27-10-2021, 12:04 PM
পতিতা
তরুণ মন্ডলের বয়স ৪৮ ৷ পেশায় ব্যাঙ্কের কেরানি হলেও চাকরির প্রতি তার নেশা নেই ৷ নামে চাকরি টিকিয়ে রেখেছেন বাঁধা ইনকামের আশায় ৷ বিপত্নীক হয়েছেন বছর ৮ হলো ৷ দুর্ঘটনায় জবা মারা যাবার পর তরুনের জীবন তাই যেন বদলে গেছে ৷ সুন্দর ভদ্র জীবন কেমন করে ওলট পালট হয়েছে তা জানা নেই তরুনের ৷ কিসের খিদে তাকে যেন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ৷ পৈত্রিক ভিটে মাটি ছাড়া জমি আছে দো ফসলা ৩০-৪০ বিঘে ৷ আর ৮-৯ বিঘে বাস্তু পুকুর মিলে তার খাবারের অভাব নেই ৷ ছেলেপুলে নেই বলেই তরুনের মন্ডলের জীবনে এমন পরিবর্তন এসেছে বলেও সে নিজে মনে করে না ৷ তার দুটি নেশা একটা যাত্রা পালার , আর দ্বিতীয় মাছ ধরার ৷ তাকে মাসে দুই বার শহরে যেতে হয় ৷ তারই অফিসের কাজে ৷ তারই ফাকে টুকি টাকি নানা জিনিস কিনে আনে শহরের বড় বাজার থেকে ৷ মাছের খাবার , টোপ, বর্শি , ল্যলনের কর্ড, আরো কত কি ৷ গ্রামের বাচ্চা মেয়েরা প্রায় ই তাকে টুকি টাকি আনতে বলে ৷ কখনো নেল পালিস , কখনো হার , বা কানের দুল, কাঁচের চুরি ৷ এদের কাছ থেকে তরুণ কখনো বা পয়সা নেয় কখনো বা নেয় না ৷ সেদিন গরম দুপুরে ভিড় বাসে উঠতেই হলো তরুণকে ৷ তরুণ এর জীবন বদলে যাবার জন্য এই ঘটনাটা যে অনেকাংশে দায়ী তা বলা বাহুল্য ৷
এমনিতেই নিতান্ত ভদ্র ধুতি আর খদ্দরের কড়কড়ে ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবি পরে বাসে উঠেছেন তিনি ৷ অভাব নেই তাই পোশাক আশাক বেশ ভদ্রোচিত ৷ গোল বাধলো কলেজের কিছু মেয়েদের নিয়ে ৷ তার শরীরের খিদে শেষ হয়ে যায় নি ৷ কিন্তু তবুও বাসে ট্রামে নোংরামি করার মত মানসিকতা তার ছিল না ৷ ৫-৬ জন মেয়েদের একটা দল তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল ৷ একে বাসে পা রাখার জায়গা নেই তার উপর উঠতি মেয়েদের শরীর তরুনের গায়ে এসে পড়ায় এক দিকে যেমন তিনি হতচকিত অন্য দিকে খুশিও বটে ৷ গত ৮ বছরে কোনো মেয়েকে ছোবার সৌভাগ্য হয় নি তার ৷ আর পতিতা গামী হবার বিন্দুমাত্র লালসাও তার নেই ৷ মাঝ্লা শরীরের মেয়েটি যেন তরুনের শরীরে ভিড়ে যেন মিশে যাচ্ছিল সামনে থেকে ৷ তরুণ মনে মনে না চাইলেও শরীরের গরমে তার পুরুষাঙ্গ তার সমান গরম দেখিয়ে অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে ফেলল ৷ মেয়েটি দু একবার আর চোখে দেখে মেপে নিল ভদ্রলোক গোছের তরুণ কে ৷ তরুণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেও সামলে নিয়ে নিজেকে মেয়েটির থেকে দুরে থাকলেন ৷ হয়ত বিধির বিধান এমনি ছিল তরুনের কপালে ৷ মেয়েটি