27-10-2021, 01:55 PM
নরেন মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলে ” পুর্নিমাদি তোমার কাছে আনকোরা মাল হবে , ১৮-১৯ বছরের ? এই হলো শহরের নাম করা বাবু এনার ১৮-১৯ পছন্দ যদি আনকোরা হয় তাহলে তো আরো ভালো ?”
দরজার পাশে দেওয়ালের কোনে বাইরে মুখ বাড়িয়ে পানের পিক ফেলে পূর্নিমা বলে ওঠে ” কেন তোমার মাল চলবে না বাবুর?” নরেন ধরফরিয়ে বলে “আরে বাবু অনেক বড় বাবু কচি মাল চাই !”একটা মাল আছে কিন্তু অনেক টাকা লাগবে , যেমন খুশি খাও সারা রাত কিন্তু ৫০০০ টাকা লাগবে ৷ ” কথা সুনে নরেন চোখ কপালে তুলে দেয় ! “কি বলছ দিদি সারা মাসে ৫০০০ টাকা কামাই হয় না আমার , সহরে ২৫০০ টাকায় সংসার চলে যায় আর এক রাতের মাল ৫০০০ টাকা !” নরেন তরুণ বাবু কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যেতে থাকে ৷ পূর্নিমা ওদের যেতে দেখে আওয়াজ দিয়ে “ওঠে শেষ ৪০০০ মাল ৪০০০ এরই মত মাল পাবে !” নরেন হেঁসে বলে “অন্য দিন আসবো গো দিদি আজ যাই !”পূর্নিমা কে বিদায় জানিয়ে নরেন আর তরুণ ক্লান্ত হয়ে পথ চলতে সুরু করে ৷ সন্ধ্যে হয়ে গেছে ৷ বস্তিতে সুওরের মাংসের গন্ধ ছড়িয়েছে ৷নরেন পথ চলতে চলতে নানা কথা পাড়তে থাকে ৷ তরুণ মন দিয়ে সব সুনতে সুনতে পথ চলে ৷ নরেন জিজ্ঞাসা করে ” রাতের মধ্যে কিছু না পেলে আমার জায়গায় তোকে নিয়ে যাব ১০০-২০০ টাকায় কাজ হয়ে যাবে ৷ মদ খাবি নাকি?” তরুণ বাবু মাথা নেড়ে বলে “খাওয়া যেতে পারে একটু, কিন্তু তর বাড়িতে কি খাওয়া ঠিক হবে ?” রাস্তায় চলতে চলতে তরুণ ভাবতে থাকে মেয়ের জন্য ৪০০০ টাকা খরচ করা কি উচিত হবে তার ৷ কিন্তু মনের জেদ চেপে বসে আজ ১৮-১৯ বছরের মেয়ে কে সে মনের মত করে ভোগ করবে ৷মুখ থেকে কথা বেরিয়ে আসে ” না নরেন কিছু না পেলে ৪০০০ টাকাই খরচ করব বুঝলি !” নরেন তরুনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে জবাব দেয় না ! তার পর হটাথ মৌনতা ভেঙ্গে ফেলে নরেন ৷
নরেন এক গাল হেঁসে বলে ” আরে তোর জন্য তো জান হাজির বন্ধু !” তরুণ বাবু তার বন্ধু কে অনেক বার টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে ৷ সে টাকা চায় না কিন্তু হিসাব করলে অনেক টাকাই পায় নরেনের কাছ থেকে ৷ সেই জন্যই নরেন তরুনের সামনে বিনয়ী হয়েই থাকে ৷বাড়ি ফিরে যেতেই মালা বলে ” পন্চু এসেছিল রাতে আবার আসবে বলেছে !” মুখ ঘুরিয়ে তরুনবাবুর দিকে হেঁসে বলে “রান্না শেষ এবার হাথ মুখ ধুয়ে খেয়ে নাও ঠাকুরপো ” ৷
হাথ মুখ ধুয়ে মালা নরেনের সবার ঘরের পাশে বসে আরাম করে তরুণ ৷ দীপা আর শিলা অন্য ঘরে বসে থাকে ৷ তরুনের ঘরে একটা TV চলতে থাকে ৷তভ তে মন দেয় না তরুণ ৷ ভাবতে থাকে তার সকালের অপমানের কথা ৷ নরেনের ছোট মেয়ে দীপা একটা মডেল বোতল আর এক বাটি মাংশ রেখে যায় ৷ তরুনের খুব আপত্তিকর দেখায় ব্যাপারটা ৷ সে অল্প বয়েসী মেয়ে সম্পর্কে কাকার মত ৷ তাকে মদ দিয়ে যাওয়াটা বেমানান লাগে ৷ পাশের ঘরে চাপা কথা কাটি সুনতে পায় তরুণ ৷ নরেন যে আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছে তা বুঝতে দেরী হয় না তার ৷ বছর দুয়েক আগে যখন এসেছিল তখন নরেনের কাঠের ব্যবসা ভালই ছিল ৷ কিন্তু ইদানিং আর চলে না !
