05-11-2021, 11:11 AM
আবার একটি নতুন গল্পের প্লট মাথায় এল, গল্পটিতে পরাধিন ভারতের প্রেক্ষাপট কে ব্যাবহার করা হয়েছে। গল্পটি একটি সেক্সথ্রিলার কিন্তুু রহস্য এর মূল উপাদান।তাই পাঠক গনের কাছে অনুরোধ ধৌর্য ধরে গল্পটি পরতে। গল্পটির স্থান, চরিত্র সমপূর্ণ কাল্পনিক বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই------
প্রতাপগড় রহস্য
Part1
বারাকের একটি ঘরে বসে সুকান্ত একটি ইংরেজী মাগাজিন পড়ছে। হঠাৎ একজন রাইফেলম্যান এসে একটি পত্র হাতে দিয়ে সেলাম ঠুকে চলে গেল।নায়েব কাকার টেলিগ্রাম। টেলিগ্রামটি এইরকম-----
"Rani ma ill come soon."
পিসিমা অসুস্থ আবার কি হল। আগের পত্র যখন দিলাম তখন তো সুস্থই ছিলো। সুকান্ত তার পিসির কাছেই মানুষ, খুব ছোটতে মাকে হারিয়েছে সে তা স্মৃতি কিছুই মনে নেই তার একটি ফটো ছাড়া। আই এ পরিক্ষার দেওয়ার সময় বাবা হার্ট এটাকে মারা যায়। পিসিমা ছিলেন নিসস্তান অতএব সুকান্ত তার কাছেই মানুষ হতে থাকে। কলেজফাইনাল দেওয়ার পর সেনাবাহিনী তে যোগ দেয়। যদিও এতে পিসিমার একরকম অমত ছিলো। এতবড় জমীদারি তাকেই তো দেখতে হবে। যাই হোক, সে আর হয়ে ওঠেনা। অবশেষে সুকান্ত Bengal Infantry division এ যোগ দেয়। সুকান্তর বিচক্ষনতা ও তীক্ষ বুদ্ধি দেখে তাকে millitary Intelligence সে প্রোমশোন দেওয়া হয়। পিসিমার চিঠি পেয়ে সে ছুটির আবেদন করলে তা নাকচ করে Stephenson সাহেব। সুকান্ত ঠিক করে সে ইস্তফা দেবে। পিসিমা তার প্রিয় পিসিমার জন্য সে সব কিছু করতে পারে। ইস্তফা দিয়ে বার্মা থেকে দুদিন পর জাহাজে কলকাতা পৌছাল।সেখান থেকে 150কিমি. পথ ট্রেনে করে বিকাল 4টায় এসে সিরাজগঞ্জ স্টেশনে পৌছাল। দূরে একজন এসে সুকান্তকে ডাকল ও ছোটবাবু আমি নবারুন গো রানীমা ফিটনগাড়ি পাঠায়ছে তোমার জন্য। চল নবারুন বেডিং ও সুটকেস মাথায় নিয়ে সুকান্তর পেছনে চলল।গাড়িটিতে ওঠার পর গাড়িটি চলতে লাগল। ঘোড়ার গাড়িটি সুসজ্জিত ও পর্দা লাগানো। মাঠঘাট পেড়িয়ে ছুটে চলছে কি অপূর্ব এই শোভা। পুজো সামনেই শরদের আকাশ ও কাশফুল যেন পরিবেশ টিকে এক মহময়ী রুপ দিয়েছে। দুরে একটি পাঠশালা দেখা যাচ্ছে। অবশেষে এসে বৌঠকখানার সামনের শিড়িতে দাড়াল। গাড়ি থেকে নেমেই হতবাক সুকান্ত" একি পিসীমা তুমি!" হ্যা রে সুকো নায়েব মশাই কে দিয়েই আমি তার করিয়ে ছিলাম। সুকান্ত- তাই বলে শেষমেষ এই ভাবে ডাকবে।