তরুনের চামড়ার সাথে সেটে বসলো ৷ বাসে ভিড়ের মাত্র যাই থাকুক না কেন এটা মেয়েটির ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত ভুলতা আর জানা সম্ভব হয় নি ৷ গন্তব্য স্থল কাছেই ছিল তরুণ বাবুর ৷ পরের স্টপেজেই নামতে হত ৷ কিন্তু সুন্দরী কুমারী ১৮বছরের নরম দেখে নিজের দেহ মাখিয়ে রাখলেও নামতে মন মানছিল না ৷ কলেজে পরা মেয়েটি আচমকাই চোখ বেকিয়ে তরুণ বাবুর উদ্দেশ্যে বলে উঠলো ” ছি ছি বাসের মধ্যে নোংরামি করছেন আপনার লজ্জা করলো না আমি আপনার মেয়ের বয়েসী ৷” বাসে হই হই পরে গেল ৷ তখন কে তরুণ বাবু আর কে মোহিত বাবু কেউ জানে না ,দু ছাড়তে অদৃশ্য হাথ উড়ে উড়ে চার চাপাটি ফেলতে সুরু করে দিল ৷ ভিড়ের পাজর থেকে টেনে হিচড়ে নেমে আসতে গিয়ে দু চারটে চড় তাকে এড়িয়ে গেল না ৷ ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবির পকেটটা একটু ছিড়ে গেছে ৷ বাস স্টপে কোনো ক্রমে নেমে দেখলেন আসে পাশের উত্সুক লোক তাকেও দেখছে ৷ কোনো ক্রমে sei জায়গা দিয়ে বেরিয়ে হেড অফিসে পৌছে এক গ্লাস ঠান্ডা জল খেয়ে তৃপ্তি হলেও ঠোটের কোন টা চির চির করে জ্বলছিল ৷ ফ্রেশ রুম এ রাখা আইনে মুখ দেখতে চমকে উঠলেন তিনি ৷ ঠোটের কোন টা কেউ যেন মেরে ফুলিয়ে দিয়েছে ৷ অভিমান আর আত্ম গ্লানি বুকে নিয়ে কাজ সারলেন যাবতীয় ৷ শরীরের রক্ত যেন টগ বগ করে ফুটছিল ৷
তরুণ মন্ডলের বয়স ৪৮ ৷ পেশায় ব্যাঙ্কের কেরানি হলেও চাকরির প্রতি তার নেশা নেই ৷ নামে চাকরি টিকিয়ে রেখেছেন বাঁধা ইনকামের আশায় ৷ বিপত্নীক হয়েছেন বছর ৮ হলো ৷ দুর্ঘটনায় জবা মারা যাবার পর তরুনের জীবন তাই যেন বদলে গেছে ৷ সুন্দর ভদ্র জীবন কেমন করে ওলট পালট হয়েছে তা জানা নেই তরুনের ৷ কিসের খিদে তাকে যেন তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় ৷ পৈত্রিক ভিটে মাটি ছাড়া জমি আছে দো ফসলা ৩০-৪০ বিঘে ৷ আর ৮-৯ বিঘে বাস্তু পুকুর মিলে তার খাবারের অভাব নেই ৷ ছেলেপুলে নেই বলেই তরুনের মন্ডলের জীবনে এমন পরিবর্তন এসেছে বলেও সে নিজে মনে করে না ৷ তার দুটি নেশা একটা যাত্রা পালার , আর দ্বিতীয় মাছ ধরার ৷ তাকে মাসে দুই বার শহরে যেতে হয় ৷ তারই অফিসের কাজে ৷ তারই ফাকে টুকি টাকি নানা জিনিস কিনে আনে শহরের বড় বাজার থেকে ৷ মাছের খাবার , টোপ, বর্শি , ল্যলনের কর্ড, আরো কত কি ৷ গ্রামের বাচ্চা মেয়েরা প্রায় ই তাকে টুকি টাকি আনতে বলে ৷ কখনো নেল পালিস , কখনো হার , বা কানের দুল, কাঁচের চুরি ৷ এদের কাছ থেকে তরুণ কখনো বা পয়সা নেয় কখনো বা নেয় না ৷ সেদিন গরম দুপুরে ভিড় বাসে উঠতেই হলো তরুণকে ৷ তরুণ এর জীবন বদলে যাবার জন্য এই ঘটনাটা যে অনেকাংশে দায়ী তা বলা বাহুল্য ৷