দরজার পাশে দেওয়ালের কোনে বাইরে মুখ বাড়িয়ে পানের পিক ফেলে পূর্নিমা বলে ওঠে ” কেন তোমার মাল চলবে না বাবুর?” নরেন ধরফরিয়ে বলে “আরে বাবু অনেক বড় বাবু কচি মাল চাই !”একটা মাল আছে কিন্তু অনেক টাকা লাগবে , যেমন খুশি খাও সারা রাত কিন্তু ৫০০০ টাকা লাগবে ৷ ” কথা সুনে নরেন চোখ কপালে তুলে দেয় ! “কি বলছ দিদি সারা মাসে ৫০০০ টাকা কামাই হয় না আমার , সহরে ২৫০০ টাকায় সংসার চলে যায় আর এক রাতের মাল ৫০০০ টাকা !” নরেন তরুণ বাবু কে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যেতে থাকে ৷ পূর্নিমা ওদের যেতে দেখে আওয়াজ দিয়ে “ওঠে শেষ ৪০০০ মাল ৪০০০ এরই মত মাল পাবে !” নরেন হেঁসে বলে “অন্য দিন আসবো গো দিদি আজ যাই !”পূর্নিমা কে বিদায় জানিয়ে নরেন আর তরুণ ক্লান্ত হয়ে পথ চলতে সুরু করে ৷ সন্ধ্যে হয়ে গেছে ৷ বস্তিতে সুওরের মাংসের গন্ধ ছড়িয়েছে ৷নরেন পথ চলতে চলতে নানা কথা পাড়তে থাকে ৷ তরুণ মন দিয়ে সব সুনতে সুনতে পথ চলে ৷ নরেন জিজ্ঞাসা করে ” রাতের মধ্যে কিছু না পেলে আমার জায়গায় তোকে নিয়ে যাব ১০০-২০০ টাকায় কাজ হয়ে যাবে ৷ মদ খাবি নাকি?” তরুণ বাবু মাথা নেড়ে বলে “খাওয়া যেতে পারে একটু, কিন্তু তর বাড়িতে কি খাওয়া ঠিক হবে ?” রাস্তায় চলতে চলতে তরুণ ভাবতে থাকে মেয়ের জন্য ৪০০০ টাকা খরচ করা কি উচিত হবে তার ৷ কিন্তু মনের জেদ চেপে বসে আজ ১৮-১৯ বছরের মেয়ে কে সে মনের মত করে ভোগ করবে ৷মুখ থেকে কথা বেরিয়ে আসে ” না নরেন কিছু না পেলে ৪০০০ টাকাই খরচ করব বুঝলি !” নরেন তরুনের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে জবাব দেয় না ! তার পর হটাথ মৌনতা ভেঙ্গে ফেলে নরেন ৷
নরেন এক গাল হেঁসে বলে ” আরে তোর জন্য তো জান হাজির বন্ধু !” তরুণ বাবু তার বন্ধু কে অনেক বার টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে ৷ সে টাকা চায় না কিন্তু হিসাব করলে অনেক টাকাই পায় নরেনের কাছ থেকে ৷ সেই জন্যই নরেন তরুনের সামনে বিনয়ী হয়েই থাকে ৷বাড়ি ফিরে যেতেই মালা বলে ” পন্চু এসেছিল রাতে আবার আসবে বলেছে !” মুখ ঘুরিয়ে তরুনবাবুর দিকে হেঁসে বলে “রান্না শেষ এবার হাথ মুখ ধুয়ে খেয়ে নাও ঠাকুরপো ” ৷
হাথ মুখ ধুয়ে মালা নরেনের সবার ঘরের পাশে বসে আরাম করে তরুণ ৷ দীপা আর শিলা অন্য ঘরে বসে থাকে ৷ তরুনের ঘরে একটা TV চলতে থাকে ৷তভ তে মন দেয় না তরুণ ৷ ভাবতে থাকে তার সকালের অপমানের কথা ৷ নরেনের ছোট মেয়ে দীপা একটা মডেল বোতল আর এক বাটি মাংশ রেখে যায় ৷ তরুনের খুব আপত্তিকর দেখায় ব্যাপারটা ৷ সে অল্প বয়েসী মেয়ে সম্পর্কে কাকার মত ৷ তাকে মদ দিয়ে যাওয়াটা বেমানান লাগে ৷ পাশের ঘরে চাপা কথা কাটি সুনতে পায় তরুণ ৷ নরেন যে আর্থিক অনটনের মধ্যে রয়েছে তা বুঝতে দেরী হয় না তার ৷ বছর দুয়েক আগে যখন এসেছিল তখন নরেনের কাঠের ব্যবসা ভালই ছিল ৷ কিন্তু ইদানিং আর চলে না !