আমি তো ভয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছিলাম। সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বলতে লাগল সুকান্ত। হঠাৎ সে লক্ষ করলো কে যেন তাকে সদর দরজার পেছন থেকে লক্ষ করছে। সুকান্তর তার সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময় হতেই সে দেখল কি অপূর্ব দুটি কাজল পড়া চোখ। তার পরেই তা মিলিয়ে গেল।সুকান্ত আর কিছু বলল না। সে পিসির সাথে বৈঠকখানার ঘরে গিয়ে বসল। জমীদার বাড়ির ঐতিহ্য যেন সারা বাড়িময়। একটি টেবিলে একটি নগ্নমহিলা মূর্তি রাখা রয়েছে। ও দেওয়ালে একাধিক বাঘ সিংহের মাথা। শিকারের শখ ছিলো পিসের তারই সময়কার এগুলি। পিসি ডাকল ওরে সুকো যা হাত মুখ ধুয়েনে আমি খাবার দিতে বলি গে। বলে পিসি পাশের ঘরে চলে গেল। সুকান্ত নিজের ঘরে গিয়ে পোশাক পাল্টে সাদা ফতুয়া ও ধুতি পরে এসে ঝুল বারান্দায় দাড়াল। দোতলা থেকে দুরে একটি পুকুর দেখা যায় যা শান বাধানো। তাকে ঘিরে বাগান। বাড়ির পূর্বদিকে একটি ছোট মন্দির আছে। রোজ ঠাকুর দালানে ঘটা করে পূজো হয়। জমিদার বাড়িটি দোতলা উপরে খান চারেক ঘর ও একটি বড় ঝুলবারান্দা। প্রতিটি ঘর পরিপাটি করে সাজানো, পুরু কার্পেট ও ভেলভেটের পর্দায় ঘেরা একটি ত্রিপয় ও তার সাথে একটি চেয়ার। সুকান্ত পিসীমার ডাকে নিচে গেল, পরিপাটি করে খেতে দিয়েছে পিসী। ওফঃ এত কে খাবে মাংস থেকে মিষ্টি সঙ্গে দই, পায়েস তো আছেই।"রাখতো তোর সাহেবিয়ানা, সব শেষ করবি তবে তোর ছুটি"। অতএব, উপায় নেই। সুকান্ত খেতে খেতে জিঞ্জেস করলো "বা রান্নার জন্য নতুন ঠাকুর নিযুত্ত করলে নাকি?"
প্রতাপগড় রহস্য
Part1
বারাকের একটি ঘরে বসে সুকান্ত একটি ইংরেজী মাগাজিন পড়ছে। হঠাৎ একজন রাইফেলম্যান এসে একটি পত্র হাতে দিয়ে সেলাম ঠুকে চলে গেল।নায়েব কাকার টেলিগ্রাম। টেলিগ্রামটি এইরকম-----
"Rani ma ill come soon."
পিসিমা অসুস্থ আবার কি হল। আগের পত্র যখন দিলাম তখন তো সুস্থই ছিলো। সুকান্ত তার পিসির কাছেই মানুষ, খুব ছোটতে মাকে হারিয়েছে সে তা স্মৃতি কিছুই মনে নেই তার একটি ফটো ছাড়া। আই এ পরিক্ষার দেওয়ার সময় বাবা হার্ট এটাকে মারা যায়। পিসিমা ছিলেন নিসস্তান অতএব সুকান্ত তার কাছেই মানুষ হতে থাকে। কলেজফাইনাল দেওয়ার পর সেনাবাহিনী তে যোগ দেয়। যদিও এতে পিসিমার একরকম অমত ছিলো। এতবড় জমীদারি তাকেই তো দেখতে হবে। যাই হোক, সে আর হয়ে ওঠেনা। অবশেষে সুকান্ত Bengal Infantry division এ যোগ দেয়। সুকান্তর বিচক্ষনতা ও তীক্ষ বুদ্ধি দেখে তাকে millitary Intelligence সে প্রোমশোন দেওয়া হয়। পিসিমার চিঠি পেয়ে সে ছুটির আবেদন করলে তা নাকচ করে Stephenson সাহেব। সুকান্ত ঠিক করে সে ইস্তফা দেবে। পিসিমা তার প্রিয় পিসিমার জন্য সে সব কিছু করতে পারে। ইস্তফা দিয়ে বার্মা থেকে দুদিন পর জাহাজে কলকাতা পৌছাল।