এমনিতেই নিতান্ত ভদ্র ধুতি আর খদ্দরের কড়কড়ে ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবি পরে বাসে উঠেছেন তিনি ৷ অভাব নেই তাই পোশাক আশাক বেশ ভদ্রোচিত ৷ গোল বাধলো কলেজের কিছু মেয়েদের নিয়ে ৷ তার শরীরের খিদে শেষ হয়ে যায় নি ৷ কিন্তু তবুও বাসে ট্রামে নোংরামি করার মত মানসিকতা তার ছিল না ৷ ৫-৬ জন মেয়েদের একটা দল তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল ৷ একে বাসে পা রাখার জায়গা নেই তার উপর উঠতি মেয়েদের শরীর তরুনের গায়ে এসে পড়ায় এক দিকে যেমন তিনি হতচকিত অন্য দিকে খুশিও বটে ৷ গত ৮ বছরে কোনো মেয়েকে ছোবার সৌভাগ্য হয় নি তার ৷ আর পতিতা গামী হবার বিন্দুমাত্র লালসাও তার নেই ৷ মাঝ্লা শরীরের মেয়েটি যেন তরুনের শরীরে ভিড়ে যেন মিশে যাচ্ছিল সামনে থেকে ৷ তরুণ মনে মনে না চাইলেও শরীরের গরমে তার পুরুষাঙ্গ তার সমান গরম দেখিয়ে অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটিয়ে ফেলল ৷ মেয়েটি দু একবার আর চোখে দেখে মেপে নিল ভদ্রলোক গোছের তরুণ কে ৷ তরুণ অপ্রস্তুত হয়ে পড়লেও সামলে নিয়ে নিজেকে মেয়েটির থেকে দুরে থাকলেন ৷ হয়ত বিধির বিধান এমনি ছিল তরুনের কপালে ৷ মেয়েটি তরুনের চামড়ার সাথে সেটে বসলো ৷ বাসে ভিড়ের মাত্র যাই থাকুক না কেন এটা মেয়েটির ইচ্ছাকৃত না অনিচ্ছাকৃত ভুলতা আর জানা সম্ভব হয় নি ৷ গন্তব্য স্থল কাছেই ছিল তরুণ বাবুর ৷ পরের স্টপেজেই নামতে হত ৷ কিন্তু সুন্দরী কুমারী ১৮বছরের নরম দেখে নিজের দেহ মাখিয়ে রাখলেও নামতে মন মানছিল না ৷ কলেজে পরা মেয়েটি আচমকাই চোখ বেকিয়ে তরুণ বাবুর উদ্দেশ্যে বলে উঠলো ” ছি ছি বাসের মধ্যে নোংরামি করছেন আপনার লজ্জা করলো না আমি আপনার মেয়ের বয়েসী ৷” বাসে হই হই পরে গেল ৷ তখন কে তরুণ বাবু আর কে মোহিত বাবু কেউ জানে না ,দু ছাড়তে অদৃশ্য হাথ উড়ে উড়ে চার চাপাটি ফেলতে সুরু করে দিল ৷ ভিড়ের পাজর থেকে টেনে হিচড়ে নেমে আসতে গিয়ে দু চারটে চড় তাকে এড়িয়ে গেল না ৷ ইস্ত্রী করা পাঞ্জাবির পকেটটা একটু ছিড়ে গেছে ৷ বাস স্টপে কোনো ক্রমে নেমে দেখলেন আসে পাশের উত্সুক লোক তাকেও দেখছে ৷ কোনো ক্রমে sei জায়গা দিয়ে বেরিয়ে হেড অফিসে পৌছে এক গ্লাস ঠান্ডা জল খেয়ে তৃপ্তি হলেও ঠোটের কোন টা চির চির করে জ্বলছিল ৷ ফ্রেশ রুম এ রাখা আইনে মুখ দেখতে চমকে উঠলেন তিনি ৷ ঠোটের কোন টা কেউ যেন মেরে ফুলিয়ে দিয়েছে ৷ অভিমান আর আত্ম গ্লানি বুকে নিয়ে কাজ সারলেন যাবতীয় ৷ শরীরের রক্ত যেন টগ বগ করে ফুটছিল ৷