27-10-2021, 12:36 AM
আর এখন মা অল্প হলেও যেন এতে পার্টিসিপেট করতে লাগলো। একদিন আমি লুকিয়ে ওদের আলোচনা শোনার সময় দেখলাম রীনা আন্টি সঙ্গে আনা প্যাকেটটা মায়ের হাতে দিয়ে বললো এটা তোর জন্যে আনলাম, রাতে বর কে পরে দেখাস আর কাল আমায় জানাস বরের কেমন লাগলো। মা প্যাকেটটা খুলে ভেতরের জিনিসটা দেখেই যেন বেশ লজ্জা পেয়ে বললো ইস রীনা দি আমি এসব পরিনা, তুমি এটা নিয়ে যাও। আমার খুব লজ্জা করছে। উনি বললেন ইস ঢঙ দেখো ঢেমনী মেয়ের, বরের সামনেই তো পড়বি তাতে এত লজ্জা কিসের। উল্টে দেখবি এতে দেখে বর কেমন আদর করে তোকে। তোকে নিজের বোনের মতো ভেবে এত আদর করিতো তাই দিন দিন তোর ঢঙ বেড়ে যাচ্ছে। এই কথা টা উনি বেশ ধমকের সুরেই বললো। মাও যেন এতে একটু ভয় পেয়ে বললো না না দিদি তুমি অমন ভাবে বলছো কেন, আসলে এসব কখনো পরিনিতো তাই একটু কেমন কেমন লাগছে। তুমি রাগ করোনা আমি ঠিক পরবো আর কাল তোমাকে জানাবো বর কি বললো। এতে ওনার মুখে একটু হাসি দেখা দিলো। এরপর উনি চলে গেলে মাকে দেখলাম প্যাকেটটা বেডরুমে এসে ওয়ার্ডরোবে ঢুকিয়ে রেখে দিলো। আমার এদিকে মনের ভেতরে উসখুস করছিলো যে উনি ওতে কি দিলো মাকে এটা জানার জন্যে। সেটা একমাত্র রাতেই জানা যাবে কিন্তু মা ওটা পড়লেও বেডরুমে বাবার সামনে পরবে আর আমি ঘুমই অন্য রুমে। কিছু একটা উপায় বের করতেই হবে এই ভেবে ভেবে সন্ধেটা কেটে গেলো। এর পর রোজকার মতন রুটিন লাইফ চলতে লাগলো। রাতে ৯ "টার দিকে এসে মা ডিনার সারার জন্যে ডেকে গেলো। আজ যেন একটু তাড়াতাড়িই ডিনার সেরে নিলাম আমরা। ৯.৩০ আমি বাবার সাথে ড্রইংরুমে বসে টিভি দেখছিলাম। মা কিচেনের কাজ ও যেন আজ একটু তাড়াতাড়িই সেরে এলো। আমাকে ড্রইংরুমে দেখেই নিজের রুমে গিয়ে শোবার জন্যে তাড়না দিতে লাগলেন। বাবা একবার মাকে এত তাড়াতাড়ি করার জন্যে বাধা দিতে গেলে মা বলে উঠলো না না রোজ রোজ লেট করে ঘুমোতে যায় আর এদিকে সকালে কলেজে যাবার জন্য বাবুর ঘুম ভাঙ্গেনা। এতে বাবাও বলে উঠলো যাও বাবাই ঘুমিয়ে পর সকালে আবার কলেজে যেতে হবে তো। আমাকে তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজের রুমে যেতে হলো। আমি যেতে যেতেই শুনলাম মা বাবাকেও বললো এবার তুমিও টিভিটা বন্ধ করে বেডরুমে যাও।