সেখান থেকে 150কিমি. পথ ট্রেনে করে বিকাল 4টায় এসে সিরাজগঞ্জ স্টেশনে পৌছাল। দূরে একজন এসে সুকান্তকে ডাকল ও ছোটবাবু আমি নবারুন গো রানীমা ফিটনগাড়ি পাঠায়ছে তোমার জন্য। চল নবারুন বেডিং ও সুটকেস মাথায় নিয়ে সুকান্তর পেছনে চলল।গাড়িটিতে ওঠার পর গাড়িটি চলতে লাগল। ঘোড়ার গাড়িটি সুসজ্জিত ও পর্দা লাগানো। মাঠঘাট পেড়িয়ে ছুটে চলছে কি অপূর্ব এই শোভা। পুজো সামনেই শরদের আকাশ ও কাশফুল যেন পরিবেশ টিকে এক মহময়ী রুপ দিয়েছে। দুরে একটি পাঠশালা দেখা যাচ্ছে। অবশেষে এসে বৌঠকখানার সামনের শিড়িতে দাড়াল। গাড়ি থেকে নেমেই হতবাক সুকান্ত" একি পিসীমা তুমি!" হ্যা রে সুকো নায়েব মশাই কে দিয়েই আমি তার করিয়ে ছিলাম। সুকান্ত- তাই বলে শেষমেষ এই ভাবে ডাকবে।আমি তো ভয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছিলাম। সিড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে বলতে লাগল সুকান্ত। হঠাৎ সে লক্ষ করলো কে যেন তাকে সদর দরজার পেছন থেকে লক্ষ করছে। সুকান্তর তার সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময় হতেই সে দেখল কি অপূর্ব দুটি কাজল পড়া চোখ। তার পরেই তা মিলিয়ে গেল।সুকান্ত আর কিছু বলল না। সে পিসির সাথে বৈঠকখানার ঘরে গিয়ে বসল। জমীদার বাড়ির ঐতিহ্য যেন সারা বাড়িময়। একটি টেবিলে একটি নগ্নমহিলা মূর্তি রাখা রয়েছে। ও দেওয়ালে একাধিক বাঘ সিংহের মাথা। শিকারের শখ ছিলো পিসের তারই সময়কার এগুলি। পিসি ডাকল ওরে সুকো যা হাত মুখ ধুয়েনে আমি খাবার দিতে বলি গে। বলে পিসি পাশের ঘরে চলে গেল। সুকান্ত নিজের ঘরে গিয়ে পোশাক পাল্টে সাদা ফতুয়া ও ধুতি পরে এসে ঝুল বারান্দায় দাড়াল। দোতলা থেকে দুরে একটি পুকুর দেখা যায় যা শান বাধানো। তাকে ঘিরে বাগান। বাড়ির পূর্বদিকে একটি ছোট মন্দির আছে। রোজ ঠাকুর দালানে ঘটা করে পূজো হয়। জমিদার বাড়িটি দোতলা উপরে খান চারেক ঘর ও একটি বড় ঝুলবারান্দা। প্রতিটি ঘর পরিপাটি করে সাজানো, পুরু কার্পেট ও ভেলভেটের পর্দায় ঘেরা একটি ত্রিপয় ও তার সাথে একটি চেয়ার। সুকান্ত পিসীমার ডাকে নিচে গেল, পরিপাটি করে খেতে দিয়েছে পিসী। ওফঃ এত কে খাবে মাংস থেকে মিষ্টি সঙ্গে দই, পায়েস তো আছেই।"রাখতো তোর সাহেবিয়ানা, সব শেষ করবি তবে তোর ছুটি"। অতএব, উপায় নেই। সুকান্ত খেতে খেতে জিঞ্জেস করলো "বা রান্নার জন্য নতুন ঠাকুর নিযুত্ত করলে নাকি?"