বেড়ার ঘর । পূর্ণিমা কলেরায় মারা গেলো আজ চব্বিশ বছর । বাগদি দের ঘরের বিধবা মেয়েটা ডাগর ছিল । বৌ মরে যাওয়া সুজন মাঝি আর সইতে পারে নি । চোখের খিদে মনের খিদে আর শেষে পেটের খিদের জ্বালায় বুড়ো বাপ রতন ঢালী , দিয়েই দিলো মেয়েটাকে । সাধ করে মেয়ের নাম রেখেছিলো অতসী । বিয়ে দিতে পারে নি রতন ঢালী । এক দিন রাতের অন্ধকারে সুজন মাঝি কেই মেনে নেয় তার জামাই । একটা নৌকা , মাছ ধরে ,হোক না জেলে । সৎ মা হলেও মন-এ তার কোনো খেদ নেই । সুজন মাঝি বড়ো দরাজ দিল লোক । তাই সিদ্দে কে আপন করে নিতে কষ্ট হয় নি । বছর ৮ এক পর মরমী পেটে এসেছিলো ।
সাগরে গেলে সুজন ফিরেই আসতে চায় না ।সাগর তার বড়ো ভালো লাগে । সুজ্জি টা যেন টানে তাঁকে । ইচ্ছে হয় নাও বেয়ে সে দেখুক কোথায় লুকিয়ে পড়ে সুজ্জি টা । মাছ তো বাহানা । নোনা জলের গন্ধ না পেলে সুজনের ঘুম হয় না । সাগরে কত কিছু না লুকোনো আছে । এখানে মানুষ কে দেখতে হয় না । শুধু দেখতে হয় একের পর এক ঢেউ । এদের কোনো অহংকার নেই ।
সিদ্দে মাঝি সুজনের ছেলে । মাছ ধরতে পারে নিপুন কৌশলে । কিন্তু তার বেরাম সে সমুদ্দুরে যাবে না । নাহলে সুজনের আরো দুটো পয়সা হয় । বাড়িতেই পড়ে থাকে দিন ভর । আর অতসী মা তার বড্ডো প্রিয় । মায়ের হাতে ভাত না খেলে সে ঘুমোতে পারে না । অথচ জোয়ান ছেলে ।
সুজন সাগরে যাবে । যেদিন সুমুদ্দুরে যায় সুজন সেদিন সকাল থেকে তৈরী হয় সে । গেরামের মহাজন দের টাকা শোধ দিয়ে যেতে হয় । নাও দেখে নিতে হয় ঠিক করে । জালের কাটি গুলো সাজিয়ে নিতে হয় । কিনে আনতে হয় তার আগে শহর থেকে লোহা । শুকনো খাবার । আর জার্-এ ভরা জল । টুকি টাকি ওষুধ লাগে । সাগর কোরো কথা শোনে না । কোনো চোখের জল মানে না । সাগর ডাক দেয় গভীর ডাক । সে ডাক এড়াতে পারে না সুজন ।